নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুপালী সিংহ

রুপালী সিংহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প : খেলা

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

পার্টি অফিস থেকে বের হলেন আসলাম

মিয়া। গত দিন বৃষ্টি হয়েছে,

রাস্তায়

পানি নেই তবে জমাট কাদা। কেউ

একজন

অফিস থেকে পাকা রাস্তা পর্যন্ত ইট

ফেলে দিয়েছে। রাত

বাজে পৌনে বার।

অফিসটা একটা ছোট ভাতের হোটেল আর

স্থায়ী সবজির দোকানের পেছনে,

টিনের ছাপড়াঘর।

ভেতরে একটা টেবিল

গোটা পাঁচ চেয়ার আর একটা পানির

ফিল্টার ছাড়া আর কিছু নেই।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়

অফিসটা একটা অগুরুত্বপূর্ণ অবহেলিত

জায়গা। কিন্তু

তা মনে হওয়া পর্যন্তই,

কারণ অফিসটার এই

চেহারা দেয়া হয়েছে ইচ্ছে করে। এই

অফিসে গোপণ সমাগম হয় শহরের শীর্ষ

নেতাদের, আজও এক প্রথম শ্রেণীর

নেতার ডান হাত উপস্থিত ছিল। গত

মিটিং টায় নেতা খোদ উপস্থিত

ছিলেন,

আজ আসতে পারেন নি। কারণ

নেতা জেলে ভিআইপি সেলে আছেন। গত

মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল এলাকার

নতুন গজানো রফিক নেতাকে শেষ

করার।

গত পরশু সিদ্ধান্ত মত কাজ শেষ

করেছে আসলাম। রফিক গরম

নেতা ছিল, এক ডাকে বিশ - ত্রিশ

জনের

মিছিল বের করে ফেলত। এই

ছেলে বেঁচে থাকলে সমস্যা ছিল।

আসলাম মিয়ার ওপর দায়িত্ব ছিল

খুনি ভাড়া করার, কাজটা সে ঠিক

মতোই

করেছে। নিজের কাজ শেষ

করে খুনি বর্ডার ক্রস

করে ইন্ডিয়া চলে গেছে, সবকিছু

চলেছে প্ল্যান মত। নেতা খুব

খুশি হয়েছে আসলামের ওপর। এবার

সম্ভবত সাধারণ সম্পাদকের

পদটা পেয়েই যাবে সে। এসব

ভাবতে ভাবতেই রাস্তায় উঠে এল

আসলাম। মিটিংয়ে র বাকিরা বেশ

আগেই চলে গেছে, অফিস বন্ধ করে একটু

দেরীতেই বেড়িয়েছে সে।

রাস্তা সুনসান নীরব। একটা বেনসন

বের করে ধারালো, এমন সময়ই

কোথা থেকে যেন উদয় হল এক ছেলে।

গায়ে বেশ দামি কাপড় চোপড়।

আকৃতিতে তাকে খাটোই বলা যায়,

বড়জোর পাঁচ ফুট ছয়। চোখে রিমলেস চশমা,

ঠোঁটে সিগারেট ঝুলছে।

- একটু আগুন হবে ভাই?

বিরক্ত হল আসলাম, কিন্তু এই আবেদন

ফেরানো যায় না। সম্ভবত দুনিয়ার

কোন ধূমপায়ী ই ফেরাতে পারবে না।

ডান হাত দিয়ে নিজের জ্বলন্ত

সিগারেট বাড়িয়ে দিল সে। কিন্তু

ছেলেটা তার সিগারেট ধরল না,

নিজের বাম হাত দিয়ে কায়দা করে আসলামের

পুরো হাতটাই ধরল। তার

ডানহাতে বেড়িয়ে এল পাঁচ

ইঞ্চি ফলার একটা ছুরি। এ জিনিস আসলাম চেনে,

পেশাদার দের জিনিস। আসলামের

তলপেটে যখন আঘাত টা আসল তখন

সে পরিস্কার ছুরিটা অনুভব

করতে পারল,

আর অনুভব করল তীব্র এক ঝলক ব্যথা।

ক্লাস নাইন থেকে রাজনীতি করে আসলাম, সে খুব

ভালই জানে কি হচ্ছে।

নেতা চাঞ্চল্যকর খুনের শেষ ট্রেইল

মুছে দিচ্ছেন। কেন যেন হাসি পেল

তার।

লাশটা মাটিতে শুইয়ে রাখল আগন্তুক।

লাশের হাতে তখনো মুচড়ে ধরা জ্বলন্ত

সিগারেট। নিজের সিগারেট

টা ধারালো সে সেখান থেকে। তারপর

হাঁটতে লাগল নির্জন রাস্তায়,

ঠোঁটে হিন্দি গান ... তু চীজ

বাড়ি হ্যায় মাস্ত....

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: এরকম ছড়া কবিতার মতো গল্প না লিখে গদ্যাকারে লিখলে পড়তে সুবিধা হতো।
শুভকামনা রইলো।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬

রুপালী সিংহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। নেক্সট টাইম চেষ্টা করব। তবে আমার লেখার স্টাইলই অনেকটা এমন। আগেও বেশ কয়েকজন বলেছেন আমার স্টাইলটা "কেমন যেন "। চেষ্টা করে যাচ্ছি।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার স্টাইলটা ইন্টারেস্টিং।

কিন্তু পড়ে মনে হল লেখার মাঝে কবিতার ভঙ্গি আসে নি, শুধু সাজান হয়েছে ওইভাবে। কবিতার মত করে সাজিয়ে লিখছেন, লাইনগুলোও যদি একটু কাব্যিক স্পর্শ পেত, ভালো লাগত পড়তে।

প্লাস।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :) :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.