নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৫১



আমাদের সময়ে বাংলা ২য় পত্র অর্থাৎ বাংলা ব্যাকরণে বেশ কিছু ভাব সম্প্রসারণ ছিলো যা সম্ভবত ছাত্র ছাত্রী, কর্মজীবী, ব্যবসায়ী এবং সমাজ সংসার পরিবেশ দেশ সহ সমগ্র বিশ্বের জন্য আজও কার্যকরী। এই ভাব সম্প্রসারণের মাঝে অন্যতম একটি ছিলো “অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী”। আমার সঠিক জানা নেই বর্তমান প্রজন্মের জন্য বাংলা পাঠ্য বইয়ে এই ভাব সম্প্রসারণ গুলো এখনও আছে নাকি নেই।

ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয় অল্পবিদ্যা থাকাটাও হয়তো তেমন সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে অল্পবিদ্যা নিয়ে সমাজের মানুষকে বেশি বেশি বুঝতে চাওয়া, সমাজ সংসার বেশি বেশি বুঝতে চাওয়া। পরিবেশ দেশকে বেশি বেশি বুঝতে চাওয়া। ধর্ম ও রাজনীতি বেশি বেশি বুঝতে চাওয়া। সৃষ্টি রহস্য বেশি বেশি বুঝতে চাওয়া - এবং বোঝাতে চাওয়া। অর্থাৎ সবকিছুতেই অতিরিক্ত অতিরিক্ত বুঝতে চাওয়া ও বোঝাতে চাওয়া। যারপরনােই অতিরিক্ত পেঁকে গেলে তার পরের ধাপ পঁচে যেতে হয়।

নতুন প্রজন্মের অনেক ছেলে মেয়েকে দেখেছি খুব অল্প বয়সে প্রেম ভালোবাসা সহ নারী পুরুষের সকল প্রকার সম্পর্ক এরা ঠোটস্থ, মুখস্থ করে বসে আসে আছে। এমনকি বাস্তব অভিজ্ঞতাও অর্জন করে নিয়েছে। যার কারণে, তাদের জন্য যে কি অপেক্ষা করছে একমাত্র ভবিষ্যতই জানে!

পরিশিষ্ট: অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী তথা অল্প বয়সে অল্প বিদ্যা ও অল্প জ্ঞান নিয়ে বেশি বেশি বুঝতে চাওয়া এবং বেশি বেশি বোঝাতে চাওয়া বিপজ্জনক। নিজের জন্য, সমাজ সংসারের জন্য এবং দেশের জন্যও।







মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বেশি বুঝতে চাওয়া এবং বেশি বোঝাতে যাওয়া এটা প্রকট সমস্যা। তাই হয়তো এই ভাব সম্প্রসারণের উদ্ভব হয়েছিল।

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



লেখাটি নতুন প্রজন্মদের নিয়ে। যাদের জীবন এখনও শুরু হয়নি কিন্তু বেশি বেশি বুঝতে চাইছেন, বেশি বেশি বোঝাতে চাইছেন কিন্ত কাজ কারবারের সময় জিরো।


২| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপাতত ব্যস্ত আছি। পরে এসে মন্তব্য করবো।

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ব্যস্ত থাকুন। ব্যস্ততাই মানুষের জীবন।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়লাম বাট আপনার লেখার সাথে একমত হতে পারলাম না। কেন পারলাম না সেটা লিখলে সবাই বলবে ইচড়ে পাকা ।

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



যথার্থ বলেছেন, সঠিক বলেছেন।


৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমার মতে, নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান দেওয়ার চাইতে নিজের প্রজন্মের দোষগুণ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও আলোচনা করা ভালো। কেননা, রবীন্দ্রনাথ যাকে "ওই যে প্রবীণ, ওই যে পরম পাকা/ চক্ষুকর্ণ দুইটি ডানায় ঢাকা/ ঝিমায় যেন চিত্রপটে আঁকা" বলেছেন সেই মানসিকতা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে বোঝা সহজ নয়!

