![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/arjunasrinpony.author
উত্তরাধিকার সম্মত্তিতে নারীর অংশ যতটুকু আছে তা কি বাস্তবে আসলেই নারীর হস্তগত হচ্ছে? আজকে প্রায় ৬০ জন নারী-পুরুষের মধ্যে প্রশ্নটা করেছিলাম, যেখানে ৩% পুরুষ ছিল উত্তরদাতা হিসেবে। এদের একজনও আমাকে শতভাগ পজিটিভ কোন জবাব দিতে পারে নি।
প্রশ্ন আপনাদেরকেও করলাম...
যদি নারী হয়ে থাকেন তবে আপনি নিজে, আপনার মা, বোন. ভাবী ইত্যাদি আর
যদি পুরুষ হয়ে থাকেন তবে আপনার মা, ভাবী, স্ত্রী, বোনদের ক্ষেত্রে তাদের
-প্রাপ্য সম্পত্তি কি তাদেরকে কাগজে -কলমে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে?
-প্রাপ্য সম্পত্তিতে কি তাদের দখল আছে?
-প্রাপ্য সম্পত্তি কি তারা ভোগ করতে পাচ্ছে?
-প্রাপ্য সম্পত্তি কি তারা চাইলেই বিক্রি করতে পারে?
আমি দুঃখিত, এতো অল্প কথার পোস্ট দেওয়ার জন্যে। কিন্তু আমি মতামত জানতে চাই বলেই ইন্টারনেটে যোগাযোগের যে কয়টি মাধ্যম আমি ব্যবহার করি তার সব কয়টিতেই প্রশ্নগুলি করার চেষ্টা থাকবে। আশা করি আপনারা আপনাদের মতামত জানিয়ে বাধিত করবেন। জবাবে তেমন কোন জটিলতা নেই। প্রথমত "হ্যাঁ" অথবা "না"....যদি প্রতিটার জবাব হ্যাঁ হয়, তবেতো আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি "না" হয় তবে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কি কি হতে পারে...।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
আরজু পনি বলেছেন:
আপনার মা আপনার মামাদের কাছে কখনো চান নি। এই বিষয়টা অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি, ভাইরা মন খারাপ করবে ভেবে বোনেরা সম্পত্তি চায় না। আবার সম্পত্তি নিলে ভাই, ভাবীর সাথে মানসিক দূরত্ব বেড়ে যাবে ভয়েও অনেক মেয়ে সম্পত্তি চায় না।
অনেক সময় ভাইরাও দিতে আগ্রহী থাকে না।
তবে এছাড়া বাকী যেটুকু বললেন, তা জেনে অনেক ভালো লাগলো। ভাইই হোক বা বোনই হোক অবিচার যেন না হয়।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫২
চাচু বলেছেন: আমার নিজের মা , বোন , খালা , চাচী সবার জন্যই প্রত্যেকটির উত্তর হ্যা। অনেক ক্ষেত্রে তারা তাদের প্রাপ্যের চেয়ে বেশিও পেয়েছে।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
আরজু পনি বলেছেন:
এই যে বেশি পেয়েছে, সেক্ষেত্রে যদি তাদের সম্পর্কিত ছেলেরা ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তবে আলহামদুলিল্লাহ। না হলে বিষয়টা দুঃখজনক।
পজিটিভ রেজাল্ট পেয়ে ভালো লাগছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চাচু।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬
টিনটিন` বলেছেন: বাবার সম্পত্তিতে ছেলেমেয়েরা ২:১ পাবে। ছেলে ২, মেয়ে ১।
বাবার সম্পত্তিতে মা পাবে ১/৮
বোন পাবে ২/৩ (অবশিষ্টভোগী)
মা পবে ১/৬
আরো অনেক ব্যাখ্যা আছে।
এখন আপনার পোষ্টে উত্তর হলো:
আমি জানিনা সবাই ঠিকমতো পাচ্ছে কিনা? তবে অনেককেই দেখেছি উত্তরাধিকার আইনের মাধ্যমে সঠিক ভাগ-বাটোয়ারা করতে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৯
আরজু পনি বলেছেন:
উত্তরাধিকার আইনে কে কতটুকু পাচ্ছে...আমার আপাতত এই নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু
যা আছে, তাতে নারী ঠিকমতো তার প্রাপ্যটা পাচ্ছে কি না সেটাই জানার বিষয়।
তবুও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে।।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে ই নারীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার পায় না। এটা কুবই দুঃখজনক। এমন কি মোহরানার টাকা নিয়েও টালবাহানা।ক্ষমা ফর্শূলায় পুরুষ নারীদের বঞ্চিত করে।২য় ++
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৯
আরজু পনি বলেছেন:
আর কিছুই না...আপাতত প্রাপ্য সম্পত্তির দাবী...আজকে যাদের সাথে দিনের বেলা কথা হয়েছে, আমি খুবি হতাশ।
পাশে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সেলিম।।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩০
অচিন আলো বলেছেন: আমার ফুফু ও চাচীদের ক্ষেত্রে হ্যাঁ
মা ও খালাদের ক্ষেত্রে উনারা নানার সম্পত্তি খুব কম থাকায় ছেড়ে দিয়েছেন মামাদের। তাই উত্তর হ্যাঁ বা না কোনটাই দেওয়া যাচ্ছে না।
তবে আমার গ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এখন আর মেয়েদের সম্পত্তি না দিয়ে কেউ তেমন পার পেতে পারে না। অনেকেই না পেলে মামলা করে দেয়। তবে সহজে দিতে চায় না এখনও এমন লোকের সংখ্যাই বেশী।
রাষ্ট্র নারীদের সম্পত্তিতে অধিকার নিয়ে গন মাধ্যম এ ব্যাপক প্রচারনা চালাতে পারে। সচেতনটাই আসল।
আর যারা নারীদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে চায় না বা দেয় না, তাদেরকে ফৌজদারী আইনের আওতায় শাস্তির বিধান করলে, বিষয়টা অনেক সহজ হয়ে যাবে। কারন এই অন্যায় করলে কোন শাস্তি পেতে হয় না এটা সবাই জানে। আর বাঙ্গালী সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে বড়ই ওস্তাদ
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০২
আরজু পনি বলেছেন:
এই যে সম্পত্তি ছেড়ে দেয়া, এটা অনেক সময়ই ইচ্ছের বিরুদ্ধে হচ্ছে।
সহজে দিতে চায় না এই অংশটাই বেশি। এটাই বাজে সত্যি।
হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। সচেতনতাই আসল কথা।
কেননা নিজের কাছের প্রিয় মানুষগুলোর সাথে শুধুই সম্পত্তির কারণে মামলা মোকদ্দমা করাটা খুবই দুঃখজনক। এতে সম্পর্ক্ও নষ্ট হয়ে যায়
অনেক গুলো সুন্দর পরামর্শের জন্যে অনেক কৃতজ্ঞা রইল আলো ।।
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাই দের ছাড় দিয়ে মেয়েরা অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে।এটা এখনকার সাধারণ ঘটনা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৮
আরজু পনি বলেছেন:
বোনেরা সাধারণত ছাড় দেয় অনিচ্ছাকৃতভাবে।
এছাড়া অনেক সময় ভাইদের থেকে যদি বোনদের আর্থিক অবস্থা ভালো হয়, সেক্ষেত্রে বোনেরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হবে ভয়েই বোনরা সম্পত্তি মিনমিন করে চেয়ে তারপর ক্ষান্ত দেয়। এমনটা অনেক দেখেছি, শুনেছি।
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যতদূর জানি মা'র নামে যতটুকু ছিল তার কিছু অংশ মা আমার একমাত্র মামাতো ভাইকে দিয়ে দিয়েছে আর কিছু অংশ আছে। এখন সেটা বিক্রি করবে কিনা রেখে দিবে তা জানিনা। আমার একমাত্র বোনের ব্যাপারে আশাকরি কোন সমস্যা হবেনা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০২
আরজু পনি বলেছেন:
সমস্যা যদি না হয় তবেতো কোন কথাই নেই। কিন্তু দেখা যায় নারীরা তাদের প্রাপ্য সম্পত্তি পাচ্ছে না, তাদের পাওয়ার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও।
অনেক নারীই দীর্ঘশ্বাস ফেলে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে। যা পাওয়ার অধিকার তার পুরোপুরিই ছিল।
আমাদের যা আছে তাইতো পাচ্ছি না!!!!
এই প্রাপ্যটাই চাই।
অনেক ধন্যবাদ *কুনোব্যাঙ*। ভালো থাকুন সবসময়।।
৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৩
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
সবচেয়ে বেশী সমস্যা হয় সিঙ্গেল গার্ল বেবি। বাবা মার কষ্টার্জিত সম্পদও সবটা পায়না। ভাতিজারা দূর থেকে এসে ভাগ দাবি করে, দখল করে!
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৬
আরজু পনি বলেছেন:
এখানে বাবা-মা যদি সম্পত্তি বাচ্চার নামে দিয়ে দেয় জীবিতাবস্থায় তবে মনে হয় আর কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।
অবশ্য কখনো কখনো তেমন হয়ে উঠে না
অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন।।
৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০০
বোকামন বলেছেন:
সম্মানিত লেখক,
আমার পরিবারে ক্ষেত্রে উত্তর টা হ্যা। তবে আমার পরিবারের বাইরেও প্রতিবেশী, দূর-সম্পর্কের আত্মীয় স্বজন, কলিগ তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে পজেটিভ উত্তর পাওয়া যাবে না।
রুট লেবেলে অবস্থা কিন্তু খুব বেশী ভয়াবহ! তারা প্রাপ্য বিষয়টি ই বুঝে না ।
এর থেকে পরিত্রাণের উপায়, সামজিক সচেতনতা এবং তা করতে হবে আন্তরিকভাবে, সবার দায়িত্ব মনে করে ......
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৮
আরজু পনি বলেছেন:
আপনার পরিবারের নারীরা তবে প্রাপ্য মর্যাদাটাই পাচ্ছেন। জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আর আসলেই দুঃখজনক যে, সাধারণত বেশিরভাগ নারীই বঞ্চিত হচ্ছে কোন না কোন ভাবে।
তাদের দীর্ঘশ্বাস যেন আর শুনতে না হয়...সচেনত হোক আপনজন।।
অনেক ধন্যবাদ বোকামন। ভালো থাকুন সবসময়।।
ফজরের আযান পড়ছে। শুভ ভোর।।
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৮
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আসলে মেয়েদের নাকি কম দেয়া হয় না , সম্পত্তি কম দিলেও আর কি কি সব নাকি দিক থেকে তাদের অনেক নিরাপত্তা দেয়া হয় , তবে এখন পুরুষ শাসিত সমাজে ইসলামে অই বন্টন ব্যাবস্থার সুযোগে কম দিয়া পরবর্তি দায়ীত্ব বোধ দেখায় না । এইটা হইলো সমস্যা । নাইলে ইসলামের বন্টন ব্যাবস্থায় কাউকে ঠাকানোর প্রশ্নই উঠে না ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
আরজু পনি বলেছেন:
ধর্ম কাকে কতটুকু দিল এর চেয়ে যাকে যতটুকু দিল সে কি সেটা ঠিক মতো পাচ্ছে না কি কেউ ঠকছে আর কেউ ঠকাচ্ছে..? বিষয়টা আসলে সবাই তাদের প্রাপ্যটা ঠিক মতো পাচ্ছে কি না।
আমরা নিজেদের স্বার্থের চিন্তা করতে যেয়ে ঠকাচ্ছি কাছেরই আপনজনকে।
এর থেকে পরিত্রাণ পা্ওয়া দরকার।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পাইলট।।
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৪
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আমার বাবা-চাচাদের ক্ষেত্রে ফুফুদের সব পাওনা দিয়ে দিয়েছেন দাদার মৃত্যুর একমাসের মধ্যে।
আমরা তিন ভাইও কনফিডেন্ট বোনদেরটা দিয়ে দেব। সময় হলেই। অবশ্য একবোনের প্রয়োজনে তাঁকে দেয়া হয়েছে।
বাট আমার মায়ের ক্ষেত্রে এখনো হয়নি । নানা গত হয়েছেন ১৯ বছর। নানু গত হয়েছেন ৫ বছর। মামারা শুধু মাইন্ড গেম খেলে। মা'ও খুব বেশি কিছু বলেনা। যখন আমাদের ভর্তি চাকরি সংক্রান্ত ঝামেলায় পড়েন তখনই চান। বাট তারা এমন ভাব নেয় মনে চায় তাদেরই দিয়ে আসি। অথচ প্রচলিত বাজারে মার সম্পত্তির মূল্যমান প্রায় ১৫/১৬ লাখ টাকা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
আরজু পনি বলেছেন:
হ্যাঁ, সুপান্থ...আসলে এমনই কিন্তু হচ্ছে। খুব কাছের মানুষগুলোই শুধুমাত্র সম্পত্তির কারণেই হয়ে যাচ্ছে পর।
এর থেকে পরিত্রাণের জন্যে সচেতনতার বিকল্প নেই।
আপনার মায়ের দাবী গুলো ঠান্ডা মাথায় আপনাদেরই আদায় করতে হবে।
সালাম রইল মায়ের জন্যে।।
১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৬
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: প্রাপ্য সম্পত্তি পাচ্ছে কি পাচ্ছে না এটা নির্ভর করে প্রাপকের ব্যাক্তিত্বের উপর। আমার খালা আমার নানা বেচে থাকতে বড় মেয়ে হিসেবে অনেক কিছুই নিয়েছেন। জমি কিনেছেন ঢাকায় নানার টাকায়। বাড়ী বানিয়েছেন তাও বড়মামার টাকায়। এছাড়া গ্রামের একটা বড় অংশের জমি নিজের স্বামীর নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। আমার নানা মারা গিয়েছেন। এখনও আমার খালার ভয়ে কেউ সে নানার কাছ থেকে কি নিয়েছেন সেটা মুখ ফুটে বলতে পারেনা কারণ খালা তাকে আস্ত ছেড়ে দিবেনা। এখন বাপ মেয়েকে কি দিল সেই ব্যাপারে আমার কোন সে নাই ইচ্ছে হয়েছে দিয়েছে। কিন্তু আমার নানা মৃত্যুর একদম আগ মুহুর্তে নিজের ছোট মেয়েকে বলতে গেলে তার বড় মেয়ের তুলনায় কিছুই দিয়ে যাননি। এমনকি আমরা অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে থাকলেও নানার বাড়ির সম্পত্তি চাইতে গেলে প্রধান বাধা হচ্ছে আমার খালা। উনি সারা জীবন নিয়ে এখন উদার হতে চাইছেন আবার কিছু ছাড়ও দিচ্ছেননা। আমার মনে হয়না উনি ছাড় দিবেন মামাদের। একদম শেষ মুহুর্তে সব কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নিবেন। মাঝখানে প্রয়োজন হলেও উনার ইগোর মান রক্ষার্থে আমার মা নানাবাড়ীর সম্পত্তিতে দাবি তুলতে পারছেননা। উল্লেখ্য আমার মা আমার খালার স্বভাবের সম্পূর্ণ বিপরীত। কিভাবে এর সমাধান পাওয়া যাবে? আসলে নারী পুরুষ ব্যাপারটাকে যেভাবে ঘোরালো করা হয় ততটা আসলে না। এসব বিবাদে নারীও একটা পক্ষে থাকে এবং সে লাভবান হয় বিধায়ই সে অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষের পক্ষ নেয়। এসব বিবাদে নারী-পুরুষের যৌথ ভূমিকা থাকে। আমার মার সম্পত্তি আমার মা কেন বুঝে নেয়না এটা আমার এক মামী বললেও বাকি দুই মামী আবার পর্দার অন্তরালে এটাকিং ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলে থাকেন। এক্ষেত্রে মামাদের মধ্যে একজন আবার ডিফেন্সিভ পজিশনে মানে ঘরের শান্তি বজায়ের জন্য তিনি আমার মার পক্ষে সেভাবে কথা বলতে পারেননা। সে যাই হোক মামার বাড়ির সম্পত্তি ছাড়া খারাপ নেই কিন্তু আমরা।
আমার বোনের ক্ষেত্রে বলতে পারি এখনো সে আমাদের সংসারে আমরা যা পাই তার চেয়ে বেশীই পায় এবং সম্পত্তির ক্ষেত্রে তাকে বন্চিত করা হবেনা। কিন্তু আত্মীয় স্্বজনের মধ্যে মহিলাদের অনেকেরই আমাদের দুই ভাইয়ের জন্য সম্পত্তির ব্যাপারটা নিষকণ্টক রাখার অযাচিত প্রচেষ্টা প্রচন্ড বিরক্তির উদ্রেক করে। মাঝে মাঝে আত্মীয়তা, ফর্মালিটি এই জিনিসগুলিকে অভিশাপ মনে হয়।
অফটপিক: টলস্টয়ের ওয়ার এন্ড পিসের আন্না মাখায়লভনা কারেক্টারটার সাথে আপনার পরিচয় আছে? আমি অবাক হয়ে গেছিলাম প্রথমে যে আমাদের দেশী কুটনি বুড়িদের সাথে টলস্টয়ের পরিচয় হল কিভাবে? পরে জানলাম এটা মোটামুটি একটা ঐতিহাসিক চরিত্র।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
আরজু পনি বলেছেন:
আপনার ঘটনাটার সাথে আমার নিকটাত্নীয়ের ঘটনার বেশ মিল আছে। শুধু পুরুষরাই নারীদেরকে ঠকায় না, নারীরাও নারীদেরকে সুযোগ পেলে ঠকায়।
আসলে যিনি নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন, তিনিই শক্তি দেখাতে দ্বিধা করেন না। সে নারীই কি আর পুরুষই কি।
এর অবসান হওয়া উচিত। সচেতনতা, মানবিকতাবোধ জাগ্রত হোক।
আপনি যা বললেন এমন হচ্ছে অহরহই। বাংলাদেশেরই এক চিত্র।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ওবায়েদুল।।
১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভাবীদের দেয়া হয়েছে (চারটা প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ ) - তবে বোনদের এখনও দেয়া হয়নি - কারণ তারা বিদেশে থাকে - আর আমাদের ভাইদেরও কেউ দেশে নাই ! তবে তারা চাইলে সেটা সাথে সাথে দেয়া হবে!
ফুফুদের ব্যপারটা জানিনা - বাবা চাচা কেউ বেঁচে নেই। আই থিংক তারা সেটা তাদের বোনদের দিয়েছেন! আমার মা তার সব অংশ তার ভাইকে দিয়া দিছেন!
চারটা প্রশ্নের উত্তর আমাদের সবার জন্য হ্যাঁ হওয়া উচিত -
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
আরজু পনি বলেছেন:
আপনার মা যদি ইচ্ছে করেই দিয়ে থাকেন তবে ভালো।
আর সবটা জেনে ভালো লাগছে।
ফুফুরা পেল কি না, বা তারা কখনো চায় কি না, সেটা কি কখনোই শোনে নি?
অনেকেই কিন্তু স্মৃতি রাখার জন্যেও সম্পত্তি নিজের কাছে রাখতে চায়।
মাসুম, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পাশে থাকার জন্যে।।
১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৫
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমার নিজের মা , বোন , খালা , চাচী সবার জন্যই প্রত্যেকটির উত্তর হ্যা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
আরজু পনি বলেছেন:
জেনে খুবই ভালো লাগছে, তন্ময়। এমন চিত্রই দেখতে চাই সর্বত্র।
বাংলাদেশের আসল চিত্র এমনটি নয়, নারীরা তাদের দীর্ঘশ্বাস নিরবেই ফেলে যাচ্ছে।
সংখ্যায় খুবই কম তাদের প্রাপ্য পাচ্ছে।
শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ তন্ময়। ভালো থাকুন সবসময়।।
১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কিন্তু ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হবে ভয়েই বোনরা সম্পত্তি মিনমিন করে চেয়ে তারপর ক্ষান্ত দেয়। শুধু তো এই ক্ষেত্রেই নয় মোহরানা, দেনমোহর ইত্যাদির ক্ষেত্রেও মেয়েরা চরমভাবে বঞ্চিত ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
আরজু পনি বলেছেন:
আসলে অনেকেই অনেক ক্ষেত্রে অনেকভাবে বঞ্চিত।
দরকার সচেতনতার।
সম্পর্ক নষ্ট হবার ভয়েই মুলত অনেক মেয়েই প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও তার প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর তাকে বঞ্চিততো করা হচ্ছেই ।
অনেক ধন্যবাদ তনিমা আপনার মতামতের জন্যে।
ভালো থাকুন সবসময়ই।।
১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪৬
এম হুসাইন বলেছেন: তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমার নিজের মা , বোন , খালা , চাচী সবার জন্যই প্রত্যেকটির উত্তর হ্যা।
আমারও একই উত্তর, যদিও এসব নিয়ে কোন দিন কোন প্রব্লেম হয় নি, ইনশাল্লাহ হবেও না
পোস্টে ++++
আর আপনাকে অনেক দিন আমার ব্লগে দেখি না...
আগের পোস্ট ও দেখি ড্রাফট করেছেন......
