নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ

ভাবতে থাকি

আমি বাংলাদেশের

ভাবতে থাকুন

আমি বাংলাদেশের › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবেশ ভাবনা

০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

পরিবেশ নিয়ে আমার চিন্তা সেই সময় থেকে। যখন থেকে জেনেছি বিশ্ব জলবায়ুর ভয়াবহতা আর আমর দেশ হচ্ছে তার স্বীকার । প্রায়ই আমরা শুনি বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে। আর সেখান থেকে বাংলাদেশকে সতর্ক করা হচ্ছে। তাদের সতর্ক বার্তা হচ্ছে আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর, অতি শিগ্রই আমরা স্বীকার হতে যাচ্ছি বিশ্ব পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির কবলে। আর আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে তাপদাহ, বন্যা, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় আর স্থায়ীভাবে তলিয়ে যাবে আমাদের দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। যদি এসব হয় তবে আমাদের কি ক্ষতি হবে?

১। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বাস্থানের অভাবে আশ্রয় নেবে উচু অঞ্চল এবং শহরে।

২। লবণাক্ত পানি ফসলের জমিনে ঢুকার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

৩। এছাড়া নানান প্রাকৃতিক সমস্যা যেমনঃ ভূমিকম্প, খরা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, ঋতুর পরিবর্তনের ফলে ফল ফসল সহ সকল জীবের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।

৪। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির আগমনে ব্যাপক হারে রোগ-বালাই বেড়ে যাবে, নষ্ট হবে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতি হবে খাদ্য শৃঙ্খলের।

-এত সব সমস্যার ফলে বাংলাদেশ হয়ে পড়বে অস্থির আর অকার্যকর।

এখন প্রশ্ন জলবায়ু পরিবর্তন তথা বিশ্ব-উষ্ণায়নের জন্য দায়ী কে?

আমরা জানি দ্রুত উন্নায়নের জন্য শিল্পায়নের গুরুত্ব সীমাহীন। শিল্পায়নের এই সুযোগটা যে সকল দেশ গ্রহন করেছে তারাই আজ শিল্পোন্নত দেশ। আর শিল্পায়নের ফলে সৃষ্ট বর্জ্য ব্যাপক ক্ষতি করে চলছে পরিবেশের। যেহেতু পরিবেশ কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় না বরং তা সমগ্র বিশ্বের অংশ। বিশেষ করে কলকারখানা থেকে সৃষ্ট দুষিত রাসায়নিক গ্যাস (co2, cfc ….) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের যেমনঃ ওজোন(03) স্তর ক্ষয় করে দিচ্ছে। তার ফলে সূর্য হতে আসা আলোক রশ্মি কোন প্রতিফলন ছাড়াই পৃথিবীতে চলে আসে। এর সাথে co2 বেড়ে যাওয়ায় পৃথিবীর তাপ ধারণ ক্ষমতাও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে চলছে। যা গলিয়ে দিচ্ছে পৃথিবীর মেরু অঞ্চল সহ সব বরফকে এর ফলশ্রুতিতে বেড়ে যাচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের পানির উচ্চতা। বাংলাদেশ যেহেতু উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত তাই বিশ্বউষ্ণায়নের সৃষ্ট ক্ষতি বাংলাদেশকে পোহাতে হবে।

তাই আমাদের দাবি বিশ্বমঞ্চে আরও জোরাল হতে হবে। এর ফলে সৃষ্টি হওয়া ক্ষতি বাংলাদেশকে একা সামাল দেয়া কঠিন। এগিয়ে আসতে হবে উন্নত দেশকে। এটা কোন সাহায্য নয় এটা আমাদের অধিকার। কারন তাদের কর্মফল আমাদের ভোগাতে হবে। তাই এর সম্পর্কে উল্লেখিত বিজ্ঞানটা আমাদের জানতে হবে তবেই আমরা উপলব্ধি করব আমাদের দাবির যৌক্তিকতা সম্পর্কে। আর সচেতন করতে হবে আমাদের দেশের সকল নাগরিককে।

আমার ২টা পরামর্শঃ ১। বিশ্ব জলবায়ু মঞ্চে আমাদের দাবি উত্থাপনের জন্য আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। আমাদের দাবির যৌক্তিকতা জেনে আমাদের নেতৃত্বকে আরও দৃঢ় হতে হবে।

২। আগামীর সমস্যা সামাধানে এখনই প্রদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে নোনা পানিতে উৎপাদনশীল ফসল উদ্ভাবন করতে হবে। নদী ভাঙ্গন রোধে বিশেষ প্রদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে উপকূলীয় অঞ্চলের বাসস্থানের দিকে ব্যাপক নজর দেয়া উচিৎ অবশ্যই। উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনী মানে বনায়ন দ্রুত করা উচিৎ। সকল শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তিকে আরও গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫

আমি বাংলাদেশের বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.