নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের যেকোন লেখা বিনা অনুমতিতে কপি-পেষ্ট করা যাবে
بسم الله الرحمن الرحيم
সর্বাবস্থায় সকল প্রশংসা আল্লাহর।আমাকে সুখে রাখলেও প্রশংসা আল্লাহর, আমাকে দুঃখে রাখলেও প্রশংসা আল্লাহর । আর অসংখ্য দরূদ নাযিল হোক তাঁর নবীর উপর বারবার। উম্মতের কল্যাণ চিন্তায় যিনি ছিলেন বেকারার।
১ম পর্ব এখানে আছে।
২য় পর্ব আছে এখানে।
৩য় পর্ব এখানে আছে।
এই পর্বে আমরা যেই গাণিতিক মিরাকেল নিয়ে আলোচনা করবো সেটা বুঝতে হলে আগে যেই গাণিতিক বিষয়গুলো বুঝতে হবে সেগুলো প্রথমে নীচে আলোচনা করছি।
কোন সংখ্যা ২ ও ৩ দিয়ে ভাগ যায় কি যায়না এই হিসাবে সংখ্যা ৪ প্রকার। যথাঃ
(১)এমন সংখ্যা যা ২ দিয়ে ভাগ যায় কিন্তু ৩ দিয়ে ভাগ যায়না। এমন সংখ্যার নাম আমরা দিলাম টু-নট-থ্রি নাম্বার।
(২)এমন সংখ্যা যা ৩ দিয়ে ভাগ যায় কিন্তু ২ দিয়ে ভাগ যায়না। এমন সংখ্যার নাম আমরা দিলাম থ্রি-নট-টু নাম্বার।
(৩)এমন সংখ্যা যা ২ ও ৩ উভয়টি দিয়েই ভাগ যায়। এমন সংখ্যার নাম আমরা দিলাম টুথ্রি নাম্বার।
(৪)এমন সংখ্যা যা ২ ও ৩ কোনটি দিয়েই ভাগ যায়না। এমন সংখ্যার নাম আমরা দিলাম নট-টু-নট-থ্রি নাম্বার।
আরেকটা ব্যাপার আসুন প্রথম প্রকার সংখ্যাকে উদাহরণ হিসাবে নিয়ে আলোচনা করি, বাকী তিনটাও প্রথমটার মতই। কোন সূরার আয়াত নাম্বার ও সিরিয়াল নাম্বার উভয়টাই যদি টু-নট-থ্রি নাম্বার হয় অথবা আয়াত নাম্বার ও সিরিয়াল নাম্বার কোনটাই টু-নট-থ্রি নাম্বার না হয় তাহলে আমরা বলতে পারি যে, ঐ সূরার আয়াত ও সিরিয়াল নাম্বার এক জাতীয় বা একই গুণবিশিষ্ট বা হোমোজেনাস। তাই ঐ সূরাটিকেও আমরা ১ম গুণের প্রেক্ষিতে বলতে পারি হোমোজেনাস সূরা।
পক্ষান্তরে যদি কোন সূরার আয়াত নাম্বার ও সিরিয়াল নাম্বারের কোন একটি টু-নট-থ্রি নাম্বার হয় আর অন্যটি তা না হয় তাহলে আমরা বলতে পারি যে, ঐ সূরার আয়াত ও সিরিয়াল নাম্বার এক জাতীয় নয় বা একই গুণবিশিষ্ট নয় বা নন-হোমোজেনাস। তাই ঐ সূরাটিকেও আমরা ১ম গুণের প্রেক্ষিতে বলতে পারি নন-হোমোজেনাস সূরা।
তাহলে ১ম প্রকার সংখ্যার প্রেক্ষিতে কোরআনী সূরাগুলোকে আমরা হোমোজেনাস আর নন-হোমোজেনাস এই দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। এরকম বাকী তিন প্রকার সংখ্যার প্রেক্ষিতেও আমরা কোরআনী সূরাগুলোকে হোমোজেনাস আর নন-হোমোজেনাস এই দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। তাহলে উপরোক্ত চার প্রকার সংখ্যার প্রেক্ষিতে আমরা কোরাআনী সূরাগুলোকে মোট আট প্রকারে ভাগ করতে পারি ।
