নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা,উপন্যাস,দর্শন,সিনেমা ও অন্যান্য

জহিরুলহকবাপি

আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।

জহিরুলহকবাপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম যদি আবার ফিরে মর্মে, কর্মে তবেই...

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:১৪

ঢাকার বাতাস নরম নরম কয় দিন। গ্রীষ্ম এইবার পূর্ণ যৌবনে ছিল। হতে পারে মেঘ এবার ভালই ফলবতী হবে। দেশের সব জায়গার অবস্থাই কম বেশি এমন। এবার ফসল বেশ, বেশ ভালো। চারদিকে একটা আরামদায়ক শান্তি থাকার কথা ছিল। কিন্তু শান্তি নেই। একে কোপানো হচ্ছে ওকে কোপানো হচ্ছে। এ খানে জঙ্গি ধরা পড়তো বিদেশে আরেক ষড়যন্ত্র ধরা পড়ে। দেশ-বিদেশ উভয়ই মিলে আমরা গুমোট একটা অবস্থার মধ্যে আছি। স্বাভাবিকভাবে সরকারেরও এখন ঘর্মার্ত অবস্থা।

ইসরাইল স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ। স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই ইসরাইল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। এরপর আবার ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কোন প্রত্যুত্তর দেনই নি উপরন্তু বাংলাদেশি পাসপোর্টে লেখা হয় “ইসরাইল ছাড়া যে কোন দেশ” । যা আজ পর্যন্ত বিদ্যমান। বঙ্গবন্ধুই ইসরাইলকে নিষিদ্ধ দেশ করে যান। ফিলিস্তিন, মুসলিম বিশ্বের সাথে শত্রুতা, পৃথিবীব্যাপী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করা ছিল এর কারণ। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগই না। এমন কি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ইসরাইলে ফোন পর্যন্ত করা যায় না।

প্রত্যেক ভূমি, জলবায়ু, পরিবেশের নিজস্ব প্রাকৃতিক কিছু চারিত্রিক বিশেষত্ব থাকে যা ঐ এলাকার অধিবাসীদের উপর প্রভাব ফেলে। উপমহাদেশ ধার্মিক ভূমি, ধার্মিক ভূমি বলেই এখানকার সব ধর্মের মানুষই ধার্মিক। ধর্ম ছিল মানুষের মর্মে, কর্মে। মানুষ যেমন ভদ্রতা, সহযোগিতা, মনুষ্যত্ব দিয়ে নিজ নিজ আরাধ্যকে খুঁজতো তার সাথে ধর্মীয় আচার, নিয়মের মধ্য দিয়েও স্রষ্টাকে খুঁজতো, ক্ষমা চাইতো। পৃথিবীর সব কিছুর প্রতিই মমতা দেখানো ধর্মেরই অংশ ছিল আচরণ ও বিশ্বাসগত ভাবে। এর উদাহরণ এখনও আমাদের গ্রাম-গঞ্জে দেখা যায়, যেখানে আমাদের একাডেমিক শিক্ষার পুরা অংশ এখন পৌঁছায়নি এমন সব এলাকায়। কেউ মফস্বল, গ্রামে গেলে দেখবেন খুব ভোরে খাবার হোটেলের চালে আগে দিনের বাসি পচা খাবার ছুড়ে দেওয়া হয়। যেন পাখ-পাখালি খেতে পায়। হিন্দু, মুসলমান উভয়ের দোকানে এমন দেখেছি, এখনও কোথাও কোথাও দেখি।

