নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদকথা

একেএম সাইফুল্লাহ

একেএম সাইফুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৃষ্ণপক্ষে ফুটবল – একাল ও সেকাল

০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:১৪

কৃষ্ণপক্ষে ফুটবল – একাল ও সেকাল
একেএম সাইফুল্লাহ

ভাইয়ার এসএসসি পরীক্ষা সামনে। ওর পড়ার জন্য আরেকটু জায়গা দরকার। ভাই-বোনেরা বড় হচ্ছি। জায়গা দরকার আমাদেরও। এসব বিবেচনা করে, বাড়িটাকে আরেকটু বড় করার কথা ভাবলেন আব্বা। দেখতে দেখতেই নতুন একটা ঘর উঠল আমাদের। জোড়া লেগে গেল, পুরানো বাড়িটার সাথে। আমার খুশির মাত্রাটা একটু বেশি। কারণ, নতুন ঘরের বাইরের দেয়ালে, ছাদ ঘেঁষে দু’টো লোহার হুক লাগানো হয়েছে। যেখানে বাঁশের পোল লাগানো যাবে। সেসময় খেলার দিনে প্রিয় দলের পতাকা বাঁশের মাথায় লাগিয়ে উড়ানো এক ধরণের নিয়মের মধ্যে পরতো। অলিখিত একটা প্রতিযোগিতাও হত। কার পতাকা কত বড় আর কত উঁচুতে উড়েছে, সে নিয়ে। পত্রিকা পড়ার প্রয়োজন পরত না। পাড়ায় বের হলেই বলে দেয়া যেত, আজ মোহামেডানের খেলা নাকি আবাহনীর?

খেলা দেখতে মামা আর খালাতো ভাইয়ের সাথে ছয় বছর বয়সে প্রথম স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম ১৯৮০ সালে। ঢাকা লীগের খেলা। মোহামেডান ৪-০ গোলে জিতেছিল পুলিশের সাথে। সালাম, বাদল রায় আর মোসাব্বের গোল করেছিলেন সেদিন। সেই শুরু।

যখন বড় হতে লাগলাম, মধ্য আশির সময়গুলোতে, কি ভয়ংকর প্রতিদ্বন্দ্বিতাই না হত! রেফারীর সাথে গন্ডগোল করার অপরাধে, খেলার মাঠ থেকে সালাহউদ্দিন, চুন্নু, হেলাল আর আনোয়ারকে একবার পাঠিয়ে দেয়া হয় যশোর জেলে। পরদিন, দৈনিক ইত্তেফাক আর দৈনিক বাংলার প্রথম পাতায় শুধুই এ ঘটনার বর্ণনা। এল ক্লাসিকোর চেয়ে, লন্ডন কিংবা মিলান ডার্বির চেয়ে মানে পিছিয়ে ছিলাম, তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নয় কোনভাবেই।

শেষ দুপুরে খেলা শুরুর দু-তিন ঘন্টা আগেই উপচে উঠত গ্যালারী। আইসক্রিম, চানাচুর, ছোলা, ঘুগনীর সাথে চলত উত্তপ্ত আলোচনা। আরো থাকত চা, পানি, পান। মহল্লার বিভিন্ন দ্বন্দ্বের হিসেব নিকেশ হত স্টেডিয়াম পাড়ায়। উন্মাত্তাল হয়ে উঠত সমর্থক দল। বড় দুই দলের খেলা নিয়মিত দেখেছে অথচ কাঁদুনে গ্যাসের ঝাঁঝ সইতে হয়নি এমন দর্শক বিরল। দুই দলের সমর্থকদের আলাদা করে রাখা হত কাঁটাতারের বেষ্টনী দিয়ে। মাঝে ‘নিরপেক্ষ অঞ্চল’। সেখানে থাকত পুলিশ। তার আগে সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা। কি হবে আজ, কি হবে? আবাহনীর লেফট উইঙ্গার ‘মাস্টার ড্রিবলার’ চুন্নুর সাথে মোহামেডানের রাইট ব্যাক আবুল কি পারবে? রাইট ব্যাকে কে সবচেয়ে ভাল? ‘রিক্সাওয়ালা আবুল’ নাকি সদ্য অবসরে যাওয়া ‘নির্ভীক মঞ্জু’?

