![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবেগী,মনভোলা আমার লেখার কোন অংশ কপি/কাট/পেস্ট করে কোন ব্লগ বা অন্য কোন মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেননা।ধন্যবাদ।। আমাকে মেইল করতে পারেন[email protected]
মা বাবা পৃথিবীতে বোধহয় সবচেয়ে আপনজন। এরচেয়ে আপন কেউ কখনো হয়নি, হতে পারেনা।
কতই না অবহেলা করি বাবা , মা কে। রাগ করে ফোনটা ঠাস করে রেখে দেই। কিন্তু তাঁরা সব ভূলে যান এক মূহুর্তে। সারাক্ষন চিন্তা করেন আমরা তাঁদের সন্তানরা কেমন আছি, কি করছি।
মা বাবার মধ্যে কে বেশী প্রিয় ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে যাওয়াটা স্বার্থপরতা হয়ে যাবে। কিন্তু মেয়েরা নাকি বাবার বেশী প্রিয় হয়, আর বাবারাও নাকি মেয়েদের কাছে বেশী আদর পায়!
জানিনা শোনা কথাটা কতটুকু যুক্তিনির্ভর।
কিন্তু আমার ক্ষেত্রে বোধহয় কথাটা একেবারে ভূল না।
আমার জন্মের অনেক আগে থেকেই আব্বু নাকি বলতো যে আমার মেয়েই হবে, কিন্তু আম্মু বলতো ছেলে হবে।
আব্বু বলতো না না ছেলে বাচ্চাদের চঞ্চলতা আমার একটুও ভালো লাগেনা। সারাক্ষন ছেলেরা খুব শোরগোল করে এরচেয়ে মেয়েই ভালো,মেয়েরা অনেক শান্ত শিষ্ট।
আসলে আমার আব্বু এতটা শান্ত একজন মানুষ, সবকিছুতে খোঁজেন প্রশান্তি আর নীরবতা।
ছোট থাকতে দেখতাম টিভির সাউন্ড একটু জোরে দিলেই খুব রাগ করতেন আব্বু।
যাইহোক আব্বুর কথা মেনে নিয়েই বোধহয় আমার জন্ম হলো।
৩ জুলাই রাত ১১.৪০ মিনিটে আমার জন্ম।এতো রাতে ঐসময় রাজশাহীতে সব মিষ্টির দোকানই প্রায় খালি। মিঠুমামা খুঁজে নিয়ে আসলো কালো জাম।
আমার আম্মু বেশ কালো, আব্বু মিষ্টি দেখে বললো কালো জাম নিয়ে আসছো! মেয়ে বোধহয় কালো হয়ে গেলো!
আম্মুর কাছে শোনা আব্বু নাকি আমি ছোট থাকতে আমাকে কোলে নিয়েই চেম্বারে কাজ করতো।
এখন ভাবতে খুব অবাক লাগে এই ব্যস্ত মানুষটা যে কিনা ছুটির দিনেও সন্ধ্যার আগে গোসল করার টাইম পায়না সে কি সত্যি আমাকে কোলে নিয়ে কাজ করতো!!
ছোট থাকতে আব্বু দেখতাম এমনি এমনি বাজারে নিয়ে যেতো আর একটা করে খেলনা কিনে দিতো। অথচ আমি কখনোই খেলনা চাইতাম না।
ঈদের সময় আমার একটা ভালো জামা কিনতে হবে এই নিয়ে আব্বুর থাকতো একটা বিশেষ চিন্তা!
