নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুরুজ খান দাঁড়িয়ে আছেন মরুভূমির প্রচন্ড উত্তাপের মাঝে,যেদিকেই তাকান সেদিকেই মরুভূমির সুবিশালতা উত্তাপে কাপছে,প্রচন্ড তৃষ্ণায় হাতের পানির বোতল খুলতেই দেখলেন পানি নেই,আছে ফার্নেস অয়েল,সুরুজ খানের ভয়ে হাত কাঁপা শুরু হলো,তিনি হিষ্টোরিয়াগ্রস্থ রোগির মত গোজ্ঞাতে থাকেন,দৌড়ুতে থাকেন,দৌড়ুতে দৌড়ুতে তিনি নগরের পর নগর পার করেন,যেদিকেই যান তিনি দেখতে থাকেন কিভাবে প্রতিটি জানালা দিয়ে বের হচ্ছে ফার্নেস অয়েল,প্রতিটি চাপাকল,রাস্তার মোড়ের পানির ফোয়ারা,ওয়াশার পাম্প থেকে দমকে দমকে বেরুচ্ছে ফার্নেস অয়েল,তিনি ঘামতে থাকেন,অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন তার গা থেকে তেলের গন্ধ আসছে,তিনি তৃষ্ণায় থুথু গিলতে গিয়ে লক্ষ্য করেন তিনি তেল খাচ্ছেন,তিনি নিজেকে অটোসাজেশন দিতে থাকেন,এগুলো ক্ষতিকর কিছু না,তিনি ঠোট চাটতে থাকেন,হঠাত আকাশের দিকে খেয়াল হতে দেখেন মেঘগুলো কালো তেলে ভিজে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে,কাশফুলের অবিচ্ছেদ্য শূভ্রতায় নগ্ন কালো তেল,ঘাসগুলো তেলে পিচ্ছিল,আর দূরে দূরে মৃত পশুদের কফিন,কফিন গুলো তেলে চিটচিটে,মৃতদের নাক থেকে বেরুনো তেল দেখে তার হঠাত বমি পেল,দূর হতে দমকা বাতাসের সাথে ভেসে আসে ফার্নেস অয়েন,সুরুজ খানের নাক দিয়ে ঢুকতে থাকে,গলার ভেতর দিয়ে খল্ বলিয়ে নামতে থাকে,তার ফুস্ ফুস ভরে ওঠে কালো বিশ্রি তেলে।
সুরুজ খানের ঘুম ভেঙ্গে যায়,তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।পুরো রুমে সুখ খেলাচ্ছে এসির ঠান্ডা বাতাস আর স্বচ্ছ্ব শীতল এক গ্লাস পানি।কেন যে তিনি এ সব বাজে দুঃস্বপ্ন দেখেন।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৩
ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: আসলেই ব্রাদার
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই দুঃস্বপ্ন কবে যে আবার সত্যি হয়ে যায়! শঙ্কিত।