নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়জুল মহী I মোহাম্মদপুর । ঢাকা ।

নেওয়াজ আলি

হে পরমেশ্বর,এই নশ্বর নিখিল সৃষ্টিতে রেখো না ওই মানুষ যার ভিতর নরত্বের অভিনিবেশ নাই ।

নেওয়াজ আলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতি ও তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) I (৫ম পর্ব) I

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২০



গীতা গুরুমা, ওর অধীনে আছে দুইশত হিজড়া কিন্তু তার আছে স্ত্রী ও সন্তান।অথচ সে হিজড়াদের গুরুমা। সুন্দরী ম্যাড়াম গুরুমা এবং হিজড়াদের সিলেট বিভাগীয় প্রধান।গ্রামে ফরহাদ মঞ্জিল নামে ঢাউস বিল্ডিং-এ থাকে সুন্দরী ম্যাড়াম নামদারী ফরহাদের বউ বাচ্চা। ঝুমুর হিজড়া সেও নকল। তবে এদের ভিতর শুধু ঝুমুর পুরুষ অঙ্গ কেটে নিজে হিজড়া সাজে এবং টাকা কামাই করার পথ বেঁচে নেয়। গীতা ও সুন্দরী আসলে কিন্তু পুরুষ তারপরও তাদের হিজড়ার ভূষণ।পনের হতে বিশ হাজার টাকার ভিতরই অস্ত্রোপচার করা যায়। নিজের ইচ্ছায় হিজড়া হওয়ার একমাত্র কারণ হল অর্থ উপার্জন করা আর তারাই আবার ছেলেদের অপহরণ করে কিংবা দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে অসহায় ছেলেদের হিজড়া বানায়। দিপালী ও লিজা দুইজনে হিজড়া কামজ।আগে একজন রিপন এবং আরেকজন দুলাল ছিল।

রিপনের আগে মূত্র ত্যাগে সমস্যা হচ্ছে বলে এক সময় ডাক্তারের দ্বারস্ত হয় বেসরকারি চিকিৎসালয় নামক একটি বাড়ির ভিতর ধামরাইয়ের রোম আমেরিকান হাসপাতালে। গোলাম রহমান শাহজাহান প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সে নিজেই এই হাসপাতালের মালিক।বাংলাদেশ এবং কলকাতার সব মিলে চারশ জনকে অস্ত্রোপচার করেছেন এই ডাক্তার। অথচ উনি একজন মানবিক মানুষ উনার লক্ষ্যও টাকা রোজগার। তাই তাঁর কাছে এটা কোন অপরাধ নয় অথচ আইনে আছে কাউকে অনৈতিকভাবে অঙ্গহানী করা মারাত্মক অপরাধ কারণ এতে একজনকে বিকালঙ্গ করা হয়। আজব আমাদের দেশ তার চেয়েও আজব মানুষ, স্ত্রী ও সন্ত্রান নিয়ে সংসার থাকা সত্বেও হিজড়ার ভূষণে অপরাধ করে যাচ্ছে কিন্তু দেখার কেউ নাই।

গীতা চট্টগ্রামে এবং সুন্দরী ম্যাড়াম সিলেটে নকল হিজড়া হয়েও তারা স্বকীয় বাহিনী গঠে তুলেছে আসল নকল হিজড়া নিয়ে। তাদের কেউ করে চাদাবাজি,কেউ কেউ কামজ কিন্তু রোজগারের সব টাকাই নিয়ে যায় গুরুমা। গুরুমা নতুন হিজড়ার সাথে প্রথম প্রথম অমায়িক আচরণ করে যার কারণে পরিবার ও সমাজের রূঢ় আচরণে অতিষ্ট হিজড়ারা গুরুমার প্রতি অতি সহজে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।কিন্তু আস্তে আস্তে তার আসল চেহারা প্রকাশ করতে থাকে।যদি চেহারা সুরত সুন্দর হয় তাহলে হরমোন ইনজেকশন দিয়ে মেয়েলীভাব নিয়ে আসে শরীরে।তারপর বিভিন্ন কলাকৌশলে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গুরুমার মনোনীত ডাক্তার দিয়ে অস্রোপাচার করে নারী হিজড়ায় পরিনিত করে তাদের যৌন কর্মী বানিয়ে টাকা রোজগারে আজ্ঞাবহ করে।রূপসী হিজড়ারা কুহকী সাজে সজ্জিত করে উচ্চ তলার মানুষের মনরজ্জন করতে পাঠায়।

কিছু হিজড়া রাস্তায় গাড়ি হতে চাঁদা তুলে,কিছু হিজড়া দোকান হতে চাঁদা তুলে তবে যে যাই করুক কেউ বসে খেতে পারে না।সারা দিন যে যা টাকা রোজগার করুক না কেন প্রত্যেক জনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ধায্য করা আছে এবং রাতে গুরুমার হাতে তুলে দিতে হয়।সেই নির্দিষ্ট পরিমান টাকা গুরু মার হাতে তুলে দিতে না পারলে নেমে আসে খাওয়া বন্ধসহ মনোগত ও শাররীক নির্যাতন।তখন গুরুমার আচারণ হয়ে উঠে গণিকার রাণীর মত আর তাকে সহযোগীতা করে তারই ভৃত্য।কখনো কখনো অত্যাচার সহ্য করতে না পারলে মুক্ত হওয়ার পথ খোজে সাধারণ হিজড়া কিন্তু মুক্তি মিলতে চাই মৃত্যু না হয় বড় অংকের টাকা।টাকা চাওয়ার অংক এত বড় থাকে যে যোগাড় করা দুসাধ্য হয়ে থাকে।

