![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুনভাবে ঘটনার সূত্রপাত ১৭/০৬/২০১৪ দুপুরের পরে । মি. মিঠু মহাশয় তার শাখার এক কর্মচারীকে শাখার কাজ যথাযথভাবে না করে অন্যমানুষের সুবিধা নেয়ার জন্য অন্যদের কাজ করার প্রবণতা দূর করে শাখার কাজ যথাযথভাবে সম্পর্ন করার পরে অন্যদের কাজ করার জন্য একটু বকা-ঝকা করলেন । এই বকা-ঝকা করার পিছনে আরো একটি কারন হলো মি. মিঠু মহাশয়ের বস্ উক্ত কর্মচারীকে কাজ করানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেণও একটু গরম ভাবেই । ভাবখানা যেন এমন তিনি বললে তাকে খারাপ বলবে তাই মিঠু মহাশয়কে দিয়ে বলানো । মি. মিঠু মহাশয়ের বকা-ঝকা খেয়ে উক্ত কর্মচারী খুব মনোক্ষুন্ন এবং চক্রান্তে লিপ্ত হলেন ।
অফিস ছুটির ১৫মি. পূর্বে মি. মিঠু মহাশয় অফিসের নিচে ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য নামলে মি.সাতক্ষীরার সাহেব উক্ত কর্মচারীর নিকট তথ্য নিলেন তাকে বকা-ঝকা করার কারনের । তিনি উতোপূর্ব থেকেই মি. মিঠু মহাশয়ের বাঁশ দেয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত আছেন ।
মি. সাতক্ষীরার সাহেবের কোন অনীহা নেই এবং লজ্জাও নেই মি.মিঠু সাহেবের বাঁশ দেয়ার জন্য নিচে নামতে । অবশ্য মি. সাতক্ষীরার সাহেবে সর্বদা নিজেকে নিচে রাখতেই পছন্দ করেন । নিজেকে নিচে রাখতে আনন্দ পাবার কারন অনেক । আংশিক তুলে ধরলাম পাঠকদের একটু ধারনা দেয়ার জন্য ঃ তিনি অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তান, জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন, ছাত্রজীবন পুরোটাই কেটেছে লজীন থেকে, ছাত্র হিসেবে অবশ্য ভালোই ছিলেন, মেথা এবং সুযোগের বলে ভাল প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন, চাকুরী জীবনের শুরুতে তাদের বসদের অনেক লাঞ্চনা, গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে (শুরু তার যোগদানকৃত অফিসের পরিবেশ খুব ভালো ছিলোনা-তখন বসদের বসগিরি ছিল), তার আচরনের জন্য তার পূর্বের বিভাগের কেহই তাকে মূল্যায়ন করতো না, সবমিলিয়ে তিনি জীবনে সুযোগদের দেখা একটু কমই পেয়েছেন । তাই অন্যদের ভালো দেখা তার সহ্য হয়না । তাই নিজের সুখের জন্য নিজেকে অন্যদের পিছনে নামিয়ে রাখতেই তার আনন্দ । তাই এটাকে মি. মিঠু মহাশয়ের একটু ক্ষতি করার সুযোগ মনে করে নিজেকে সাথে সাথে নিচে নামিয়ে, উক্ত কর্মচারীকে কু-পরামর্শ দিলেন এবং তাকে নিজের পক্ষে নেয়ার জন্য আংশিক ভয় দিয়ে সাহস দিলেন । তবে উক্ত ঘটনা মি.মিঠু মহাশয় জানতে পারলেন না । শুধু মি.মিঠু সাহেব বাসায় যাবার আগে যখন অফিসে আসলেন তখন শুধু উক্ত কর্মচারী আর মি. সাতক্ষীরা সাহেবকে একত্রে দেখলেন । মি. মিঠু মহাশয় কিছুই বুঝতে পারলেন না ।
পরবর্তী দিন অর্থাৎ ১৮/০৬/২০১৪ তারিখ সকালে অফিসে এসে দেখলেন উক্ত কর্মচারী মি. মিঠু মহাশয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কোন কাজই করেননি । পর পর দু'বার উক্ত কর্মচারীকে নির্দেশনা মোতাবেক কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য । তৃতীয় বারে মি. মিঠু সাহেব রাগান্বিত স্বরে কাজ করতে বলায় উক্ত কর্মচারী বলেন, নির্দেশনা মোতাবেক কাজগুলো তার নয়, তিনি তাহা করতে পারবেন না । এই কথার কাটাকাটির মধ্যে মি. সাতক্ষীরার সাহেব মি.