নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি ভাবে এপ্রিল ফুল কালচারের উদ্ভব

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১২


এপ্রিল মাসের ১ তারিখ এবং এই দিন ,সবাই সবাইকে বোকা বানানোর জন্য এপ্রিল ফুল খেলা খেলে থাকে । আমরা ছোট বেলাতে এই খেলা খুব খেলতাম এবং অনেককে বোকা বানিয়েছি । হয়তো আমার বন্ধু রহিমকে বোল্লাম দোস্ত ছন্দা অনেকক্ষণ ধরে গাছের নীচে তোর জন্য অপেক্ষা করছে । আমার বন্ধু তড়িঘড়ি করে ছুটে গিয়ে দেখে কেউ নেই , রাগের চোটে ফিরে আসলেই বাকি সব বন্ধু মিলে বলে বোসতাম এপ্রিল ফুল ।
অনেক হয়তো জানে না কিভাবে এই এপ্রিল ফুল বা বোকা বানাবার উৎসবের উৎপত্তি হোল । ১৫৮২ সালের আগে ইউরোপে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার প্রচলিত ছিল । ঐ ক্যালেন্ডার অনুযায়ি প্রতি বৎসর এপ্রিলের ১ তারিখে জাক জমকপূর্ণ ভাবে বৎস উৎসব পালন হোত । অনেক মানুষ সুন্দর সুন্দর জামা কাপড় পোরে বাহির হত এবং দিন রাত ভোরে চলতো নব বর্ষ উৎসব।

১৫৮২ সালে যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু হয় ( বর্তমানে যে ক্যালেন্ডার চালু ) , তখন বৎসরে শুরু জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ঠিক করা হয় । ক্যালেন্ডারের এই পরিবর্তন সব সাধারন মানুষের কাছে পৌছায় নি । যার কারনে প্রতি বৎসরের মত এপ্রিলের ১ তারিখে সেজে গুজে উৎফুল্লহ চিত্তে উৎসবের ভেনুতে গিয়ে সবাই দেখে ,সব ফাকা , কোন কিছু হচ্ছে না সেখানে। তারা দারুন ভাবে বোকা বোনে যায় । তাদরকে যারা জানতো নতুন ক্যালেন্ডার চালু হয়েছে এবং এখন থেকে নব বর্ষ উৎসবের দিন জানুয়ারির ১ তারিখে হবে , তারা তাদেরকে ঠাট্টা করে এপ্রিল ফুল বলে ডাকা শুরু করে ।

এই ভাবে এপ্রিল ফুল বা বোকা বানাবার উৎসব চালু হয় এবং খেলা বা ঠাট্টা ছলে সবাই সবাইকে বোকা বানিয়ে আনন্দ পায় ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: এগুলো পুলাপানদের বিষয়।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি এইটা কোন কাহিনী শোনাইলেন? এতদিন শুনে এসেছি যে '' এই দিনে খ্রিষ্টান রাণী ইসাবেলা স্পেনের লাখ লাখ
মুসলমানকে বোকা বানিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। সেই থেকে এই দিনটি এপ্রিল ফুল ডে হিসেবে পরিচিত। ''

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২১

এ আর ১৫ বলেছেন: ১লা এপ্রিল নিয়ে মোল্লাদের তেলেস্মাতি কাহিনীঃ

পত্রিকার পাতায় যখন সরাসরি অথবা ইনিয়েবিনিয়ে "১লা এপ্রিল এপ্রিল ফুল নয়, বিশ্ব শাহাদাৎ দিবস" (সূত্র:দৈনিক সংগ্রাম, ৭ মে ২০১৩) এবং "১ এপ্রিল মুসলিম গণহত্যার মর্মান্তিক ইতিহাস এপ্রিল ফুল পালন থেকে বিরত থাকুন -বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ"(সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব ১ এপ্রিল ২০১৭) শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে তখন শরীরে চিমটি কেটে দেখতে হয়! এও সম্ভব!! "এপ্রিল ফুল"- নিয়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিশাল একটা অংশ কতটা অজ্ঞ, জানলে অবাক হতে হয়..

