নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টেকনোলজি বিষয়ক ও অনুপ্ররণামুলক একটা বোকা ছেলের ব্লগ................ ফেসবুকে আমি http://www.facebook.com/4msar

সাইফুল আলম রাকিব

I am a Programmer, Book lover.............. The biggest accents I am a Muslim

সাইফুল আলম রাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদিসের গল্প 1

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

একটি সত্য ঘটনা যা এক
গুরুত্বপূর্ণ চিন্তার জন্ম দেয়ঃ
.
এক গরীব স্বামী-স্ত্রী একটি ছোট
গ্রামে বাস করতেন।
তাদের একমাত্র ছেলে ছাড়া
অন্য কোন সন্তান ছিল না।
তারা তাকে সবচেয়ে সেরা
শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলেন।
ছেলে গ্রামের কাছের একটি শহর
হতে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে।
ভাগ্যবশত, সে এক ধনী
মেয়েকে বিয়ে করে।
প্রথমদিকে, ছেলে আর তার বউ
তার বাবা মায়ের সাথেই
গ্রামে থাকতো।
শীঘ্রই ছেলের বউ গ্রাম্য
পরিবেশে হাপিয়ে ওঠে আর
তার স্বামীকে তার মা-বাবাকে
ছেড়ে শহরে থাকতে বলে।
কিছুদিন পরেই ছেলে পত্রিকায়
বিদেশে একটি চাকুরির
বিজ্ঞাপন দেখতে পায়।
সে সেই চাকুরিটা পেয়ে যায়,
আর তার বউকে নিয়ে বিদেশে
চলে যায়।
নিয়মিত সে মা-বাবাকে টাকা
পাঠাতে থাকে।
কিন্তু একসময়, সে টাকা
পাঠানো বন্ধ করে দেয়
আর তার মা-বাবা যে জীবিত
সে কথা ভুলেই যায়।
প্রতি বছর সে হজ্জ করতে থাকে।
একবার হাজ্জ করে ফিরে এসে
সে স্বপ্নে দেখল, কে যেন
তাকে বলছে, ‘তোমার হজ্জ
কবুল হয়নি।’
একদিন সে তার এই সব ঘটনা
এক মুত্তক্বী ‘আলেমের নিকট
খুলে বলল।
‘আলেম তাকে তার দেশে ফিরে
গিয়ে মা-বাবার সাথে দেখা
করতে পরামর্শ দেন।
সে তার দেশে ফিরে গেল,
সে তার গ্রামের সীমানায় প্রবেশ
করল। কিন্তু সে দেখল, সব
কিছুই কেমন যেন বদলে গেছে।
সে তার বাড়ি খুজে পেল না।
সে এক ছোট ছেলেকে তার
বাড়ির অবস্থানের কিছু
বর্ণনা দিল। ছোট
ছেলেটি তাকে একটি বাড়ির
দিকে ইশারা করে বললঃ “এই
বাড়িতে এক অন্ধ বৃদ্ধা মহিলা
থাকেন যার স্বামী কয়েক মাস
আগেই মারা যান।
তার একমাত্র ছেলে ছিল যে
কিনা বহু বছর আগে বিদেশে
চলে যায়, আর ফেরেনি।
কত বড় দূর্ভাগ্যবান লোক!”
ছেলে তার বাড়িতে প্রবেশ করে
দেখল যে তার মা বিছানায়
শুয়ে আছেন।
সে নিঃশব্দে প্রবেশ করল
যাতে তার মা জেগে না ওঠে।
সে শুনলো তার মা কি যেন
একা একা চুপি চুপি বলছেন।
সে তার আরো কাছে আসলো
যাতে তার কথা শুনতে পারে।
.
সে শুনলো তার
মা বলছেন, “হে আল্লাহ!
আমি এখন অনেক
বৃদ্ধ আর অন্ধ। আমার স্বামীও
মারা গেছেন। এখন
আমাকে কবরে নামানোর
মত কোন মাহরাম পুরুষ নেই।
তাই দয়া করে আমার ছেলেকে
আমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণের
জন্য আমার কাছে পাঠিয়ে দাও।”
ছেলেটি বুঝতে পারল মায়ের
এই দোয়ার কারণে সে দেশে
এসে মাকে জীবিত অবস্হায়
দেখতে পেরেছে। সে অনুতপ্ত হল।
.
মা-বাবার দোয়া যে কখনো
বিফলে যায় না এই ঘটনাটি
তার বাস্তব প্রমাণ।
তাই আমাদের কর্তব্য হল
মা-বাবা জীবিত থাকতেই
তাদের হ্বক আদায় করা ।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.