যাই হোক নববর্ষের শুভেচ্ছা আবারো।
ভালো থাকুন আপু, নিরন্তর।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
আরজু পনি বলেছেন:
জেনে অনেক ভালো লাগলো হুসাইন। সব নারীরাই যেন এভাবে তাদের প্রাপ্যটা পেয়ে থাকে।
আপনজনরা আপনই থাকুক। সম্পত্তির কারণে যেন পর না হয়ে যায়।।
আপনিও অনেক ভালো থাকুন ।।
১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৭
আরজু পনি বলেছেন:
@হুসাইন, যেহেতু মন্তব্যের জবাব স্কীপ করে দেবার অভ্যাসটা কখনোই করতে চাই না, তাই কমেন্ট বক্সে বলছি.... আগের পোস্টের জবাব দেয়াটা একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, তাই ড্রাফটে নিয়ে রেখেছি। শিগগীরই আশা করি আনড্রাফট করবো
২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৫
আরজু পনি বলেছেন:
জীবু বাবুর কবিতাটা আনড্রাফট যে কবে নাগাদ করতে পারবো বুঝতেই পাচ্ছি না
১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪
এম হুসাইন বলেছেন:
ওকে আপু, অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
আরজু পনি বলেছেন:
আপনিও অনেক ভালো থাকুন হুসাইন। সবসময়ই।।
১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপনার পোস্ট টি মূলত জরিপভিত্তিক কিন্তু আমার উত্তরটি বোধ হয় মতামতভিত্তিক হয়ে গিয়েছিল। আসলে আমার পরিবারের দিকে দৃষ্টি দিলে আমি যা দেখছি তাতে সবাই না হলে ৯৫% এর বেশীই কিন্তু প্রাপ্য সম্পত্তি পেয়েছে বা পাবে। কিন্তু এই পাওয়ার মধ্যেও অনেক সংগ্রাম আছে, আছে কান্না , আছে দুঃখ। এগুলোই মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেল কিছুটা। আমি জানি আমার মা আমার নানার সম্পত্তি পাবেন। কিন্তু ১২-১৩ বছর পূর্বে যখন আমার মার প্রয়োজন ছিল তখন আমার মা পাননি কিন্তু যখন পাবে তখন হয়ত তার সেই প্রয়োজন থাকবেনা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
আরজু পনি বলেছেন:
আমার আসলে মতামতই জানা প্রয়োজন ওবায়েদুল।
মতামত পেলেই আসল চিত্রটা বোঝা যায়।
পাশে থাকার জন্যে অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।
শুভ সন্ধ্যা।।
২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৩
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমার দাদী অনেক সম্পত্তির মালিক, তার বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন। কিন্তু অনেক অল্প কিছু অংশ তার ভাইরা দিতে চাচ্ছে না। আমার দাদী সেটা চাচ্ছে্ন। আমার দাদী ভাইদের মন খারাপের চিন্তা করেন না।
আমার ফুপিরা তাদের সম্পত্তির অংশ একেবারে যতটুকু পাওয়ার কথা ততটুকুই পেয়েছে ও ভোগ করছে। বিক্রি করতে পারবে, কাগজে কলমে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, দখল আছে। আমার আম্মু ও খালারা তাদের বাবার সম্পত্তির কিছু অংশ পেয়েছে, কিছু আমার মামাদের দিয়ে দিয়েছেন।
আর আমি ও আমার কাজিনরা আমাদের অংশ পুরোটুকুই পাব এটা শিউর। আমার বাবার ফ্যামিলিতে মেয়েদেরই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। তারা মেয়েদের উলটো আরো বেশি দিতে চায়।
@৮ নাম্বার কমেন্টে লেখকের মন্তব্যের জবাব, আমার বাবাও ভাবছেন, কিন্তু সব সময় তো সেটা হয় না। আর এতে নাকি ইসলামেরও কি যেন নিয়ম আছে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৭
আরজু পনি বলেছেন:
গুড, আপনার দাদী যদি চায় তবে অবশ্যই উনার তা পাওয়া উচিত, যতটুকু উনার প্রাপ্য। দাদীর বলিষ্ট মানসিকতায় সালাম রইল।
বাকীটা যা বললেন, তা জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার বাবা যদি জীবদ্দশায় দিয়ে যান আপনাদেরকে লিখে তবেতো কোন সমস্যা থাকার কথা না। যতদুর জানি, কোন রকম অন্যায় যেন না হয়, সেই ব্যাপারে ইসলামে সুরা নিসাতেই বলা আছে (যেখনে সম্পত্তির ব্যাপারে বলা আছে )। এটা আয়াতে অথবা ব্যাখ্যায় বলা আছে।
২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৯
ভিয়েনাস বলেছেন: আমার ফুফুরা তাদের সবটুকু বুঝে নিয়েছেন, মা খালারা তাদের সম্পত্তির বেশিরভাগ অংশটুকু ইচ্ছাকৃতভাবে মামাদের দিয়ে দিয়েছেন। বড়মা উনার ভাইয়ের কাছ থেকে উনার প্রাপ্য বুঝে নিয়েছেন। ভাবীর এখনও নেওয়ার টাইম হয়নি ।আমাদের তো আরো পরে
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
আরজু পনি বলেছেন:
জেনে খুব ভালো লাগলো ভিয়েনাস। এই ঘটনা যদ্ওি আমাদের দেশে খুবই কম ঘটছে তবু্ও এটা খুবই আশার কথা যে, আমার নিকটাত্নীয়দের সবাই তাদের প্রাপ্য ঠিকমতোই পাচ্ছে।
অনেক শুভকামনা রইল আপনার/আপনাদের জন্যে।।
২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩৩
একজন আরমান বলেছেন:
ভিয়েনাস বলেছেন: আমার ফুফুরা তাদের সবটুকু বুঝে নিয়েছেন, মা খালারা তাদের সম্পত্তির বেশিরভাগ অংশটুকু ইচ্ছাকৃতভাবে মামাদের দিয়ে দিয়েছেন।
আমার ক্ষেত্রেও আমি একই জিনিস দেখেছি।
আর আমার নিজের কোন বোন নেই। দুই ভাই। তাই বাবার সম্পত্তি ফিফটি ফিফটি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
আরজু পনি বলেছেন:
খুবই আশার কথা শোনালেন আরমান। জেনে খুব ভালো লাগলো। এমনই হ্ওয়া উচিত।
আপনজনরা মানবিক হোক। তাদের কাছের মানুষগুলোর প্রাপ্য টিকমতো বুঝিয়ে দিক।
পাশে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।।
২৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৪০
বাংলার হাসান বলেছেন: আমার মা'র ক্ষেত্রে- তিনি কখনো মামাদের কাছে চাননি, কিছুই চাননি। মামারাও বুঝিয়ে দেন নাই। আর ফুফুদের ক্ষেত্রে ফুফুরা সবাই চায় নাই, কিন্তু তারপরেও সব ফুফুকে তাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আর আমার বাবা যেহেতু এখনো জীবিত তাই বোনেরা বা আমরা ভাইয়েরা কেউ এখনো বাবার সম্পত্তির মালিক হইনি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
আরজু পনি বলেছেন:
হ্যাঁ, সমস্যা এখানেই। বোনরা্ও চায় না, আর ভাইরা্ও দেন না। এই অবস্থার অবসান হ্ওয়া উচিত। সচেতনতা সবার ক্ষেত্রেই কাম্য।
ফুফুদের বিষয়টা জেনে ভালো লাগলো।
পাশে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে হাসান।।
২৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৪০
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: চাচু বলেছেন: আমার নিজের মা , বোন , খালা , চাচী সবার জন্যই প্রত্যেকটির উত্তর হ্যা। অনেক ক্ষেত্রে তারা তাদের প্রাপ্যের চেয়ে বেশিও পেয়েছে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০০
আরজু পনি বলেছেন:
যদি প্রাপ্যের চেয়ে বেশি পেয়ে থাকে এবং সেখানে অন্যদেরকে ঠকানো না হয়, অন্যদের আপত্তি না থাকে তবেতো আলহামদুলিল্লাহ।
আপনজনরা মানবিক হয়ে উঠুক। সবাই সবার প্রাপ্য ঠিকমতো বুঝে পাক।
সাথে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মামুন আপনাকে।।
২৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২২
মোমের মানুষ বলেছেন: ঢাকার এক প্রবেশ পথে আমাদের আবাস। ইসলামী ফারায়েজ অনুযায়ী আম্মু-খালারা তাদের অংশ পেলে ঢাকার এ এলাকার নিম্নে ৫০/৬০ কাঠা জমি পেতেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৩/১৪ কোটি টাকা। কিন্তু নানুর মৃত্যুর পর মুলা ধরিয়ে সর্বসাকূল্যে ১৫ কাঠা জমি দিয়ে সালাম জানিয়েছে। আর সম অধিকার তো পরে। সবচেয়ে অবাক হই যখন আমার উকিল ও নারিবাদী মামারা বিশেষ আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে সমঅধিকার নিয়ে গলা ফাটাতে দেখে।
তবে আমরা মানে ভাইয়েরা আমাদের আয়েত্ব যারা আছেন বোন, ফুফু তাদের ক্ষেত্রে ইসলামী ফারায়েজ পূর্নাংগ বিধান নিশ্চিত করব। আর এ ব্যাপারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধও। কুরান-সুন্নাহ বিরোধী সরকারের নারীনীতির বিরুদ্ধে রাজপথে আলেম-উলামারা যখন তীব্র আন্দোলন শুরু করেছিলাম, তখন আমরা সমস্ত আলেমরা নিজেরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি আমাদের আয়েত্বে যারা আছেন বোন, ফুফু, কন্যা, মা এদের প্রাপ্য পূর্নরূপে ইসলামি ফারায়েজ অনুযায়ী নিশ্চিত করব। এ ব্যাপারে কোন ছল-চাতুরি, হিলা-কৌশল অবলম্বনের মত ঘৃন্য কোন কিছু করব না।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
আরজু পনি বলেছেন:
আপনজনরাই শুধুমাত্র সম্পত্তির কারণে ঠকায় সবচেয়ে বেশি! জেনে ভালো লাগছে যে, এই প্রজন্ম অনেকটাই সচেতন ।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্যে।
ভালো থাকুন নিরন্তর।।
২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০৪
সায়েম মুন বলেছেন: আমি কোন উত্তর দিবো না। তবে বলবো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিংহভাগ নারী পায় না। অবশ্য আমিও এখনো কোন পক্ষ থেকে কিছু পাইনি। আমার মা পাননি যেমন। তেমনি আমার বাবাও তার বাবার কাছ থেকে কিছুই পাননি। বলতে গেলে বিশাল কাহিনী। না বলাই শ্রেয়। আমরা দুই পুরুষ ধরে বঞ্চিতের দলে। তবু কোন দু:খ নেই। দিন চলে যাচ্ছে। কি হবে এত স্বয়-সম্পত্তি দিয়ে
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
আরজু পনি বলেছেন:
আমাদের আপনজনেরাই সম্পত্তির ক্ষেত্রে কেমন পর হয়ে যায়, তা এইসব ক্ষেত্রে খুব প্রকটভাবেই চোখে পরে। এজন্যে নিজেদেরকেই সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরকেও সচেতন করতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ সায়েম মুন আপনার মতামতের জন্যে।।