মানুষ যেমন পরবর্তী জীবনের সওয়াবের, পুণ্যের আশায় তেমনি বংশ পরম্পরায় রক্তের ভেতর থাকা মানবিকতায় পাখিদের খাবার দেয়। বাংলাদেশে ৭৫ পর্যন্ত এমনই ছিল। তারপর মানসিকতা, জ্ঞানে, চিন্তায় বিষ ঢুকিয়ে ধীরে, ধীরে সর্বক্ষেত্রেই গড়ে তোলা হচ্ছিল স্ববিরোধী, বিভ্রান্ত এক জাতিতে। আমরা নিজের অজান্তে নিজেদের কিনছি, বিক্রি করছি। যেহেতু ধার্মিক, নরম জাতি তাই ধর্মটাকে সবার আগে ব্যবহার শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পরপরই। 'জয় বাংলা'কে হিন্দুয়ানী শব্দ বলে প্রচার করে “জিন্দাবাদ” ঢুকানো হয়। বুদ্ধিমান জিয়া পাপের প্রতি মানুষের ভয় এবং নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানুষের জন্মগত আগ্রহকে কাজে লাগায়।

গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে ধর্মের ব্যানারে পাকিস্তানপন্থী ইসলামি দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। জিয়ার প্রধানমন্ত্রী হয় আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান কুষ্টিয়ার বিখ্যাত রেজাকার। গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন রাজাকার গ্রুপ, পাকিস্তানী গ্রুপকে ধর্মীয় রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। সেই শুরু। আই. এস. আইতে সুযোগ পাওয়া একমাত্র বাঙালি অফিসার জিয়া বাংলাদেশের ক্ষমতা দখলের পর পরই পাকিস্তানি কায়দায় আমাদের নিজস্ব সত্তা, পথ, মতকে অন্য পথে নিয়ে যাওয়া শুরু করে। বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ, ধর্মীয় সভার নামে ভারত বিদ্বেষ, হিন্দু বিদ্বেষের ছায়ায় শুরু হয় সাম্প্রদায়িকতার পথে বাঙালিকে আনা।

পাকিস্তানিদের ক্ষমতা দখলের তরিকা দুই। এক আর্মি, দুই ধর্ম। দুই তরিকারই জিয়া দারুণ সমন্বয় করতে পেরেছিল। যার ফল এখন খুব পরিষ্কার। একদিকে ওয়াজ, মাহফিল, ধর্মীয় নেতা, অন্যদিকে মদের লাইসেন্স প্রদান। বঙ্গবন্ধু মদের লাইসেন্স দেন নাই। জিয়া তার প্রচলন করে। তার সাথে সংস্কৃতি, বিকৃতি সব মিলিয়ে খিচুড়ি জাতি তৈরির জন্য বাংলাদেশের আনাচে কানাচে শুরু হয় হাউজির নামে জুয়া, ঐতিহ্যগত যাত্রা, মেলায় শুরু হয় অশ্লীলতা। দুই ক্যারিশমাই জিয়ার খুব কাজে লাগে। তখনকার যুব সমাজ জিয়ার ভক্ত হয়ে উঠে। কেউই খেয়াল করলো না এক দিকে ওয়াজ আরেক দিকে মদ, জুয়া। ধর্ম এর সাথে নিষিদ্ধ বস্তুর বন্ধুত্ব। ধীরে ধীরে বাঙালি ঘুষের বান্ডিল পকেটে নিয়ে নামাযে দাঁড়ানোতে অভ্যস্ত হয়ে গেল। ইসলামি ফাউন্ডেশনরে জনক বঙ্গবন্ধুকে কি সহজে মানুষ নাস্তিক ভাবে এখনও?! মুক্তিযুদ্ধে হেরে যাওয়ার প্রতিশোধ স্বরূপ গোলাম আযম, নিজামীরা সৌদি আরবের বাদশাকে প্ররোচিত করে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য হজ নিষিদ্ধ করায়। বঙ্গবন্ধু বারবার অনুরোধ করে, দাবি, চেষ্টায় আবার বাংলাদেশিরা হজ শুরু করে। বাঙালিদের কাছে এ বঙ্গবন্ধুই নাস্তিক, গোলাম আযম মহা আস্তিক।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর পাকিস্তান, আমেরিকা মিলে তাদের পছন্দের ব্যক্তিবর্গকে ক্ষমতায় বসায় স্বাভাবিকভাবে। ৭১-এ পাকিস্তানিদের দোসর জামায়াতকে কৌশলগত কারণেই ক্ষমতা দেওয়া যাচ্ছিল না। তাই জিয়ার নতুন দল এবং প্রায় সর্বক্ষেত্রেই রাজাকারিকরণ। রাজনৈতিক শ্লোগান, সামাজিক আচার, শিক্ষা ব্যবস্থা, ধর্ম সব জায়গায় ধর্মীয় পোশাক পরানো শুরু হয় খুবই সূক্ষ্ম কৌশলে এবং দ্রুত। মানুষ জিয়ার খাল কাটা কর্মসূচীতে মুগ্ধ নয়ন দিল, কিন্তু নদীর স্রোত কেটে তখন বাংলাদেশী সম্পদ পাকিস্তান চলে যাচ্ছিল। বাঙালির ধর্ম বিশ্বাসকে, ধর্মকে নিয়ে যাওয়া শুরু হলো পাকিস্তান মনোভাবে।