না বলে কয়েই একটা করে জিনিস বাসায় এনে হাজির করতো, তার মধ্যে আছে মুনিয়া পাখিগুলোও
আব্বু আমাকে কখনো বকেছে মনে পড়েনা। আম্মু ছিল যেমনই রাগী আব্বু ততটাই ঠান্ডা।
পড়াশোনা,খেলা কোনকিছুর জন্যই আব্বু কোনদিন বকেনি আসলে। আর আমিও ছোট থাকতে খুবই শান্ত ছিলাম।
তখন নওগাঁতে বিশাল বিশাল মিঠা পানির নানারকম মাছ পাওয়া যেত। প্রায়ই বিশাল একটা বোয়াল বা কাতলা বা আইড় বা চিতল মাছ এনে দেখতে ডাকতো। ছোট থাকতে এই ব্যাপারটা খুব এনজয় করতাম।
ছোট থাকতে আমার প্রায়ই খুব অসুখ হতো, হঠাৎ ই হয়তো জ্বরে পড়ে গেছি।৪ বছর বয়সে টাইফয়েড হয়েছিলো, কোনভাবেই ভালো হচ্ছিলনা। নওগাঁতে প্রপার ট্রিটমেন্ট হচ্ছিলো না।
আমাকে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হলো, সেখানেও খুব একটা ভালো ছিলাম না। সেটা ১৯৯১ এর দিকে। কিছুই খেতে পারতাম না, যা খেতাম বমি করে দিতাম। পেটে খাবার একমুহূর্ত রাখতে পারতাম না। আব্বু রোজই দুইতিন বার ফোন করে খোঁজ নিতো আমি কেমন আছি। একদিন ফোনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে আম্মুর কাছে।
আমিতো তখন এতো বুঝতাম না। পরে আব্বু যখন ফোন করে তখন আমি বলি আব্বু তুমি এতো বোকা কেনো?
আমারতো অসুখ ভালো হয়ে গেছে!!
মনে পড়ে শীতকালে লেপমুড়ি দেয়া নিয়ে একটা খেলা খেলতাম আব্বুর সাথে।
স্কুলে একটা দুষ্টু ছেলে ছিলো, সবাইকে ধরে মারতো। একদিন আমাকেও ধরে মারলো।
আম্মু বললো ছেলেটাকে আচ্ছা শিক্ষা দিতে হবে। আব্বু বললো থাক আমি ই বলে আসবো।
আব্বু ছেলেটার মাথায় হাত দিয়ে বলে আসলো আর এইরকম করোনা বাবা আচ্ছা?
আবারও ছেলেটা আমাকে মারলো, আম্মু বললো আগেই বলছিলাম আমি ছাড়া কাজ হবেনা!!
আম্মু এমন কড়া কথা শুনিয়ে আসলো যে ছেলেটা আর আমাকে মারার সাহস পায়নি।
আব্বু আসলে এইরকমি কাউকে কিছু বলতে পারেনা।
আব্বু আর আম্মু দুইজন উত্তর মেরু আর দক্ষিন মেরু।
কিন্তু আব্বু সবকিছুই তার শান্ত কোমল স্বভাব দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে নেয়।
ভাড়া একটা ছোট্ট বাসা থেকে আজকের বিশাল আর অনেক সুন্দর বাসাটা আব্বুর দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। কোনদিন জমিজমা, সম্পত্তির উপর আব্বুর লোভ ছিলনা। কিন্তু আমরা যখন প্রায় বলি এটা থাকলে ভালো হতো ওটা থাকলে ভালো হতো তখন যেনো আব্বু ছোটে টাকার পেছনে। নিজের প্রতি চাওয়া নেই কোন খালি তার মাথায় যেন ঘুরে আমার দুই মেয়ের জন্য অনেক কিছু লাগবে অনেক কিছু!!
এমনকি আমি অবাক হই এত ব্যস্ততার মাঝে এটা কখন ভাবলো যে মেয়ের বিয়ে দিলে রুপার টিফিন ক্যারিয়ারে করে খাবার দিয়ে আসতে হবে মেয়ের বাড়িতে?
একদিন সত্যি খুব রাগ করে আম্মুকে বললাম তোমরা কি ভাবো যে মেয়ের এমন এক ফকিরের সাথে বিয়ে হবে যার বাড়িতে খাবার থাকবেনা?
তাই তোমাদের খাবারও দিয়ে আসতে হবে?
আমি কিন্তু খাবার দিয়ে গেলে সত্যি ওটা আবার ফেরত দিয়ে দিবো!!!