এপ্রিল ফুল নিয়ে বাঙলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পটি হলো-
১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল খ্রিস্টান রাণী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিনান্দ স্পেনের গ্রানাডায় হামলা করেন। একপর্যায়ে ফার্ডিনান্দের সৈন্যদল আশেপাশের সকল ক্ষেত-খামার জ্বালিয়ে দেয়। ফলে শহরের মুসলিমদের মাঝে মারাত্মক খাদ্য সংকট নেমে আসে। দুর্ভিক্ষ যখন মারাত্মক আকার ধারণ করে তখন রাজা ফার্ডিনান্দ ঘোষণা করেন,
যে সব মুসলমান অস্ত্র সমর্পণ পূর্বক গ্রানাডার মসজিদ সমূহে আশ্রয় নিবে তাদেরকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া হবে এবং যারা সমুদ্রের খ্রিষ্টান জাহাজ সমূহে আশ্রয় নিবে তাদেরকে অন্যান্য মুসলিম দেশে পৌঁছে দেয়া হবে। এরপর মুসল্মানেরা মসজিদ ও জাহাজে আশ্রয় নিলে খ্রিস্টান সৈন্যবাহিনী শহরে প্রবেশ করে মসজিদগুলোতে তালা আটকে আগুন লাগিয়ে দেয় আর জাহাজগুলোকে মাঝ সাগরে ডুবিয়ে দেয়। এঘটনায় লক্ষ লক্ষ মুসলিম নারী ও পুরুষ মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারায়।
তখন রাজা বলতে লাগলেন - মুসলিমরা কত বোকা” তিনি মুসলমানদের নাম দিলেন ‘এপ্রিল ফুল’ অর্থ ‘এপ্রিলের বোকা’।

ততকালীন ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী যে কেউ গ্রানাডার যুদ্ধ সম্পর্কে খুব সহজেই A History of Medieval Spain বইটা থেকে জেনে নিতে পারেন। কিন্তু আমাদের যা স্বভাব, ইসলামকে মহান ও শান্তির ধর্ম এবং অত্যাচারিত প্রমাণ করতে মিথ্যা গল্প ফেঁদে বসলাম। গল্পে মৃত্যু না হলে আবার আবেগ আসে না, তাই পুড়িয়ে দিলাম লাখে লাখে মুসলমান!! কিন্তু সেদিন আসলে হয়েছিলো কি? ইতিহাসের পাতায় ১৪৯২ সালের ১ এপ্রিলের কোন উল্লেখ নেই, কারণ সেদিন বিশেষ কিছু ঘটেই নাই। Encyclopedia Britannica এবং A History of Medieval Spain উভয় জায়গা থেকেই জানা যায় গ্রানাডা হস্তান্তর হয়েছিলো ২ জানুয়ারি। ১৪৯২ সালের ২ জানুয়ারি রানী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিনান্দ গ্রানাডায় প্রবেশ করেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে গ্রানাডার শাসক দ্বাদশ মুহাম্মাদের কাছ থেকে গ্রানাডার চাবি নেন। আর এপ্রিল ফুলের কেচ্ছা ১ এপ্রিল। সে হিসেবে এপ্রিল ফুলের তিন মাস আগেই খ্রিস্টানরা গ্রানাডা দখল করে নেয়। ইতিহাসে না আছে আগুনে পোড়ানোর কথা না মিলছে তারিখ!! প্রশ্ন উঠতে পারে ইতিহাস কি সঠিক? সেক্ষেত্রে বলতেই হয় ইতিহাসটিতে মুসলমানদের ওপর সীমাহীন অত্যাচারের কথা লিপিবদ্ধ থাকতে ১ লা এপ্রিলের মতো বিষয়টা বাদ দিয়ে যাবে, সেটা কোনোভানেই সম্ভব নয়।

মজার বিষয় হলো স্পেন ভূখন্ডে মুসলিমদের সাথে ইহুদিদের বিরুদ্ধেও খ্রিস্টানদের যুদ্ধ হয়। প্রায় আড়াই লাখ ইহুদিকে জোরপূর্বক খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত এবং ১ লাখ ইহুদি যারা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে নাই, তাদের বিতাড়ন করা হয়েছিলো। ১৬০৯-১৬১৪ সালের মধ্যে স্পেন থেকে সকল মুসলিম বিতাড়ন করা হয়।

উপরের আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার যে গ্রানাডার যুদ্ধের সাথে মোল্লাদের ফেঁদে বসা এপ্রিলফুলের গল্পের কোন সম্পর্কই নেই। ইহুদি-খ্রিস্টান বিদ্বেষ থেকে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতে বছরের পর বছর মোল্লারা চালিয়ে যাচ্ছে মিথ্যার বেসাতি। এদের সাথে যুক্ত হচ্ছে বর্তমানের মিডিয়াগুলোও। দৈনিক যুগান্তরের সেই "আগুন নিভানোর দোয়া" থেকেই বোঝা যায় ধর্মের বিস্তার কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। প্রতিরোধ করতে না পারলে নিজেদেরই পুড়ে অঙ্গার হতে হবে।

তবে এপ্রিলফুল এলো কোথা থেকে?
ব্রিটিশ, জার্মান, হল্যান্ড, ফ্রান্স ভিন্নভিন্ন দেশের এপ্রিল ফুল পালনের ভিন্ন ভিন্ন গল্প প্রচলিত আছে। অনেকে বলেন জুলিয়ান থেকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পরিবর্তন থেকেই এর সৃষ্টি.. এ নিয়ে আরেকদিন আলোচনা করা যাবে...

ENJOY এপ্রিল ফুল......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.