নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমলাপুর টু নারায়ণগঞ্জ - ২ : (ছবি ব্লগ)

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৩

০১। কিছুক্ষণ পরেই হয়তো ছেড়ে যাবে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে


সময়টা ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখ।
উত্তর বাড্ডা থেকে রওনা হয়ে সকাল ১১টার দিকে পৌছাই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। উদ্দেশ্য রেললাইন ধরে হেঁটে হেঁটে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত যাবো

হাঁটা শুরু হবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের শহরতলী প্লাটফর্ম থেকে রেললাইন ধরে। হেঁটে হেঁটে যতদূর সম্ভব ততোদূর যাবো। যখন আর হাঁটতে ইচ্ছে করবে না তখন সেখান থেকে ট্রেন বা বাস ধরে ফিরে আসবো বাড়িতে। পরে আবার কোনো দিন ট্রেনে বা বাসে ফিরে যাবো আগের সেই যায়গায়। আবার শুরু করবো হাঁটা, হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছাবো নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ রেল পথের দূরত্ব প্রায় ২৩ কিলোমিটার। দূরুত্ব আহামরি কিছু না।

আসলে আমার ইচ্ছে এইভাবে হেঁটে হেঁটে কমলাপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত যাওয়া।
ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরার আগে উলটো পথের নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত যাওয়াটা হচ্ছে নিজেকে যাচাই করা। তো সেই উদ্দেশ্যে প্রথম দিন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। তখন সময় সকাল ১১টা ২৪মিনিট, একটি ট্রেন প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে, কিছুক্ষণ পরেই হয়তো ছেড়ে যাবে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে, আমি তার আগেই সেই পথে হঁটা ধরলাম।



০২। স্টেশন থেকে বেরুলেই এই টিটি পাড়া ক্রসিং। এখান এখানে আন্ডার পাস হয়ে গেছে।



০৩। টিটি পাড়া থেকেই শুরু হয়েছে ময়লার ভাগার। এমন ময়লার স্তুপ কিছুদূর পরপরই চোখে পড়েছে



০৪



০৫। এমন ময়লার স্তুপেই খাবার খোঁজে বিড়ালেরা।



০৬। আরেকটা জিনিস রেল লাইনের দুই পাশে খুব চোখে পড়েছে, সেটি হচ্ছে বাজার। কিছু দূর পরপরই বাজার দেখেছি। কিছু কিছু বাজার একেবারে রেল লাইনের উপরেই। ট্রেন আসলে কিছুটা সরে যায়।



০৭। এর বাংলা নাম : পেটারী বা পোটারী
Common name: Indian Mallow, Country Mallow, Abutilon, Indian abutilon
Botanical name: Abutilon indicum




০৮। এর বাংলা নাম : অর্জুন
Common name: Arjun
Botanical name: Terminalia arjuna




০৯। এমন হালকা বাঁক নেয়া রেল পথ দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। তবে এই পথের পরিবেশ ততোটা সুন্দর নয়।



১০।



১১। ব্যস্ত লের পথ!!



১২। এই পথে হাঁটার সময় দেখেছি বাচ্চারা রেল পথে হাঁটছে, খেলছে, বসে আছে। বিপদের ভয় ওদের কাবু করতে পারে না।



১৩।



১৪। এ যেনো চাঁদের হাট!!



১৫।



১৬। কোথাও কোথাও সামান্য সবুজের ছোঁয়া ছিলো তখনো।

১৭।



১৮।

১৯। এমন বিচিত্র ব্রিজও হয়!!
এটা পার হওয়ার সময় খুব সাবধান!!