এখন আমরা আল্লাহ চাহেতো সামনে দেখাতে চেষ্টা করবো যে, এই আট প্রকার সূরা কিভাবে কোরআনের ১ম অর্ধভাগে ও ২য় অর্ধ ভাগে অলৌকিকভাবে ঠিক সমভাবে বন্টিত হয়েছে । ব্যস্ততার কারণে এই পর্বে সব চার্ট দিতে পারিনি। ইনশাল্লহ আস্তে আস্তে চার্ট তৈরী করে অ্যাড করে দিব। ।
নিম্নে একটি ছবি দেওয়া হল যাতে উপরের চার প্রকার সংখ্যা বিভিন্ন কালারে চিহ্নিত করা আছে। সিরিয়াল নাম্বার এবং আয়াত নাম্বার উভয় প্রকার নাম্বার এর মধ্যেই চিহ্নিত করা আছে। ছাই কালারের সংখ্যাগুলো টু নট থ্রি নাম্বার। টিয়া কালার করা সংখ্যাগুলো হলো থ্রি নট টু নাম্বার। সাদা কালার করা সংখ্যাগুলো হল টু থ্রি নাম্বার। আর নীল কালার করা সংখ্যাগুলো হলো নট টু নট থ্রি নাম্বার।
"২ দিয়ে ভাগ যায় কিন্তু ৩ দিয়ে ভাগ যায়না" এমন নাম্বার অর্থাৎ টু-নট-থ্রি নাম্বারের অলৌকিক সমবন্টনঃ
আমরা জানি, প্রতি সূরার সাথে দু'টি নাম্বার আছে। একটা হলো সূরার আয়াত নাম্বার আরেকটা হলো সূরার সিরিয়াল নাম্বার। ২ দিয়ে ভাগ যায় কিন্তু ৩ দিয়ে ভাগ যায়না এমন আয়াত নাম্বার আছে ৪০টি। আর এমন সিরিয়াল নাম্বার আছে ৩৮টি।
এই গুণটি অর্থাৎ ২ দিয়ে ভাগ যায় কিন্তু ৩ দিয়ে ভাগ যায়না এই গুণটি যেসব সূরার আয়াত নাম্বার ও সিরিয়াল নাম্বার উভয়টির মধ্যে পাওয়া যাবে অথবা উভয়টির কোনটির মধ্যে পাওয়া যাবেনা সেসব সূরাগুলো হলো এই গুণের প্রেক্ষিতে হোমোজেনাস সূরা ।
আর এই গুণটি যেসব সূরার আয়াত নাম্বার ও সিরিয়াল নাম্বার উভয়টির কোন একটির মধ্যে পাওয়া যাবে সেসব সূরা হলো এই গুণের প্রেক্ষিতে নন-হোমোজেনাস সূরা।
উল্লেখিত গুণের প্রেক্ষিতে হোমোজেনাস সূরা দু'প্রকার। এক হলো এই গুণটি, আয়াত নাম্বার ও সিরিয়াল নাম্বার উভয়টির মধ্যে পাওয়া যাবে। এমন সূরা ১৫টি। আর দুই হলো এই গুণটি আয়াত নাম্বার ও সিরিয়াল নাম্বার কোনটির মধ্যে পাওয়া যাবেনা। এমন সূরা ৫১টি।
তাহলে মোট হোমোজেনাস সূরা হলো ৬৬টি। বিস্ময়করভাবে এই ৬৬টি সূরার মধ্যে কোরআনের ১ম অর্ধভাগে আছে ৩৩টি সূরা আর ২য় অর্ধভাগে আছে ৩৩টি সূরা। ঠিক সমান দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। ঠিক একই ঘটনা সামনে আরো তিন বার ঘটবে।
আবার উল্লেখিত গুণের প্রেক্ষিতে নন-হোমোজেনাস সূরাও দু'প্রকার । এক হলো এই গুণটি আয়াত নাম্বারের মধ্যে পাওয়া যায় কিন্তু সিরিয়াল নাম্বারে পাওয়া যায়না। এমন নন-হোমোজেনাস সূরা হলো ২৫টি। দুই হলো এই গুণটি আয়াত নাম্বারের মধ্যে পাওয়া যায়না কিন্তু সিরিয়াল নাম্বারে পাওয়া যায়। এমন সূরা হলো ২৩টি। তাহলে মোট নন-হোমোজেনাস সূরা হলো ৪৮টি।বিস্ময়করভাবে এই ৪৮টি সূরার মধ্যে কোরআনের ১ম অর্ধভাগে আছে ২৪টি সূরা আর ২য় অর্ধভাগে আছে ২৪টি সূরা। আবারো ঠিক সমান দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে।
