নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাড়ে চুয়াত্তর সাহেবের আর্টিকেলের উত্তর !

১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর সাহেব তার ব্লগে আমার কমেন্ট ব্লক করে রেখেছেন । তাই তার ব্লগে যে উত্তরটা লিখেছিলাম , সেটাকে পোস্ট আকারে দিলাম ।

কোরআনে নেই কিন্তু হাদিসের মাধ্যমে যা ফরজ, ওয়াজিব বা হারাম করা হয়েছে

আপনারা যে হাদিসকে জাস্টিফাই করার জন্য বার বার নামাজ রোজা হজ্জ জাকাত ইত্যাদির কথা নিয়ে আসেন , সেটা কি গোজামিল নহে ?
যে সমস্ত কোরান বহিরভূত বিষয়ে কোরানের মত ১০০% গেরেন্টেড সে সব গ্রহন করা বাধ্যতা মূলক ।

নামাজ কয় ওয়াক্ত পোড়তে হবে , রোজা কি ভাবে রাখতে হবে , হজ্ঝ কিভাবে পালন করতে হবে , সেই বিষয় গুলো কি ৩০০ বৎসর পর ইমাম বুখারি লিখেছেন ? নাকি প্রতি দিন বা প্রতি বৎসর চর্চা করা হয়েছে ?

লাস্ট ১৪০০ বৎসর এমন কোন দিন নেই যেদিন মুসলানদের একটা বড় অংশ নামাজ পড়ে নি , এমন কোন বৎসর নেই হজ্জ হয়নি বা ঈদ হয়নি । ইগুলো প্রমাণীত ১০০% সত্য -- যদি ইমাম বুখারী এসে এগুলো পড়ার বা আদায় করার নিয়ম কানুন লিখতো ৩০০ বৎসর পরে , তখন এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতো ।
হাদিসতো নামাজের মত প্রতি দিনের চর্চার বিষয় নহে যে সব কিছু ঠিক থাকবে ।
নামাজ লাস্ট ১৪০০ বৎসর দিনে ৫ বার পড়ার পরে ও নামাজের হাত বাধা বা বসার কায়দায় ভিন্নতা আছে , কেহ জোড়ে আমিন বলে কেহ নিরবে বলে । কেহ বলে ঈদের নামাজ সুন্নত কেহ বলে ওয়াজিব , কেহ বলা ঈদের নামাজ অতিরিক্ত ৬ তকবির কেহ বলে ১২ তকবির , কেহ বলে তারাবি ৮ রাকাত কেহ বলে ২০ রাকাত ।
তাহোলে দেখুন বিগত ১৪০০ বৎসর প্রতিদিন ৫ বার নামাজ পড়ার পরেও এত বিভেদ ।
প্রতি বৎসর মাত্র ১ মাস তারাবি পড়া হয় সেখানে ও বিভেদ লাস্ট ১৪০০ বৎসর ।
প্রতি বৎসর ২ বার ঈদের নামাজ পড়া হয় সেখানে ও মত পার্থক্য ।

তাহোলে ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস কি করে ১০০% সঠিক হয় ?

সুতরাং নামাজ রোজার উদাহরন টেনে ৩০০ বৎসর পরের হাদিসকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করবেন না দয়া করে । ধন্যবাদ

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লজিক ঠিক আছে।

১৯ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:০৮

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার তাৎক্ষণিক মতামতের জন্য।

২| ১৮ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনারা দু'জনে বা কয়েকজনে একটু বসেন। আমাদের মত হালকা মুসলমান খুব বেশী কনফিউজ হয়ে যাচ্ছি।

আমাদের জন্য অন্তত আপনারা বসে ঠিক করেন; আমরা শুধু কোরআন মাফিক চলব নাকি হাদিস ও ফলো করব?
এতো প্যাচাইয়েন না প্লিজ...