আর তখনি চলে গুরুমার বিরুব্ধে ভিতরে ভিতরে রাজনীতি।জাতীয় রাজনীতির মত প্রভাব প্রতিপত্তি বজায় রাখতে চলে অস্ত্রের ভাষা,চলে জখম ও খুন।গুরুমার আছে বিলাস বহুল জীবন,আছে বাড়ি গাড়ি।আর এদের রাজনীতির সাথে অংশু করে আরমান নামক আমাদের সমাজের আরেক রাজনীতিবিদ।রূপসীদের নিতে কখনো কখনো গাড়ি নিয়ে আসে অভিজাত শ্রেণী,হিজড়া গাড়িতে কিছুদূর গেলেই আরমানের লোক গতিরোধ করে নিঃস্ব করে সব নিয়ে যায় আর মানসম্মান হারানোর ভয়ে অভিজাত শ্রেণী থাকে অবর।হিজড়া ছোটকালে গুরুমার কাছে আসুক বড় হয়ে আসুক তাদের থেকে সমঝোতা চুক্তি করে দলিলে স্বাক্ষর নেয়।তবে মজার বিষয় সেই দলিল কেউ পড়ে দেখার সুযোগ পায় না ঝামেলা হলেই তা উন্মুক্ত করে।

মেয়ে হিজড়ার সাথে নকল গুরুমা যৌন কাজ করতেও বাধ্য করে। যৌন কাজ করে হোক আর চাঁদাবাজি করে হোক এক হাজার টাকা গুরুমার হাতে দিলে সে হয়তো একশ/দুইশ টাকা বকশিস দেয় আয়কারি হিজড়াকে।গরিব পরিবারের হিজড়ার ভিতর তাদের পরিবার নিয়েও চিন্তা থাকে তারা মা-বাপ,ভাই-বোনের ভরণপোষণের জন্য টাকা দিতে উদগ্রীব থাকে কিন্তু সে আশা হৃদয়ের ভিতর নিহত করতে হয় গুরুমার ভয়ে

Pic = Twitter

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০২

করুণাধারা বলেছেন: সিরিজের প্রথম দুই পর্ব আগে পড়েছি, ঠিক করেছি পুরোটা একসাথে পড়বো।

একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, নাম গীতা- গুরুমা, তার স্ত্রী সন্তান থাকে কী করে? এই গুরুমা নিশ্চয়ই মহিলা সেজে থাকে!!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আসলে সে একজন পুরুষ । প্রভাবশালীদের সাথে আতাত করে হিজড়া গুরুমা সেজে আছে।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: এটা শেষ হবে কবে?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই রকম পচিশ পর্ব আছে । ভালো না লাগলে দেওয়া বন্ধ করে দিব।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লাগছে- অনেক অজানা তথ্য জানা হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে- লিখুন

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । পড়ছেন সময় নিয়ে।

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চুকক্দির বিষয়টা জানা ছিলো না।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ওদের সাথে চলে আমিও অনেক কিছু জেনেছি

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৬

শোভন শামস বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য জানা হচ্ছে। লিখুন

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আরো নতুন নতুন তথ্য জানাতে চেষ্টা করবো

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সত্যিই কি ভয়ানক জীবন তাহলে ওদের।‌ ধন্যবাদ আপনাকে তৃতীয় লিঙ্গ সম্পর্কে অজানা বহুতথ্য শেয়ার করার জন্য।
শুভেচ্ছা প্রিয় নেওয়াজ ভাইকে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফেনী প্রেস ক্লাবের সামনে যখন হিজড়াদের দাবী নিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম তাদের সাথে অনেক পরিচিত লোক হেসেছে বাজে ধারণা করেছে।

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩৩

ইফতি সৌরভ বলেছেন: একদিন কল্যানপুরে দেখি, ব্যস্ত রাস্তায় দুই মহিলা মারামারি করছে কারণ একজন অপরজনের এলাকায় চলে এসেছে। ধস্তাধস্তিতে তাদের শাড়িতে টান পড়ে আর উম্মোচন হয়, দুইটাই স্বাভাবিক পুরুষ, টাকা আয়ের জন্য বেশ ধরেছে! অতঃপর, উৎসুক আমজনতা মনঃক্ষুণ হয়ে দুইটাকেই গালিগালাজ করে দুদিকে পাঠিয়ে দেয়। এর আগে আমি কখনও বিশ্বাস করতাম না, কেউ ইচ্ছা করে হিজড়া সাজে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার জানা আছে তবে বলতে মানা । ওদের পিছনে প্রভাবশালীর মদদ থাকে

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৫

ঢুকিচেপা বলেছেন: নিজের পরিবার এবং সমাজের কাছে নিগৃহিত আবার যার কাছে আশ্রয় নিয়ে আছে সেখানেও শোষিত।
দলিলের বিষয়টা নতুন লাগলো।

লেখা চালিয়ে যান।

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিউরে ওঠার মত ভয়ানক জীবন প্রণালী এসব হিজড়াদের! আমাদের সমাজে এরকম কত অন্ধ গলি রয়েছে, যার সম্বন্ধে এই এতটা পরিণত বয়সেও আগে জানতে পারিনি!
ঢুকিচেপা এর পর্যবেক্ষণটার সাথে একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.