আপনাদের প্রজন্মের লোকেরা কতটা নির্বোধ হতে পারে, তার ছোট্ট একটি উদাহরণ দিই। ব্লগার সৈয়দ কুতুব চাঁদগাজীকে প্রশ্ন করেছিলেন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং বদরুদ্দীন উমর সম্পর্কে তাঁর কী ধারণা। এই দুইজন প্রখ্যাত বাঙালির লেখা একটি বইও চাঁদগাজী পড়েননি। অথচ সৈয়দ কুতুবকে উত্তর দিয়েছেন, "দুজনই গার্বেজ"। বাংলা ব্লগের ইতিহাসে চাঁদগাজীর মতো এত বড় নির্বোধ আর একটিও আসেনি, আর আসবেও না!

তাই মনে হয়, নতুন প্রজন্মকে বোকা বোকা জ্ঞান না দিয়ে, নিজের প্রজন্মের নিরবুদ্ধিতা নিয়ে বিলাপ করাটা শ্রেয়!

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং বদরুদ্দীন উমর সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আমি উনাদের চিনি না, উনাদের কোনো বই বা কোনো লেখা কখনও পড়েছি বলে মনে পড়ে না। তাই যাদের চিনি না, জানি না, তাদের সম্পর্কে মতামত দেওয়া যায় না।


৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অল্প বিদ্যা ভয়ংকর বিষয়ে অতি মুল্যবান কথা বলেছেন
কামনি করি কথবটি যেন যতার্থবান সকলে মেনে চলেন।

অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী কথাটা বেশ শক্তিশালী
আমিউ যে পরি সে দলে তাই বা কি করে ভুলি ।

তবে অল্প বিদ্যার দলভারী গনতান্ত্রিক নিয়ম বিধিতে কয়
সব কিছু ছাপিয়ে অল্প বিদ্যাকেই দিতে হয় সহজ জয়।

যুগ যুগ ধরে বাংলা ২য় পত্রের বাক বিধি যে কথা কয়
অল্প বিদ্যায় তার ভাব সম্প্রসারন করা সহজ কর্ম নয় ।

সামান্য জ্ঞানের দম্ভ যদি হয়, অহংকারে মানুষ পথ যায় ভুলে
আলোকের বদলে জ্বলে বিভ্রান্তি নিজের ভুলে ডাকে সর্বনাশান্তি।

রোগীর গায়ে ওষুধ ভুল দিলে জীবনটা তার মুছে যায় অকালে
আইনের অল্প জানা মানুষ যদি বিচারের আসনে বসে কুট চালে
ন্যায় নয়, বরং অন্যায় জাগে, সমাজ ভেঙে পড়ে ক্ষতির জালে।

ধর্মের পথে অল্প বিদ্যার আলো যদি জ্বলে অহংকারে বিপথে চলে
মানুষে মানুষে বাধে বিবাদ, শান্তির পৃথিবী ভরে যায় বিষানলে।

অল্প জ্ঞান যেন অর্ধেক শিখা ,জ্বলে পুড়িয়ে অন্ধকার দেখায়
পূর্ণ বিদ্যার দীপ্তি দেয় শান্তি বিনয়ে গড়ে মহিমান্বিত গাঁথি।

তাই শিখো ধীরে, করো না গর্ব অল্প বিদ্যা রাখে ভয়ঙ্কর রূপ
সত্যিকারের জ্ঞানী জানে অন্তরে ,জ্ঞান অসীম থাকে বিনয়ে ভরে।

তাইতো দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের মত অল্প বিদ্যাধরীদেরকে
বিদ্যা আর জ্ঞানের আলোতে কথা বলা ও লিখার জন্য দেন তাওফিক।

বিধাতা মোদেরকে কান দিয়েছেন দুটি, চোখ দুটি, আর মুখ দিয়েছেন একটি
তাই দেখব বেশী, শুনব বেশী, তবে মেপে বলব কথা ঠিক তার অর্ধেকটি।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভাই সাহেব,
সালাম নিবেন। ঈশ্বর আমাদের দুইটি চোখ দিয়েছেন, কান দিয়েছেন দুইটি কিন্তু মুখ দিয়েছেন একটি। যাতে দেখি শুনি এবং বলি কম। আপনি সময়ের সাক্ষী একজন মানুষ। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।


৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২২

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা যারা দুই কলম লেখাপড়া জানি তারা প্রায় সবাই নিজেকেই বড় বিদ্যান ভাবি।তাদের মধ্যে আমি এক নম্বর।আমি পড়েছি অনেক বুঝিনাই কিছুই।
আশি পেরিয়ে গেছি আর বুঝার সময় নাই।মস্তিস্কের নিউরন অনেক দুর্বল।এখন আর বিশ্লেষণ করতে পারি না।

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



স্কুল কলেজে পড়ালেখা করলেই মানুষ শিক্ষিত এই কথা আমার বিশ্বাস হয় না। আমি বহু বহু মানুষ দেখেছি যারা নিজের নামও সই করতে জানতেন না। কিন্ত তাঁদের কে আমার কাছে উচ্চশিক্ষিত মনে হয়েছে।

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:০৮

জনারণ্যে একজন বলেছেন: শ্রাবণধারা বলেছেন:......আপনাদের প্রজন্মের লোকেরা কতটা নির্বোধ হতে পারে, তার ছোট্ট একটি উদাহরণ দিই....

@ শ্রাবণধারা, আপনার করা উপরোক্ত মন্তব্য থেকে বলা যায় - "সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী" এবং "বদরুদ্দীন উমর' দুজনেই নির্বোধ। যেহেতু ওনারাও আপনার উল্লেখ্য সেই "আপনাদের প্রজন্মের লোক"। তো নির্বোধদের বই পড়ে কেন সময় নষ্ট করা বলেন?

আচ্ছা, আপনি কি পোস্ট রিলেটেড গুগল করে তারপর মন্তব্য করেন? আমার জাস্ট সন্দেহ হয় আর কি। মুনতাসিরের পোস্টে আপনার করা এক অতি-নির্বোধ টাইপের এক মন্তব্য এখনো ভুলিনি। তবে আমার ধারণা ভুল'ও হতে পারে।

আর ও হ্যাঁ, ভুলে যাবেন না; আপনার-আমার-আমাদের অনেকেরই পিতা-মাতা ওই প্রজন্মেরই মানুষ।

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:০৮

জনারণ্যে একজন বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নতুন প্রজন্মের অনেক ছেলে মেয়েকে দেখেছি খুব অল্প বয়সে প্রেম ভালোবাসা সহ নারী পুরুষের সকল প্রকার সম্পর্ক এরা ঠোটস্থ, মুখস্থ করে বসে আসে আছে। এমনকি বাস্তব অভিজ্ঞতাও অর্জন করে নিয়েছে। যার কারণে, তাদের জন্য যে কি অপেক্ষা করছে একমাত্র ভবিষ্যতই জানে!

- সেই পুরোনো এক প্রবাদ মনে পড়লো। সব মাছে 'ইয়ে' খায়, আর দোষ পড়ে ঘাউড়া মাছের।

আগের আমলে যাইতো পাটক্ষেতে কিংবা ধইঞ্চাক্ষেতে, খড়ের গাদায়, খাল-বিল-যদি-নালা-মাঠ-ঘাটের চিপাচাপায়। তারপর হইলো লিটনের ফ্লাট তারপর আরো কত কি! হোটেল-ফোটেল-রিসোর্ট। হাল আমলে ভার্চুয়াল লাইফই যথেষ্ট।

আর যত দোষ হইলো নতুন প্রজন্মের। 'আঙ্গুর ফল টক' - এই আর কি।

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি সঠিক বলেছেন। আমাদের সময়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি তা বলা যাবে না। তবে এই ধরনের ঘটনা বেশি বেশি শুরু ১৯৮০ সনের পর থেকে যখন পত্রমিতালী শুরু হয়। চিঠি আদান প্রদান শুরু হয়। ৮০ এর দশকের জেনারেশন থেকে। ডাস্টবিনে নালা নর্দমায় মরা বাচ্চা পাওয়া যেতো। ডাস্টবিনে বাচ্চা মেরে ফেলে রাখার মতো অপরাধ করে রেখেছে গ্রাম বাংলার সহজ সরল মানুষ!

