নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়জুল মহী I মোহাম্মদপুর । ঢাকা ।

নেওয়াজ আলি

হে পরমেশ্বর,এই নশ্বর নিখিল সৃষ্টিতে রেখো না ওই মানুষ যার ভিতর নরত্বের অভিনিবেশ নাই ।

নেওয়াজ আলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিষ্ঠাতাকালীন হতে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন যারা।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫



ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম জন্মদিন আজ। বাঙালি জাতির মুক্তির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে জন্ম নেওয়া উপমহাদেশের প্রাচীন এই ছাত্র সংগঠনটির জন্ম মূলদল আওয়ামী লীগ সৃষ্টির এক বছর আগে।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠনটির নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’। পাকিস্তান আমলেই ‘মুসলিম’ শব্দটি ছেঁটে ফেলা হয়। আর স্বাধীনতার পর নাম হয় ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’।

সময়ের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সাত দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং এগারো দফা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্বাধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে প্রাচীন এই সংগঠনটি।

ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ কমিটি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সংক্ষেপে নির্বাহী সংসদ নামে অভিহিত হয়। সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ফোরামের নাম কেন্দ্রীয় কমিটি। প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের ভূমিকা পালন করেন নাঈমউদ্দিন আহমেদ এবং পরবর্তীতে সাংগঠনিকভাবে এর সভাপতি মনোনীত হন দবিরুল ইসলাম। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খালেক নেওয়াজ খান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুদীর্ঘ এই পথচলায় সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হয়েছেন ৫৮ জন নেতা।

১৯৪৮ নাইমউদ্দিন আহমেদ (আহ্বায়ক), ১৯৪৮-১৯৫০ দবিরুল ইসলাম–খালেক নেওয়াজ খান, ১৯৫০-১৯৫২ খালেক নেওয়াজ খান–কামরুজ্জামান, ১৯৫২-১৯৫৩ কামরুজ্জামান–এম এ ওয়াদুদ।
১৯৫৩-১৯৫৭ আব্দুল মোমিন তালুকদার–এম এ আউয়াল, ১৯৫৭-১৯৬০ রফিকুল্লাহ চৌধুরী-আযহার আলী (বিদেশে গমন) শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (ভারপ্রাপ্ত), ১৯৬০-১৯৬৩ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন–শেখ ফজলুল হক মনি।
১৯৬৩-১৯৬৫ কে এম ওবায়েদুর রহমান–সিরাজুল আলম খান, ১৯৬৫-১৯৬৭ সৈয়দ মাজহারুল হক বাকী–আব্দুর রাজ্জাক, ১৯৬৭-১৯৬৮ ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী-আব্দুর রাজ্জাক।
১৯৬৮-১৯৬৯ আব্দুর রউফ (পদত্যাগ)–খালেদ মোহাম্মাদ আলী, ১৯৬৯-১৯৭০ তোফায়েল আহমেদ–আ স ম আব্দুর রব,১৯৭০-১৯৭২ নূরে আলম সিদ্দিকী–শাহজাহান সিরাজ (বহিষ্কৃত), ইসমত কাদির গামা।
এছাড়া, ১৯৭২-১৯৭৩ শেখ শহিদুল ইসলাম–এম এ রশিদ, ১৯৭৩-১৯৭৪ মনিরুল হক চৌধুরী–শফিউল আলম প্রধান (বহিষ্কৃত), মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ১৯৭৬-১৯৭৭ এম এ আউয়াল (আহবায়ক)।
১৯৭৭-১৯৮১ ওবায়েদুল কাদের–বাহালুল মজনুন চুন্নু,১৯৮১-১৯৮৩ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন–খ ম জাহাঙ্গীর,১৯৮৩-১৯৮৫ আব্দুল মান্নান–জাহাঙ্গীর কবির নানক।
১৯৮৬-১৯৮৮ সুলতান মোহাম্মাদ মনসুর–মো. আব্দুর রহমান, ১৯৮৮-১৯৯২ হাবিবুর রহমান (বহিষ্কৃত), শাহে আলম (কার্যকরী)– আসীম কুমার উকিল, ১৯৯২-১৯৯৪ মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী–ইকবালুর রহিম।
১৯৯৪-১৯৯৮ এ কে এম এনামুল হক শামীম–ইসহাক আলী খাঁ পান্না, ১৯৯৮-২০০২ বাহাদুর বেপারী–অজয় কর খোকন, ২০০২-২০০৬ লিয়াকত সিকদার–নজরুল ইসলাম বাবু, ২০০৬-২০১১ মাহমুদ হাসান রিপন–মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন।
২০১১-২০১৫ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ–সিদ্দিকী নাজমুল আলম ২০১৫-২০১৮ মো. সাইফুর রহমান সোহাগ-এস.এম জাকির হোসাইন, ২০১৮-১৯ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন (অপসারণ)-গোলাম রাব্বানী (অপসারণ) দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৯ সালে থেকে আল নাহিয়ান খান জয় (সভাপতি) ও লেখক ভট্টাচার্য সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