২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৯
কয়েস সামী বলেছেন: অতীতে দেখেছি মেয়েরা ইচ্ছে করেই তার অংশ চাইত না আর ছেলেরা ইচ্ছে করেই তার অংশ দিতো না। তবে এখনকার শিক্ষিত মেয়েরা যথেষ্ট সচেতন। তারা চেয়েই নিয়ে নেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনটাই মুখ্য। প
তবে রুট লেভেলে আমার মনে হয় না মেয়েরা কোন সুবিধা পায়।আমার মায়ের ক্ষেত্রে জানি তিনি কখনো চাইবেন না। আর আমার নিজের ক্ষেত্রে প্রাপ্যের বেশিটাই বোনেরা পাবে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
আরজু পনি বলেছেন:
আসলে অতীতে মেয়েরা নিত না কথাটা যতটা ঠিক, তারচেয়ে বেশি ঠিক চা্ওয়ার কথাটা তাদের মাথায়ই আসতোনা। অর্থাৎ নিজেদের অধিকারের বিষয়ে তারা মোট্ওে সচেতন ছিলেন কি না, তাতে সন্দেহ রয়েছে।
আর বর্তমান সময়ে মেয়েরা সচেতন হচ্ছে তাদের নিজেদের অধিকারের বিষয়ে, যেখানে আসলেই প্রয়োজনটা মুখ্য।
তবে আজকালকার সচেতন ছেলেরা মনে হচ্ছে তাদের বোনদের ঠকাবে কমই। যদ্ওি সম্পত্তির ক্ষেত্রে মানুষের চেহারা অনেকসময়ই বদলে যায়। হয়ে যায় অপরিচিত।
আপনার মানসিকতা জেনে ভালো লাগছে, কয়েস সামী।
অনেক শুভকামনা রইল আপনার/আপনার পরিবারের আপনজনদের জন্যে।।
২৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হয় মেয়েরা তাদের ন্যায্য অধিকার পুরোপুরি পাচ্ছে না। আমার মা তার বাবার বাড়ির সম্পতি দাবী করেনি। ভাইদের লিখে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা অ-খুশি নই। আর আমাদের সম্পতি এখনো ভাগ হয় নাই। তবে আশাকরি সবাই সমভাবে যার যার অংশ পাবে।
ধন্যবাদ।
০১ লা মে, ২০১৩ রাত ১২:২০
আরজু পনি বলেছেন:
হ্যাঁ, মেয়েরা আসলেই বঞ্চিত হচ্ছে এই আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগেও। সম্পত্তির ক্ষেত্রে কেউ কা্ওকে চিনতে চায় না, এমনকি, প্রাপ্য দাবী থাকা সত্ত্বেও মেয়েদেরকে ঠকানো হচ্ছে বুঝে শুনেই।
তবু্ও আশার কথা হলো আপনার মতো বড় মনের মানুষগুলো সচেতন।
মতামত দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ফারুক আপনাকে। ভালো থাকুন নিরন্তর।।
২৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
লাবনী আক্তার বলেছেন: সমান অধিকার চাইতে আসি নি। আমি আমার প্রাপ্যটুকু চাই
খুব সুন্দর একটা পোস্ট। আমি দেখেছি আমার মা-খালারা মামার কাছে সম্পত্তি কখনো চায়নি। মামাই দিয়েছে। তবে তারপরও ঝামেলা হতে দেখা গেছে। আর আমার বাবাকে দেখেছি তার বোন কেও ঠিক মত তার প্রাপ্য দিয়েছেন।
০১ লা মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
আরজু পনি বলেছেন:
সম্পত্তির ভাগের সময়ই মুলত সম্পর্কটা নষ্ট হয় বেশি। তারপরও আপনার কাছ থেকে জেনে ভালো লাগছে যে, আপনার আপনজনরা তাদের ন্যায়্য অধিকারটুকু পেয়েছে।
মতামত দেবার জন্যে অনেক কৃতজ্ঞতা লাবনী।
ভালো থাকুন নিরন্তর।।
৩০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রথম কথা হল আমার জন্ম দিয়েছেন মা । মায়ের পেট যদি আমাকে স্থান না দিত তবে আমার জন্ম কোথায় হত ভেবে পাইনা। পিতার পেটে নিশ্চয় না। তাহলে কোথায় ? অতএব মায়ের অধিকার বা প্রাপ্য আমার কাছে সবচেয়ে বেশী কারন মা না হলে আমার জন্মই হতনা।
দ্বিতীয় হল আমার বোন আরে বোন থাকলে আমার চা কে বানিয়ে দিত। আমার ঘর কে গুছিয়ে রাখত। নিশ্চয় আমি নিজে না। অতএব বোনের স্থান অনেক উপরে।
শেষে আমার স্ত্রী যদি না থাকত এই বয়সে কে আমাকে যত্ন নিত নিশ্চয় আমার বুড়ি মা তা পারবেনা। তাছারা ভালোবাসা কোথায় পেতাম।
অতএব আমার স্ত্রী আমার কাছে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব পূর্ণ। তার প্রাপ্য সবচেয়ে বেশী।
এভাবে জীবনের প্রতি পদে পদে দেখি মেয়েরাই ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে। তাহলে সম অধিকার কেন হবে বরং তাঁদের অধিকার আমাদের চেয়ে বেশী।
০১ লা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
আরজু পনি বলেছেন:
আপনি যেভাবে আপনার আপনজনদের উপস্থাপন করলেন, সে ব্যাপারে কিছু বলছি না, একেকজনের দর্শন একেকরকম।
তবে কি জানেন, ন্যায্য টুকু দিতেই এই আপনজনদের বিবেচনাই লোপ পায় সবথেকে বেশি। এবং এটাই রূঢ় বাস্তব।
তবে, আজকের ছেলেরা অনেক সচেতন হচ্ছে, সম্পর্কগুলোকে সম্মান দিচ্ছে, এটা আশার কথা।
আপনার মানবিকতাবোধ, সম্মান জানানোর বোধকে সালাম জানাই।
শুভকামনা রইল আপনার/আপনার আপনজনদের জন্যে।
ভালো থাকুন সবসময়।।
৩১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: উত্তর -না আবার হ্যা একসাথে ।আমার মা, আমার মামাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দিয়েছেন ।
আবার বাবা তার সমস্ত সম্পত্তি মাকে দিয়েছেন ।
আর আমার দিদি বিবাহিত ।তাকে তার প্রাপ্য সপ্মাত্তি দেওয়া হয়েছে ।
০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
আরজু পনি বলেছেন:
কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। তবেই হলো।
আপনার মতামত জেনে অনেক ভালো লাগলো সিদ্ধার্থ।
ভালো থাকুন সবসময়।।
৩২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২০
আশিক মাসুম বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব এর সাথে সহমত জানিয়ে বলি, বলতে চাইলে অনেক কথা চলে আসবে।
আপনার প্রশ্নের জবাব দেবার আগে আমার একটা প্রশ্নের জবাব দেন, " আ মেদের এই সম্পত্তির প্রয়োজনীয়তা কত টুকু?"
আপনার বর কি চায় আপনি আপনার বাবার বাড়ি থেকে সম্পত্তি বুজে নিয়ে আসেন???? আমি চাই না আর আমার জানা মতে ৮৫% ছেলে তা চায় না। এ ক্ষেত্রে সম বন্টন ব্যাপারটা যায়না।
বাকি ১৫ % এর ক্ষেত্রে ১২% তাদের হিসেব বুঝে নেয়। আর ৩% নানাবিদ ঝামেলা পোহায়, এটাই নিয়ম সমস্যা না থাকলে প্বথিবী থেমে জাবে।
ভাল থাকবেন।
০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
আরজু পনি বলেছেন:
মাসুম, সমবন্টনের কথা বলা হয় নি। আমাদের সামনের কয়েকজন হয়তো পাচ্ছে, কিন্তু বঞ্চিতদের দলেই রয়েছে বেশির ভাগ নিরবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
আমি নিজে অনেকের সঙ্গেই কথা বলে দেখেছি, তারা কতোটা কষ্ট পায় এ নিয়ে।
হ্যাঁ, তা ঠিক, সমস্যা না থাকলে পৃথিবীই হযতো থেমে যাবে।
মতামত দেবার জন্রে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আপনিও ভালো থাকুন অনেক অনেক।।
৩৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২১
আশিক মাসুম বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব এর সাথে সহমত জানিয়ে বলি, বলতে চাইলে অনেক কথা চলে আসবে।
আপনার প্রশ্নের জবাব দেবার আগে আমার একটা প্রশ্নের জবাব দেন, "মেয়েদের এই সম্পত্তির প্রয়োজনীয়তা কত টুকু?"
আপনার বর কি চায় আপনি আপনার বাবার বাড়ি থেকে সম্পত্তি বুজে নিয়ে আসেন???? আমি চাই না আর আমার জানা মতে ৮৫% ছেলে তা চায় না। এ ক্ষেত্রে সম বন্টন ব্যাপারটা যায়না।
বাকি ১৫ % এর ক্ষেত্রে ১২% তাদের হিসেব বুঝে নেয়। আর ৩% নানাবিদ ঝামেলা পোহায়, এটাই নিয়ম সমস্যা না থাকলে প্বথিবী থেমে জাবে।
ভাল থাকবেন।
পুনশ্চ: এডিট করে দিয়েছি।
০২ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
আরজু পনি বলেছেন:
বলা প্রয়োজন যে, এই সম্পত্তিই অনেক সময় মেয়েদের শেষ সম্বল হিসেবে কাজ করে।।
৩৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
গগণজয় বলেছেন: আমার মা, খালা, ফুফু রা সবাই ঠিক ভাবে ভাগ পেয়েছেন। মাঝে মাঝে আমাদের দেশের মেয়ে রা দেখা যায় যে তারা বাড়ির ভাগ টা নেন না। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজ ইচ্ছাতেই।যেমন আমার মা খালা ফুফু।
কারন তাদের জামাই রা আবার তাদের বাবার দিক থেকে বাড়ির ভাগ পেয়ে থাকেন। এই রিতি টা চলে আসছে অনেক দিন থেকে। তবে এখন সম্পত্তির ভাগ এড়িয়ে যাওয়া যাই না।কেস করলেই পারে।
০২ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আরজু পনি বলেছেন:
আসলে আপনজনদের সাথে কেস করে সম্পত্তি নেয়াটা সম্পর্ক পুরোপুরি নষ্ট করা। সেই রিস্ক অনেকেই নিতে চান না। আপনজনদের্ওতো প্রয়োজন আছে। তবে প্রাপ্য পা্ওয়ার ক্ষেত্রে আপনজন্ও মাঝে মাঝে কেমন পর হয়ে যায়। এই সমস্যার অবসান হোক।
মতামত দেবার জন্যে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই গগণজয়।।
৩৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
মনযূরুল হক বলেছেন: সমান অধিকার চাইতে আসি নি। আমি আমার প্রাপ্যটুকু চাই।
অনেক দিনের জমে থাকা কথাটা এক কথায় প্রকাশ হলো একজন নারীর ভাষায়..এর চেয়ে বেশি আর কী বলবো...তবে একটা কথা অবশ্যই বলবো, পৃথিবীতে নারীরাই নারীদের সবচে’ বড় শত্রু ।
সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ....
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
আরজু পনি বলেছেন:
আসলে কে যে কার শত্রু এটা সময়ে সময়ে বোঝা যায় একেকভাবে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।।
৩৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমার বাবা-মা যেহেতু এখন বন্টন করেনি তাই বোনদের ব্যপারে ভবিষ্যত কি হবে জানি না। তবে আমার মা তার বাবার সম্পত্তি'র কিছুই পায়নি। আসলে তার ভাইরা দেয়নি আর আমার মাও সে ব্যাপরে কোন কথা বলেননি ...