"৩ দিয়ে ভাগ যায় কিন্তু ২ দিয়ে ভাগ যায়না" এমন নাম্বার অর্থাৎ থ্রি-নট-টু নাম্বারের অলৌকিক সমবন্টনঃ
কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে ১৯টি সূরার আয়াত নাম্বার হলো থ্রি-নট-টু নাম্বার। এবং ১৯টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার হলো থ্রি-নট-টু নাম্বার। থ্রি-নট-টু নাম্বারের প্রেক্ষিতে মোট হোমোজেনাস সূরা হলো ৮৪টি এবং মোট নন-হোমোজেনাস সূরা হলো ৩০টি। আশ্চর্যজনকভাবে এবারো হোমোজেনাস ৮৪টি সূরা থেকে ঠিক অর্ধেক, ৪২টি সূরা আছে কোরআনের ১ম অর্ধভাগে আর বাকী ৪২টি সূরা আছে ২য় অর্ধভাগে।
এরপর বিস্ময়করভাবে নন-হোমোজেনাস ৩০টি সূরা থেকে ঠিক অর্ধেক, ১৫টি সূরা আছে কোরআনের ১ম অর্ধভাগে আর বাকী ১৫টি সূরা আছে ২য় অর্ধভাগে।
"২ ও ৩ ঊভয়টি দিয়ে ভাগ যায়" এমন সংখ্যা অর্থাৎ টুথ্রি নাম্বারের অলৌকিক সমবন্টনঃ
কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে ১৯টি সূরার আয়াত নাম্বার হলো টুথ্রি নাম্বার। এবং ১৯টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার হলো টুথ্রি নাম্বার। টুথ্রি নাম্বারের প্রেক্ষিতে মোট হোমোজেনাস সূরা হলো ৮১টি এবং মোট নন-হোমোজেনাস সূরা হলো ৩৩টি। এখন '৮১' একটি বেজোড় সংখ্যা হওয়ার কারণে তাকে সমানভাগে ভাগ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তারপরেও যতদূর সম্ভব সমানভাগে ভাগ করা হয়েছে । আশ্চর্যজনকভাবে হোমোজেনাস ৮১টি সূরা থেকে, ৪০টি সূরা আছে কোরআনের ১ম অর্ধভাগে আর বাকী ৪১টি সূরা আছে ২য় অর্ধভাগে।
এরপর বিস্ময়করভাবে নন-হোমোজেনাস ৩৩টি সূরা থেকে, ১৭টি সূরা আছে কোরআনের ১ম অর্ধভাগে আর বাকী ১৬টি সূরা আছে ২য় অর্ধভাগে।
ফলে অবশেষে হোমোজেনাস - নন হোমোজেনাস মিলে প্রথম ভাগেও আছে ৫৭টি সূরা এবং দ্বিতীয় ভাগেও হোমোজেনাস - নন হোমোজেনাস মিলে আছে মোট ৫৭ টি সূরা।
"২ ও ৩ কোনটি দিয়ে ভাগ যায়না" এমন সংখ্যা অর্থাৎ নট-টু-নট-থ্রি নাম্বারের অলৌকিক সমবন্টনঃ
কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে ৩৫টি সূরার আয়াত নাম্বার হলো নট-টু-নট-থ্রি নাম্বার। এবং ৩৮টি সূরার সিরিয়াল নাম্বার হলো নট-টু-নট-থ্রি নাম্বার। নট-টু-নট-থ্রি নাম্বারের প্রেক্ষিতে মোট হোমোজেনাস সূরা হলো ৫৭টি এবং মোট নন-হোমোজেনাস সূরা হলো ৫৭টি।এবার ৫৭ একটি বেজোড় সংখ্যা হওয়ায় যদিও ঠিক সমান দু'ভাগে ভাগ করা সম্ভব নয়। কিন্তু যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু করা হয়েছে।
বিস্ময়করভাবে হোমোজেনাস ৫৭টি সূরা থেকে ২৯টি সূরা আছে ১ম অর্ধভাগে আর ২৮টি সূরা আছে ২য় অর্ধভাগে।
এরপর নন-হোমোজেনাস ৫৭টি সূরা থেকে ২৮টি সূরা আছে ১ম অর্ধভাগে আর ২৯টি সূরা আছে ২য় অর্ধভাগে।
