| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিপু দাসদের এতো অবহেলা কেন?
-----------------------------------
ঘটনার ছয় দিন পেরিয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে একটি রাষ্ট্র কী করে তা দিয়েই তার নৈতিক মানচিত্র নির্ধারিত হয়। কিন্তু দীপু দাসকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার মতো বর্বরতার পর রাষ্ট্র যে নীরবতা, গড়িমসি ও লোকদেখানো তৎপরতার পথ বেছে নিয়েছে, তা আমাদের আরও গভীর লজ্জায় ডুবিয়েছে।
যখন এই নৃশংসতা সারা দেশের মানুষকে স্তব্ধ করে দিয়েছে, যখন ক্ষোভ ধীরে ধীরে আগুনে রূপ নিচ্ছে, তখন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাকে পাঠানো হলো দীপু দাসের বাড়িতে। প্রশ্ন হলো ছয় দিন ধরে রাষ্ট্র কোথায় ছিল? একজন মানুষের জীবনের মূল্য কি এতটাই তুচ্ছ যে প্রতিক্রিয়া জানাতে রাষ্ট্রের ছয় দিন সময় লাগে?
দীপু দাস কোনো ক্ষমতাবান ছিলেন না। তিনি মন্ত্রী নন, এমপি নন, কোনো দলের নেতা নন। তিনি একজন সাধারণ মানুষ একজন শ্রমজীবী, স্বল্প আয়ের চাকুরে, মা–বাবা–স্ত্রী–সন্তান নিয়ে শান্তভাবে বেঁচে থাকা একজন নাগরিক। তার কোনো শত্রু ছিল না, কারো বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়াননি, ক্ষমতার ভাগ চাননি। তাহলে তাকে কেন মরতে হলো?
এই প্রশ্নের উত্তর যতটা নির্মম, ততটাই স্পষ্ট তিনি সংখ্যালঘু ছিলেন। তার ধর্মীয় পরিচয় ছিল ভিন্ন। এই একটিমাত্র ‘অপরাধে’ তাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখানে অন্য কোনো ব্যাখ্যা নেই, কোনো ধূসরতা নেই, কোনো “কিন্তু” নেই। এটি সরাসরি ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত হত্যা।
একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমরা এখনো প্রশ্ন করছি ধর্ম ভিন্ন হলে মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা যাবে কি না! সারা পৃথিবী যেখানে ধর্মকে ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা ধর্মকে হত্যার অস্ত্র বানাচ্ছি, দেশছাড়ার কারণ বানাচ্ছি। এ কোন সভ্যতা? এ কোন রাষ্ট্রচিন্তা?
দীপু দাসের মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি রাষ্ট্রের ব্যর্থতার নগ্ন দলিল। এটি সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার আর্তনাদ। আজ একজন হিন্দু পুড়ছে, কাল একজন মুসলিম, পরশু একজন বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান এই সহিংসতার চক্র থামবে কোথায়?
রাষ্ট্র যদি এখনো না বোঝে যে ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান না নিলে বাংলাদেশ একটি ভয়ংকর অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাবে, তাহলে ভবিষ্যৎ ক্ষমা করবে না। ইতিহাস কখনোই নীরব দর্শকদের ক্ষমা করে না।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই ধর্মের নামে মানুষ হত্যা কোনোভাবেই রাজনৈতিক, সামাজিক বা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। দীপু দাসের হত্যার বিচার শুধু একজন মানুষের জন্য নয়, এটি রাষ্ট্রের আত্মার জন্য প্রয়োজন। এই বর্বরতার দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে, রাষ্ট্র নিজেই অভিযুক্তের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে।
প্রশ্ন একটাই আর কত দীপু দাস মরলে আমরা মানুষ হিসেবে জেগে উঠব?
- সালাউদ্দিন রাব্বী
সংখ্যালঘু বাচাও আন্দোলন।
১২৭ মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা।
ঢাকা ১০০০ বাংলাদেশ।
২|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯
নতুন বলেছেন: একটা মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলে রাস্তায় ঝুলিয়ে আগুন দিয়ে পোড়ানো আমাদের সমাজের ভয়ংকর একটা সমস্যার লক্ষন।
একটা সমাজে মানুষের মনে কতটা মানবিকতার অভাব হলে এটা হতে পারে!!!
একজন জ্ঞানী প্রজ্ঞাবান মানুষ অকারনে একটা পিপড়া মারতেও দ্বীধা বোধ করবে। সেখানে মানুষ ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করছে আর কিছু মানুষ ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছে!
এই ভিডিওর খবরে মানুষ আলহামদুল্লাহ বলছে!!!!!
আর দেশের আলেম বা ধর্মীয় নেতারা এই ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ করছেনা। মৌনতা সম্মতির লক্ষন।
৩|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সরকার তো এবার তাও কিছু কাজ দেখিয়েছে। রবি দাসের বেলায় মিলিটারি আর মুসলিম সমাজ মিলে যে আকাম করেছে কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখলাম না ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: এভাবে পিটিয়ে মানুষ মারা জঘন্য রকম অন্যায় ও পাপ, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি চাই, যাতে অন্য কেউ আর এসব করতে না পারে