০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
আরজু পনি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আমিনুর। একটা বিষয় খেয়াল করেছেন, নিজেরা সচেতন না হল্ওে কিন্তু ঠকতে হয়। সাথে আপনজনদেরকেও প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সৎ থাকতে হয়।
আশাকরি ভবিষ্যতে আপনাদের মাঝে সবমিলিয়েই সুসম্পর্ক বিরাজ করবে।
অনেক ভালো থাকুন।।
৩৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
আশফাক সুমন বলেছেন: @আরজুপনি
সমান অধিকার চাইতে আসি নি। আমি আমার প্রাপ্যটুকু চাই।--- আপনার মত যদি সব মেয়ে এইভাবে চিন্তা করতেন , তাহলে আর তথাকথিত নারীবাদীরা ঝামেলা তৈরি করতে পারতনা । আপনি যদি মুস লিম হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকুন, ইসলাম আপনাকে অনেক বেশি দিয়েছে আর ওইটাই আপনার প্রা প্য। ভাই , বাবা বা স্বামির অধীকার
নাই ওটা কেড়ে নেও্য়ার- যা আল্লাহ আপনাকে দিয়েছেন।
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আসলে মেয়েদের নাকি কম দেয়া হয় না , সম্পত্তি কম দিলেও আর কি কি সব নাকি দিক থেকে তাদের অনেক নিরাপত্তা দেয়া হয় , তবে এখন পুরুষ শাসিত সমাজে ইসলামে অই বন্টন ব্যাবস্থার সুযোগে কম দিয়া পরবর্তি দায়ীত্ব বোধ দেখায় না । এইটা হইলো সমস্যা । নাইলে ইসলামের বন্টন ব্যাবস্থায় কাউকে ঠাকানোর প্রশ্নই উঠে না । "-----সহ মত ।
বাবা- মা মেয়েদের ঠকান না । মেয়েরা ঠকে দেন-মোহরের ক্ষেত্রে । স্বামীরা ঠিক মত আদায় করেন না--- মেয়েরাও অশান্তির ভয়ে কিছু বলেন না ।
ধন্যবাদ
০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩০
আরজু পনি বলেছেন:
ইসলাম যেই অধিকার দিয়েছে তা যদি ঠিকমতো মেনে সম্পত্তি দেয়া হতো, তবে অনেক মেয়েই নিরাপদ জীবন যাপন করতো তুলনামুলকভাবে বেশি।
অনেকের কাছ থেকেই অভিযোগ পওয়া যায় যে, তারা তাদের সম্পত্তি ঠিক মতো পাচ্ছে না।
আপনজনরা সবক্ষেত্রেই আপন থাকুক।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ রইল। ভালো থাকুন সর্বদা।।
৩৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এখানে আরেকটু এড করতে চাই ।অনেক নারী তাদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন নন।তারা জানে না তাদের প্রাপ্য কি?গ্রামেরএক শালিশে গিয়েছিলাম ।বিচার হচ্ছে চাচারা তার মৃত সৎভাই এর সম্পত্তি গ্রাস করেছে।অনেক জমি বিক্রি করেছে এই ব্যাখ্যায় যে সে অবিবাহিত অবস্থায় মারা গেছে।সেই শালিশে যখন মেয়ের দাবী স্পষ্ট হচ্ছিল তখন মেয়ে দাড়িয়েএতটুকু বলেছে ‘আমার বাবা কতটুকু জমি পায়?’তখন ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয়া হলো বসিয়ে দেয়া হলো আমি সেখানে সবার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট শুধু প্রতিবাদ করলাম ।চেরাগআলীর মেয়ের অধিকার আছে ।সে তার হিস্যা জানতে চাওয়ার অধিকার রাখে।সবাই বিরক্ত হয়েআমাকে দেখছিল।তার পক্ষের লোকও এভাবে বাংলাদেশে বঞ্চিতের অভাব নেই ।বঞ্চিত নারী অঢেল এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। বাসায় আমি একমাত্র ছেলে হিসেবে সককিছুতে প্রাধান্য পাই এটা অনুচিত।অনুচিত।অনুচিত আমি আমার প্রাপ্য অংশ চাই।বাকীটা জুলুম।বেইনসাফী।
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
আরজু পনি বলেছেন:
মেয়েরা নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হোক এটা অনেকেই মানতে চায় না। কারণ মেয়েরা সচেতন হলে পুরুষদের ভাগে কম পড়বে। আবার অনেক সময় ক্ষমতাসীন মেয়েও আরেক মেয়েকে ঠকায়।
ক্ষমতাই সব। এসবের অবসান হওয়া দরকার।
সবাই সবার প্রাপ্য বুঝে পাক।।
আপনার অভিজ্ঞা শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সেলিম।
৩৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
রাইসুল বাঙ্গালী বলেছেন: -প্রাপ্য সম্পত্তি কি তাদেরকে কাগজে -কলমে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে?
-প্রাপ্য সম্পত্তিতে কি তাদের দখল আছে?
-প্রাপ্য সম্পত্তি কি তারা ভোগ করতে পাচ্ছে?
-প্রাপ্য সম্পত্তি কি তারা চাইলেই বিক্রি করতে পারে?
#সবগুলো প্রশ্নের উত্তরই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই না।
বাপ-ভাইদের কাছ থেকে মেয়েরা সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ ঠিকমত পায় না। পুরুষদের মধ্যে সেধরণের সচেতনতা নাই। নারীর মাঝেও নাই। নারী বঞ্চিত হয় স্বামীর কাছেও বাপ-ভাইদের কাছেও। সম্পন্ন বা শিক্ষিত মানুষদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, অনেকক্ষেত্রে বেশিও পায়, সেটা বৃহত্তর জনগোষ্ঠির চিত্র নয়। ছেলে সন্তানের উপর নির্ভরশীলতার কারণে বা অভাব অনটনের কারণে মা-বাবাও মেয়েদের ঠকায়। অনেক সময় প্রতারিত হওয়া বা বিড়ম্বনার ভয়েও মেয়েরা তাদের দাবী ছেড়ে দেয়, বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে সম্পন্ন স্বামী-সন্তানরাও নিরুৎসাহিত করে। দরিদ্র বিবাহিত নারীরা অনেক সময় বাপ-ভাইয়ের দুর্দশার কারণে নিজে স্বামী-শ্বশুরদের নির্যাতনের শিকার হয়েও বাপ-ভাইদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চায় না। সমাজের উন্নয়নে নারীর ক্ষমতায়ণ, নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে পুরুষের সচেতনতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং নারীর অধিকার সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য ব্যাপক কাজ করার অবকাশ আছে। সরকার করছে, এনজিওরা করছে, সমাজকর্মী-রাজনীতিবিদরা করছে....প্রয়োজন প্রক্রিয়াগুলো জোরদার, স্বচ্ছ হওয়া। আর যারা নারীদের পিছনে ঠেলার জন্য মাঠে নামে তাদেরকে সামনে থেকে ঠেলা দেওয়া।
১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
আরজু পনি বলেছেন:
রাইসুল, আসলে সম্পর্ক খারাপ হবে ভয়ে মেয়েরা যেমন সম্পত্তির দাবী করে না, তেমনি তারা সম্পত্তির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন্ও নয়। এই অবস্থা উত্তরণ প্রয়োজন।
হ্যাঁ, প্রক্রিয়াগুলো জোরদার, স্বচ্ছ হওয়া্ও অনেক বেশি প্রয়োজন।
অনেক সুন্দর মতামতের জন্যে অনেক কৃতজ্ঞতা রইল আপনার প্রতি।।
৪০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আমার মা কিছু পান নি! আমাদের বোন পাবে এইটা গ্যারান্টি দেওয়া যায়!
চমৎকার পোস্ট! আনুষঙ্গিক যা বলার ইচ্ছে ছিল তা উপরের কেউ কেউ বলে ফেলেছেন!
শুভকামনা!
১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
আরজু পনি বলেছেন:
আপনার মা কেন পান নি জানি না। তবে এমন অনেক মা, বোনই পান না। এই না পাওয়ার মধ্যে থাকে নিজের অধিকার সম্পর্কে অসচেতনতা, কখনোবা নিজের ভাই-বোনদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে ভয়ে সম্পত্তি নিয়ে কথা না তোলা আবার কেউ কেউ প্রয়োজনই বোধ করেন না।
তবে আপনার বোনরা পাবে এটা জেনে ভালো লাগলো।
আপনজনরা নিজেদের প্রাপ্য বুঝে পাক।
শুভকামনা রইল আপনার জন্যেও ৎচন্দ্রবিন্দু।
৪১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: আমার কিছু বলার নেই। শুধু সবার কমেন্টগুলো পড়লাম।
সমানাধিকার বলুন আর নায্য কিংবা প্রাপ্য অধিকারের কথাই বলুন নারী তো নারীই। যতদিন সমাজ ব্যবস্থার কাঠামতে পরিবর্তন না আসবে, আমাদের মূল্যবোধে পরিবর্তন না আসবে নারীকে শোষিত হতেই হবে। অনেকেই বলছেন নারীরা এখনও সচেতন নয়। সব চাইতে দুঃখজনক ঘটনা কি জানেন সচেতন নারীরাও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন হরহামেশা।
তবে আমি যেহেতু একদম গ্রাম থেকে উঠে এসেছি সেখানকার পরিস্থিতি বললে বলব একেবারেই নামে মাত্র সম্পত্তি পায় মেয়েরা। বিয়ের পরেই সব মেয়ে অচ্চুত হয়ে যায় বাবার সংসারে।
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
আরজু পনি বলেছেন:
হ্যাঁ, এটা খুবই সত্যি কথা যে, সচেতন নারীরাও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে হামেশাই।
সবারই সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।
অনেক সুন্দর মতামতের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে জনৈক।।
৪২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সব কয়টার উত্তর 'হ্যাঁ'।
১৪ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
আরজু পনি বলেছেন:
জেনে দারুণ লাগলো দূর্জয়।
এভঅবেই যেন আমরা আপনজনদের তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে কুন্ঠতি না হই।
অনেক শুভকামনা রইল আপনার/আপনাদের জন্যে।।
৪৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
আমি মোঃ চয়ন বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়লাম। সবগুলো কমেন্টও পড়লাম।
আজকে প্রায় ৬০ জন নারী-পুরুষের মধ্যে প্রশ্নটা করেছিলাম, যেখানে ৩% পুরুষ ছিল উত্তরদাতা হিসেবে। এদের একজনও আমাকে শতভাগ পজিটিভ কোন জবাব দিতে পারে নি।
খুব জানতে ইচ্ছে করছে আপনি কোথায় জরিপ করেছেন ??
