নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রামে জমিদার বাড়ির শেওলা ধরা পুকুরপাড়ে, মহালয়া কাঁদিতে বসিয়াছে। কিছুক্ষণ পর পরই শাড়ীর আচল দিয়ে অশ্রু মুছিতেছে। কি হইয়াছে তাহার? অমন সুন্দর মেয়েটিকে কেইবা কাঁদাইয়াছে? হরি'র সঙ্গে তাহার সম্পর্কে জাড়ানোর পর হতেই তাহার মুখে একঝলক হাসি আমি দেখিলাম না। হরি কি তবে তাহাকে ত্যাগ করিলো!
আহারে মেয়েটা! জাতের বিভেদে একেলা পিসিতেছে। আশ্চর্য ব্যাপারখানা হইলো, হরি ওর মতোই নীচকুলজাত। তাহাও ছাড়িয়া গেলো। গত দূর্গাপূজোতে, মহালয়ারর জন্য উচ্চকূল হইতে প্রস্তাব আসিয়াছিল। মহালয়ার গরীব বাজান কেন যে তাহা ফিরাইয়া দিয়াছিলো, কে জানিবে। লোকমুখে শুনিলাম যে, মহালয়া'র বাজান ভয় পাইতেছিল-"এত উঁচুদর ঘরে মেয়ে তুলিয়া দিলে শ্রেণী-বৈষম্য হইবে। মেয়ে সংসার সুখ পাইবে না"।
যাহা হোক, তখন তাহার কথাখানা খুব যৌক্তিক মনে হইলেও, মহালয়া কে কাঁদিতে দেখিয়া পীড়া অনুভূত হইতেছে। কারন, হরি তো তাহার জাতের ছেলে, পয়সা, জাত, শ্রেণীগত কোনো ভেদ নেই। তবুও টিকিলে না। রাম ভগবান হইলেও, হরি তো মানুষ ছিলো। পরিহাসের ব্যাপার এতখানি যে, সম্পর্ক জাত মানিয়া-নামানিয়া হইবার নহে।
বিভেদক শ্রেণী মানব সমাজের সৃষ্টি। বিধাতা তার সকল সৃষ্টি সমান্তর করিয়াই তৈরি করিয়াছেন। তাই সমাজ জীবনে, এই বিভেদের তীব্র অনুকম্পা থাকিলেও স্বর্গীয় ভালবাসায় তাহার খুব একটা প্রভাব নাই। হৃদ-পেশীর বন্ধনে ভালবাসা সৃষ্টিশীল।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: তাও@তাহাও ছাড়িয়া গেলো।