![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ভাই শান্তি মানুষ, শান্তি নিয়ে পড়ালেখা করি। ঝামেলায় যাইতে চাইনা কিন্ত ঝামেলা আমার পিছু ছাড়েনা।
ধৈর্য মানুষের অন্যতম মানসিক শক্তিগুলোর মধ্যে একটি। ধৈর্যশক্তি না থাকলে দীর্ঘমেয়াদী কোনো কাজই করা সম্ভব নয়। ধৈর্য সব মানুষের মধ্যেই থাকে, কারো কম, কারো বেশি। ধৈর্যশক্তি কম থাকলে মানুষ অল্পতেই রেগে যায়, কোনো কাজে সময় বেশি লাগলে সে কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, অধ্যবসায় কমে যায়। ফলে উন্নতির পথে পদে পদে বাধা আসে।
ধৈর্যশক্তি কম থাকলে মানুষ চট করে রেগে যায়। রেগে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়। কারণ রেগে গেলে সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার শক্তি হ্রাস এবং তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই জীবনে সামনে এগিয়ে যেতে হলে এবং সফল হতে হলে ধৈর্যশক্তির প্রয়োজন রয়েছে। আপনার ধৈর্য যদি কম হয়ে থাকে তাহলে তা কয়েকটি উপায়ে ধীরে ধীরে অনুশীলনের মাধ্যমে বৃদ্ধি করা সম্ভব। জেনে নিন উপায়গুলো।
মেডিটেশন করুন :
মেডিটেশন বা ধ্যান ধৈর্যশক্তি বাড়ানোর একটি কার্যকর পদ্ধতি। ধ্যান মানুষের মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে, কাজের ভঙ্গিকে ধীর-স্থির করে, যা ধৈর্যশক্তি বৃদ্ধির লক্ষণ। মেডিটেশন বা ধ্যান করলে আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষ চট করে রেগে ওঠে না। এছাড়া ভালো-মন্দ বিচারের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় যা ধৈর্যশক্তি বাড়ায়। প্রতিদিন নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ধ্যান করুন। সেটা হতে পারে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অথবা রাতে ঘুমানোর আগে। একটি নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী মেডিটেশন বা ধ্যানের চর্চা করুন।
অটোসাজেশন দিন :
অটোসাজেশন অর্থ নিজেই নিজেকে সাজেশন বা পরামর্শ দেয়া। ধৈর্য বৃদ্ধি করতে এ পদ্ধতিও বেশ কাজে দেয়। রেগে গেলে নিজেই নিজেকে শান্ত হতে বলুন। নিজেকে বোঝান যে, রেগে যাওয়া একটি খারাপ ব্যাপার, এতে নিজেরই ক্ষতি হয়, এর চেয়ে ঠান্ডা মাথায় সমস্যার সমাধান করা ভালো। এসব কথায় আত্মনিয়ন্ত্রণ করাটাই হলো অটোসাজেশন। কোনো কাজে মন না বসলে বা কাজ করতে করতে ধৈর্য হারিয়ে ফেললে একই পদ্ধতিতে নিজেকে বোঝান। নিজেকে ধৈর্য ধরতে বলুন, মনোযোগী হতে বলুন।
সৃজনশীল কাজ করুন :
সৃজনশীল কাজ আমরা শখের বশে করে থাকলেও জানেন কি, সৃজনশীল কাজ ধৈর্যশক্তি বাড়ায়? বিশেষ করে কারুশিল্প এক্ষেত্রে বেশি ফলদায়ক। কোনো সৃজনশীল কাজ করতে যথেষ্ট পরিমাণে মনোযোগের দরকার হয়ে। সেটা হতে পারে ছবি আঁকা, গানের অনুশীলন করা, কবিতা আবৃত্তির জন্য কবিতা মুখস্থ করা, সেলাই করা বা কোনো কিছু তৈরি করা ইত্যাদি। যে কাজটাই করবেন না কেন তাতে প্রয়োজন হবে মনোযোগের। আর যেহেতু এসব কাজ মনের আনন্দে করা হয় তাই মনোযোগটা স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে। এই মনোযোগ ও কাজের প্রতি আগ্রহই ধৈর্যশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ধৈর্যশক্তি বৃদ্ধি করতে চাইলে সৃজনশীল কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকুন এবং নিয়মিত এর চর্চা করুন।
দলবদ্ধভাবে কাজ করুন :
