নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে শুধু মানুষের বসবাস রবে।

আজকের বাকের ভাই

https://www.facebook.com/Iambakerbhai

আজকের বাকের ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই হরতালের দায় কার?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৯

আগামী কাল থেকে শুরু হবে ৭২ ঘন্টার হরতাল, হয়তো আবারো ঘোষনা হলে বেড়ে যাবে এই ক্ষণ। কিন্তু কথা হচ্ছে এই হরতালের দায় কার?



প্রথমত আমি(ভাবনা একান্তই আমার) এর দায়ভার সম্পুর্ণ সরকারকে দিব। কারণ সরকার বিএনপিকে এমন ভাবে রেখেছে যেন তারা হরতাল দিতে বাধ্য হয়। যখন রাস্তায় মানুষ নির্বিঙ্ঘে চলাচল করছিল তখন তাদের অনেকেই মাইক হাতে বলেছে "বিএনপি সম্পুর্ণ ভাবে ভেঙ্গে গেছে, সরকার পতন দুরের কথা তার রাস্তায় নামতেও ভয় পায়।" বিএনপিতো একটি দল, আমার কোন সহপাঠী আমায় এভাবে বললে, সেটা যাই হোক তা করার একটা পদক্ষেপ আমি নিতামই(বিএনপি ও আওয়ামী-লীগ দুইদলকেই সহপাঠী ধরা যেতেই পারে)।" তাহলে বিএনপি কী কারনে ঘরে বসে থাকবে?



৫ই জানুয়ারী নির্বাচন

বিএনপি ও আওয়ামী-লীগ আমাদের দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল। তাই কোন একজনের ছাড়া একটি জাতীয় নির্বাচন শুধু এখনই নয় আগেও গ্রহনযোগ্যতা পায়নি আর ভবিৎষতে ও কখনো পাবে না। বিএনপি কেন আসেনি তার দায়ভার সরকার নেবে না ভাল, কিন্তু তাদের মৌলিক অধিকার আন্দোলন তা কখনোই কেউ কেড়ে নিতে পারে না।



দয়া করে আপনারা কিছু বলার আগে ১৯৯৬ এ পত্রিকাগুলো একটু ঘুরে আসবেন। সেই সময় আন্দোলনও কিন্তু একই কারনে ছিল, তবে দলল ছিল বর্তমান সরকার। তবে এখন আন্দোলন বন্ধ হবে কেন?



আমার কিছু প্রশ্ন

মাঝে মাঝে কিছু পোস্টে আমাদের ব্লগার ভাইদের মাঝে কয়েকজন খারাপভাষা ব্যব হার করে মন্তব্য করেন। তাই খারাপ ভাষা ব্যব হারের আগে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন বলে আশা করি

গত ডিসেম্বরে গাজীপুরে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি, সমাবেশ স্থানেরও অনুমতি পেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে। প্রশাসনের অনুমতি না মেলার কোন কারণ ছিল না, কিন্তু কী হলো? আসলেই কী আওয়ামী-লীগের সমাবেশের কোন ইচ্ছা ছিল?

আওয়ামী-লীগও সেদিনই সমাবেশ ডাকল। দেখানো হলো, পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে, কেউ সমাবেশ করতে পারবে না, ১৪৪ধারা।



৫ই জানুয়ারী, কারো গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আবার কারো হত্যা দিবস। ঢাকা শহর কবরের মতো সাড়ে তিনহাত জায়গা নয় যে, দুই দলকে সমাবেশ করতে জায়গা দিতে কষ্ট হবে। সরকারের মতে সব কুকর্মই বিএনপি-জামায়াতের, তাহলে তো সেদিন শুধু একটি সমাবেশকেই পাহারা দিলেই হতো! আপনাদের কেউতো দেশের কোন ক্ষতি করত না, করতেই পারে না। তাই না?



আবারো ১৪৪, সকল সমাবেশ নিষিদ্ধ। সরকারের অনেক দায়িত্ববান কে দেখা গেল সংবাদ মাধ্যমে। কী মধুর কথা, তারা কোথাও কোন সমাবেশ করছে না, কোন মিছিল করছে না, কোথাও কোন শ্লোগান নেই। আপনারা কী দেখেছেন জানিনা, তবে আমি দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ব্যানারসহ শীর্ষনেতাদের শ্লোগান দিতে দেখেছি। তবে কী সেদিন বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী-লীগের ব্যানারে রাস্তায় ছিল?



রাস্তা শুধু গাড়ী চলাচলের জন্য। ১৪৪ধারা হলেতো কেউ রাস্তায় বসে শ্লোগান দেবার কথা নয়? তবে সে(৫ই জানুয়ারী) দিন যারা রাস্তা দখল করে জন গনকে নিরাপত্তা দিচ্ছিল তারা কারা?