ক্ষেত নালা ডোবা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের অপরাধ আগেও ছিলো এখনও আছে। তবে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার কারণে পরিচিত অপরিচিত মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে কথা বলা যাচ্ছে, বুঝতে পারছে বোঝাতে পারছে। বুঝতে বুঝতে ‍ও বোঝাতে বোঝাতে অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে।

বেশি বেশি বুঝতে বুঝতে আর বেশি বেশি বোঝাতে বোঝাতে নতুন নতুন সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে! এই সব সম্পর্কের নতুন নতুন নামও জানা যাচ্ছে।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: সব প্রজন্মেই এসব রয়েছে। আপনার প্রজন্মে যেমন আছে আমাদের প্রজন্মে যেমন আছে নতুন প্রজন্মেও আছে। আপনি নতুন প্রজন্মের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করলেন, আপনার প্রজন্মে এসব হয় নি?

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার কথা আমি ১০০ ভাগ সমর্থন করছি। নষ্ট সব যুগেই ছিলো। আমাদের সময়েও নষ্ট ছিলো। রাজাকার ছিলো, আল বদর ছিলো। চরিত্রহীন ছিলো। তবে আমাদের সময়ে পোস্ট অফিস ছিলো ৫ মাইল দূরে, সেইখানে গিয়ে চিঠি পত্র আদান প্রদান করা কঠিন ছিলো। আমাদের দেশের মানুষের নৈতিক চরিত্র খুব সম্ভব অধঃপতন শুরু হয় ১৯৮০ এর পর থেকে। কারণ, এই সবের শুরু চিঠি পত্র চালাচালি আর পত্রমিতালী থেকে।

আপনি গল্প উপন্যাস লিখেন, নিশ্চয় সমাজ সংসার পরিবেশ থেকেই প্লট নির্বাচন করেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও উন্নত হওয়ার সাথে সাথে কি মানুষের নৈতিক চরিত্র উন্নত হয়েছে নাকি অধঃপতন হয়েছে? সম্ভব হলে জানাবেন।

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: @ জনারণ্যে একজন "সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী" এবং "বদরুদ্দীন উমর" চাঁদগাজীদের প্রজন্ম নয়, তাদের শিক্ষকদের প্রজন্ম। চৌধুরী এবং উমর দুজনেরই বয়স ৯০ প্লাস। চাঁদগাজী এবং ঠাকুরমাহমুদ ৭০ প্লাস। এই কথাটা কিন্তু আমি কোনো প্রকার গুগল না করেই বলছি।

এখন আপনাকে বরং আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলি। চাঁদগাজীদের প্রজন্মটা কেন এতটা অপদার্থ (এটার মানে অবশ্যই এটা নয় যে তাদের সকলে অপদার্থ । এবং অবশ্যই তারা আমাদের পিতার বয়সী, এবং শ্রদ্ধেয়), এর একটা ব্যাখ্যা আমার কাছে আছে। আমার মনে হয় সদ্য স্বাধীনতা-উত্তর তরুণ প্রজন্ম হিসেবে তাদের বহু শিক্ষককে রাজাকার-আলবদরেরা মেরে ফেলেছিলেন। অনেক শিক্ষক যারা হিন্দু ছিলেন তারা দেশ থেকে চলে গিয়েছিলেন। আর একারণে তাদের শিক্ষা-দীক্ষায় একটা বড় গ্যাপ রয়ে গেছে।

কিন্তু তাদের এই অল্প জানা নিয়ে অধিক বাগাড়ম্বর আমি হয়তো নীরবে এড়িয়ে যেতাম, কিন্তু অনেক সময় এই ধরনের বাগাড়ম্বর কিছু বিপদেরও কারণ হয়। যেমন ধরুন তিনি আমাকে একটা পোস্টে বলেছেন: "ইয়াহুদ বারাক চেয়েছিলো ২০০০ সালে ভুমি ফেরত দিতে; আরাফাত আপনার মতো মৌলবাদী ব্রাদারহুড ও জংগী হামাসের ভয়ে হোয়াইট হাউসে ২ দেশের কাগজে সাইন করেনি।" হায়, তিনি জানেনই না, যে কী ধরনের অন্যায্য চুক্তি ইসরাইলিরা সেসময় আরাফাতকে সাইন করতে বলেছিলেন!