দলবদ্ধভাবে কাজ করলে ধৈর্যশক্তি স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। কেননা তখন অন্যের মতামত শুনতে হয় এবং তাতে গুরুত্ব দিতে হয়। কাজ সঠিকভাবে করতে যথেষ্ট পরিমাণে ধীরস্থির হতে হয়, অধৈর্য হলে চলে না। কারণ এর সাথে অন্যরাও জড়িত থাকে। পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হয় এবং ধৈর্য সহকারে অন্যের কথা ভাবতে হয়। দলবদ্ধভাবে কাজ করলে একটা দায়বদ্ধতার সৃষ্টি হয়, ফলে ধৈর্যশক্তি কিছুটা হলেও বাড়ে।
বিরক্তিকর পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন :
যেসব পরিস্থিতিতে পড়লে আপনি সহজেই বিরক্ত হন এবং যেসব মানুষজন আপনার বিরক্তির উদ্রেক করে তাদের যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। যেসব কাজ করতে গেলে সহজেই অধৈর্য হয়ে পড়েন, সেসব কাজ ধীরে ধীরে সময় নিয়ে করুন। কাজের মাঝে মাঝে বিরতি নিন। ধীরে ধীরে এই বিরতির সময়টা কমিয়ে আনুন এবং এক পর্যায়ে বিরতি বন্ধ করে দিন। ধীরে ধীরে কাজের সময়টাও কমিয়ে আনুন। এক সময় দেখবেন, স্বাভাবিক সময়েই অধৈর্য না হয়ে আপনি কাজটি করতে পারছেন।
যেসব বিষয়ে আপনি দ্রুত রেগে যান, সেসব বিষয় এড়িয়ে চলুন। একেবারেই তা সম্ভব না হলে এরকম পরিস্থিতি পড়লে আপনার প্রিয় কোনো বিষয়ের কথা ভাবুন। কোনো মজার স্মৃতি, প্রিয় মানুষ বা পছন্দের কোনো জিনিসের কথা ভাবলে রাগ আপনাতেই কমে আসবে।
.....আমাদের রাজনৈতিক গাদারা এটা মেনে চলবেন এবং এটা পরে ধৈর্য দরা শিখবেন........।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫১
আগুন পাখী১৩ বলেছেন: সকল ধর্মই ধৈর্য ধারণ করার উপদেশ দিয়েছে।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫১
স্যার ... বলেছেন: Yeah, really it is truth.
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১
আগুন পাখী১৩ বলেছেন: হহহহহহহহহমমমমমমমমম........
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: টিপসগুলো ভালো লাগলো ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪
আগুন পাখী১৩ বলেছেন: এগুলো আমার নিজেরও অনেক ভাল লাগ। আমি খুব রাগি মানুষ, তাই এগুলো করার চেষ্টা করি।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
নূর আদনান বলেছেন: শেষে এটা কি কইলেন!!! এটা তো বেসম্ভব ব্যপার !!
তবে পোষ্টে প্লাস
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫
আগুন পাখী১৩ বলেছেন: কইলাম যদি একটু..............................................................।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
স্যার ... বলেছেন: বেলা শেষের বর্ননাগুলো সত্যিই আজ অনেক কিছু মনে করিয়ে দিল।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭
আগুন পাখী১৩ বলেছেন: হহহহমমমমম..।
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমার আব্বু, আম্মু আর বোন আমার বিরক্তির উদ্রেক করে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
আগুন পাখী১৩ বলেছেন: আপনি ধৈর্য ধরুন এবং বিরক্তির কারণ গুলো বাবা,মা এবং বোনের সাথে শেয়ার করুন,দেখবেন অনেক কিছু ঠিক হয়ে গেছে.।
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
আগুন পাখী১৩ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
বেলা শেষে বলেছেন: Dear brother Assalamualikum, I am a new bloger, i had studied your good writing on tolarance...........
Allow me to added a complimet from Allah: [2:152]
সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়ো না।
হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
[2:155]
এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।
যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।
তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত।