নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://www.facebook.com/reyad.parvez.3

ভাঙ্গা কলমের আঁচড়

ভাঙ্গা কলমের আঁচড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেখার পৌনঃপুনিক প্রজাপতি মেঘের গল্প ও অন্যান্য

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৮

আজ নাকি রেখাকে দেখতে আসবে।

পুরো বাড়ি জুড়ে হুলুস্তুল বেস্ততা।

রেখার মা কিছুক্ষণ এদিকে ছোটেন

কিছুক্ষণ ওদিকে। নাস্তা, ঘর গুছানো,

জানালার পরদা পালটানো কত কাজ,

রেখার বাবা বার বার পাঞ্জাবীর ভাঁজ

ঠিক করছেন। রেখার

ভাবি কি নিয়ে যেন কার

সাথে ঝগড়া করে দরজা আঁটকে বসে আছে,

রেখার মন খারাপ।

সে জানালা ধরে দাড়িয়ে আছে,

দৃষ্টি বহুদূর চলে গেছে, সে ভাবছে এই

যে মেয়েদের দেখতে আসে , যাওয়ার

সময় ছেলেদের পক্ষ থেকে কিছু

টাকা গুজে দেওয়া হয়। এটা কেন?

এটা কি মেয়েদের বাসায়

মেয়ে দেখা উপলক্ষে যে খরচ হয়

সেটা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য?

রেখা জানে না। তবে বেপারটা কেন

যেন রেখার ভালো লাগে না।

বেপারটা কেন যেন স্বাভাবিক মনে হয়

না তার।

লাগে ছেলেরা দলবেঁধে আসছে তো আসছে,

সে সেজেগুঁজে , চুলে বেলি ফুলের

মালা নিয়ে, সারাগায়ে সুগন্ধ

মেখে বসে আছে,

ছেলেরা আসছে তো আসছে, তার মুখ

দেখে পছন্দ হচ্ছে না তো যাওয়ার সময়

ছেলের মা অথবা দাদি অথবা অন্য কেও

চুপ চাপ ৫০০ টাকার একটা নোট

হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে, সে আবার

বসে আছে, আবার

ছেলেরা আসছে তো আসছে , একটা সময়

কেউ আসবে যার তাকে পছন্দ হবে, হাত

এ একটা রিং পরিয়ে দেবে, বিয়ে হবে,

অচেনা একটা ছেলের সাথে রুম এ

ঢুকতে হবে। এই যে বিয়েগুলো হয়

কয়টা মেয়ে আসলেই

রাজি থাকে বিয়েতে? মেয়েরা কি কোন

প্রোডাক্ট?

ছেলেরা দেখতে এলে হাসি মুখে বসতে হবে?

মেয়ের বাপ

মা মার্কেটিং এক্সিকিটিভের মত

আমার মেয়ে হেন আমার মেয়ে তেন

করে মানুষ জন কে জালিয়ে মারবে?

রেখার মনে হয় আসলে পুরো সমাজ

বেবস্থাটাই প্রোডাক্ট ভিত্তিক

হয়ে গেছে, ছেলেরা পরছে,

মেয়েরা পরছে, ভালো স্কুল কলেজ

থেকে, ভালো খারাপ ভারসিটি থেকে,

ডিগ্রির পর ডিগ্রি নিয়ে চাকরির

ইন্টারভিঊতে গিয়ে সিভি স্বরূপ

প্রোডাক্টনামা জমা দিচ্ছে,

সাদা কাগজের উপর পৃষ্ঠার পর

পৃষ্ঠা চিৎকার করে বলছে, স্যার

একে নিয়ে নিন, ভালো জিনিস, লস

হবে না। মেয়েদের চিন্তা ভাবনাও

বোধহয় সেই প্রোডাক্টভিত্তিক।

রেখা দেখে মেয়েরা খুব

সেজে গুঁজে বের হয়, কোন

ছেলে তাকালে দেখায় খুব বিরক্ত,

আরে বাবা, তুমি যদি এমন

সেজে গুঁজে বের না হতে তোমার

দিকে কে তাকাতো ।

-যাও রেডি হয়ে নাও, ওরা এলো বলে।

রেখার ভাবনা ভাবির কথাই

কেটে যায়, ভাবনা গুলো চুপ চাপ

ভঙ্গিতে প্রজাপতির মত কিছুক্ষণ

উড়ে দূরের ডাস্টবিনে গিয়ে বসে,

তারপর মন খারাপ করে এদিক ওদিক

হাজারো রেখার মাথায় কিছুক্ষণের

জন্য ভর করে, তার পর আবার

ডাস্টবিন,আবার প্রজাপতি,আবার

এলোমেলো চিন্তা এবং পৌনঃপুনিক

ভাবে রেখাদের

জানালা ধরে দাঁড়ানো ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আজ সনেটের দিন; আজ ছিল কবি মধুসুদন দত্তের জন্মদিন; একটা সনেট লিখেন!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫

ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠক১৯৭১ । আবার আসবেন

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বেস্ততা (টাইপো) পোষ্ট এডিট করতে বড় স্ক্রীণের জন্য উপযোগী করতে পারেন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭

ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: ধন্যবাদ অন্যমনস্ক শরৎ। প্রথম বার এলেন। ধন্যবাদ । আবার আসবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.