নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১১।০৬।২০১৫
আমি চুপচাপ ঘরটিতে বসে ভাবছি,পুরোন ঘর
হলেও সুন্দর,দেওয়ালে দেওয়ালে লতাপাতার
কারুকাজ,এই ভর দুপুরেই কেমন যেন বিষন্ন হয়ে
রয়েছে,ভাবছি এখানে আসাটা ঠিক হলো কিনা।
খাগড়াছড়ির দুর্গম এই এলাকাটিতে আমাকে নিয়ে
এসেছেন এক ভদ্রলোক,সমশের মির্জা,চায়ের
টেবিলে আলাপ,বললেন তিনি অর্কিড চাষ
করেন,বললেন চলুন আমার অর্কিড দেখবেন,
আমার ছোট থেকেই যথেষ্ট আগ্রহ ছিলো
অর্কিডের ব্যাপারে,এ বাড়িতে এসে আমার মনে
হয়েছে এত সুন্দরো অর্কিড হয়?
তবে এ তেতলা বাড়িটিতে কোন একটা সমস্যা
আছে,রাত হতেই কারা যেন ডানা ঝাপটায়,ঝপাট
ঝপাট আওয়াজ পাই। শমশের মির্জাকে
বলেছিলাম,তিনি হাত নেড়ে বলেছেন,পাহাড়ি
শকুন।
১৬।০৬।২০১৫
শমশের মির্জার হাবভাব বুঝতে পারছি না,তিনি
আমাকে যেতেই দিচ্ছেন না,বলছেন পাহাড়ের
ওপারেই নাকি কি সব সমস্যা হয়েছে,আদিবাসীদে
র কিছু গোত্রের দাঙ্গা টাইপ ব্যাপার,বলছেন,দ
াঙ্গা শেষ হলেই পাঠিয়ে দেবেন।
আমি তবু জোর করতে চেয়েছিলাম,বললেন তাদের
পারিবারিক একটা অনুষ্ঠান আছে সামনে
বৃহস্পতিবার,বিশাল খানাদানা হবে,গ্রামের সব
আদিবাসীদের দাওয়াত,খুব নাচ গান হবে,খুব করে
বললেন,আর না করতে পারলাম না।তবে শমশের
মির্জার পরিবারের সদস্যদের ভালো লাগে
নি,স্থির চোখের দৃষ্টি,প্রায় মৃত,খুব অদ্ভুদ
নিস্পৃহ ভাবে হাসে।
১৭।০৬।২০১৫
আজ বের হয়েছিলাম গ্রাম দেখতে,একজঙ্কে
বললাম শমশের মির্জার বয়স কত? বলে কিনা
আড়াইশো বছর,আমি বললাম এ কিভাবে সম্ভব।
১৮।০৬।২০১৫
আজ একটা ডায়েরি পেয়েছি,পড়বো পড়বো
করেও বিকেল গড়ালো,বাইরে খুব আওয়াজ,আজ
বৃহস্পতিবার,আমাকে দুধ দেওয়া হয়েছে গোসল
করার জন্য,এক বোতল মদও দিয়ে গেছে।
আমি ডায়েরি পড়তে শুরু করলাম,প্রথম কিছুটা
দেখলাম পরিচিতি,মাঝখান থেকেই শুরু করলাম।
১২-০৬-২০১৪
-প্রতি রাতেই ডানা ঝাপ্টানোর শব্দ, খনখনে
হাসি,দু কানে হাত দিয়ে ধরছি,তাতেও থামছে না।
১৩-০৬-২০১৪
জানালায় ওটা কার মুখ,দেওয়ালে ওটা কিসের
সিম্বোলাইজড সার্কেল,কিসের ডিজাইন?
১৪-০৬-২০১৪
চলে যাবো,মির্জা যেতে দিচ্ছে না, কিসের নাকি
অনুষ্ঠান,আমার ভালো লাগছে না।
১৭-০৬-২০১৪
মানুষ না ,পিশাচ,পিশাচ,শকুন,
১৮-০৬-২০১৪
আটকে রেখেছে,ও খোদা বাচাও,দরজাটা আর
কতক্ষন টিকবে? ডানা দিয়ে বাড়ি মারছে
দরজায়।
আমি ডায়েরিটা রাখলাম,দরদর করে ঘামছি,এর
মাঝে যে কখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে টের
পাইনি,আমি দ্রুত পায়ে দরজার দিকে
গেলাম,হঠাট দেখলাম করিডোরে কিসের যেন
ছায়া পড়েছে,ও খোদা,আধার আধার বারান্দার
লাল ফিলিপসের অপর্যাপ্ত আলোয় মির্জার
চোখ জ্বল জ্বল করে জ্বলছে,বারান্দায় পড়েছে
প্রকান্ড পাখার ছায়া।
মির্জার প্রচন্ড খনখনে হাসির আওয়াজে চাপা
পড়ে গেলো ইমতিয়াজের প্রচন্ড
আর্তনাদ,বাইরে তখন গুটি গুটি পায়ে হাজির
হয়েছে শত শত শকুন।
০২ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ব্রাদার
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কেমন যেন খাপছাড়া লাগলো। লাইনগুলোর এই অবস্থা কেন?
০২ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: ভাই, গুছিয়ে লেখালেখি বোধহয় আমায় ছেড়ে চলে গেছে
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো লেগেছে। তবে শমশের মির্জার ক্যারেকটার নিয়ে রহস্যের একটা জায়গা ছিল। গল্পে তা পাই নি। খুব সহজেই অনুমেয় ছিল।
০২ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: হুম, যথার্থ বলেছেন ব্রাদার
৪| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৯
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ভালোই লাগলো
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
জেন রসি বলেছেন: ছবিটা ভয়াবহ হয়েছে।
গল্পের শেষ হয়েও না হওয়া ভাবটা ভালো লেগেছে।