আবাহনী-মোহামেডান মধ্যগগণে জ্বলজ্বল করে জ্বলার সময় বিজেএমসি নামের একটা আধা পরিচিত দল ১৯৭৯ সালের লীগ জিতে নিয়েছিল। লোকে বলত - ‘ওয়ারী আইল’, ‘আযাদ ধরল’, ‘রহমতগঞ্জ খাইলো’, ‘আরামবাগ হইল জায়েন্ট কিলার’, এমন কত কথকতা। সে সময় আযাদ স্পোর্টিং ক্লাবকে মনে করা হত, খেলোয়াড় তৈরীর সূতিকাগর। কুমিল্লা থেকে এসেছিলেন বাদল রায়। খুলনা থেকে আব্দুস সালাম। ১৯৮২ সালে বড় বড় চুল, লিকলিকে গড়নের আব্দুস সালাম নয় নম্বর সাদা-কাল জার্সী পরে একদা অনতিক্রম্য মনে হওয়া কাজী সালাহউদ্দিনের এক লীগে করা ২৪ গোলের অতিমানবিক রেকর্ড ভেঙ্গে দিলেন ২৭ গোল করে।

দলবদল মানেই বাড়তি উত্তেজনা। পত্রিকার কাটতি বেড়ে যাওয়া। সমর্থকরা পালা করে পাহারা বসাতো ক্লাব আঙিনায়। রাজশাহীতে খেলা শেষ হবার পরপরই ইলিয়াস আলীকে ড্রেসিং রুমের পেছন দিয়ে বের করে, মোটর সাইকেলে চড়িয়ে সোজা নিয়ে আসা হয়েছিল ঢাকায়। সম্রাট হোসেন এমিলি পর পর ছয় বছর চ্যাম্পিয়ন দলে খেলেছেন।

মোহামেডান থেকে আবাহনীতে গিয়েই ‘জামাই আসলাম’ হয়ে গেলেন ‘মহাতারকা’। খুলনায় ‘খ্যাপ’ খেলতে গিয়ে ব্রাদার্সের মোহসিনের গায়ে একবার বোমা পরল। বিআরটিসির রুমি, কৃষ্ণা আতংক ছড়াচ্ছেন আবাহনী শিবিরে। প্রান্ত রেখা ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ব্রাদার্সের ওয়াসিম, মোহামেডানের জোশি, মনু। রক্ষণে অতন্দ্র প্রহরী হলুদ আর আকাশি নীলের মোনেম মুন্না, সাদা কালোর কায়সার হামিদ। শুধু অর্থকড়ি নয়। ভালবাসার জন্যও কোন কোন খেলোয়াড় এক দলে থেকে যেতেন বছরের পর বছর।

নাইজেরিয়ান চিমা ওকেরি কোন দলে খেলবে, সে নিয়ে ভীষণ ফ্যাসাদ। দুই দলই তাকে দলে ভেড়াতে চায়। শামির শাকের, করিম আলভি, নাসের হেজাজি, নালজেগার, ভিজেন তাহিরি, রহিমভ, এমেকা ইউজিগো কতসব তারকা। কেউ বিশ্বকাপ খেলে এসেছেন। কেউবা এখানে খেলে বিশ্বকাপে গিয়েছেন। বছরের পর বছর এদেশে খেলতে খেলতে পাকির আলী নামের এক শ্রিলঙ্কান ডিফেন্ডার প্রায় বাংলাদেশিই হয়ে গিয়েছিলেন। তারই স্বদেশী প্রেমলালও ঢাকা স্টেডিয়ামে খেলেছেন বহু বছর। নেপাল থেকে আসতেন গনেশ থাপা। ঘানা থেকে ইব্রাহিম সেংগর। থাইল্যান্ডের তারকা স্ট্রাইকার চাইউত এসেছিলেন একবার। এশিয়ান ক্লাব কাপে ইরানের পিরুজি ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে মোহামেডান চুড়ান্ত পর্বে খেলতে থাইল্যান্ড গিয়েছিল এশিয়ার কুলীনদের সাথে লড়াই করবে বলে।