আস্তে আস্তে আমি বড় হলাম, ভার্সিটি কোচিং করতে সর্বপ্রথম বাসার বাইরে এলাম। আব্বু সবসময় ফোন করে বলতো পড়ো, ঘুড়ে বেড়িও না, টাকাপয়সার কোন সমস্যা নাই।
যতবার ফোন করতো ততবার টাকার কথা বলতো।
এখনো যতবার ফোন করে ততবার দুইটা কথা জিগ্গেস করতে কখনো ভোলে না, এক কোন সমস্যা নাইতো?
দুই, টাকা আছে?
আমি বলি, তুমিতো জানোই আমার এটিএম এ অলটাইম কয়েকহাজার টাকা জমা থাকে। তাহলে যতবার ফোন করে ততবার টাকার কথা কেন যে বলে!!
প্রায়ই বিভিন্ন চাকরির ইন্টারভিউ দেই।কয়েকদিন আগে এক জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে যাবো তখন আব্বু ঢাকায়। আমি পৌছার আগেই আব্বু সেখানে পৌছে গেছে।
আমার চাকরি , আমার কেরিয়ার নিয়ে ভাবতে ভাবতে আব্বু ইদানিং অনেক নার্ভাস।
ইন্টারভিউ শেষে যখন বের হই, আবার দেখি পকেট থেকে কয়েক হাজার টাকা বের করে আমাকে দিচ্ছে।
বলো কেন তুমি আমাকে টাকা দিচ্ছো?
কেনো!!
আমার কাছে টাকা আছে।
আব্বুর এক বন্ধু বলে তোমার আর তোমার বাপের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তোমার বাপ তার বাপের কাছে টাকা চেয়ে নিয়েছে আর তোমার চাইতে হয়না!
আব্বু তখন বলে টাকা কেনো দিচ্ছি!! সেটাতো বুঝবেনা!!
ইদানিং দেখি আব্বু প্রায় প্রায় বলতে থাকে আমার ছোট মেয়েটা এবার আর্টস থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে।
বলো কতো মানুষই তো এখন পাচ্ছে, এতো না বললে হয়না?
সেটাও হয়তো আমরা বুঝবোনা উনি কেনো নিজের মেয়ের সাফল্য এতটা বলেন!
আব্বুর কাছে চেয়ে পাইনি এমন জিনিসের নাম আমি মনে করতে পারিনা।
চাকরিপ্রার্থী আমি আর আমার জন্য পেপারে আদ্যপান্ত পড়ে নিয়ে যেকোন সার্কুলার নিয়ে আব্বু তীরের গতিতে আমাকে জানিয়ে দেয়!
এমনকি মানা করা সত্তেও সিভি পাঠানোর ঠিকানা টা পর্যন্ত মেসেজে জানিয়ে দেয়।
যেমন করে অসুখ হলে ঔষধ খাবার সময়টা মনে করে দেয়।
আমি বিজি থাকলে দেয় এসএমএস।
আমার ঔষধ আমারই খাওয়ার কথা মনে থাকেনা।
এমনকি আম্মু দিনে / দুইদিনে একবার ঔষধের কথা বললেও আব্বু এত ভয়ঙ্কর ব্যস্ততার ফাঁকে ঠিকই মনে করিয়ে দেয় নির্দিষ্ট সময়ে।
আমি হয়তো আমার ২৫ বছরের জীবনের আব্বুকে নিয়ে ৯৯ ভাগ কথাই এখানে বলতে পারিনি কিন্তু তারপরো এই লেখাটা লিখতে গিয়ে কয়েকবার চোখ মুছে ফেলেছি।
কেনো?
সব মেয়ের বাবারা আর বাবার আদরের মেয়েরা জানেন ঠিকনা?