পাকিস্তানীরা মদের গেলাস হাতে জেহাদের স্বপ্ন দেখে, ধর্ষণ করতে করতে ইসলাম আওড়ায়। আগে বাঙালি ছিল মৃত্যুর পরের নিজের চিন্তায় ভীত আর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাঙালিকে বানানো শুরু হলো অন্যের বেহেশত চিন্তায় উদ্যত। ধর্মীয় সহনশীলতার পরিবর্তে খুতবা, ওয়াজ, সবখানেই ভিন্ন ধর্মের প্রতি ঘৃণা। ৭১-এর গুটি কয়েক লোকের বুলি “মালাউন” আজ ২০১৬ বাঙালির বড় অংশে মিশে গেছে। এটাই পাকি বংশধরদের ক্যারিশমা। ঘুষের টাকায় মসজিদ করে দেওয়া মানুষকেও এ দেশের মানুষ পবিত্রতার সাথে নেওয়া শুরু করলো। নিজের ধর্ম কর্মের বদলে অন্যের ধর্ম কর্মের হিসাব নেওয়া শুরু হলো।

ধর্মীয় নেতাদের পরিবর্তে ধর্মীয় লেবাসধারীদের জয়জয়কার চারদিকে এখন। জানি, পেশায় চোরাকারবারি, নারী পাচারকারী কিন্তু মুখে দাড়ি, শরীরে পাঞ্জাবী, মসজিদে দান খয়রাত করে এমন মানুষকে এখন আমরা মানসিকভাবে ধার্মিক হিসাবে মেনে নিয়েছি। এমনকি লালনকেও ইসলামিকরণ করা শুরু হয় জিয়ার আমলেই।

আমাদের দেশে বর্তমানে অলিখিতভাবে একটা জিনিস খুব ভালো ভাবে কাজ করে তা হলো পাকিস্তান বিরোধিতা মানে ইসলামের বিরোধিতা। মুক্তিযুদ্ধরা নাস্তিক, শেখ মুজিব নাস্তিক, আওয়ামী লীগ নাস্তিক, রেজাকারদের যারা বিচার চায় তারা নাস্তিক, শাহবাগীরা নাস্তিক? আওয়ামী লীগের যে কর্মী/নেতা, রেজাকার বিরোধী যে কেউই নাস্তিক এমন হলো কেন? এর উত্তর খুঁজতে খুব বেশি দূর যাওয়ার দরকার নাই জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবু-আলা মওদুদির মতে– প্রয়োজনে মিথ্যা বলা শুধু জায়েজই না ফরযও বটে । জামাত এবং বিএনপি সব সময়ই এ পথের পথিক। পাকিদের দোসর জিয়া, জামায়াত বাঙালিকে ধর্মীয়ভাবে শুধু কু-পথেই নিয়ে যায়নি বরং এক ধরনের ঘোরের ভিতর নিয়ে যাওয়ার পথে নামিয়ে দিয়েছিল। যা এখনও চলমান।

ধর্মীয় ব্যাবহার নিয়ে বাঙালি বিভ্রান্ত। ধর্মীয় ভাবে তারা কি বিশ্বাস করছে, কি অবিশ্বাস করছে তার ভিতরও গোলমাল।