২০।



২১। কদম রসূল জামে মসজিদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা।

আজকের এই পোস্টে এই ২১টি ছবি রইলো। সকাল ১১টা ২৪ মিনিটে হাঁটা শুরু করে এই পর্যন্ত পৌঁছেছি দুপুর ১২টা ১মিনিটে। দূরুত্ব মাত্র আড়াই কিলোমিটার। বাকি পথের কথা হবে আগামি পোস্টগুলি।

সিরিজের অন্য পোস্টগুলি :
০১। কমলাপুর টু নারায়ণগঞ্জ - ১ : কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন (ছবি ব্লগ)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: রেললাইন দিয়ে হাঁটাহাঁটি করে আরাম পাবেন না। বিরাট দিকদয়ারি। আর কমলাপুর থেকে নারায়নগঞ্জ পর্যন্ত ভয়াবহ নোংরা। বাজে গন্ধ।
আপনি যদি যদি রাঙ্গামাটি থেকে হেঁটে বান্দরবান যান, তাহলে আরাম পাবেন। দুই পাশের দৃশ্য আপনাকে আনন্দ দিবে।

ছবি গুলো দেখলাম।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনার বক্তব্য সত্যি। রেল লাইনে হাঁটা বেশ কষ্টের, হেঁটে আরাম নেই। তবে কিনা আমি আরামের জন্য হাঁটি নাই। বিশেষ উদ্যেশ্যে হেঁটেছি, উদ্দেশ্য পূরন হয়েছে। এই পথটা আসলেই নোংরা।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১০

যারীন তাসনীম আরিশা বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের জন্য।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার ছবি সব সময়ই সুন্দর হয়।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের জন্য।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭

হুমায়রা হারুন বলেছেন: খুব সুন্দর
১৭, ২১ ভীষণ সুন্দর

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের জন্য।

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো পোস্ট। বাসার কাছেই কমলাপুর। একদিন আমিও ঘুরে ঘুরে ছবি তুলবো ইংশাআল্লাহ

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শুভকামনা রইলো।

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৭

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ জলদস্যু, বিড়ালের ছবিটা বেশ ভালো লেগেছে। আর নাদুস-নুদুস দেশি ছাগলটা দেখে একটু হলেও যে লোভ হয়নি - তা না বললে মিথ্যা বলা হবে।

হয়তো অন্য কোথাও বলেছিলাম; বেশ অনেকদিন আগে কোনো এক 'দিকশূন্যপুরে' দেখা পেয়েছিলাম একজন মানুষের। পার্থিক সবকিছু ছেড়ে যিনি পথে নেমেছেন, একটা বোচকা আর লাঠি সম্বল করে। বাংলাদেশী আমরা, সবকিছুতেই খুব জাজমেন্টাল - প্রথম দেখায় বিরক্ত হয়েছিলাম ওনাকে দেখে। আবার এই আমিই, বিদায়বেলায় ওনাকে সকাতর অনুরোধ করেছিলাম; যেন ওনার হাতটা আমার মাথায় একটু রাখেন। শশ্রুমন্ডিত সেই সহৃদয় মুখ - আমি কোনোদিন ভুলবো না।

রাস্তার পাশে এরকম ছোট্ট দোকান, বাজার আর মানুষের ঘরবাড়ি খুব ভালো লাগে। ছবিতে দেখানো ছোট্ট ওই বাজার থেকে কেনাকাটা করে, ওরকম কোনো এক ঘরে কয়েকদিন শুয়ে-বসে কাটিয়ে দিতে পারলে মন্দ হতো না।

আপনার ভ্রমণকাহিনী এবং চমৎকার ছবিগুলি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আহা!! এমন যদি অজানার পথে আসলেই বেরিয়ে পরার সাহস কখনো হতো, মন্দ হতো না। পিছুটান কাটিয়ে উঠা যায় না। কত কিছু অসমাপ্ত রেয়ে গেছে, কত কিছু করা হয়নি এখনো। এইসব এভাবে পরে থাকবে.........

- চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজীকে নিয়ে খুব শ্রীঘই আপনার আস্রমে আসিব।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি উপস্থিত হতে পারি বা না পারি, আশ্রমের দরজা আপনাদের জন্য সর্বদাই উন্মুক্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.