এদেশে গত ৪০ বছরে (১৯৮৩ থেকে ২০২৩) জাতীয় ফুটবল দলের কোচের পরিবর্তন হয়েছে ৫৬ বার! গত ৩০ বছরে (১৯৯৩ সালে থেকে) বিদেশি কোচ এসেছেন ২২ জন! বিদেশি কোচের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে ওয়ার্নার বেকেলহফট দিয়ে। ১৯৮৯ সালে ছিলেন নাসের হেজাজি। এরপর উজানের প্রবল স্রোতের মতন কোচ এসেছেন একের পর এক। হারিয়ে যেতেও সময় লাগেনি তাদের। অবিশ্বাস্য মনে হলেও দীর্ঘ এ তালিকায় অটো ফিস্টারের মতন বিশ্ববরেণ্য কোচও ছিলেন। যিনি আমাদের দেশে আসার ঠিক আগেই সৌদি আরবকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপ ফুটবলে! আর তার আগে ঘানা’র যুব দলকে এনে দিয়েছিলেন “যুব বিশ্বকাপ শিরোপা”!!

মালদ্বীপের কোন দল এলে, খেলা দেখার আগ্রহে ভাটা পড়ত। সবাই জানত চার/পাঁচ গোলের ব্যাবধানে জিতবে আমাদের দল। ফল জেনে গেলে খেলা দেখার ইচ্ছেটা মরে যায়। আমাদেরো যেত। শ্রীলংকা, ভুটানকে দুধভাত মনে করে, কত কথাই না হত। জাতীয় দলতো দুরের কথা। ভুটানের সাথে খেলা উচিত দ্বিতীয় বিভাগের কোন দল। এমন ভাবত কত শত জন।

সে সময় নিয়মিতভাবে প্রতি বছর চার চারটা লীগ হত। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগ আর পাইওনিয়ার। নিয়ম করে স্কুল ফুটবল হত। পাইওনিয়ার লীগে খেলত পাড়ার দলগুলো। দুই ধাপের প্রথম বিভাগে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকত ১৬/২০ টা দল। সুপার লীগ হত শীর্ষ আট দল নিয়ে। আর এখন দশ/বার দলের একটা লীগ চালাতেই ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। এশিয়ান পর্যায়তো যোজন যোজন দূরের পথ। সাফের সেমিফাইনালকেও মনে হয় দূঃসহ কল্পনার অনতিক্রম্য দূরত্ব!

আগা খান গোল্ড কাপ বন্ধ হয়েছে অনেক আগে। প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপ বন্ধ হয়েছে। ফেডারেশন কাপও বন্ধ হয়ে গেছে।

এরই মাঝে হঠাৎ করে উদয় হল, ভুঁইফোড় কিছু ক্লাব। তারই ধারাবাহিকতায় ধানমন্ডি নামের সুন্দর একটা ক্লাবের নাম পাল্টে গেল একদিন। সাইফ স্পোর্টিং আশা জাগিয়ে এল। আবার চলেও যায়। ফুটবলার তৈরীর আঁতুড়ঘর নামে পরিচিত পাইওনিয়ার লীগে খেলা ক্লাবগুলো আস্তে আস্তে প্রায় শূন্যে মিলিয়ে গেল।

গোপীবাগে, আরামবাগে ধানমন্ডির মাঠে আক্ষরিক অর্থেই বিদেশী খেলোয়াড়দের ‘হাট’ বসে। ক্লাব কর্মকর্তারা সেই ‘হাট’ থেকে পছন্দের খেলোয়াড় কিনে নেন। হাইতিয়ান সনি নর্দে আর ইংলিশ লি টাকের মত দু’-একজন উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বাদ দিলে, অতি নিম্নমানের খেলোয়াড় তারা। তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে অবৈধ ড্রাগ ব্যাবসায় জড়িত থাকার অভিযোগও শোনা যায়। সিলেটে একটা একাডেমি হয়েছিল। সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে বছর গড়াবার আগেই।