দেখুন অজপাড়া গ্রামে অধিকাংশ মেয়েরা তাদের সম্পত্তির অধিকার সম্পর্কে কিছুই জানেনা। আর যারা জানে তারা সচেতন না। এছাড়া কিছু কিছু ধর্মে নাকি মেয়েরা বাবার সম্পত্তি পায় না। .......... এসব মিলিয়ে হয়ত দেশের অধিকাংশ মেয়েরা সম্পত্তি সঠিকভাবে পায় না।
তবে এই সমস্যার সমাধানের জন্য "হোটেল শেরাটনে" সেমিনার বা "লেডিস ক্লাবের সামনে" মানববন্ধন, র্যালি করলে কিচ্ছু হবেনা। বরং রুট লেভেলে গিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। শহরে বসে হাজার চিল্লাইলেও কাজ হবে না।
আর আপনার ৪ টি প্রশ্নের উত্তরঃ
মা, খালা, ফুফু, মামির ক্ষেত্রে "হ্যা" ।
চাচির বিষয়টা জানিনা। জিজ্ঞাস করতে হবে।
বোনদের অবশ্যই দেওয়া হবে।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
আরজু পনি বলেছেন:
চয়ন আপনি ঠিকই বলেছেন, শেরাটনে বা লেডিস ক্লাবে চিল্লাইলে কাজ হবে না।
আমি একটা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশিক্ষণার্থীদের জিজ্ঞেস করেছিলাম যাদের প্রায় বেশিরভাগই কোন না কোন স্কুল, কলেজে শিক্ষা দান করছেন।
ইনারা ঢাকা শহরে সবার অবস্থান মোটামুটি হরেও ঢাকার আশে পাশের থানা/জেলারও আছে। ইনাদের থেকৈ যা জবাব পেয়েছি তাতেই বোঝা যায় যে, গ্রামের অবস্থা আরো করুন।
আর আপনাদের আপনজনদের প্রাপ্যের কথা জেনে অনেক ভালো লাগছে।
ভালো থাকুন সবসময়ই।
শুভকামনা রইল।।
৪৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
না পারভীন বলেছেন: সমান অধিকার নয় ,ন্যার্য অধিকার টুকু চাই ।
জীবনে চলার পথে শুধু ন্যার্য অধিকার দিতে গেলেই , বাসের সিট শুধু ৯ টি নয় , আর অনেকটাই ছেড়ে দিতে হয় ।
পনি আপার স্লোগানে পুরো একমত।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
আরজু পনি বলেছেন:
হ্যাঁ, ন্যায্য অধিকারটুকুই চাই।
আর সিটের কথা না হয় নাই ই বললাম।
আমাদেরই সচেতন হতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ পারভীন, ভালো থাকুন সবসময়ই।।
৪৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি আমার গ্রামের কথা বলতে পারি। গ্রামের অধিকাংশ মানুষের সাথে ভাল সম্পর্ক আছে, সবার আত্মীয় স্বজনকেই অন্ততঃ ডাক নামে চিনি।
সেই হিসাবে বলা যায়, আমাদের গ্রামের মেয়েদের মাঝে, ৭০ ঘরের মাঝে ৫০-৫৫ ঘরের মেয়েরা সম্পূর্ণ প্রাপ্য সম্পত্তি পেয়েছে।
আর বাইরের ঘরের মেয়ে, অর্থাৎ যারা বউ হয়ে এসেছে, তাঁদের মাঝে ৬০+ ঘরের মেয়ে জামাইয়ের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্পত্তি পেয়েছে।
১৬ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
আরজু পনি বলেছেন:
প্রফেসর সাহেব, বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায় না, কাছের আপন মানুষগুলোই সময়ে ঠিকই প্রাপ্য দিতে ঠকায়।
তেশি বয়সে তাদের স্বামীর সম্পত্তি আমিও পেতে দেখেছি।
তবে, কমবেশি কিছূ পায়..এই যা...।
মতামত দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৩
সোহাগ সকাল বলেছেন: লেখক বলেছেন : বোনেরা সাধারণত ছাড় দেয় অনিচ্ছাকৃতভাবে।
এছাড়া অনেক সময় ভাইদের থেকে যদি বোনদের আর্থিক অবস্থা ভালো হয়, সেক্ষেত্রে বোনেরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হবে ভয়েই বোনরা সম্পত্তি মিনমিন করে চেয়ে তারপর ক্ষান্ত দেয়। এমনটা অনেক দেখেছি, শুনেছি।
১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
আরজু পনি বলেছেন:
হ্যাঁ, আপনি একেবারেই ঠিক কথাটিই বলেছেন সোহাগ।
পরিষ্কার মতামত দেবার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।।
৪৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৩
ফারিয়া বলেছেন: পাওয়া উচিত, কিন্তু খুব কম নারীরাই পায়!
১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫২
আরজু পনি বলেছেন:
সেটাই ফারিয়া, এই অবস্থার উন্নয়ন দরকার। সচেতনতার প্রসার দরকার।
ধন্যবাদ আপনাকে অনেক অনেক।।
৪৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫০
আনন্দময়েজ বলেছেন: নানার মৃত্যুর পর পরই মা খালারা তাদের সম্পত্তি বুঝে পেয়েছেন। যদিও উত্তরাধীকার সূত্রে প্রাপ্য থেকে তারা মামাদের চেয়ে অনেক কম পেয়েছেন বলে তাদের কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও ভাই বোনদের মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে। তারা তাদের সম্পত্তি ভোগ করছেন এবং সবাই নিজস্ব সম্পত্তিতে নিজের নামে স্বামীদের সহায়তায় বাড়ি করেছেন।
(দাদা অল্প বয়সে মারা যাওয়ায় ও দাদি কিছুটা মানষিক বিকারগ্রস্থ হওয়ায়)ফুফুরা সবাই উত্তরাধীকার আঈন অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক হবার সাথে সথেই (বিবাহের পরপরই) উত্তরাধীকার আঈন অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য সম্পত্তি বুঝে পেয়েছেন ও ভোগ করছেন। সবাই নিজস্ব সম্পত্তিতে নিজের নামে স্বামীদের সহায়তায় বাড়ি করেছেন।
আমার বোনেরা তাদের প্রাপ্য সম্পত্তি অচিরেই বুঝে পাবে ইনশাল্লাহ।
১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০২
আরজু পনি বলেছেন:
বাহ্ জেনে দারুণ লাগছে!
তবে আপনজনরাই পারে আপনজনদের প্রাপ্য ঠিকমতো বুঝিয়ে দিতে। এর বিকল্প নেই।
আইন দিয়ে সম্পত্তি পা্ওয়া যায়, সম্পর্কের বন্ধনতো পা্ওয়া যায় না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে।।
৪৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৭
মুহসিন বলেছেন: -প্রাপ্য সম্পত্তি কি তাদেরকে কাগজে -কলমে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে?
ভাইয়েরাও বুঝে পায়নাই, বোনেরাও বুঝে পায়নাই।
-প্রাপ্য সম্পত্তিতে কি তাদের দখল আছে?
সম্মিলিত দখলে আছে। যখন ইচ্ছা যেতে পারে, থাকতে পারে, ভোগ করতে পারে।
-প্রাপ্য সম্পত্তি কি তারা ভোগ করতে পাচ্ছে?
সম্মিলিতভাবে করছে। আবার খরচও করছে। ভোগের চেয়ে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশী।
-প্রাপ্য সম্পত্তি কি তারা চাইলেই বিক্রি করতে পারে?
সম্মিলিতভাবে পারে এবং করেছেও।
১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:১২
আরজু পনি বলেছেন:
সত্যিই দারুণ ব্যাপার!
খুব ভালো লাগছে জেনে, মুহসিন।
এমনই হ্ওয়া উচিত।
অনেক সাধুবাদ রইল...আপনজনেরা এসনই আপন থাকুক।
ভালো থাকুন অনেক অনেক।।
৫০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: মন্তব্য গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের পাশাপাশি! পনি আপা এগুলো নিয়ে আরেকটা বিশ্লেষন মূলক পোস্ট কি পেতে পারি আপনার কাছ থেকে?
১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
আরজু পনি বলেছেন:
ইচ্ছে আছে, প্রিয় ব্লগার, জানি না সময় সহযোগিতা করবে কি না!
অনুপ্রেরণা দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৫১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
নেক্সাস বলেছেন: পাওয়া উচিত।
তবে ভাই বোনের সহমর্মিতা ভাল
২০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
আরজু পনি বলেছেন:
নেক্সাস, সহমর্মিতা ঠিকমতো থাকলেই তবে বোনেরা ঠিকমতো সম্পত্তির প্রাপ্য অঙশ বুঝে পায়।
আপনজনেরা মানবিক হোক।
অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস।
৫২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
হাসান নাঈম বলেছেন: আমার মা খালারা মিলে মামাদেরকে বলতে গিয়েছিলেন যে তারা নানার সম্পত্তির কোন উত্তরাধীকার দাবি করবেন না। তখন আমার মেজ মামা একটা ধমক দিয়ে বলেছিলে - 'আল্লাহর চেয়ে বেশী বোঝ? আল্লাহর দেয়া অংশ তোমরা না নিলে তার দ্বায় কে বইবে?'। কাজেই সুক্ষ্ম হিসেবের চেয়ে বরং কিছুটা বেশীই নিতে তারা বাধ্যা হয়েছিলেন। মায়ের ভাগের সেই ফসলী জমি থেকে দীর্ঘদিন ফসল খাওয়ার পর বিক্রি করা হয়েছে ( কারণ এখন গ্রামে জমি দেখারমত কেউ থাকে না )।
আমাদের উত্তরাধীকারে প্রাপ্ত সম্পদ এখনও ভাগ হয় নি। আমাদের বোনেরা কমতো নয়ই বরং হিসেবের চেয়ে বেশীই পাবেন - ইনশাআল্লাহ।
২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪৭
আরজু পনি বলেছেন:
জেনে অনেক দারুণ লাগলো।
এমনই হওয়া উচিত।
আপনজনেরা সম্পত্তির ক্ষেত্রেও আপনই থাকুক।
আপনার/আপনাদের জন্যে শুভকামনা রইল অনেক অনেক।।
৫৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৩
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আমি আমার মা আর বাবার দিক তুলে ধরি।
প্রথমে বাবা যা পেতেন, সেখান থেকে তিনি বিক্রি করে এক ফুপুকে দেন। এরপর ফুপুরা যা পেতেন তাদের রেজিস্ট্রি করে দিয়ে দেয়া হয়।
আমার নানা তার সম্পত্তি তার ছেলে দের নামে দিয়ে দিয়েছেন। আর মেয়েদের জন্য রেখেছেন নানীর যে অংশ ছিল সেই অংশটুকু। আমার নানী এখন বেঁচে নেই। সুতরাং, তার সম্পত্তি ছেলেরাও পাবে। এই হলো হাল হকিকত। আমার খালারা কেউ কিছু বলে না। সম্পত্তি ভোগ দখল সেতো অনেক পরের ব্যাপার! এখন বাপের বাড়ি বলেও আম্মার কিছু নেই। সব ভাইদের জায়গা জমি। তাই দেশে আর যাওয়া হয়না।
সম্পত্তি নয়, এখানে সম্মানের প্রশ্নটা জড়িত। আমার আম্মা অসম্মানিত বোধ করেন। আমার নানা এখনো বেঁচে আছেন। তিনি আরো দীর্ঘজীবী হোন।
২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
আরজু পনি বলেছেন:
নানার সম্পত্তি পা্ওয়ার অধিকার ছেলেদের পাশাপাশি তার মেয়েদের যেমন আছে, তেমনি নানীর সম্পত্তিও পা্ওয়ার অধিকার উভয়েরই আছে।
সমস্যা হচ্ছে আপন মানুষরাই ঠকায় সবচেয়ে বেশি!
আর সম্মানের কথা ভেবেও অনেক নারীই সম্পত্তির ভাগে যেতে চায় না, হতে চায় না বিরাগভাজন।
এই অবস্থার উন্নতি হ্ওয়া দরকার।
আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ রইল সজীব।
আপনার আম্মার জন্যে রইল আমার সালাম।।
৫৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: সুন্দর এবং যৌক্তিক দাবী, নারীর ন্যায্য অধিকার চাই
২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
আরজু পনি বলেছেন:
সহমত...