ফলে আবারও হোমোজেনাস - নন হোমোজেনাস মিলে মোট ৫৭ টি সূরা আছে প্রথম অর্থভাগে ; এরপর হোমোজেনাস - নন হোমোজেনাস মিলে মোট ৫৭ টি সূরা আছে দ্বিতীয় অর্ধভাগে
একেক মানুষ একেক মন মেজাজের হয়।অনেকের কাছে এসব সংখ্যার বিন্যাস টিন্যাস অর্থহীন বা আজাইরা বা বেকার মনে হতে পারে। কারো কাছে মনে হতে পারে এগুলো গুরুত্বহীন। কেউ ভাবতে পারে বিন্যাস হয়েছে তো কি হয়েছে? ইত্যাদি ইত্যাদি। তো এই ব্যপারে বলতে চাই যে, আমার আপনার মনে কি জাগলো বা না-জাগলো তাতে কিছুই আসে যায়না। মনে একটা কিছু জাগলেই সেটার অনুসরণ করা যাবেনা, সেটা মেনে নেয়া যাবেনা। আপনাকে অতি অবশ্যই চিন্তা করতে হবে যে, আপনার চিন্তার ভিত্তি কি? আপনি মনে মনে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেটার ভিত্তি কী? আপনার সিদ্ধান্তের কি কোন ভিত্তি আছে নাকি নিছক আবেগ বা গোঁড়ামি বা খামখেয়ালীপনা। মনের আজগুবি ভিত্তিহীন চিন্তা ও খেয়ালকে মেনে নেয়ার পরিণতি হবে অতিশয় ভয়ানক। আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে আমরা কি দাবী করেছি এবং কিসের ভিত্তিতে দাবী করেছি। আমাদের ভিত্তি বা প্রমাণ ঠিক আছে কিনা সেটা আপনি যাচাই করবেন।ঠিক হলে গ্রহণ করবেন আর ঠিক নাহলে গ্রহণ করবেননা। আর আমাদের দাবী খণ্ডন করতে হলে আপনাকে আমাদের ভিত্তি খণ্ডন করতে হবে, অন্য প্রমাণিত ভিত্তির আলোকে। আমাদের দাবী এমং সেটার ভিত্তি আমরা আগের পোষ্টগুলোতে এবং সেগুলোর কমেন্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অনুগ্রহ করে দেখে নিন। মহান আল্লাহ আমাদের বুঝার তওফিক দিন। এই লেখাকে কবুল করুন। আমিন । সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তথ্যসূত্রঃ এখান থেকে নেয়া হয়েছে।
কিছু অতীব জরুরী পোষ্টঃ মাথা খুব ঠান্ডা রেখে পড়তে হবে
ইসলামের নবী (সল্লাল্লহু আলাইহিওয়আ সাল্লাম) এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের উত্থাপিত প্রায় সকল প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব । হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহ - পর্ব ৩
আর বিজ্ঞান দিয়ে যারা ইসলামকে মোকাবেলা করতে চায় তাদের জবাব দিতে নীচের পোষ্টগুলো পড়ুন।
যারা বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনের ভুল ধরেন তারা সবাই একটু দেখুন। সাইন্টিফিক মেথড সম্পর্কে আগে জানুন।
দু'টি চুরির মামলা এবং সেই আলোকে বিবর্তনবাদ, পৃথিবীর স্থিরতা, আস্তিকতা- নাস্তিকতা এবং নাসার চাঁদে যাওয়ার প্রমাণ।।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৪
মূসা আলকাজেম বলেছেন: জাজাকাল্লহ।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
মুদ্দাকির বলেছেন: কত চমক যে আছে , চিন্তাই করা যায় না
