নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেবুলা মোর্শেদ

মেঘ মুক্ত রাতের আকাশ দেখতে ভালবাসি,আর ভালবাসি ছবি তুলতে।

নেবুলা মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌর অধিপতি ( শেষ পর্ব)।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১



এই সৌর কলঙ্কের চক্রের সাথে সূর্যের চৌম্ভক মেরু পরিবর্তনের একটি সর্ম্পক রয়েছে।আমরা জানি যে সূর্যের বিভিন্ন অংশের ঘূর্ননের হার একরকম নয়। যেমন মেরু অঞ্চলের অপেক্ষা সূর্যের বিষুব অঞ্চল আপন অক্ষে দ্রুত ঘূর্নায়মান।এমনকি সূর্যের উপরিভাগে এবং সূর্যের ভেতরের অংশে ও গ্যাসীয় ঘূর্ননে পার্থক্য রয়েছে।



আপন অক্ষে ঘূর্ননের কারনে সূর্যের ভেতরের ভাগে গরম আয়োনাইজড (চার্জিত) গ্যাস প্রবাহিত হয় যা বিদুৎতের মত ক্রিয়া করে।এ বিদুৎ সূর্যে তাদের সমকোনে চৌম্ভক ক্ষেত্র তৈরী করে।এভাবেই সূর্যে চৌম্ভক উওর ও চৌম্ভক দক্ষিন মেরুর সৃষ্টি হয়েছে।আমরা জানি যে মেরু মেরু হতে যত বিষুব রেখার দিকে যাওয়া যাবে সূর্যের আপন অক্ষে ঘূর্ননের হার তত বেশী হবে।আমরা জানি যে একটি জেনারেটরের বিদুৎ তার আর্মেচারের ঘূর্নন হারের উপর নির্ভর করে।ঘূর্ননের হার বেশী হলে বিদুৎ উৎপাদন বেশী হবে,আর ঘূর্ননের হার কম হলে বিদুৎ উৎপাদন কম হবে।



সূর্যের মেরু অপেক্ষা নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে ঘূর্ননের হার বেশী হওয়ায় বিদুৎত ও বেশী সৃস্টি হয়।এভাবে সূর্যের মেরু অঞ্চল ও নিরক্ষীয় অঞ্চলের ঘূর্ননের ভিন্নতার কারনে মেরু থেকে একটু দূরে 35 ডিগ্রী অক্ষাংশের কাছাকাছি আলাদা দুটি চুম্ভক মেরুর সৃস্টি হয়।সূর্যের উওর মেরুর কাছে সৃস্টি হয় উওর মেরু বিশিষ্ট চুম্ভক,আর দক্ষিন মেরুর কাছে সৃস্টি হয় দক্ষিন মেরু বিশিষ্ট চুম্ভক।



আমরা জানি চুম্ভকের সমমেরু পরস্পরকে বিকর্ষন করে।এরকম সমমেরুর বিকর্ষনের ফলে নতুন সৃষ্ঠ চুম্ভক মেরুগুলো বিষুবরেখার (Equatar) দিকে অগ্রসর হতে থাকে।এবং সূর্যের আপন অক্ষে ঘূর্ননের ফলে নতুন সৃষ্ট চুম্ভকটির চৌম্ভক প্রাবল্যতাও বাড়তে থাকে।এরপর নতুন সৃষ্ট চুম্ভক এবং সূর্যের ঘূর্নন অক্ষের কোন কমে যাওয়ায় চৌম্ভক প্রাবল্যতাও কমতে থাকে।এভাবে নতুন সৃষ্ট মেরু দুটি যখন বিষুব রেখার কাছে আসে তখন নতুন সৃষ্ট চুম্ভকটি এবং সূর্যের চুম্ভক মেরু দুটির মধ্যে বিপরীত মেরুর আকর্ষণ বল বৃদ্ধি পায়।



অর্থাৎ নতুন সৃষ্ট চুম্ভকের উওর মেরু সূর্যের দক্ষিন মেরু আকর্ষন করে,এই ভাবে নতুন সৃষ্ট চুম্ভটির দক্ষিন মেরু সূর্যের উওর মেরু আকর্ষন করে।এর ফলে একসময় সূর্যের দক্ষিন মেরুতে নতুন সৃষ্ট চুম্ভকের উওর মেরু এবং সূর্যের দক্ষিন মেরুতে নতুন সৃষ্ট চুম্ভকের উওর মেরুর সংযোগ ঘটে।সূর্যের মেরু দুয়ের তুলনায় নতুন সৃষ্ঠ চুম্ভকের মেরু দুয়ের চৌম্ভক শক্তি বেশী থাকায় সূর্যের উওর মেরু দক্ষিন মেরুতে,এবং দক্ষিন মেরু উওর মেরুতে রুপান্তরিত হয়।



এভাবে আবার একটি চক্র শেষে সূর্যের চৌম্ভক দুটি পরিবর্তিত হয়।এখানে প্রশ্ন জাগতে পারে যে সূর্য তার আপন অক্ষে কেন ঘুরছে? সূর্য তার আপন অক্ষে এবং ছায়াপথের চারিদিকে ঘোরার জন্য প্রয়োজনীয় বল ছায়াপথের কেন্দ্র হতেই প্রাপ্ত হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.