নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://www.facebook.com/reyad.parvez.3

ভাঙ্গা কলমের আঁচড়

ভাঙ্গা কলমের আঁচড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

দখল

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

প্রারম্ভিকাঃ আমি আর মালেক অনেক খুজে
পেতে একটা ঘর পেলাম,তবে কেউ থাকে না, বলে
দোষ আছে,যাই হোক ব্যাচালারদের জন্য
কিসের দোষ ফোষ, নিয়ে ফেললাম বাসাটা
ভাড়া।
১ম পর্বঃ
হঠাতই ঘুম ভেঙ্গে গেল্,দেখলাম মালেক বিড়
বিড় করছে। আমি শোনার চেষ্টা করলাম তবে
কিছুই বুঝলাম না।
-মালেক, এই মালেক।
-বিড় বিড় ( অস্পষ্ট )
আমি মালেককে আস্তে করে ধাক্কা
দিলাম,মালেক এই মালেক।মালেক অদ্ভুদ ভাবে
তাকালো, চোখগুলো জ্বল জ্বল
করছে,তাড়াতাড়ি বাতি জ্বালিয়ে দিলাম,মালেক
একটু স্বাভাবিক হলো।
-কিরে কি হয়েছিলো,আমি সিগারেট ধরাতে
ধরাতে জিজ্ঞাসা করলাম।
-কই?
-কি সব বিড় বিড় করছিলি?
-কি বলিস, চল ঘুমাই, সকালে টিউশন আছে।
-মালেক ঘুমিয়ে পড়লো, আমি চুপচাপ সিগারেট
টানতে টানতে চিন্তা করছি বেশ কয়েক দিন
ধরেই এই ব্যাপার,প্রতি রাতেই অস্পষ্ট বিড়
বিড়।
পরদিন মালেককে আমি একজন সাইক্রিয়াটিষ্টের
কাছে নিয়ে গেলাম,তিনি বেশ মালেককে ঘুমের
অষুধ দিলেন এবং আমার হাতে একটা রেকর্ডার
দিলেন, বললেন, কি বলে রেকর্ড করার চেষ্টা
করবেন।
২য় পর্বঃ
-বুঝলেন,হাসান সাহেব,আপনার বন্ধু যা বিড়
বিড় করে বলছে সে ভাষাটি হিব্রু,মোটামুটি ভাবে
অনুবাদটি এমন ,যার অর্থ “চলে যা চলে যা”।
ডাক্তার কামাল চিন্তিত মুখে আমার দিকে
তাকাতে তাকাতে বললেন।
-এখন কি করা?
-আপনারা বরং ঘরটা ছেড়ে দিন,আসলে ঘরের
ব্যাপারে গুজবটা আপনার বন্ধুর মন নিতে পারে
নি,তাই তার অবচেতন মন থেকেই ঘরটা ছেড়ে
দেওয়ার ব্যাপারে সাজেশন আসছে।
-তবে হিব্রু ভাষাটা? সেটির সাজেশন কোত্থেকে
আসছে,আমি বিরিক্তভাবে বললাম।
-আমি জানি না,ডক্টর কামাল পেপার ওয়েট
ঘোরাতে ঘোরাতে বললেন।
পর্ব তিনঃ মাঝরাতে ধাম করে প্রচন্ড আওয়াজে
হাসানের ঘুম ভেঙ্গে গেলো,দেখলো মালেক
অন্ধকারে খুব দ্রুত হামাগুড়ি দিচ্ছে, জোরে
জোরে কি সব বলছে, একবার দূরে গিয়ে মেঝে
চাটা শুরু করলো।
-মালেক মালেক, হাসান চিতকার করে মালেককে
ডাকতে ডাকতে লাইট জ্বালিয়ে দেয়।
-চুপ কর শুয়োরের বাচ্চা,এখানে ওরা
থাকে,হিসসস কোয়াইমানা………((অস্পষ্ট
হিব্রু,আরবি,অচেনা ভাষা) মালেক চেচিয়ে উঠে
লাইটের দিকে আঙ্গুল তাক করার সাথে সাথে
লাইট ভেংগে চুরমার হয়ে যায়।
পর্ব চারঃ আমি বসে আছি আমাদের গ্রামের
বাড়ির পুকুরের ঘাটে,টলটলে পানিতে পা
ডুবিয়ে,শান্ত স্নিগ্ধ আকাশের নিচে বসে হঠাত
মালেকের কথা মনে পড়লো,পুলিশ পরদিন
মালেককে মৃত অবস্থায় পায়,আমি অচেতন
ছিলাম,মালেকের নাকি ব্রেইন ষ্ট্রোক
হয়েছিলো,আমরা কোন ড্রাগ ফ্রাগ নি কিনা এ
নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছিলো,এর পর আমি
গ্রামে চলে আসি।
পর্ব পাচঃ মাঝরাত,হাসানের বাড়ি।
-হাসান ও হাসান,কি হইছে বাবা তোর, ও
হাসানের আব্বা ,বাতিটা দেও,পুলাটা কি সব
কইতাসে বিড় বিড় কইরা। বোবায় ধরসে লাগে।
হাসানের মা হাসানকে জড়িয়ে ধরে,আয়াতুল
কুরসি পড়ে ফু দেয়,এ সময় মুয়াজ্জিনের সুরেলা
গলা ভেসে আসে,আল্লাহু আকবার আল্লাহু
আকবার, হাসানের বিড়বিড় অষ্পষ্ট হয়ে
আসে,হাসানের মা বাবা হিব্রু বোঝে না, বুঝলে
ঠিকই বুঝতো, অষ্পষ্ট বিড়বিড় করে হাসান
বলছিলো, হাসানের শরীর আমাদের,আমাদের।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটায় যত্নের অভাব প্রকট।

০২ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: ভাই , খুব মানসিক অস্থিরতার মাঝে আছি , ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.