উৎসর্গ
সব আব্বুকে
২| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১৬
আলুমিয়া বলেছেন: একটু দেরিতে হলেও হ্যাপি বার্থডে।
আর আসলে কি বাবা মায়ের ভালবাসা বোঝা যায় না নিজে বাবা মা না হলে। এখন বাবা হয়ে বুঝি আামার বাচ্চাদের মুখ, ওদের ছোয়া, ওদের শব্দ, ওদের দুষ্টুমি, ওদের সবকিছুই কেমন করে আমাকে পাগল করে রাখে। এখন আর নিজের বাবা মায়ের সাথে এত বেয়াদবি করি না।
১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪৬
শামীম আরা সনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
জি। আমরা হয়তো তাঁদের আত্মত্যাগ বুঝিইনা কখনো
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:২৮
চানাচুর বলেছেন: হুমমম
১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪৬
শামীম আরা সনি বলেছেন: হুমমম!
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০৪
sushama বলেছেন: -উৎসর্গ -সব আব্বুকে
অনেক ভাল লেগেছে, বাবা মা কে নিয়ে সব লেখা গুলাই মনে হয় একেকটা মাস্টার পিস
১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪৭
শামীম আরা সনি বলেছেন: ভালো বলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ
৫| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১০
আরমিন বলেছেন: যাক ছবি যে দিতে পেরেছেন, সেটাই বড় কথা!
বাবা মা-র ব্যাপারে আমি একটু বেশী স্পর্শকাতর! মা কে নিয়েতো ব্লগে লিখৈছি, কিন্তু বাবাকে নিয়ে এখনও লিখি নি, কারন সেটা এক পর্বে লেখা যাবে না! একটা চোট্ট গল্প বলি , ছোটবেলায় খেতে বসলে দেখতাম দুমদাম করে প্লেটে মাছের টুকরা এসে পড়ছে! কি ব্যাপার? ব্যাপার হলো বাবা মাছের কাঁটা বেছে বেছে তাঁর দুই কন্যার পাতে ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিচ্ছে! কত কথা এরকম মনে পড়ে, আর চোখ ঝাপসা হয়ে আসে!
৩য় ভালো লাগা রইলো।
অ:ট: আমি কিন্তু আমার বাবা মায়ের ভাল মেয়ে! প্রতিদিন লং ডিসটেন্স কল করি , অন্তত তাঁরা কেমন আছে, এই খবরটা নেই!
১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৫০
শামীম আরা সনি বলেছেন: এই অপশন থেকে ছবি দিলে ছবিটা সবার উপরে চলে আসে যেখানে দেই সেখানে থাকেনা। লেখায় ছবি যুক্ত করুন সবচেয়ে ভালো অপশন আর সেটা কাজ করছেনা। কেমন লাগে বলুনতো?
আমি ও খবর নেই তবে সারাদিন এতোবার কল করলে আমি সুযোগ পাই কেমনে
৬| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৫১
জেমস বন্ড বলেছেন:
Good
উৎসর্গ
সব আব্বুকে
১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৪২
শামীম আরা সনি বলেছেন:
৭| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১৬
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: নিজে বাবা/মা হবার আগে বোঝা যায়না তাঁদের ভালবাসা।
মনটা ছুঁয়ে গেল লেখাটা........
১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৪৪
শামীম আরা সনি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৮| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:২৮
সাঈদ হাসান মনির বলেছেন: আপনার লেখাটা ২/৩ বার পড়লাম!!!! এমনিতেই এখন একটু ব্যস্ত!!!!! ব্লগে বেশী আসা হয় না। আর আমি কোন কিছু গুচিয়ে লিখতে পারি না, তাই ব্লগ লিখি না, শুধু পড়ি।আপনার লেখাটা পড়ে মন্তব্য না করে থাকতে পারলাম না।
ছোট বেলায় অনেক দুষ্টুমি করেছি, ঠিকমত পড়াশুনা করিনি। আমার সাথের অনেক বন্ধুরাই খুব ভাল ভাবে প্রতিষ্ঠিত। আর আমি ছোট একটা চাকরি করে কোনরকম চালিয়ে নিচ্ছি।
নিজে বাবা হয়ে আমার বাবা-মায়ের কষ্ট আর আফসোস গুলো বুঝতে পারি। না বুঝে তাদের অনেক কষ্ট দিয়েছি। অফিস শেষে বাসায় আসলে আমার মেয়ে আমি ছাড়া অন্য কারো কোলে থাকবেই না। ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আমার কাছে থাকে। অন্য কারো কারো কাছে দিতে গেলেই কান্না করে। এখন ভাল ভাবেই বুঝতে পারি বাবা-মা কত কষ্ট করে আমাকে এত বড় করেছেন। এখনো অনেক ব্যপারেই আব্বু-আম্মুর সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেই। আসলে বাবা- মা হচ্ছেন সন্তানের ছায়ার মত।
সব সন্তানের কাছেই তার বাবা-মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা-মা।
ভাল কথা আমার প্রফাইল পিকচার টা আমার মেয়ের। বয়স সাড়ে ছয় মাস।
আপনার বাবার জন্য শুভ কামনা রইল।
১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৪৯
শামীম আরা সনি বলেছেন: মনির ভাই আসলেই অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম। কেমন আছেন?
