![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/Iambakerbhai
আমি মাঝে মাঝেই লতিফ সিদ্দিকী আর কাদের সিদ্দিকির মাঝে গুলিয়ে ফেলি। অনলাইনে সংবাদ পড়ছিলাম, হঠাৎ খবরটা চোখে এলো "কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ"
তখনই মনে পড়ল ব্যাটা না মহানবীকে কুটুক্তি করছিল, ভালই হলো। আগ্রহ নিয়ে পড়তে বসলাম, একি এ যে দেখি আমাগো বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তাও পড়তে শুরু করলাম, বেচার হঠাৎ এমন কী করল যে আদালত এমন আদেশ দিল।
কী জানলাম জানেন, গতবছর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে রাজাকার বলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ এক ব্যাক্তি আদালতে তার নামে মামলা করেছিলেন, সেই মামলায় ১৮ মার্চ ২০১৩এ কাদের সিদ্দিকী জামিন পেয়েছেন। এরপর উভয়পক্ষ আর আদালতে হাজির হননি। জামিনের সময় পেরিয়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় এই আদেশ।
ব্যাপারটা কিছুটা খারাপ দেখালেও আদলত সবদিকে নজর দিচ্ছে, এটা ভাল কথা এবং অনেক ভালো দিক।
অবাক কখন লাগে যানেন, যখন সাগর-রুনির হত্যা মামলা শুধু তদন্তের নামে ঝুলে থাকে, আর মাঝ থেকে সেই আলোচিত ঘটনার সাক্ষী দারোয়ানটি হারিয়ে যায়। অথচ প্রশাসন কিছুই জানে না বলে বেরিয়ে যায়। অথচ আদালত চুপ কারণ তদন্ত চলছে।
একজন নুর হোসেনের দেশে না ফেরার যখন সাত খুনের মামলা কিছুটা পথ এসে আটকে থাকে।
আগামীকাল হামলা বা সহিংসতা ঘটাবে দাবী করে(যদিও ধরার সময় কারণ জানাতে পারেনি, কারণ পেতে ৮ঘন্টা সময় লেগেছিল) বিরোধী দলের ৫০এর বেশি নেতাকে বাসায় মিটিং থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে প্রশাসন দিনভর আটকে রাখে। হোক না শুধুই ধারণা, কিন্তু জনগনের জন্যই তো করছে। আবার সেই প্রসাসনই নারায়নগঞ্জের ৭খুনের মামলার কিছুই জানত না!
কানাডায় বসে ফেসবুকে শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করার ৪৮ ঘন্টার আগেই যুবক গ্রেফতার হয়, অথচ মহানবীকে কটুক্তি করার এতোদিন পরও লতিফ বাবাজীকে ধরতে পারে না কেউ?
ভারতের কথায় শেখ-হাসিনার উপর হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে তা সরকার ও বন্ধূ ভারত জানে অথচ পিলখানার ব্যাপারে সবাই চুপ। এতো ব্যাপারে কথা হয় কিন্তু যখন ফেলানীর কথা আসে তখন কোন সরকারই আর কিছু বলতে চায় না।
কেন জানি একসাথে হওয়া মামলাগুলোর সবগুলোতেই খালাস পেল শেখ-হাসিনা অথচ খালেদা আজও হাজিরা দিচ্ছে।
এককালে সপ্ন দেখতাম বড় হয়ে রাজনিতী করব, কিন্তু এখন আর মনে হয় না। যদিও আমার বড় হওয়া শেষ হয়নি। যারা দেশের পক্ষে কথা না বলে তারা হয়তো কিছুই না, কিন্তু যারা দেশের বিপক্ষে কথা বলে তারা।
আজ বিএনপি রাজাকারদের বিচার নিয়ে চুপ, অথচ তারা দেশের অন্যতম দলের একটি। সব সাক্ষী আছে বলেও কেন জানি গত আমলে হাতে নেওয়া ৪৩ বছর আগের কিছু বিচার এখনো ঝুলে আছে। যার জন্য মাঝে মাঝে এমন অরাজকতার সৃষ্টি হয় যে মানুষ মারও যায়।
কিছু মানুষের পেটে লাথি মারা হয়, অথচ শুধু হাসিনা-খালেদা নয় দেশের সকল বড় রাজনৈতিক ব্যাক্তি তৃপ্তি করেই খান, শুধু তাই নয় জেলের সেই ব্যাক্তিটিও ভাল খবারই খান।
জানেন কেন এমন হয় আর ভাবতে চাই না। ভাগ্যভাল এখন আর সেই ছোট্টটি নেই, নাহলে যে কীভাবে যে আমার দেশ রচনাটা লিখতাম?
তাই সব ভুলে গান ধরি
"কোন এখ উল্টো রাজা উল্টো বুঝল প্রজার দেশে.........."
*******ভাই খামাকা গালি দিবেন না, ভাল না লাগলে আপত্তিকর বলে মরারেটরে চালান দিন
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৯
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: আপনার উত্তর দেবার চেষ্টা করলাম মাত্র। নিচের কমেন্ট থেকে দেখে নিবেন।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৬
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: See here. Thanks to you শিকদার ওয়ািলউজ্জামান।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩১
শিকদার ওয়ািলউজ্জামান বলেছেন: ভাগ্য ভাল এখন আর ছোট্টটি নেই, নাহলে যে কীভাবে 'আমার দেশ' রচনা লিখতাম?! কিভাবে...?