নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপর্না হালদার

always want to know

অপর্না হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি সিংহ নয়, দগ্ধ বিষয়টি নিভানোর জন্য কচ্ছোপ হলেও ক্ষতি নেই যদি কনটিনিউ লক্ষে চলতে পারি ........

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২০

শুভ সকাল । গতদিনের পর্যালোচনা আর নতুন দিনের প্রত্যাশা নিয়েই প্রতিটি প্রভাতের সূচনা হয় । সকল গুরুমুখি শিক্ষার একটি মৌলিক সংলাপ হলো, প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সারা দিনের কর্মকান্ডের পর্যালোচনা করতে হবে এবং নতুন দিনের শুভ ও ইতিবাচক উদ্দেশ্য নিয়ে চিন্তা করা উচিত ।

গতদিন ছিলো উল্টো রথযাত্রা । ঢাকার মূল প্রান্তে চলেছে জয় জগন্নাথের জয়ধ্বনি । আমি হতভাগা সেখানে শেষ প্রান্তে অংশগ্রহণ করেছি মাত্র আর নিজেকে আংশিক ধ্বিক্কার দিয়েছি । এতগুলো সনদ অর্জন করে নিজের মূলকে নিয়ে ভেবেছি কি ? সহজ সরল উত্তর । এত ভোগবিলাস আর আভিজাত্য রেখে এসব কি আর করা চলে । শিক্ষা বা বাক পটু হয়ে অনেক কথাই বলেছি, স্বগৌরবে একজন অন্য ধর্মের লোককে দেখে তাদের ধর্মানুসারে ছালাম দেই উচ্চস্বরে,জয় যিসু বলি আরো কত কি ? শুধু কন্ঠ আরষ্ট হয় শুধু মাত্র আমার জাতভাইকে দেখে নমস্কার বলতে । একটি বাস্তব ঘটনা হলো, আমার খুব কাছের একজন কলিগ আছে যার নাম উত্তম দেবনাথ । সে সর্বদা স্মার্ট, শিক্ষিতও বলা চলে । তার স্ত্রী খুবই ধার্মীক এবং একমাত্র ছেলেটিও খুব মেধাবী (যদিও বয়স অল্প) । অর্থ সম্পদও কম নয় । পিতা মাতার এখন একমাত্র ছেলে । তাঁকে আমাদের কর্মস্থলের লিফটে বসে আমি নমস্কার দিলাম সে কোন প্রতিউত্তর না দিয়ে বরং একটু লজ্জিতই হলো । আমি অবাক হলাম এবং মুখ ফসকে বলে ফেললাম লজ্জ্বা পেলে নাকি বন্ধু । এটা সামান্য একটি ঘটনার উল্লেখ করলাম মাত্র । আসলে আমাদের সমাজে আমার এমনটাই থাকতে পছন্দ করি । বাবাকে মারলে শিক্ষিত ছেলের তেমন লজ্জ্বা লাগে না ।

ইসকন উক্ত রথযাত্রার মূল আয়োজক । ঢাকাতে এত হিন্দুর সমাগমের পরেও অনেক ভয়ে সমালোচনা করে আবার অনেক এটাকে সহজে মন থেকে মেনে নিতে পারেনা । তবে আমার সার্বিক অংশগ্রহণ করতে না পারলেও গর্ববোধ করি । আশার আলো দেখি । সামনের পথ চলার শক্তি সঞ্চার হয় ।

বেশ কিছু দিন যাবত ইসকন নিয়ে অনেক ঘটনার ঘনঘটার সঞ্জার হয়েছে । আমাদের যে বুড়ো মহোদয়দের নিয়ে অনেক আশা করি তারা আসলে এখন দিকভ্রম রোগে ভুগছেন । আমার মত তরুনরা আত্মমর্জাদার লোভে আর শিক্ষার অহংকারে অধমে পরিনত হয়ে ইজ্জত রক্ষার জন্য ইজ্জত হরনকারীদের নিকট গিয়ে প্রলাপ করছি আর ভিতরে ভিতরে ভাবছি এই বুঝি উজ্জত গেল । কি অদ্ভুত প্রানি আমরা । এতকিছু হতাশার পরেও গতদিনের তরুনদের তেজদ্বীপ্ত মুখগুলো দেখে গর্বে বুক স্বস্তির নিশ্বাস নিল । আমি লেজ গুটিয়ে আংশিক অংশগ্রহণ করে জীবনের মূল শক্তির রসদের খোজে অন্য ব্যক্তির দ্বারস্থ হয়ে রাত ১০টায় বাসায় ফিরেছি । বাসায় নিত্যদিনকার কাজের ফাকে শুধু সংগৃহীত রসদ শুনেই ঘুমাতে গেলাম । রাতের ঘুমটি প্রতিদিনকার মতো হলোনা । কি যেন এক কষ্ট মনের ভিতরে আমাকে দগ্ধ করে চলেছে । এ দগ্ধ বিষয়টি যেন বুড়ো সিংহের মত না হয় এটাই ভয় । আমি সিংহ নয়, দগ্ধ বিষয়টি নিভানোর জন্য কচ্ছোপ হলেও ক্ষতি নেই যদি কনটিনিউ লক্ষে চলতে পারি ........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.