সূত্রঃ ঢাকাটাইমস

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এক এক করে নামে সাথে সাথে ছবি গুলিও দিয়ে দিতে পারতেন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুজে দেখি নাই সবার । ধন্যবাদ ভালো পরামর্শ দিলেন

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
শুধু বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, পোস্টার, ফেস্টুন, মিছিল মিটিং আর ব্যানারে নয়, বাস্তবে যেন ভালো কিছু করে প্রমাণিত করতে পারে দেশের বৃহৎতম এই সংঘঠনটি।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগের ছাত্রনেতাদের সেই মন মানসিকতা ছিল। বর্তমানে নেতৃত্ব টাকা পয়সা খোজে আছে

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ১৯৭৩-১৯৭৪ মনিরুল হক চৌধুরী একজন ত্যাগী ও জনদরদী নেতা ছিলেন। তবে তিনি অভিমানে দল ত্যাগ করে বঞ্চিত হয়েছেন- না হলে এখন মন্ত্রীত্ব থাকতো।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। উনি মনে হয় কুমিল্লার কৃতী সন্তান

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ছাত্রলীগ শব্দটা এখন যাদুর কাঠি। এর ছোয়ায় হাজার কোটী টাকার মালিক হওয়া যায়।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: রাজনীতি এখন নষ্ট মনের মানুষের দখলে। খাই খাই শুধু

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

রায়হান চৌঃ বলেছেন: লোকে বলে...
"বেয়াদপ" বড় হয়ে ছাত্রলীগ হয়। আশা করি এ কথাটা এক দিন ভূল প্রমানিত হবে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যায় যায় দিন খুবই আসে দিন বেয়াদবের দখলে

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীদের শিক্ষা ব্যবস্হাকে পংগু করে দিয়ে ইডিয়ট মাফিয়ার জন্ম দিয়েছে ছাত্রলীগ; বাংলাদেশ থেকে এদের মুছে না ফেলা অবধি শিক্ষা ব্যবস্হা এই মাফিয়াদের দখলে থাকবে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগে ছাত্র রাজনীতিতে একটু হলেও আদর্শ ছিলো এখন তাও নাই। দেশে সিনিয়র সিটিজেনের মান সম্মান নিয়ে চলাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সিরাজুল আলম খান, আবদুর রব ও শাহজাহান সিরাজের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা ছিলো, এরা সরাই লিলিপুটিয়ান ও ক্রিমিনাল।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঐতিহ্যবাহী একটা রাজনৈতিক দল দেশের অনেক কিছুতে উনাদের অবদান আছে। তবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি তা সত্য। সবাইকে সম্মান করে এই পোষ্ট দিয়েছি।

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: শুধু তথ্য দিয়েছেন। কোনো মূল্যায়ন করেননি।
মূল্যায়ন করলে ভালো হতো।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বর্তমান রাজনীতি আমার অপছন্দ তাই মূল্যায়ন করেনি। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ অপছন্দও নয়।

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আগের মত আর অবস্থা নেই। এখন ছাত্রলীগ মানে অনেকের কাছে আতংক।

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: ক্রমান্বয়ে সব নাম জানা হলো।

১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক টুকরো ইতিহাস পুনঃপঠন হলো। + +
৬ নং মন্তব্যে চাঁদগাজী একটি কঠিন কথা বলে ফেলেছেন। হয়তো ভবিষ্যতই বলে দেবে, তিনি কতটা সত্য বলেছেন।
শাহ মোয়াজ্জেম-শেখ মনি, তোফায়েল-রব, নূরে আলম সিদ্দিকী-শাজাহান সিরাজ - এই তিন জুটির নামই সম্ভতঃ ইতিহাসে বেশিবার উচ্চারিত হবে।

১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: পুস্টে পিলাচ। বেশ তথ্য-মথ্য দেয়া। ভালা পাইলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.