তখনো ক্লাবগুলোত জুয়ার আসর বসত, এখনো বসে। বহু বছর ধরেই এদেশে পাতানো খেলা হত, এখনো হয়। রেফারিদের নিরপেক্ষতা আগেও প্রশ্নাতীত ছিল না, এখনো নেই। রাজনীতি সবসময়ই ছুঁয়ে থেকেছে খেলার মাঠ। তারপরেও একজন মেজর হাফিজ ছিলেন। একজন রহিম ছিলেন। আবু ইউসুফ, কায়কোবাদ, প্রতাপ শংকর হাজরা, গোলাম সারওয়ার টিপু ছিলেন। খেলোয়াড়-কোচ-সংগঠকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সময় মত বিভিন্ন টুর্নামেন্ট হত, লীগ হত। যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব লেগে থাকত পাড়া-মহল্লার দলগুলোর মাঝেও। এক মহল্লার সাথে আরেক মহল্লার খেলায়, স্থানীয় প্রতিযোগিতায় স্নায়ুর চাপ, উত্তেজনার পারদ সর্বদাই ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে। গরম, বৃষ্টি, শীত কোনকিছুই মাঠমুখী জনতার ঢলে বাধার প্রাচীর হয়ে উঠতে পারেনি। এতসব দক্ষযজ্ঞের মাঝেও একের প্রতি অপরের শ্রদ্ধা আর সম্মানের প্রকাশ ছিল অবারিত। দ্বন্দ্ব আর ভালোবাসার সে এক অপূর্ব সহবাস!

কিন্তু, নব্বইয়ের পর থেকেই কি যেন হতে থাকল আমাদের। বিভিন্ন পর্যায়ে সেই লোকগুলো থাকলেন ঠিকই, কিন্তু প্রক্রিয়াগুলো থাকল না। খেলা অনিয়মিত হয়ে গেল। হারিয়ে যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সেইসব মহারণ। মোহামেডানের মতন ঋদ্ধ ক্লাবও থমকে যায়। ক্রীড়া সংগঠকেরা ব্যাখ্যাতীতসব কারণে মহাকালের অতলে হারিয়ে যেতে থাকেন।

পতনের এই অবিশ্রান্ত বিরুদ্ধ স্রোতে গেল ক’বছরে বসুন্ধরা কিংসের অগ্রযাত্রা বিষ্ময়কর! কিংস অ্যারেনা নামে নিজস্ব মাঠ বানিয়েছে তারা। তাদের হয়ে খেলেছেন হার্নান বার্কোস, ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের মতন তারকারা। শিরোপা অর্জনের আনন্দভারে ন্যুব্জ এখন তারা।

কয়েক দশকের দীর্ঘশ্বাস আর বুক ভাঙ্গা হাহাকার চিরে কলসিন্দুরের এক ঝাঁক দুঃসাহসী কিশোরীরা আসে এই বাংলায়। কোন এক কাল পূর্ণিমার দেয় ডাক “জাগো বাহে কোনঠে সবায়?” দুর্বিনীত এই কিশোরীদের দল তারুণ্যে পা দিয়েই কাঁপিয়ে দেয় দক্ষিণ এশিয়া। রাজধানীর রাজপথ তাঁদের অর্জনে, গর্জনে, দৃপ্ত পদভারে প্রকম্পিত হয়। মেঘের কোণে আশারা সোনালী কিরণ হয়ে উঁকি-ঝুঁকি দেয় আবার।

