নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বংকিরার মানুষ

আসিফ ইকবাল কাজল

গনমাধ্যমকর্মী

আসিফ ইকবাল কাজল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝিনাইদহে আফ্রিকান জায়ান্ট মিলিবাগ পোকার সন্ধান

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

আসিফ ইকবাল কাজল, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দেশ ব্যাপী আতংক সৃষ্টিকারী পোকা জায়ান্ট মিলিবাগের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা শহরের পশু হাসপাতাল পাড়ায় পোকাটি আবিস্কার করেন। জায়ান্ট মিলিবাগ পোকা নিয়ে রোববার গার্হস্থ অর্থনীতি কলেজে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে তার সভাকক্ষে এই পোকা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করার একদিন পরই ঝিনাইদহে পোকাটির সন্ধান পাওয়া গেল। শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, শৈলকুপা শহরের পশুহাসপাতাল পাড়ায় সাংবাদিক এম হাসান মুসার বাগানে জায়ান্ট মিলিবাগ পোকাটি দেখা যায়। তিনি নিশ্চত করে বলেন, এই পোকাটিই আফ্রিকান জায়ান্ট মিলিবাগ। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার শৈলকুপার কৃষি বিভাগের একটি টিম সাংবাদিক মুসার বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পোকাটি জায়ান্ট মিলিবাগ বলে নিশ্চিত হন। কৃষিবিদ বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, পোকাটির শরীরে ডায়াজিনন ৬০ ইসি, রিপকড ও সপসিন জাজীয় কীটনাশক প্রয়োগ করেও মৃত্যু নিশ্চত করা সম্ভব হয়নি। তবে পানি ছাড়া সরাসরি বিষ প্রয়োগের ফলে পোকাটি মারা যাচ্ছে। টপসিন নামে একটি কীটনাশক এই পোকা দমকে কার্যকারী ভুমিকা রাখলেও তা ফসলের জন্য ক্ষতিকর বলে তিনি মন্তব্য করেন। শৈলকুপা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাসান মুসা জানান, গত বছর থেকে তার বাগান বাড়িতে জায়ান্ট মিলিবাগ পোকাটি দেখা যায়। এ বছর বংশ বিস্তার করে তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তিনি আরো জানান, তার বাগানে থাকা কাঠাল, আম, পোয়ারা, বাতাবি লেবুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছে এই পোকা ছড়িয়ে ফলমুল সাবাড় করে দিচ্ছে। পোকাটির শরীরে মোম জাতীয় পদার্থ থাকায় কোন কীটনাশকে মরছে না। শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সাংবাদি মুসার বাড়িটি জঙ্গলে ঘেরা। পোকার বংশ বৃদ্ধি ও বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ সেখানে বিরাজমান। উচ্চ ও নিম্ন তাপমাত্রায় জায়ান্ট মিলিবাগ পোকার দ্রুত জন্ম হয়। গাছের নিচে পোকার শরীর থেকে নির্গত রস পড়ে আছে। এই রস মানুষের শরীরে পড়লে চুলকানি ও এলার্জি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, উদ্ভিদভোজী জায়ান্ট মিলিবাগ আফ্রিকা মহাদেশে পোকা। সাধারণত ডিসেম্বরের শেষ সপ্ত্হ থেকে জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে মাটির নিচ থাকা ডিম থেকে বের হয়ে গাছে ওঠে। মার্চ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিভিন্ন গাছের রস খেয়ে বড় হয়। এরপর পোকাগুলো ডিম পাড়ার জন্য আবার মাটিতে ফিরে আসে। সাধারণত ১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার মাটির নিচে প্রতিটি জায়ান্ট মিলিবাগ ২০০ থেকে ৪০০ করে পোকা ডিম পাড়ে। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন জানান, শৈলকুপায় পাওয়া পোকাটি জায়ান্ট মিলিবাগ। পোকাটি দমনের জন্য কার্যকর কীটনাশক খোজা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, পোকাটি দমনের কার্যকর ওষুধ সনাক্ত করার পর জেলা ব্যাপী জায়ান্ট মিলিবাগ পোকাটির ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে প্রচারণা চালানো হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.