মিঠু সাহেবের বসের নিকট গিয়ে নিজের চরিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটালো । মি. সাতক্ষীরার সাহেব রসদ লাগিয়ে মি.মিঠু মহাশয়ের বসকে কানমন্ত্র দিয়ে বের হয়ে গেলেন । (মি. সাতক্ষীরার সাহেব মি. মিঠু মহাশয়ের পিছনে লাগার সূত্রপাত বহুপূর্ব থেকে । সেদিন ছিল অফিসের সাপ্তাহিক শেষ দিন । অফিসের শেষ সময় অর্থ মন্ত্রনালয়ের একটি জরুরী চিঠি এসে পৌছেছে বিকাল ৫ টা নাগাদ । মি. মিঠু মহাশয়ের তখন বস্ ছিলন, মাননীয় কুমার মহাশয় । মাননীয় কুমার সাহেব ছিলেন কাজ পাগল, সৎ, সাহসী, রাগী এবং দূর্নীতির প্রকাশ্য অপছন্দকারী । তিনি মি.মিঠু মহাশয়কে নির্দেশনা দিলেন মি. সাতক্ষীরার সাহেবকে উক্ত টিঠি দেয়ার জন্য । মি. মিঠু সাহেব সাথে সাথে পত্র খানা মি. সাতক্ষীরার সাহেবের নিকটি নিয়ে গেলে সাতক্ষীরার সাহাবে সুকৌশলে পত্রখানা গ্রহন না করে পরবর্তী অফিসের দিন প্রদানের জন্য বলল । মাননীয় কুমার মহাশয় এতটাই কাজপটু এবং আধুনিক তিনি তার প্রতিদিনকার কর্মসূচী তাঁর ব্যক্তিগত ল্যাপটপে লিখে রাখতো এবং অফিস শুরুর প্রায় ৩০ মি. পূর্বে অফিসে প্রবেশ করতো, ৩০ পরে অফিস ত্যাগ করতো । যথানিয়মে পরবর্তী অফিস শুরু পূর্বেই মি. নাটা সাতক্ষীরার সাহেবকে ডেকে পত্রের আপডেট জানতে চাইলে নাটা সাতক্ষীরা সাহেব মি. মিঠু মহাশয়ের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করার সাথে সাথে মি. মিঠু সাহেবকি ডেকে নিয়ে মুখোমুখি পত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে সহজ-সরল মি. মিঠু সাহেব সত্য ঘটনা ব্যক্ত করায় শয়তার সাতক্ষীরার সাহেবকে আচ্ছামত মগজ ধোলাই করে দিল । মগজ ধোলাই খেযে সাতক্ষীরা সাহেব এমনভাবে বের হলেন যেন কোনরকম বেচে আছেন । সেদিনের সেই মুখোমুখী দাড়িয়ে কেন মিথ্যা কথা বললো না তাই মি. মিঠু মহাশয়ের উপর তিনি খুব ক্ষেপে গেলেন এবং তারপর থেকেই মি. মিঠু মহাশয়ের পিছনে ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন । ইতোপূর্বে বহুবার চেষ্টা করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্যর্থ ।) মি. মিঠু মহাশয় যেন আকাশ থেকে পরলেন এবং খুব ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়ে নিজের বসকে ঘটনা বললেন । মি.মিঠু মহাশয়ের কথাশুনে বস উক্ত কর্মচারীকে মি. মিঠু মহাশয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করতে বলেন এবং পরবর্তীতে সাধারন শাখার কর্মকর্তাকে কিছু ঘটনা বর্ননা এবং নির্দেশনা দিলেন বস ।
একটি ঘটনা গত ১২ তারিখে ঘটেছে মি. মিঠু মহাশয়ের প্রতি মি. নাটা সাতক্ষীরার সাহেবের বিরক্ত হবার কারন ঃ
বিভাগের একটি বড় অনুষ্ঠানে বেশ কিছু টাকা খরচের পরে বাড়তি থাকে । সেটা নাটা সাতক্ষীরা সাহেব তার সাঙ্গ পাঙ্গদের নিয়ে চুপি চুপি মেরে দিলেন এবং সম্পূর্নটাই চেয়েছিলেন । উক্ত অনুষ্ঠান উপলক্ষে অতিরিক্ত কাজ করায় আমার জন্য সামান্য টাকা বরাদ্ধ করা হয় সুপ্রিম পাওয়ারের নির্দেশনায় । কিন্তু নাটা সাতক্ষীরা সাহেব উক্ত টাকা মি. মিঠু মহাশয়কে না দিয়ে একাই গলাধকরন করতে চেয়েছিল কিন্তু তাহা একান্ত গোপন না থাকায় ১২/০৬/২০১৪ অপরাহ্নে মি. মিঠু সাহেবকে উক্ত বরাদ্ধকৃত টাকা দিতে বাধ্য হওয়ায় খুব মনোক্ষুন্ন হলেন নাটা সাতক্ষীরার সাহবে । চলবে.........
©somewhere in net ltd.