![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
রাশিয়ার মতো ভুল আর কেউ না করুক.....
রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করলো তখন আমেরিকান এমব্যাসিসহ সকল ইউরোপিয়ান এমব্যাসি কিয়েভ থেকে পোল্যান্ডে সরিয়ে নেয়। কারণ, তাদের ধারণা ছিল কয়েক দিনের মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে নিবে এবং কিয়েভের পতন হবে।
রাশিয়া কিয়েভের কাছে প্রায় পৌঁছেও গিয়েছিল, কিন্তু কোন এক অজানা কারণে সুযোগ থাকা সত্বেও রাশিয়া কিয়েভের উপর সাঁড়াশি আক্রমণ না করে শহরটি দখল করলো না। পুতিন হয়তো ভেবেছিলো ইউক্রেন, রাশিয়ার কাছে সারেন্ডার করে রণেভঙ্গ দিবে। এমনিতেই ইউক্রেন রাশিয়ার আন্ডারে চলে আসবে।
রাশিয়া, খোদ ইউক্রেনের পূর্বে-দক্ষিণে অনেক আক্রমণ করে অনেক ভূখণ্ড দখল করে নিলেও পশ্চিমে কিয়েভের সাথে পোল্যান্ডের রেল লাইনটি ধ্বংস না করে সম্পুর্ণই অক্ষত রাখলো। ফলতঃ ন্যাটো পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে করে মানবিক সাহায্যের নামে ভারী অস্ত্র পাঠাতে শুরু করলো।
পশ্চিমারা যখন বুঝলো পুতিন কিয়েভ দখল করবে না, তখন তারা আবার এম্ব্যাসিগুলি কিয়েভে ফেরত নিয়ে গেলো। অন্যদিকে ভারী ভারী অস্ত্র এবং মার্সেনারির ছদ্দবেশে ব্রিটিশ ও আমেরিকান কমান্ডো ফোর্স পাঠাতে লাগলো। এতে ইউক্রেন নতুন শক্তি পেয়ে রাশিয়াকে পিছু হটতে বাধ্য করে এবং পরবর্তীতে রাশিয়ার পক্ষে আর কিয়েভ দখল করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ন্যাটো নতুন নতুন টেকনোলোজির অস্ত্র সরবরাহ করে ইউক্রেনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে। একই সাথে বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ইউক্রেন সোলজারদের ট্রেনিং দিয়ে তাদেরকে শক্তিশালী করে।
পুতিন সুযোগ থাকার পরেও যখন তার দুর্বল শত্রুকে নির্মূল করলো না, তখন শত্রু ইউক্রেন সময় পেয়ে নতুন শক্তি সঞ্চয় করে একের পর একটা আক্রমণ করে রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। দুইদিন আগে ইউক্রেন রাশিয়ার উপর যে আঘাত হেনেছে, তাতে ৪০টি বোমারু বিমান ধ্বংসের দাবী করেছে, যা বিশ্ব মিডিয়ায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এক দিনের আক্রমণে একটি দেশের ৪০ টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস যুদ্ধের ইতিহাসে আর নাই। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জাপান পার্ল হার্বারে এমন ভয়ানক এটাক করলেও অর্থের বিচারে গতকালের এই এটাকই সবচেয়ে বড় ক্ষতি। রাশিয়া হয়তো এই ক্ষতি থেকে উদ্ধার পেয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না। আমার ধারণা পুতিনকে পশ্চিমারা এবার শেষ করে দিবে।