নারী-পুরুষ নির্বিশেষ সকলেরই ন্যায্য অধিকার চাই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খালিদ।
৫৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সাভার রানা প্লাজা থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ টি লাছ উদ্ধার
এখন ও বহু জীবিত মানুষ বিভিন্ন ভাঙ্গা দেয়াল , কুস্তুরি , ও ভগ্নাংশের নানা জায়গায় আটক ।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও দক্ষ উদ্ধার কর্মীদের অভাবে
আরও মৃত্যুর আশংকা
সরকার এবং উদ্ধার কর্মে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
গ্রহন জরুরী ।
রক্ত ও অক্সিজেন দরকার
প্রয়োজনীয় সহায়ক কমিটি দরকার
এ বিষয়ে পোষ্ট আশা রাখি
২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
আরজু পনি বলেছেন:
রানা প্লাজায় দূর্ঘটনায় আহত, নিহত সকলের জন্যেই দোয়া রইল।
আমার একটা পোস্ট আছে "উন্মুক্ত আলোচনা" অফটপিকে ওখানে কথা বলতে পারেন।
ধন্যবাদ।
৫৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: আমার মায়েরা ছয় বোন । ছয়বোন মিলেই তাদের প্রাপ্য সব সম্পত্তি মামাকে স্বেচ্ছায় মামাকে দিয়ে আসছেন ।
ভাবী নাই । আর একটাই বোন । আমরা ভাইয়েরা বলে দিয়েছি বোনের ভাগ আমরা চাইনা, সেটা তাকেই বুঝিয়ে দেয়া হবে ।
ধন্যবাদ পণিপু ।
২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫
আরজু পনি বলেছেন:
বোনেরা যদি কোন সমস্যা মনে না করে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেয়, তবেতো কোন সমস্যাই নেই।
কিন্তু যাদের প্রয়োজন রয়েছে, বা যারা নিজের ভাগটুকু উত্তর পুরুষদের স্মৃতি বলেই আঁকড়ে রাখতে চায়, তাদেরকে বঞ্চিত করাটা অন্যায় ।
অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মামুণ।
ভালো থাকুন।
৫৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অনেক মেয়েই ব্যাপারটা মেনে নেয়। যেমন আমার মা। তিনি নানা বাড়ি থেকে কিছুই আনতে রাজি না। সব কিছু মামাকে দিয়ে দিতে চান, যদিও আমার মামা অবস্থাসম্পন্ন মানুষ, কোনও অভাব নেই তার বরং তার চেয়ে বেশি অভাবে আমরাই আছি! কে বোঝাবে মাকে? কিছু বলতে গেলেই আমাকে ভুল বুঝে!
২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
আরজু পনি বলেছেন:
কেউ যদি নিজে থেকেই তার সম্পত্তি না নিতে চায় সেক্ষেত্রে বলার কিছু নেই। তবে মায়েরা নিতে না চাইলেও সন্তানের কথা ভেবেও নিতে পারে।
স্মৃতি ধরে রাখার জন্যেও অন্তত নেয়া উচিত। আমি আমার অংশটুকু ছাড়িনি একারণেই যে, তা বিক্রি হয়ে পরের হাতে যাক তেমনটি দেখতে চাইনি। আর আমার একেবারে নিজের একটা লাইব্রেরী করার ইচ্ছে আমার অনেকদিনের।
আপনার আম্মার আশাকরি ভুল ভাঙ্গুক।
শুভকামনা রইল নাজিম।
৫৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০১
নিমচাঁদ বলেছেন: বিমানে যখন আমি চাকুরি নেই, তখন বিবাহিত ছিলাম না ।চাকুরি কন্ট্রাক্টের একটা ফর্ম ফিলাপ করতে হয়েছিলো। আমার অবর্তমানে কাকে কাকে আমার পেনশন , গ্রাচুয়িটি দেওয়া হবে । আমার উত্তর ছিল বাবা এবং মা ৫০% করে । বিয়ে করার পরে ও কিছুটা অবহেলার জন্য এই অংশটি আর পরিবর্তন করা হয় নি ।কি কারণে জানি একদিন আমার পার্সোনাল ফাইলটি দেখার দরকার হলো । দেখার সময় সামনে ছিলেন আমার এক সিনিয়র আপা লামিয়া শারমিন ।উনি এই অংশটি দেখে বললেন ,তুমি এটা চেঞ্জ করো নাই কেনো ? এখন তুমি বিবাহিত , তোমার ছেলে হয়েছে , তোমার সকল প্রাপ্য তো তোমার বউর পাওয়া উচিত ।আমি দুষ্টমি করে বললাম ,আমি মারা গেলো তো বউ আবার বিয়ে করতে পারে , সেইক্ষেত্রে তো আমার জন্য দোয়া করার জন্য বাবা মা ছাড়া কেউ থাকবে না । আপা কথাটা সিরিয়াস্লি নিলেন ।বললেন ,তোমার সন্তান তো তোমার বউ ফেলে দিতে পারবে না , তোমার ছেলের অধিকার রক্ষার অংশটুকুর দায়িত্ব নিশ্চয়ই তোমার বাবা মা হতে তোমার বউর বেশী ? নাকি এইটা মানো না।আমি হাসতে হাসতে, বলেন কি করতে হবে ? উনি বললেন তোমার অবর্তমানে ১০০% সব কিছুর অধিকার পাবে তোমার বউ এবং সে পেলেই তোমার সন্তান দের অধিকার নিশ্চিত হবে । তোমার বাবা মা অনেক বয়স্ক , তারা যে কোন দিন মারা যেতে পারেন (আল্লাহ মাফ করুক , তারা সুস্থ আছেন ইন্সাল্লাহ এখন পর্যন্ত) , সেই ক্ষেত্রে এই ৫০%+৫০% লাপস হয়ে যাবে , সরকারের কাছে এই টাকা চলে যাবে ,তোমার ডিসেন্ডেন্টস রা কিছুই পাবেনা ।
লামিয়া আপার কথা সারাজীবন এ মনে রেখেছি ।বিমানের চাকুরি ছেড়েছি সেই কবে , কিন্তু লামিয়া আপার কথা ভুলিনি । এখন আমার সকল সম্পত্তির ৯৫% এর মালিক আমার বউ (দেন মোহরানার ১০০% আদায় এবং উসুল সহ)।বাবা মা র কথা বলি । তাদের আমার চেয়ে অনেক ঢের ঢের বেশী আছে , তাদের কখন ও কিছু দিয়ে শান্তিতে থাকতে পারি নাই। তারা তার চেয়ে বেশী ততখনাত আমাদের দিয়ে দেন । এই এখন ও বাবা মায়ের ছাদের নীচে থাকি ।
আমার মা তার পরিবারের একমাত্র মেয়ে এবং দুই ভায়ের সব চেয়ে বড় বোন।নানার অবশ্য তেমন কোন সম্পত্তি ছিলো ও না , যা ছিলো তার দাম খুব বেশী কিছু না । তবে আমার মামা দের লালন পালন , বিয়ে শাদী , ঢাকায় বাসস্থান সব কিছু আমার বাবা মা করে দিয়েছেন ।মামাদেরকে সব সময় আমাদেরই দেখা শুনা করতে হয় , কারণ আমার মায়ের বক্তব্য , মামাদের তেমন কোন টাকা পয়সা নেই । সো তাদের কে , আমাদের সারাজীবন ই দেখা শুনা করতে হবে ।
আর আমার বাবার দিকের অনেক অনেক সম্পত্তি রয়েছে । যার কোন কিছুই আমার বাবা আনেন নি এবং আনবেন ও না ।ফুফুরা ও কিছু নেন নি ।দুই জেঠার পোলাপাইন রা এই সব মেরে কেটে খাচ্ছে।
নিজের একমাত্র বোনের কথা আর নাই বা বলি ।আমরা ভাইয়েরা আর আমাদের বাবা মা , তাকে ভরিয়ে দিয়ে রেখেছেন ।বাবা মায়ের কোন কিছু ভাগ হয়নি , সবাই উদারমনা , ভাগ হলে সে ভাইদের চেয়ে বেশী পাবেন বলে আমাদের বাসার সকল বউ দের ধারণা (ধারণা মিথ্যা নয়)।
২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
আরজু পনি বলেছেন: জেনে অনেক ভালো লাগলো। সচেতনতা সকল ক্ষেত্রেই প্রয়োজন কখন কি হয় বলা যায় না তো। বউদেরকে আপনারা পুরুষরা যতোটা খারাপ ভাবেন বউরা ততোটা খারাপ না
======
আপনার পাস্ওয়ার্ড-এর কি হলো?!!
৫৯| ০১ লা মে, ২০১৩ রাত ৮:০২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাস্তব কি ভুলা যায় এত সহজে
স্মৃতিরা হৃদয়ে ঝড় তুলে দহন সাজে
আপু সাভারের ট্র্যাজেডি
কিছুতেই মন থেকে বাদ দিতে পারছিনা
বারবার নয়নে ভাসে
সে বড় বেদনা
২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
আরজু পনি বলেছেন:
মনে আর কয়জন রাখে বলুন!
৬০| ০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
আজনবী বলেছেন: আমার মা পেয়েছিলেন তার প্রাপ্য সবটুকু। কিন্তু তিনি তার মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভাইয়ের ছেলেকে এবং ছোটভাইকে (যার কাছে আমার নানু থাকতো) সমানভাবে ভাগ করে দেন মৌখিকভাবে। আমার মায়ের মৃত্যুর ২৩ বছর পর আমরা সব ভাইবোন আমাদের নামে রেকর্ড হওয়া ঐ সম্পত্তি গতবছর তাদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেই কোন টাকা গ্রহন না করে।
আর আমার বোনদের প্রাপ্য সবটুকুই বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
আপনার চারটি প্রশ্নের জবাব এখানে - হ্যাঁ।
২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
আরজু পনি বলেছেন:
অনেক দারুণ লাগলো আপনার অভিজ্ঞতা জেনে।
সম্পর্কগুলো এমনই হওয়া উচিত।
অনেক ভালো থাকুন আজনবী।
শুভকামনা সবসময়ের।।
৬১| ১৪ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন:
আমার মা তার প্রাপ্য অংশের অর্ধেক ও পায় নাই। যদিও এটা নিয়ে তার কোন মাথা ব্যাথা নাই। তবে আক্ষেপ করে একটা কথা বলে আমাকে আমার অংশ দিলেই কি আমি নিয়ে নিতাম???
এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা আমরা প্রাপ্য অংশ দিচ্ছি না যা নিয়ে তৈরি হচ্ছে ঝগড়া ফ্যাসাদ।
২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
আরজু পনি বলেছেন:
হ্যাঁ, এটাই সমস্যা। আর এই সমস্যা থেকে বেরুনোর একমাত্র পথ মানবিকতাবোধ, সচেতনতাবোধ।
আমরা ধর্ম ধর্ম করে গলা ফাটাই, কিন্তু ধর্মেই যে অধিকারের কথা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে তাতে মনোযোগ দেই না।
ধন্যবাদ মেহেদী, ভালো থাকুন।।
৬২| ১৪ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
কালীদাস বলেছেন: বিষয় সম্পত্তির কতা উপেন পেলেসে কইয়া ট্যাক্সের ফান্দে পড়বার চাইনা
২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪২
আরজু পনি বলেছেন:
আপনেরেতো মানুষটা ভালা মনে করছিলাম!
৬৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
অদৃশ্য বলেছেন:
আমাদের পরিবারে এর সঠিক ব্যবহারটাই দেখেছি... তবে অনেকের ক্ষেত্রেই অনেক সমস্যার কথা শুনে থাকি... এসব ক্ষেত্রে ইমোশনাল ব্লাকমেইল বেশ হয়...
আপনার আগের একটি লিখাতে কমেন্ত করেছিলাম... হাওয়া করে দিলেন লিখাটাই !
ভালো থাকুন
শুভকামনা...