বড় বড় পত্রিকাগুলোর হেডলাইন হয়েছে– ইসরাইলের সাথে জামায়াত নেতা, বিএনপি নেতাদের মিটিং হয়েছে। এ নিয়ে জেহাদি গ্রুপ, সাধারণ মুমিন গ্রুপ সবাই চুপ। কেউ কেউ সরব ও বিলাইয়ের মতো মিন মিন করে বলছে এসব সরকারের বানোয়াট। অথচ জামায়াত, বিএনপির পক্ষের এরাই সস্তা, নাম সর্বস্ব কোন পত্রিকায়ও শাহবাগ, আওয়ামী লীগ, জামায়াত-বিএনপি বিরোধী ব্যক্তি-দলের নামে কোন খবর হলে সেটা মহাসমারোহে বিশ্বাস করে ফেলে। সরব গলায় যুক্তি দেখায় মিথ্যা হলে পত্রিকায় আসবে কেন? কি ঝকঝকে দ্বৈত আচরণের উদাহরণ। এরা নিজের অজান্তেই এমন করছে। ধর্মের প্রতি স্বাভাবিক ভীতি/ভালোবাসা/বিশ্বাসকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে কৌশলে বিভ্রান্ত করে ফেলা হয়েছে। রাজনীতি বিশ্বাস যেন ধর্মের অংশ হয়ে উঠেছে। আসলে পুরো কুপথে নিয়ে যেতে চাইছিল। কিন্তু ঐ যে ভূমির আচরণ। বাঙালির অবস্থা হয়েছে এখন –
“জলে টানে উত্তরে আর হাওয়ায় টানে দক্ষিণে
রঙিলা পাল হাওয়ার সাথে প্রেম কইরাছে গোপনে”

জিয়ার খালের জল আমাদের এক দিকে পথ নিয়ে যাওয়া শুরু করেছিল। এ প্রক্রিয়া জিয়া-এরশাদ-বেগম জিয়ার আমল পর্যন্ত সরকারের নিয়ন্ত্রণেই ধারাবাহিক চলেছে। বর্তমানে সরকারি পোষকতা না পেয়েও সরকারের অমনোযোগিতা বা কোন কারণে এখনও কিছু কম গতিবেগে চলছে, গ্রীষ্মের হেলেদুলে চলা মেঘের মতো। ৭১ পরবর্তী এ খাতে আমেরিকা, পাকি পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু সুর প্রিয়, রং প্রিয়, অলস, সাময়িক চতুর কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঙালি মানবিক। রঙিলা বাতাসের সাথে তার টান। এই টানাটানিতে আমরা পুরো কুপথে যাই নি। কিছুটা ধর্মীয় উগ্রতা, সাম্প্রদায়িকতা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েক জন দানব হয়ে উঠেছে। কিন্তু বিভ্রান্ত। এ বিভ্রান্তি পথ হারা করতে পারে আরও ব্যাপকভাবে।

ইয়েমেন মুসলমান দেশ। কিন্তু ইয়েমেনে যখন সৌদি বোমা হামলা হয় তখন এ দেশে ধর্মপ্রাণ, ধর্মভীরু মানুষ চুপ থাকে। আবার ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনি একজন মারে তখন এদেশে কয়েকটা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাঙালিদের ভিতর গত কয়েক বছর ধরে “ইহুদী নাসারা ভাইরাস” খুব ভালো ভাবেই ছড়িয়েছে। সব কিছুতেই ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র। ইহুদী নাসারাদের প্রধানতম কাজ ইসলাম নিয়ে ষড়যন্ত্র। আর এদেশে ইসলাম ধ্বংসকারী দল, ইহুদী নাসারাদের বন্ধু আওয়ামী লীগ এবং সমমনা অন্যান্য দল।