আসলে শত্রুকে অনুকম্পা দেখালে এবং তাকে নির্মূল না করলে, সে ঘুরে দাঁড়াবেই। এবং যখন দাঁড়াবে তখন শত্রুই তাকে নির্মূল করে দিবে- এটাই যুদ্ধের নীতি।
রাশিয়ার মতো পাকিস্তানও একই ভুল করেছে।
গতমাসে ভারত পাকিস্তানকে এটাক করলে, পাকিস্তান নতুন টেকনোলোজি দিয়ে ভারতকে গোহারা হারিয়ে দেয় এবং ব্যাপক ক্ষতি করে। আকাশে পাকিস্তান একছত্র সুপ্রিমেসি প্রতিষ্ঠা করে। ভারত তার ক্ষতি এবং সামরিক শক্তির দুর্বলতা প্রকাশ পাওয়ায় দ্রুত ট্রাম্পের মাধ্যমে যুদ্ধ বিরতি করতে সক্ষম হয়। পাকিস্তানের উচিত ছিল তার চির শত্রু ভারতকে যখন বাগে পেয়েছে তখন আরো ব্যাপক ভাবে ভারতের সকল এয়ার বেইসকে ধ্বংস করে দেয়া যেভাবে ইউক্রেন রাশিয়ায় করেছে। কিন্তু তারা করলো না যুদ্ধ বিরতি মেনে নিয়ে।
ফলে ভারত নতুন জীবন পেলো এবং সুযোগ পেলো তাদের সামরিক শক্তিকে নতুন করে ঢেলে সাজাবার।
আমেরিকা, ইয়াহুগুষ্টি, ব্রিটেন, ফ্রান্স সকলেই এগিয়ে এসেছে ভারতকে অত্যাধুনিক টেকনোলোজি এবং নতুন আধুনিক অস্ত্র সাপ্লাই দিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কামিয়ে নেয়ার এই অপূর্ব সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য। আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ভারতের সামরিক শক্তি এমন পর্যায়ে যাবে তখন যুদ্ধ লাগলে এখন পাকিস্তান যে মোড়লগিরি করার সুযোগ পেয়েছে, সেটা আর কোনোদিন পাবে না। তখন পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতি চাইলেও কেউ এগিয়ে আসবে না।
কারণ, পাকিস্তানের পরাজয় মানে- চাইনিজ টেকনোলোজির পরাজয় পশ্চিমা টেকনোলজির জয়।
অতএব পশ্চিমরা চাইবেই যেভাবেই হোক পাকিস্তানকে পরাজিত করতে।
ভারত, তাদের এই লজ্জাজনক পরাজয়ের প্রতিশোধ ঠিকই নেবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে।
তখন পাকিস্তানের অবস্থা আজকের রাশিয়ার মতো অবস্থা হবে বলে আমি মনে করি। এমনকি পাকিস্তান তখন টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে সোভিয়েত রাশিয়ার মতো।
এবার ফিরে তাকাই বাংলাদেশের দিকে। গত ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীরা যেহারে বিএনপির নেতা, কর্মী সমর্থকদেরকে গুম-খুন করে প্রায় নিশ্চিন্হ করে দিয়েছিল, গত ৫ই অগাস্টের পর বিএনপির সুযোগ এসেছিল তার প্রতিশোধ নেয়ার। তাদের উচিত ছিল ছাত্র জনতার সাথে মিলেমিশে সর্বশক্তি দিয়ে গত ১৬ বছরের প্রতিটি নির্যাতন এবং অত্যাচার এবং বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলায় যে হয়রানি এবং মানসিক নির্যাতন করেছে তার বদলা নিয়ে আওয়ামীদেরকে শায়েস্তা করার।
কিন্তু বিএনপি সুযোগ থাকার পরও তারা হয়ে গেল 'মানবিক পুতিন', 'মহাত্মা গান্ধী'! হয়তো ভেবেছে- আওয়ামী লীগ এমনিতেই ধরা দিবে কিম্বা তারা একেবারেই শেষ হয়েগেছে!