আমাদের মায়া সাহেব বললেন, খালেদা নিজের বাসার কাজ ফেলে রাখেন আর কিছু হলেই কাজের জন্য বালুর ট্রাক ইটের ট্রাক এনে নিজেই নিজের রাস্তা আটকে রাখেন। হতে পারে কিন্তু চালকদের কথাা কী কেউ সংবাদ মাধ্যমে দেখেছিলেন?(কেউ যদি মায়া সাহেবের কথা সত্য মনে করেন তাই আর কী)



আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, "খালেদা অবরুদ্ধ নন, তিনি চাইলেই নিজের বাড়ী যেতে পারেন।" কেন শুধু বাড়ি যাবারই অনুমতি পাবেন?



গতকাল নৌমন্ত্রীর ঘোষনার পরই, আজ খালেদার কার্যালয়ের বিদুৎ সংযোগ, পানি সংযোগ বন্ধ। তবে কী তিনি নতুন করে বিদুৎ ও পানি মন্ত্রীর পদ পেলেন?



সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে আগামী পরশু থেকে শুরএসএসসি পরীক্ষার জন্য অবরোধ ও হরতাল তুলে নেবার জন্য খালেদাকে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের এমন কোন আচরণ কী দেখাতে পারবেন, যে জন্য এই অবরোধ বা হরতাল তুলে নেওয়া যেতে পারে?(আমিও হরতালের পক্ষে নই)



আর জনাবা খালেদা

আপনি শুধু শুধু এমনটি করবেন না। যদি একান্তই আন্দোলনের ইচ্ছা থাকে তবে রাস্তায় নেমে আসুন, আন্দোলনের ডাক দিন। আপনি গ্রেফতার হবেন না কী হবে সেটা পরে। ঘরে বসে আন্দোলন চালিয়ে যাব বলে কিছু নিরপরাধ মানুষকে মারবেন না। তারা রাস্তায় গাড়ী নিয়ে নামে কারণ তার প্রতিদিনের আয়ের উপরই ঘরে মানুষগুলো ছা-পোষার মতো বেচে আছে। নামলে রাস্তায় আসুন, নিজের না হয়ে জনগনের কথা ভাবুন। তারা যদি আপনার পাশে থাকে তবে কোন জেলই আপনাকে আটকে রাখতে পারবে না। কিন্তু দোহাই লাগে এমনভাবে কর্মসুচি চালাবেন না, তাতে হয়তো আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন বটে, কিন্তু ক্ষতি সামলে উঠতেই আবার নির্বাচনের সময় এসে যাবে।



নিজে আরামে থেকে অন্যদের মরতে বা মারতে নির্দেশ দেবেন না। হয়তো বলবেন, কার্যালয়ে আরামের কী? কিন্তু জানেন, যারা আজ হাসপাতালে দগ্ধ হয়ে পড়ে আছে, তারা কী আরামে কী পাচ্ছে?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২০

খেলাঘর বলেছেন:

" আর জনাবা খালেদা
আপনি শুধু শুধু এমনটি করবেন না। যদি একান্তই আন্দোলনের ইচ্ছা থাকে তবে রাস্তায় নেমে আসুন, আন্দোলনের ডাক দিন। আপনি গ্রেফতার হবেন না কী হবে সেটা পরে। ঘরে বসে আন্দোলন চালিয়ে যাব বলে কিছু নিরপরাধ মানুষকে মারবেন না। "

পাকী-পেট্রোল-বোমা ম্যাটাম রাস্তায় যায় না, অফিসে বসে বোমা মারার ছক আঁকে।

২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২২

শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: দেশের বারোটা না বাজা পর্যন্ত কারও শান্তি হবেনা।

২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৫

দেশী ম্যান বলেছেন: বিএনপিকে কোন ছাড় দেয়া হবে না, সন্ত্রাসীর দল কে পুরো অবরোধ করে ফেলা হবে। জয় বাংলা।

২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনির্বাচিত স্বৈরাচারিতার শেষ হবে একদিন।

বাকশাল আজিবন রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করিয়ে সকল পত্রিকা বন্ধ করে ৩০ হাজার জাসদ কর্মী যারা বেশীরভাগই মুক্তিযোদ্ধা তাদের হত্যা করেও কিন্তু মসনদ টিকে নাই। টেকে না।

শুধু পতন নয় ঠাই হয় ইতিহাসের পাতায় ঘৃনার সাথে।

খালেদা জিয়াকে বের হতে না দিয়ে গেটে ১৭ দিন তালা যাদের চোখে পড়ে না.. আবার চেতনার জিকির করে তারা হিপোক্রেট!

২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.