আসসালামুয়ালাইকুম
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৬
মূসা আলকাজেম বলেছেন: ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। সত্যিই আরো আছে অনেক। সময়ের অভাবে বাংলা অনুবাদ করতে দেরী হচ্ছে।এর উপর চার্টগুলো আমার নিজের তৈরী করতে হয়।কত পর্বে যে শেষ হবে আল্লাহই জানেন। দোয়া করবেন আল্লাহ যেন সময়ে ও কাজে বরকত দেন। জাজাকাল্লহ।
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮
মূসা আলকাজেম বলেছেন: এই চতুর্থ পর্বে আলোচিত বিন্যাস কিন্তু আমাদের পূর্বের পর্বগুলোতে আলোচিত বিন্যাসগুলোর চেয়ে কোন অংশে কম নয়। এক হিসাবে এই বিন্যাসটি করা আরো বেশী কঠিন। কেননা, এই পর্বের বিন্যাসটি করতে হলে আপনাকে
প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে যে, ১১৪টি সিরিয়াল নাম্বার ও ১১৪টি আয়াত নাম্বারের কোনটি ২ ও ৩ দিয়ে ভাগ যায় আর কোনটি যায়না;
এরপর খেয়াল রাখতে হবে যে উপরোল্লেখিত চার প্রকার সংখ্যার প্রেক্ষিতে কোন সূরাগুলো হোমোজেনাস আর কোনগুলো নন-হোমোজেনাস।
এরপর গিয়ে আপনাকে হোমোজেনাস আর নন-হোমোজেনাস সূরাগুলো সমভাবে বন্টন করতে হবে কোরআনের উভয় ভাগে।
আরো জটিলতা আছে। আটটি ভাগের সূরাগুলো যদি আলাদা আলাদা হতো, তাহলেও জটিলতা কিছু কমতো। অর্থাৎ যদি এমন হতো যে, যেই সূরাগুলো ১ম ভাগে পরেছে সেগুলো আর অন্যকোন ভাগে নেই, তাহলেও জটিলতা কিছু কমতো। কিন্তু না, ১ম ভাগে যেসব সূরা আছে , সেগুলো থেকে কিছু সূরা আবার অন্য আরো কিছু ভাগেও আছে। একই কথা প্রতি ভাগের ক্ষেত্রে খাটে। এরফলে জটিলতা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। এবার আপনি এই চতুর্থ পর্বকে ১ম পর্বের অলৌকিক সিঁড়ির বিন্যাসের সাথে মিলিয়ে চিন্তা করুন। এদিকে আপনি আট প্রকার হোমোজেনাস আর ন-হোমোজেনাস সূরা সমবন্টন করবেন , নাকি ঐদিকে আপনি স্বর্গীয় সিঁড়ির হিসাব মিলাবেন। সামান্য কমনসেন্স যার আছে সেও কোরআনের এই অতি বিস্ময়কর জটিল গাণিতিক সৌন্দর্যের সামনে মাথানত না করে পারবেনা।
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
শাহাদাত রুয়েট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার নতুন পুরাতন লেখা এই নতুন সাইটে জমা দিতে পারেন।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
মূসা আলকাজেম বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই। ইনশাল্লহ চেষ্টা করবো।
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: এগুলো কোরানের বিপক্ষে যাচ্ছে।
এগুলোতে আগে 'রেজাল্ট' ধরে, তারপর চেস্টা করে অংককে ওভাবে মিলায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: subhanallah