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: মানুষের চরিত্রের অধঃপতন যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজ ও উন্নত হওয়াকে দেওয়া ঠিক? আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইট আবিস্কার করেছিল সহজে যাতে শক্ত পাহাড় সহজে উড়িয়ে পথ তৈরি করা যায়, অথচ দেখেন তার আবিস্কার দিয়ে আমরা মানুষ মেরে একাকার করে ফেলছি। এখন দোষ কি ডিনামইটের? দোষ মানুষের।
আগের প্রজন্মের সময়ে সুযোগ কম ছিল বলে এই অকাজ কম হয়েছে। নতুনদের হাতে সুযোগ বেশি আছে বলে বেশি হচ্ছে। আগের প্রজন্মের কাছে সুযোগ থাকলে তারাও ঠিক এই কাজই করত! এবং করতোই। কেউ কারো থেকে কম দোষী নয়। তাই একে অন্যের দিকে আঙুল না তোলাই ভাল।

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



চিঠি পত্র এক সময় খুব সহজলভ্য হয়ে উঠে, পাশাপাশি ম্যগাজিনে চলে আসে শত সহস্র মানুষের চিঠি লেখার ঠিকানা! তারপর ইমেইল, তারপর ফেসবুক, ব্লগ, ইউটিউব সহ নানান চ্যাটিং আ্যপ। ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে এই কথা অনস্বীকার্য যে উন্নত ব্যবস্থা কে কিভাবে ব্যবহার করবেন কে কিভাবে বেছে নিবেন তার উপর নির্ভ র করছে। দোষ উন্নত ব্যবস্থার নয় দোষ মানুষের। আমি মানুষের কথাই বলেছি।

আমি টিভিতে ইউটিউবে লাইভ নিউজ দেখি। আপনি লক্ষ্য করেছেন কিনা জানা নেই লাইভ নিউজের কমেন্ট বক্সে শত সহস্র মানুষ চ্যাটিং করছে! - এরা কারা?

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: অপু তানভিরের মন্তব্যের সাথে আমি একমত। সব প্রজন্মের বদগুনের মধ্যেও দারুন একটা স্বকীয়তা ও সৌন্দর্য আছে- যেটা গত প্রজন্মের কিংবা প্রবীনদের ধরতে সমস্যা হয়। খারাপের পাশাপাশী ভাল জিনিসগুলোও দেখুন না

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার সাথে কিন্তু আমার লেখালেখি বেশ ভালো সময় অতিবাহিত হয়েছে। আমি কি আপনাকে একটি শক্ত উত্তর দিবো? অনুমতি চাচ্ছি! উক্ত মন্তব্য প্রতিমন্তব্য শুধু আপনার আর আমার। অন্য কেউ আপনার আমার কথায় আর্গুমেন্ট করবেন না। কি মনে হয়?


১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এ যুগে আপনি কাউকে হিতোপদেশ দিতে পারবেন না। আপনার ছেলের বয়সী একজনকে উপদেশ দেবেন, সে আপনাকে বাপ-মা তুলে গাল দেবে। আপনাকে ব্যাকডেটেড বলবে।

২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



গালাগাল হয়তো করবেন না। তবে ১টি উপদেশের বিনিময়ে ১০টি উপদেশ ও জ্ঞানবাক্য শুনিয়ে দিবেন।


১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

অল্পবিদ্যার লোকজন আপনার সামনে পড়লে কি করেন?

২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ব্লগে লিখেছি। লেখার বিষয় মনে করে। রাজনৈতিক লেখা থেকে দূরে থাকতে চাইছি। অল্পবিদ্যার মানুষকে ইগনোর উপেক্ষা করি, দূরে থাকি।

২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সময় ও সুযোগ হলে এক সময় লিখবো। সময় বলতে সব সময় ঘড়ির সময় না, পারিপার্শিক পরিবেশ পরিস্থিতি যদি মিনিমাম অনুকূলে থাকে। - একেই সময় ও সুযোগ বলি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.