আজ স্পষ্ট যে ইহুদীদের সাথে সৌদ পরিবারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। সৌদি যুবরাজ তালাল ইসরাইলের পক্ষে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এসব এদেশের মানুষগুলো দেখে, বুঝে কিন্তু বিশ্বাস করে না। তরুণ প্রজন্মের অনেক বড় অংশ মিন মিন করে বলে পাকিস্তান আমল ভালো ছিল। কিভাবে? উত্তর দিতে পারে না, বা জগাখিচুড়ীর মত এমন কিছু বলে যে পশ্চাদপদেশ দিয়া পাহাড় না হিমালয় পর্বত ধাক্কায় যেন। পাকিস্তানে মসজিদে বোমা হামলা হয় নিয়ম করে, এখানে তো হয় না। তাইলে? কোন উত্তর নেই। অদ্ভুত। অদ্ভুত না বিষয়?!! প্রায় সব ক্ষেত্রেই এমন চলছে। ভূমি আর কত দিন ধরে রাখতে পারবে কে জানে! বছরের পর পর বছর ধরে ছড়ানো বিষে ভূমির উর্বরতা স্বাভাবিকভাবেই কমবে। ভূমি শেষ পর্যন্ত ভূমিই থাকবে কিন্তু দুর্বল দুর্ভিক্ষপীড়িত।

এদের উপর সাময়িক রাগ হয় । কিন্তু এর সাথে এও সত্য এর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জঙ্গিবাদের শিকড় উপড়াতে হলে অবশ্যই সরকারকে দ্রুত সময়ের ভিতর জনগণকে এই সর্বনাশা বিভ্রান্তির ভিতর থেকে বের করে আনতে হবে। আইন করে জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব নয়। আইন করে মানসিক অবস্থান যদি পরিবর্তন করা যেত তবে জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া সব আইন করেই করে ফেলতো। আইন করেই বাংলাদেশকে আবার পাকির অঙ্গরাজ্য করে ফেলতো বা ছায়ারাজ্য করে ফেলতো। জামায়াত পাকিস্তানের রাজনীতিতে বড় কোন ইস্যু নয়। সোজা বাংলায় তাদের বেইল নাই। বরং জামায়াতের জন্মদাতা, তাত্ত্বিক নেতা, বান্না থেকে অনুপ্রাণিত ইসলামের নতুন তত্ব প্রদানকারী মাওলানা মওদুদির ২ বার ফাঁসির নির্দেশ হয় জাতি গত দাঙ্গা বাধিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করার জন্য। অথচ এদেশে জামায়াতিরা ভয়ংকর রকম শক্তিশালী। কিন্তু শক্তিশালী হলেও আইন করে সব করা যায় না। জামায়াতিরা শুরু করেছিল মানসিকতার পরিবর্তন। কিন্তু পুরো সফল হতে পারেনি ভূমির কারণে।

সর্বনাশের এবং ভয়ের কারণ হলো ইসরাইলের সাথে গোপন সভার খবর পাওয়া গেছে। জামায়াত-বিএনপি নেতা যেহেতু করেছে তাই “সুবহান্নাল্লা” অথবা ইসরাইল/সভাকারীরাও যদি স্বীকার করে এমন হয়েছে তবুও কিছু মানুষ অস্বীকার করবেই করবে। এমন অন্ধত্ব না গোচলে রাস্তার জ্বলমলে সোডিয়াম বাত্তি কোন কাজেই আসবে না। ইসরাইলীরা কি করতে পারে পৃথিবীতে নজির ভুরি ভুরি। আর এ আন্ধা মানুষের সাহায্য পেলে, প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সমর্থন পেলে কি লাগে আর।

ধর্ম যদি আবার মর্মে কর্মে ফিরে যায়, ফিরিয়ে নেওয়া যায় তবে বর্তমানে অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে আত্মিক উন্নতিও হবে পুরোপুরি। জঙ্গিবাদ, জঙ্গিবাদী কখনও নিজেদের ছায়াও দেখাতে পারবে না। কিন্তু অন্ধত্ব, মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। বরং সরকারের কোন কোন বক্তব্য জাতিকে বিব্রত, বিভ্রান্ত করছে।

“আবার জমবে মেলা বটতলা, হাট খোলা অগ্রহায়ণ নবান্ন উৎসবে
সোনার বাংলা ভরে উঠবে সোনায়, বিশ্ব অবাক চেয়ে রবে”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.