কিন্তু তারা জানে না, এই অঞ্চলের মোড়ল ভারত যাদেরকে জায়গা দিয়ে, আশ্রয় দিয়ে পালছে এবং ট্রেনিং দিচ্ছে, তারা যখন ফেরত আসবে তখন বিএনপির অবস্থা আজকের রাশিয়ার মতো হবে।
সব ভেঙে চুরমার করে দিবে। বিএনপি আবার কোনদিন দাঁড়াতে পারবে কিনা সন্দেহ।
বিএনপি নেতারা ভুলে গিয়েছে, "সাপের বিষ দাঁত রেখে কখনো খেলতে নাই। সুযোগ পেলে সাপ ছোবল দিবেই"- ইউক্রেনের মতো।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ শাফি হক ভাই।
০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: নির্মম হলেও যুদ্ধক্ষেত্রে এটাই নিয়ম।
আমার কোনো শত্রুপক্ষ নেই, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীও নেই। কিন্তু আমাকে শত্রুজ্ঞান করেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন- তেমন মানুষের অভাব নাই।
২| ০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: রাশিয়া আগমাী ৭ দিনের মধ্যেই হয়তো ইউক্রেনে বড় ধরণের আক্রমণ চালাবে, এই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত পারমানবিক যুদ্ধে গড়ায় কি না আমি সেই ভয়ে আছি।
০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও তেমন আশংকা করছি।
৩| ০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০
রাসেল বলেছেন: সাম্প্রতিক যুদ্ধে ভারত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, সেই কারণেই তারা যুদ্ধ বিরতিতে যায় দিয়েছে।
এখন বুঝতে পারছি, দেশপ্রেমিক বিএনপির ঈদের পরে দুর্বার আন্দোলন করার প্রতিশ্রুতির রহস্য। রসুন কুয়া কুয়া, মূল একই।
০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: মন্তব্যের শেষ বাক্যের আপনার চরিত্র চিনিয়ে দিয়েছেন।
৪| ০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: আমি কোন যুদ্ধকেই সমর্থন করি না। যুদ্ধের ফলাফল কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না (যদিও যুদ্ধ কোনদিনও বন্ধ করা সম্ভব না। যতদিন মানুষ স্বার্থত্যাগ করতে না শিখবে ততদিন নতুন নতুন যুদ্ধ বাধতেই থাকবে)। আর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ যদি তখনই বন্ধ না হত তাহলে আমাদের সকলের কপালেই খারাপি ছিল।
০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: যুদ্ধ শুধু যুদ্ধরত দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনা। যুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার হয় নিরীহ নির্দোষ মানুষ। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের মানুষ।
৫| ০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: হুম...ঠিক বলেছেন। তাই যুদ্ধ যত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় ততই মঙ্গল।
০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: দুর্ভাগ্যজনক সত্য হচ্চগে, যুদ্ধাস্ত্র ব্যাবসায়ীদের জন্য এই দুনিয়া থেকে কখনওই যুদ্ধ শেষ হবে না।
৬| ০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: দুর্ভাগ্যজনক সত্য হচ্চগে, যুদ্ধাস্ত্র ব্যাবসায়ীদের জন্য এই দুনিয়া থেকে কখনওই যুদ্ধ শেষ হবে না।
আমি যুদ্ধের পিছনে অস্ত্র ব্যবসায়ীদেরকে দায়ী করবো না। আমার মতে যুদ্ধের পিছনে মানুষের লোভ ও ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা দায়ী।
০৩ রা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: লোভী বানানোর জন্যও কলকাঠি নাড়ছে অস্র ব্যবসায়ীরা।
৭| ০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যিনি এই লেখা লিখেছেন তিনি বিএনপিকে বিপদে ফেলার বুদ্ধি দিচ্ছেন। পশ্চিমারা দফায় দফায় বৈঠক করেছিলো এইটা জানার জন্য যে আম্লিকের পতন হলে রক্তের বন্যা হবে কিনা ! সবাই চাচ্ছিল বিরোধ দলগুলো নিজ হাতে আইন না তুলে নিক।