আসলে বাবা মাই একমাত্র সেই মানুষ যাদের কাছে যেকোন সময়, যেকোন বিপদে যাওয়া যায়, সাহায্য চাওয়া চায় ,নির্ভর করা যায়,১০০ ভাগ এবং নির্ভেজাল ভালোবাসা পাওয়া যায়। ( এবং আরো অনেক কিছু! যা বলে শেষ করা যাবেনা)
আমি ভেবেছিলাম এই ছবি হয়ত নেট থেকে নেওয়া!
আপনার মেয়ের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
৯| ১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫০
ইমরান হক সজীব বলেছেন:
১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:০৫
শামীম আরা সনি বলেছেন: কি মানে হলো?
প্রথম ইমুটা কিন্তু বিরক্তি প্রকাশের ইমো।
বিরক্তি জানিয়ে গেলেন? এই পোস্টে? !!
১০| ১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:০৭
শোশমিতা বলেছেন: মা-বাবার কথা কখন ও বলে শেষ করা যাবেনা।
বাবা না মাকে বেশি ভালোবাসি সেটা না আলাদা করতে পারি না ।বাবা আর মা, আমরা কিন্তু দুজন কে সমান ভালোবাসি ।
মেয়েরা হয়তো একটু সাহস করে বাবার সাথে সম্পর্কটা একটু বেশি করে নিতে পারে ,আর সেই সুজুগে একটু বেশি ভালোবাসা আদায় করে নেয়
আর সেই ভালোবাসার সুত্রধরে ভাইয়া দের কে ও খেপানো যাতো এই বলে যে বাবা আমাদের কে বেশি ভালোবাসে
আপু তোমার মতো আমার ও জন্মের অনেক আগে থেকেই আব্বু নাকি বলতো যে আমার মেয়েই হবে। আব্বু চাইতো মেয়ে হোক। আম্মু বলে আব্বু নাকি ময়ে বেশি পছন্দ করে।আম্মু সব সময় আব্বুকে বলে তুমি আমার ছেলেদের ভালোবাসনা। আব্বু তখন হাসে।সন্তানের জন্য বাবা মার ভালোবাসা সমানি থাকে।
অনেক সুন্দর করে লিখেছ আপু। অনেক ভালো লাগলো + +
পৃথিবীর সকল মাকে জানাই সশ্রদ্ধ, সালাম ও ভালোবাসা ।
১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:৩৯
শামীম আরা সনি বলেছেন: সময় নিয়ে পড়েছ আর অনেক ভালো একটা কমেন্ট করেছো তাই খুব ভালো লাগলো।
ভালো লাগলো তোমার অনুভুতিগুলোও শেয়ার করলে বলে।
অটপিক/ এতো রাত জেগে আছো কেনো?
১১| ১১ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:১৭
তাশা বলেছেন: হিংসায় জ্বলিয়া মরার ইমো হইবেক........... আপনেরে না চাইতেই টেকা দেয় আর আমারে ১ হাজার টেকা জোগাড় করতে প্রায় একখান আবেদন পত্র লেহা লাগে............. তয় আমার বাপের মেজাজ গরম হইলেও মানুষ হিসেবে অনেক ভালো...........
অফ টপিক : আপনের প্রোপিক কি আপনের ছুটুকালের?? আপনেরে তো ভালাই দেহা যায়...........
১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:১২
শামীম আরা সনি বলেছেন: দেখো টাকা পয়সা দেয়ার ব্যাপারে আব্বু সবসময় এটা মাথায় রেখেছে যে সেটার অপব্যব হার করছি কিনা। বয়স, পরিস্হিতি বুঝে সবসময় আমাকে টাকা দিয়েছে। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় অতিরিক্ত টাকা চাইলে কারন বলেই নিতে হয়েছে।
টাকা আছে কিনা বারবার জিগ্গেস করে কারন আমাদের যে বয়স হয়ত এটা সেটা কিনে, বা রেস্টুরেন্টে খেয়েছি হাতের টাকা কমে গেছে, কিন্তু তাও কিছু হয়ত বলছিনা। কিন্তু বাংলাদেশের যা পরিস্হিতি, হয়ত এমন পরিস্হিতি হলো আমার খুব টাকার দরকার অথচ হরতাল পড়ল টানা তিনদিন।
এতোভাবেই বাবা মায়েরা ভাবেন। কিন্তু আমরা বুঝিনা
আর আমি কি চাইনিজ নাকি যে এটা আমার ছবি হবে?!!
১২| ১১ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:৩৮
শোশমিতা বলেছেন: আমাদের এতো রাত হয়নি। আমাদের সময় এখন রাত ১২টা
১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:১৩
শামীম আরা সনি বলেছেন: ওহহ!
১৩| ১১ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:০৪
কান্টি টুটুল বলেছেন:
ছোট ভাইটার জন্য অফিস থেকে ফেরার পথে বাবা প্রতিদিন চকলেট/বিস্কুট নিয়ে আসত,কত মমতাই না লুকিয়ে থাকত ছিল এই ছোট্ট উপহারটায়
সময়ের যান্ত্রিকতায় এখন সময় নিয়ে কথা বলাই হয়ে ওঠেনা,
যদিও ওনারা দূরে থাকেন তবুও নিজেরে অপরাধী মনে হয়,
ভাল লাগল আপনার লেখা।
১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:১৫
শামীম আরা সনি বলেছেন: কেনো অপরাধী মনে করবেন নিজেকে? এখন তো সবাই আসলে ব্যস্ত। ঈদের ছুটি আসছেতো পরিপূর্নভাবে ছুটিটা কাজে লাগাবেন
ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।
১৪| ১১ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: মা ও বাবা'র ব্যাপারে আমি একটু বেশী স্পর্শকাতর। সাধারনত আমি মা-বাবা নিয়ে লেখা কোনো পোস্টেই মন্তব্য করিনা। হয়ত আজও করা হতোনা-যদিও লেখাটা কালই পড়েছিলাম।কিন্তু আমার ব্লগে আপনাকে প্রথম পেলাম এবং সেই সংগে মন্তব্যও-তাই মন্তব্য করছি।
আপনি ভালো লিখেছেন -বেশ আন্তরিকতার সাথেই নিজ অভিব্যাক্তি তুলেধরেছেন, যা পাঠকদের অন্তর ছুঁয়ে গিয়েছে।
সাত নম্বর ভাল লাগা ও নিরন্তর শুভ কামনা।
১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২১
শামীম আরা সনি বলেছেন: বাবা নিয়ে আরেকটা লেখা দেয়ার ইচ্ছে আছে, একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
আপনাকে আমার ব্লগে যখনই পাই অনেক ভালো লাগে।
আপনি একজন বুদ্ধিমান, নির্দলীয় ব্লগার। এবং এখন পর্যন্ত আপনাকেই আমার কাছে একমাত্র নির্দলীয় সেলিব্রিটি ব্লগার বলে মনে হয়েছে।
আমার আনাড়ি হাতের লেখা আপনার মত একজন গুনী ব্লগারের প্রশংসা পেয়ে ধন্য।
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।
১৫| ১১ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৫৩
নীলঞ্জন বলেছেন: বাবা-মায়ের চেয়ে আপন আসলেই কেউ নেই।
এই কথাটা আমিও বলতে চেয়েছিলাম আমার সম্প্রতি পোস্টে।
আপনার অনুভূতিকে লাখও সালাম।
তবে, বিয়ের পরে ধরে রাখতে পারবেন তো?????????
