নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপর্না হালদার

always want to know

অপর্না হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর্য্য হিন্দুদের ব্রত পর্ব কুলাচার । পর্ব-১

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

বৈচিত্রময় এই পৃথিবীর বিভিন্ন ভূখন্ডে বিভিন্ন জাতি বাস করে । তাদের আহার বিহার ভাষা পোশাক লোকাচার কুলাচার কৃষ্টি সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে বৈচিত্রের সমাহার । এই বৈচিত্রের পিছনে প্রাকৃতিক ভৌগলিক জন্মগত পরিবেশগত নানা কারনও রয়েছে । বাগানে হরেক রকম ফুল-ফলের মতই বিভিন্ন জাতি বর্ণের বৈচিত্র আছে বলেই সৃষ্টি এত বর্ণিল বর্ণাঢ্য মাধুর্য মন্ডিত । সব কৃষ্টি সংস্কৃতিতেই মহিমাময় মহার্ঘ্য ব্রত পর্ব কুলাচার রয়েছে । আর্য্য হিন্দুদের ব্রত পর্বই কুলাচারই এই আলেখ্যের বিষয় ।
পৃথিবীতে শুধু একমাত্র আর্য্যহিন্দু নারীরাই সিঁদুর, শাঁখা, খাড়ু পড়েন । এই সিঁদুর শাঁখা খাড়ু প্রতি স্বাধ্বী হিন্দুনারীর এমনই পবিত্র সেন্টিমেন্ট যে, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে প্রাণভয়ে অনেক হিন্দু পুরুষ ধূতি ছেড়ে লুঙ্গি পড়েছে কিন্তু হিন্দু নারীরা সিঁদুর শাঁখা খুলতে রাজী হননি । যদিও বর্তমান সময়ে তথাকথিত পুচ্ছ প্রগতির মোহে কিছু হিন্দুনারীরা এই পবিত্র সংস্কারকে কুসংস্কার ভেবে একে বর্জন করছেন । এই পুচ্ছ প্রগতির পথিকৃতেরা এসবের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাখ্যাও করেন । বলেন পুরুষশাসিত সমাজের পুরুষ মুনি ঋষিরা নারীকে দাসী করে রাখার জন্য এই প্রথার প্রবর্তন করেছেন । বলির পশুর গায়ে যেমন রং দেয়া হয়, বিবাহিত নারীকে ঐ সিঁদুরের রং দিয়ে বোঝান হয় তুমিও বিক্রি হয়ে গেছ স্বামীর সংসারে বলির পশুর মত । শাঁখা, খাড়ু হচ্ছে শিকলের প্রতীক । পশুকে শিকলে বেধে রাখা হয় তোমাকে শাঁখা খাড়ুতে বাধা হ'লো । অথচ ঋষি প্রবর্তিত এই পবিত্র প্রথার মধ্যে নিষ্ঠা ন্দিত পতিভক্তির পাশাপাশি কল্যানপ্রসূ বিজ্ঞানও রয়ে গেছে । প্রাকৃতিক কারণে প্রতিমাসে নারীর শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হয় । লোহার খাড়ু হাতে থাকলে রক্তকনা পোষন পায । নারীর হাড় তুলনামূলকভাবে কম পুষ্ট । শঙ্খের শাঁখা হাতে থাকলে হাড় পুষ্ট হয় । আর সিঁদুর বন্ধ্যাত্বের প্রতিকার এবং নারীকে দৃষ্টিনন্দন পুন্যপ্রভায় শোভিত করে । ইহা থেকে স্পষ্ট হয় কৃষ্টির গৌরব গাথা সেই সুপ্রাচীন কালে আমাদের ঋষিরা কত বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন ।
গোবরকে হিন্দুরা ঘৃনা না করে পবিত্র ভাবেন । গোবর দিয়ে বাড়ীঘর উঠোন লেপন করেন । এমন কি বিশেষ ব্রতের সময় গোবর খাওয়ারও ধর্মীয় বিধান আছে (অনুমান)। বিষয়টি নিয়ে অনেকে ব্যঙ্গ করে থাকেন । হিন্দুদের গোবর ব্যবহারের কারন খুজলে দেখা যাবে, গোবরের মত প্রতিরোধক পৃথিবীতে কমই আছে । মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের সময় বিজ্ঞানীদের মুখে গোবরের মহাবিষ্ময়কর ক্ষমতার কথা আমরা জানতে পারি । যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র, রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহারের কথা শুনে বিজ্ঞানীরা আতঙ্কিত হলেন । বললেন এতে পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রেও এর ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে । গবেষণা করে এর প্রতিকারের পথও আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা । বললেন সারা গায়ে গোবর লেপন করে থাকলে সেই আধুনিক রাসায়নিক অস্ত্রের কুফল থেকে বাঁচা যাবে । ভাগবতে আছে শিশু কৃষ্ণকে বধ করার জন্য পুতনা স্তনে বিষ মেখে এসেছিল । সেই বিষমাখা স্তনের স্তন্য পান করায় শিশু কৃষ্ণের সর্বাঙ্গে গোবর দিয়ে আলপনা এঁকে দেওয়া হয় । বিজ্ঞানীরা ভাগবত থেকে এই বৈজ্ঞানিক সূত্র পেয়েছেন বিশ্বাস । হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থগুলো কতো আধুনিক এবং যুগোপতযোগ্য - ভাবতে অাশ্চর্য্য লাগে হাজার হাজার বছর আগে ভারতীয় আর্য মনিষিদের কথা ভেবে । সভ্যতার কোন্ চূড়ায় সমাসীন সমুজ্জ্বল সংবদ্ধিত ছিলেন তাঁরা ।...চলবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.