০৩ রা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আওয়ামী লীগকে স্তব্ধ করতে রক্তারক্তি করার দরকার নাই, আইনী প্রকৃয়ায়ই নিষিদ্ধ করতে দেশের ৯০% মানুষের ঐক্যবদ্ধ ছিলো। গণভোটের মাধ্যমেও করা সম্ভব।
৮| ০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: এর পেছনে ইউক্রেনের তীব্র প্রতিরোধ, আন্তর্জাতিক সমর্থন, রাশিয়ার কৌশলগত ভুল এবং সামরিক-লজিস্টিক দুর্বলতাও ছিল।
দেশের স্থিতিশীলতা কোনো দলের ক্ষমতার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়, বরং জনগণের কল্যাণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। আকাশে পাকিরা কোন প্রকার চির বিজয় প্রতিষ্ঠা করেনি। এটা তাদের অঞ্চলে defensive strategy তে সফল, attacking এ নাও হতে পারে। ১৯৭১ বাংলাদেশে স্থলে খেয়েছে, তারা ভুলবে না। এটা তাদের জন্য প্রতিকূল ছিল। ২০২৫ এ ভারত ছিল overconfidence. বদলা'র রাজনীতি দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায় এবং একটি সভ্য সমাজের জন্য ক্ষতিকর। বিরোধীদের যুক্তি খন্ডন করতে হবে দেশকে কেন্দ্র করে, ব্যক্তিকে নয়। মতের অমিল হলেই দমন পীড়ন / নগর ভবন অচল করা, কোন কিছুই একটি জাতি বা দেশকে ভাল কিছু বয়ে আনতে পারে না।
০৩ রা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি বলেছেন- "এর পেছনে ইউক্রেনের তীব্র প্রতিরোধ, আন্তর্জাতিক সমর্থন, রাশিয়ার কৌশলগত ভুল এবং সামরিক-লজিস্টিক দুর্বলতাও ছিল।"- একমত।
নগর ভবনের কথা বললেন। কিন্তু ভুলে গিয়েছেন-
★ ১৭৪ দিন হরতাল পালনের কথা।
★ জনতার মঞ্চ করে ৩০ দিন সড়ক অবরোধ করে রাখার কথা।
★ টানা চার মাস শাহাবাগ এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখার কথা।
★ ম্যাডাম জিয়াকে ৯২ দিন বিএনপির চেয়ার পার্সনের অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখার কথা।
★ বালুর ট্রাক দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখার কথা।
★ প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে সিটি করপোরেশন ট্রাকে বর্জ্য ফেলা।
★ প্রধান বিচারপতির বাড়ির সামনে সমাবেশ করে অবরুদ্ধ করে রাখা।
★ প্রধান বিচারপতির চেম্বারের দরজায় লাথি দেওয়ার কথা।
★ প্রধান বিচারপতিকে জোরপূর্বক বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা।
★২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩২ নম্বর সড়ক বন্ধ করে রাখার কথা।
ধন্যবাদ।
৯| ০৩ রা জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনি বলতে পারেন যে, অতীতের কোনো নির্দিষ্ট দলের অন্যায় বা ভুল যদি থেকেও থাকে, তাহলে তা অন্য কোনো দলের জন্য ভবিষ্যতে একই ধরনের ভুল করার বা বদলা নেওয়ার ন্যায্যতা দেয় না। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি উন্নত ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা, যেখানে এমন নেতিবাচক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
যেকোনো রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা, তাদের জীবনকে আরও কঠিন করে তোলা নয়। যে দলই এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকুক না কেন, শেষ পর্যন্ত এর ভুক্তভোগী হয় জনগণ।
একটি পক্ষ অতীতে ভুল করেছে বলে অন্য পক্ষও একই ধরনের ভুল বা আরও গুরুতর ভুল করার ন্যায্যতা খুঁজে নেওয়া উচিত নয়।
আপনি যে ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন, সেগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে, প্রশ্ন হলো, এই ধরনের কর্মকাণ্ডগুলো কি একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য কাম্য?