পোস্টে+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৪
শামীম আরা সনি বলেছেন: Every Girl may not be a queen to her husband but she is always a PRINCESS to her FATHER.
বুঝলেন?
অনেকগুলো প্লাস দেখি
১৬| ১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১৪
লুৎফুল কাদের বলেছেন: আপনার অনুভূতিকে সালাম।
১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৫
শামীম আরা সনি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ১১ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮
নীলঞ্জন বলেছেন: লেখক বলেছেন: Every Girl may not be a queen to her husband but she is always a PRINCESS to her FATHER.- সহমত।
১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪০
শামীম আরা সনি বলেছেন:
১৮| ১২ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৮
প্রিন্সর বলেছেন: অনুভূতির অত্যাবশ্যকীয় উপাদান । ভালো লাগলো ।।
১২ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৫
শামীম আরা সনি বলেছেন: ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।
১৯| ১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৩
ইমরান হক সজীব বলেছেন: লেখক বলেছেন: কি মানে হলো?
প্রথম ইমুটা কিন্তু বিরক্তি প্রকাশের ইমো।
বিরক্তি জানিয়ে গেলেন? এই পোস্টে? !!
মানে হল আমার আব্বা জীবিত নাই , স্ট্রোক করে মারা গিয়েছে আমাদের ছোট রেখেই
ওইটা বিরক্তি প্রকাশের ইমো জানতাম নাতো ।
১৩ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৪৩
শামীম আরা সনি বলেছেন: জি জনাব ঐটা বিরক্তি প্রকাশের ইমো। কিছুই লেখেননি বলে ঔ ইমো কেনো দিয়েছিলেন তাও বুঝিনি।
যাক এখন জানলাম যে আপনি ঔ ইমোর মানেই জানেননা।
আল্লাহ আপনার আব্বাকে জান্নাতবাসী করুক।
লেখা পড়ার জন্য আর প্লাস দেয়ার জন্য ধন্যযোগ
২০| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৮
আজনবী বলেছেন: বাবারা সব সময়ই তার মেয়েকে ডাকে - আয় খুকু আয়।
০১ লা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৫১
শামীম আরা সনি বলেছেন: ঠিক বলেছেন
২১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪০
অচিন্ত্য বলেছেন:
"বাবা" শব্দের অনুভূতি... পরে কখনো শেয়ার করব। পৃথিবী এক আশ্চর্য জায়গা, মানুষ তার চেয়েও আশ্চর্য প্রাণী।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৪
শামীম আরা সনি বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম আপনার অনুভূতিগুলো জানতে।
পৃথিবী এক আশ্চর্য জায়গা, মানুষ তার চেয়েও আশ্চর্য প্রাণী।
কথা দারুন হয়েছে!
২২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৯
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: মা-বাবাকে নিয়ে সব লিখাই ভাল লাগে,স্মৃতিগুলোকে অনেক সুন্দর করে লিখেছেন সনি আপু। পোস্টে+।
আর অনেকখানি ভাল লাগা।
বাবারা ভাল থাকুক সবসময়
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৬
শামীম আরা সনি বলেছেন: হমমমমমমম, একদম রঙ তুলি ক্যানভাস এ রাঙিয়ে দিয়েছি
অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: উতসর্গ টা মন ছুয়ে গেল। আপমার পরিবারের প্রতি রইল শুভ কামনা।
১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৪৬
শামীম আরা সনি বলেছেন: অনেক থ্যাংকইউ ধলা মনের ধলা মানুষ ( টাইপিং মিসটেক না
)
২৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০১
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: :#> :#>
১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:১৯
শামীম আরা সনি বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫২
শামীম আরা সনি বলেছেন: ছবি যুক্ত করুন থেকে ছবি আপলোড করেছি , লেখায় ছবি যোগ করুন অপশন এখনও অকার্যকর