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১৫
আরজু পনি বলেছেন:
ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিংটাই আসলে বেশি করা হয়। এমন হওয়া উচিত না কোনভাবেই।।
আগের লেখাটার জবাব দিতে দেরী হচ্ছে, তাই ড্রাফটে নিয়েছি। ওটাকে অবশ্যই ফিরিয়ে আনবো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অদৃশ্য...ভালো থাকুন সবসময়ই।।
৬৪| ১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
শাহেদ খান বলেছেন: আমার নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি, দাদার বাড়ি বা নানার বাড়ি'র সম্পত্তি বা যেকোনও সম্পদের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে আমি চিরকাল উদাসীন ছিলাম, এসব বিষয় কখনই ভেবে দেখা হয়নি। কাগজে-কলমে কার-কোথায়-কতটুকু-কী আছে আমার কিছুই জানা নেই। আমার কাছে সম্পত্তি বলতে শেলফ-ভর্তি একগাদা বই আর একটা তারা দেখা'র টেলিস্কোপ - এই আমার জাগতিক স্বপ্ন আর পাওয়া।
আপু, প্রশ্নগুলো পড়ার পর মনে হচ্ছে বাস্তব জীবন থেকে অনেক দূরে বাস করছি। তাই অফটপিক এত কথা বলা হয়ে গেল।
কমেন্টে অনেকের জীবনের গল্পও পড়ছি। পোস্টে তাই ভাল লাগা।
২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
আরজু পনি বলেছেন:
শাহেদ, জীবনটা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই অনেক কঠিন, তারা প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে জীবনের সাথে।
তবে আপনার জীবন-এর কথা জেনে বেশ ভালো লাগলো, কবি, লেখকরা এসব নিয়ে একটু উদাসীনই হয়ে থাকে। আমিতো কবি নই... আমার লেখার মুল কাঠখোট্টা বিষয় নিয়ে। তাই মাথা ঘামাই এসব নিয়ে।
আপনার মতামত জেনে ভালো লাগলো।
আপনার আগমন সবসময়ই অনেক প্রেরণার।
ভালো থাকুন সবসময়ই।।
৬৫| ২০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
জুন বলেছেন: কাল শুনলাম একজন বিত্তশালী বৃদ্ধা অসুস্থ মহিলার কথা। যার স্বামী তার বিশাল সম্পত্তির অংশ থেকে খুব সামান্যই দিয়ে গেছে মেয়েদের। বাকিটুকু ছেলেদের নামে।
সেই মা কে কাল হাসপাতালের ডাক্তার বলেছে তার এক মেয়েকে,
' আপনাদের কি মাকে বাসায় নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে না? শুধু শুধু হসপিটালে ফেলে রেখেছেন'!
২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
আরজু পনি বলেছেন:
ইসসস! আমরা কতো নির্মম হয়ে যাচ্ছি! ...মানবিকতাবোধ নষ্ট হয়ে পশুর চেয়েও অধম হয়ে যাচ্ছি!
প্রাপ্য সম্পত্তি ঠিকমতো পেলে বৃদ্ধ বয়সে আর আমাদের প্রিয় মানুষগুলোর এতো কষ্ট হয় না। আর যাদের ভালোর জন্যে, নিরাপত্তার জন্যে পিতা-মাতা তাদের সব সম্পত্তি দিয়ে নিঃস্ব হন...সেইসব বেঈমান, অকৃতজ্ঞ সন্তানরাই পিতা-মাতার বৃদ্ধ বয়সে তাদের যত্নে অপারগতা দেখায়। এসবের শেষ হওয়া দরকার। মানুষগুলো আরো মানবিক হোক।
অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার ।
৬৬| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫৭
ফরটি ইজ দা নিউ থারটি বলেছেন: পোস্ট নিয়ে কিছু বলতাম, তবে কমেন্ট সেকশনে এসে "পরিবেশ বন্ধু" ভদ্রলোকের কমেন্ট পরে খেই হারিয়ে গেল
কি মনে করে ওনার বেশ কিছু পোস্ট আর কমেন্ট পড়ে মনে হলো
ওনার মানসিক সমস্যা আছে, আল্লাহ ওনাকে হেদায়েত করুন
২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
আরজু পনি বলেছেন:
৬৭| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
চানাচুর বলেছেন: আম্মু, খালারা কিছু চাননি। তাদের ক্ষেত্রে তাদের ভাইরা (মামারা) যা দিয়েছেন তা-ই নিয়েছেন।
আর আব্বুর ক্ষেত্রেও দাদা যা দিয়েছেন তা-ই নিয়েছেন। ভাইদের মধ্যে আব্বু সবচেয়ে কম নিয়েছে। আর আমার দাদা, ফুপুদেরকে যথেষ্ট কম দিয়েছেন!!
আর আমরা তিনবোনই। আমাদের ভাই নেই।
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৪
আরজু পনি বলেছেন:
আপনারা যেহেতু তিন বোন সেক্ষেত্রে আপনাদের সম্পত্তি কিন্তু আগে ভাগেই কাগজে কলমে নিয়ে নেয়া উচিত !
আমাকে উত্তরাধিকার সম্পত্তি নিয়ে আরো পড়তে হবে।
৬৮| ০৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ পরামর্শ মনে থাকবে।
০৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
আরজু পনি বলেছেন:
অনেক অনেক শুভকামনা রইল চানাচুর।
৬৯| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: নারীরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেরাই স্মপত্তি নিতে চায় না। আম্মুরা সব বোন একসাথে তাদের ভাগের সম্পত্তি তাদের ভাইদের লিখে দিয়েছিলেন
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
আরজু পনি বলেছেন:
ভাইদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলে অবশ্যই দেয়া উচিত না।
কিন্তু সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্যেও অনেক বোনেরা সম্পত্তির ভাগ ছেড়ে দেয়ে
৭০| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫১
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: বাবা মারা যাবার পর সম্পত্তি নিয়ে আত্মীয়স্বজনদের যে চেহারা দেখেছি, মনে করতে চাই না সেসব দিনের কথা।
বাবার রক্ত পানি করা টাকার সম্পত্তি খাচ্ছে লতায় পাতায় আত্মীয়স্বজন রা, আর আমরা বোনেরা আমাদের ভাই নেই বলে বাবার মতই শুন্য থেকে শুরু করেছি নিজেদের জীবন সংগ্রাম
আল্লাহর রহমতে আমরা ভালো আছি অনেক, ভেবে নিয়েছি ঐ সম্পত্তি যারা খাচ্ছে এর বিনিময়ে আল্লাহ্ আব্বার পরকালে সদকায়ে যারিয়াহ হিসেবে সওয়াব লিখে দেবেন
২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৯
আরজু পনি বলেছেন:
কিন্তু আপনার আব্বা সম্পত্তি আপনাদের নামে লিখে দিলে তো আর এমনটি হতো না !
সম্পত্তি ভাগের সময়ই আপন মানুষগুলোর প্রকৃত রুপ বোঝা যায় । কে কতো আপন আর কে কতো নিলোর্ভ।
ওদের মুখে ছাই দিয়ে অনেক অনেক ভালো থাকুন ।।
শুভকামনা রইল।।
৭১| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
রবিউল ৮১ বলেছেন: আপনার প্রশ্ন গুলো দেখে উত্তর দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।আমার মায়েরা তিন বোন এক ভাই।ভাই সবার চাইতে ছোট।নানা যঠেষ্ট সম্পত্তি রেখে মারা যান আজ থেকে ১৭ বছর আগে।জমি কোথায় কিভাবে আছে মায়েরা তিন বোনের কেউই জানেন না।কখনও তারা জমিতে যানও নাই।মামাই সব দেখা শোনা করতেন এবং আজও করেন।মামা কোন চাকরী করেন না।নানার সম্পদের উপর দিয়েই ভালো ভাবে চলে যাচ্ছেন।ইচ্ছে মতো খরচ করছেন,ব্যাবসা করার নামে টাকা নষ্ট করেন।মনের মতো পাবলিক কে দান করেন।মা,খালা এবং মামা সবাই ঢাকাতে থাকায়,সম্পত্তি অনেক হওয়াতে এবং ভাই একটাই হওয়াতে গ্রামে শত্রুর স ংখ্যাও কম নয়।মা খালারা অভাবে না থাকায় এবং নিজেদের ঝগড়া বাইরে প্রকাশ পাবে বলে কোনদিনও মামার সাথে সম্পত্তি ভাগের ব্যাপারে প্রকাশ্য কথা বলেন নাই।মামাও কোন দিনো আজ পর্যন্ত সম্পত্তি ভাগের কোন কথা বলেন না।একাই ভোগ করে যাচ্ছেন সব।মা খালারা কিছু না বলায় আমরা বা খালাতো ভাইরা কেউ কিছু বলতে সাহস পাই না।কিন্তু বাবার সম্পত্তির এই রকম অপচয় নিয়ে মা খালাদের অনেক আফসোস,অনেক কষ্ট আর আক্ষেপ দেখি।মা এবং খালারা সবাই শিক্ষিত এবং খালা দুইজনই হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেন।আমরা এবং খালাতো ভাইরাও সবাই যার যার চাকরী নিয়ে ব্যস্ত। বলতে সত্যি কষ্ট হয় যে আমার মামা একজন আলেম।নারীর হকের ব্যাপারে পূর্ণ জ্ঞান থাকার পরেও এবং মা খালাদের কষ্টের ব্যাপারে জেনেও মামার এই ধরণের দায়িত জ্ঞানহীন কর্মকান্ড আমাদেরও কষ্ট দেয়।
এখন আপনার প্রশ্নের উত্তরতো আপনি বুঝতেই পারছে তাও দিচ্ছি
-প্রাপ্য সম্পত্তি কি তাদেরকে কাগজে -কলমে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে?
নাহ।
-প্রাপ্য সম্পত্তিতে কি তাদের দখল আছে?
নাহ।
-প্রাপ্য সম্পত্তি কি তারা ভোগ করতে পাচ্ছে?
নাহ।
-প্রাপ্য সম্পত্তি কি তারা চাইলেই বিক্রি করতে পারে?
চাইলেই বিক্রয় করতে পার।গ্রামের লোকেরা জমি ঠিকই চিনে কিন্তু মা খালারা বিক্রয়ের চিন্তা করলেই এতে শত্রুরা সুযোগ নিতে পারে।এ কারণে সেটাও নিয়ে কেউ চিন্তা করে না।
আপনার লেখাটা পড়ে মা খালাদের কষ্টটুকু মনে পড়লো।তাই উত্তর দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: আমার মা'র ক্ষেত্রে- তিনি কখনো মামাদের কাছে চাননি, কিছুই চাননি। আমার খালাও কিছু চাননি।

আমার বোন এর ক্ষেত্রে- আমি দেশে থাকবোনা। হয়ত বাইরে সেটেল করবো। সেহেতু আমার বাবা-মা'র যা আছে সব বোনের। এই জায়গাটা আরো একটু পরিষ্কার করা দরকার। আমাদের গ্রামের বাড়িতে আমরা কেউ থাকিনা। আমার বাবার গাজীপুরে দু'টি বাড়ি আছে এবং তিনি ঠিক করে রেখেছেন যে বাড়িটার দাম কম ও প্রসপেক্ট কম (কোনাবাড়িতে) ওটা আমার জন্য আর বোর্ডবাজারেরটা আমার বোনের জন্য