০৩ রা জুন, ২০২৫ রাত ১০:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি বলছি না- অন্য দল খারাপ করেছে বলে বিএনপিও একই কাজ করবে।
যেকোনো ভালো রাজনৈতিক দল সাধারণত একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শ বা নীতি লক্ষ্য নিয়ে জনকল্যাণমুখী কাজ করে এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকার গঠন করে এবং দেশের মানুষের জন্য ভালো কর্মসূচি তৈরি করা। সেজন্য সবার আগে জনমত গঠন করতে হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে- ক্ষমতা অর্জন, নীতি নির্ধারণ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব,
রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক শিক্ষা, সময়োপযোগী রাজনৈতিক পরিবর্তন, পরস্পরের সাথে রাজনৈতিক আলোচনা বা বিতর্ক, নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে তোলা- ইত্যাদি ইত্যাদি।
কোনো রাজনৈতিক দলই বিতর্ক এবং ভুলের উর্ধ্বে নয়। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বিএনপি নিজেদের পরিশুদ্ধ করতে জনগণের কল্যাণ ও দেশের স্বার্থে ২০২৩ সালে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে ৩১ দফা ঘোষণা দিয়েছে। যেখানে প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহারের সুস্পষ্ট ঘোষণা আছে। যার জন্য বিএনপি টপ টু বটম নেতা কর্মী সমর্থক ২০০৭ সাল থেকে চরম নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েও আওয়ামী লীগের প্রতি প্রতিশোধ মূলক কিছুই করেনি। বরং বিএনপি সমর্থন না পেয়েই এখনো আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে পারেনি।
ধন্যবাদ।
১০| ০৩ রা জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আচ্ছা বিএনপি তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছে না কেন?
নাকি বিএনপি'র একাংশ চায় সে যেন দেশে না ফিরতে পারে?
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আন্দোলন করতে হবে না, যথা সময়ে তিনি ফিরে আসবেন ইন শা আল্লাহ।
১১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন, শত্রুকে নির্মূল না করলে তারা শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসে।
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: এবং সেই শত্রু যদি হয় আওয়ামী হায়েনা এবং ইন্ডিয়া তাহলে তো কথাই নাই।
ধন্যবাদ।
১২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: রাশিয়ার এই ভুলের মাসুল কয়েক যুগ ধরে দিতে হবে।
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: দুই দেশকেই একই পরিনতি ভোগ করতে হবে।
১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩০
আহলান বলেছেন: উক্রেনের জন্য কি বোকামী হলো না। জেলোনেস্কির কি দেশের মানুষের প্রতি কোন মায়া দয়া নাই? কোন নেতা যখন নিজের দেশের মানুষের কথা ভাবে না, ক্ষমতার লোভে থাকে,তখনই রাতের আঁধারে আক্রমনকারী দেশে পালিয়ে যায় .... ঠিক এমনটাই করলো জেলোনেস্কি। দেশের মানুষকে শান্তি দেয়ার বদলে মরণের দিকে ঠেলে দিলো।
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: জেলোনেস্কিকে এই যুদ্ধ করতে বাধ্য করেছে ইংগ-মার্কিন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তিনি এখন চাইলেও যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেনা।
১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
রাসেল বলেছেন: ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তরের জন্য। তবে কি আপনার সমর্থিত দলের প্রতি আমার সমর্থন থাকলে, আমার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতেন না? আমরা নিজের দৃষ্টিতে নিজেই ভালো, অথচ নিজের সম্পর্কে নিজেই সবচেয়ে বেশি জানার কথা। আবারো ধন্যবাদ।
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ রাত ১০:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক কিছু পরিস্থিতি বিবেচনায়.... যখন উস্কানিমূলক মনে হয় তখন কাউকে ছাড়ি না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তার মানে বুঝা গেলো শত্রুর শেষ রাখতে নেই, তাকে শুরুতেই ধরাশায়ী করে ফেলতে হবে। যদিও ব্যক্তিগত ভাবে আমার কোন শত্রু নেই, তবে হেটার'স আছে প্রচুর।