নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-আম্মু চকলেট খাবে?
-কিকক্যাক কিকক্যাক
হাসান তার ৫ বছরের মেয়ে রুমির দিকে তাকালো,একমনে আঙ্গুল চুষছে।বিড়বিড় করছে।
ছোট ছোট চুলের ফ্রক পরা রুমিকে কি সুন্দর লাগছে,হাসান তার বউ ফিরোজার দিকে তাকালো।
-তুমি খাবে একটা?
-না, ফিরোজা চুপ হয়ে যায়।
হাসান জানে ফিরোজার চকলেট খুব পছন্দ,কিন্তু জামাইয়ের অবস্থাও সে বোঝে।এ দুর্দিনে একটি কিটক্যাট বারের পেছনে অযাথা ৫০ টাকা খরচ করার কোন মানে হয় না,ফিরোজার খুব মনে পড়ছে ৬ বছর আগের কথা,সে সময় হাসান যতবার তার সাথে দেখা করতে আসতো মিমি নিয়ে আসতো,কালো প্যাকেটে কমলার কোয়ার ছবি,হঠাত ফিরোজা হেসে উঠলো।
-কি হয়েছে,হাসান হেসে জিজ্ঞাস করলো
-মনে আছে একবার তুমি আমার মিমি আনোনি আমি কি ঝগড়াটাই না করলাম।
-মনে থাকবে না আবার?
হাসান হাসছে,সন্ধ্যার আলো নিভে আসছে,চারপাশ ভরে উঠছে হাস্যজ্জ্বল নিয়নে।
-এই তুমিও একটা নাও
-না না,ফিরোজা মাথা নাড়ে
-আব্বুউ,কিকক্যাক কিকক্যাক
হাসান শুনেছে আজ নাকি চকলেট ডে,আজ নাকি চকলেট দেওয়ার দিন,তার সময় প্রতিটি দেখা করার দিনই ছিলো চকলেট ডে,হাসান ছোট চাকরি করে,এখন আর সম্ভব হয় না ফিরোজাকে প্রায় চকলেট কিনে দেওয়ার।
তবু আজ দুটা কিকক্যাট কিনে ফেললো।
সন্ধ্যার শেষ আলোতে হাসান যখন চিন্তা করছিলো,বেতনের গোনা টাকা থেকে এই ১০০ টাকা কিভাবে রিকভার করা যায় তখন হাসি খুশী ফিরোজা তার মেয়ে রুমির হাত ধরে আলোকজ্জ্বল রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো।মা মেয়ের কিটক্যাট খেতে খেতে বেনী দুলিয়ে হেটে যেতে দেখে বুকে একদলা সুখ নিয়ে হাসানের মনে হলো মেয়েরা বুঝি কখনই বড় হয় না,এরা সবসময় তাদের মাঝে ছোট্ট একদল ছোট্ট মেয়ে বাস করে যারা অসীম দৈন্যের মাঝেও অল্প একটি কিটক্যাটেই খুশী হয়ে উঠতে পারে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৩
ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: ধন্যবাদ পাতা ঝরা
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫২
পাতা ঝরার দিনে বলেছেন: ভালো লাগলো