এর মাঝে ফিফার নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমেছে বিভিন্ন সময়ে। কখনো বাফুরের উপর। এ মুহুর্তের কথা বলতে গেলে বাফুফের সাধারণ সম্পাদকের উপর। বর্তমান বাফুফে সভাপতি দেড় যুগ ধরে এদেশের ফুটবলের দন্ডমুন্ডের কর্তা। ঘুমের ঘোরে দেখা স্বপ্নের কোন সীমারেখা আছে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হতেই পারে। তবে উনার দেখানো অলীক স্বপ্ন সকল বিশেষণ ছাপিয়ে, অবাস্তব অসীমের পানে ধায়। নির্বোধ ও নিরর্থ মনে হওয়া সেসব কথার শেষ নেই কোন। এমন মানসিক স্থিতি ছাড়া সংগঠক দিয়ে কি কোনভাবেই চলে? এদেশে চলে। এভাবেই চলে। চলে তো আসছে।

আমাদের ফুটবলের সোনালী সম্ভাবনা আজ ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চের অতল গহবরে নিমজ্জিত। ফিফার ২১১ টি সদস্য রাষ্ট্রর মাঝে আমাদের অবস্থান ১৯২! সেই মালদ্বীপ, আমাদের বলে কয়ে হারায়। আমরা হেরে যাই ভূটানের কাছেও।

যাদুকর সামাদের এদেশে, শরতের পেজা তুলো, হেমন্তের পাতা ঝড়া গান আর শীতের হিমেল হাওয়ার সুরভি নিয়ে ফুটবল আসত, আমাদের ঘরে। আমাদের বেঁচে থাকার নিয়ামক হয়ে। প্রতিদিনের অজস্র কষ্টের মাঝে, প্রতিকুল পরিবেশে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মাঝে, জীবনে তরঙ্গ তুলতে উৎসব হয়ে, অপার আনন্দ নিয়ে আসত ফুটবল। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য।

শহরতলীর যেখানে আমরা থাকতাম, ফি-বছর বর্ষার পানিতে তার একটা বড় অংশ ডুবে যেতে। নতুন পানিতে, পরিষ্কার জলে ফুটবল নিয়ে নেমে পড়তাম। বলটাকে কায়দা করে পেটের নিচে রাখতে পারলেই ডুবে যাবার ভয় নেই। গোলাকার বলটা এভাবেই ভাসিয়ে রাখত, জীবন রাঙাতো আমাদের।

আজ সেই বল নেই। নতুন জলে সন্তরনের জায়গাও নেই। ভয়ানক কৃষ্ণপক্ষের রাতে ঘুম ভাঙলেই মনে হয়, ডুবে যাচ্ছি না তো! সত্যি, নাকি দুঃস্বপ্ন?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: একসময়ে ফুটবলের উন্মাদনা আর ধীরে ধীরে তা ফিকে হয়ে গভীর অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া নিয়ে আপনার স্মৃতিচারণমূলক লেখায় অনেক কিছু জানা হোল।
হ্যা মেয়েদের ফুটবল কিছু আশার সঞ্চার করছে সন্দেহ নেই।
সালাউদ্দিন এন্ড গং বড় ভয়ঙ্কর!!

০৬ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

একেএম সাইফুল্লাহ বলেছেন: মেয়েদের সাফল্য যদি জাগিয়ে তুলতে পারে এদেশের ফুটবল, যদি পারে।

"আমি তোমার জন্যে পথপ্রান্তে অশ্বত্থের মতো
দাঁড়িয়ে থাকবো-
ঐ বৃক্ষ অনন্তকাল ধ’রে যোগ্য পথিকের
জন্যে প্রতীক্ষমান,
আমাকে তুমি প্রতীক্ষা করতে বোলো
আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবো অনড় বিশ্বাসে,
দাঁড়িয়ে থাকতে-থাকতে
আমার পায়ে শিকড় গজাবে…

আমার প্রতীক্ষা তবু ফুরোবে না…"

২| ০৬ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ফুটবল আবার জেগে উঠবে এই দেশে।

০৬ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫

একেএম সাইফুল্লাহ বলেছেন: নিশ্চয়ই জাগবে। রাত পোহাবার আর কত দেরী পাঞ্জেরী..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.