১৯ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:১২

এ আর ১৫ বলেছেন: হাদিসের ব্যপারে আমার মতামত হোল যে শত ভাগ প্রমাণিত সত্য এবং কোরানের সাথে ম্যাচ করে সেই সকল হাদিস আমরা অনুসরন কোরবো, অবশ্যই কোরানের উপরে কিছুকে স্থান দিব না। কোরানের আয়াতে ব্যাখার জন্য যে সকল হাদিস আছে, সেগুলিকে গ্রহন করবো। ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: ব্লক করার দরকার কি,যুক্তি খন্ডন করতে না পারলে বিরত থাকুন।সোজা বলে দিন ধর্ম বিশ্বাসের কোন যুক্তি হয় না,আর যারা ধর্ম বিশ্বাস কে যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তারা ধর্ম বিশ্বাসের সংজ্ঞাই জানে না।

৪| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ৯:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: ব্লক করে তিনি ভুল করেছেন। আলোচনা সকল সমস্যার সমাধান।

নবী হাদিস লিপিবদ্ধ করতে বলেছেন কি না জানা নাই। এটা করা টা বিদাত হলো কি না এটাও জানা নাই। যা নবি বলেন নাই তা করাটা পাপ হলে হাদিস সংকলন ও পাপ।

১৯ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:২৯

এ আর ১৫ বলেছেন: সব হাদিস বিশেষজ্ঞ এই ব্যাপারে একমত যে রসূল (সঃ) তার কোন কথা লিখিত ভাবে সংকলন করতে পরিষ্কার ভাবে নিষেধ করেছেন।
ফলে ইসলামের প্রথম কয়েক শতাব্দী আমরা কোন হাদিস বই দেখতে পাই না।

রসূলের (সঃ) এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতেন বলে, আমরা চার খলিফার শাসন আমল, উমাইয়া শাসন আমল এবং আব্বাসীয় শাসন আমলের প্রথম দিকে কোন হাদিস সংকলন দেখি না।

রসূলের (সঃ) মৃত্যুর ২৫০ বছর পরে একজন অ-আরব ব্যক্তি -বুখারী-প্রথম হাদিস সংকলন করেন।

১। আবু হুরায়রাহ বলেছেন :

আমরা রসূলের কাছ থেকে যা শুনছিলাম তা লেখে রাখছিলাম।
তিনি আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমরা কি লিখছ?"
আমরা বললাম, "আমরা যা আপনার কাছ থেকে শুনছি, তাই লিখছি। "
তিনি বললেন, "তাহলে আল্লাহর কিতাব লিখ, আল্লাহর কিতাবকে তুলে ধর, আল্লাহর কিতাব ছাড়া আর কোন কিতাব নাই, আল্লাহর কিতাবকে তুলে ধরো। "
তারপর আবূহুরায়রা বললেন, "এরপর আমরা যা যা লিখে ছিলাম তা একত্রে সংগ্রহ করে, পুড়িয়ে দিয়েছিলাম।" ......
(মুসনাদে আহমদ: হাদিস নং ১০৬১১)

২। রসূল (সঃ) বলেছেন, "কোরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে রাখবে না। যারা কোরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে রেখেছ তা অবশ্যই নষ্ট করে দিবে।" (সহীহ মুসলিম)

৩। রসূল (সঃ) বলেছেন, "কোরান ছাড়া আমার কাছ থেকে শুনা কোন কিছু লিখে রাখবে না। কেউ যদি কোরান ছাড়া আমরা কাছ থেকে শুনা কোন কিছু লিখে থাকো তা হলে তা মুছে দেও। " (সহীহ বুখারী, আবু সাঈদ আল-খুদরী এইটা বলেছেন)

৪। রসূল (সঃ) বলেছেন, "আমি তোমাদের জন্য শুধুমাত্র কোরান রেখে যাচ্ছি; তোমরা এটাকে মেনে চলবে। (মুসলিম ১৫/১৯; ইবনে মাজাহ ২৫/৮৪; আবু দাউদ ১১/৫৬)

৫। রসূল (সঃ) বলেছেন, "তোমরা কোরান ছাড়া, আমার কাছ থেকে শুনা কোন কিছু লিখে রাখবে না। কেউ যদি কোরান ছাড় অন্য কিছু লিখে থাকো তাহলে তা নষ্ট করে দাও। (মুসনাদ-আহমেদ ইবনে হান্বল)

৬। রসূলের (সঃ) কথা লিখে রাখার জন্য সাহাবীরা অনুমতি চেয়ে ছিলেন। তাদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। (তিরমিজি-দারিমীর বর্ণনা)

৫| ১৯ শে মে, ২০২১ ভোর ৪:২৩

এভো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের একটা জবাব আশা করছি, এই বিষয়ে,

১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৪১

এ আর ১৫ বলেছেন: ওনার যুক্তির মেরুদণ্ডে আঘাত হানা হয়েছে। যে সমস্ত বিষয় গুলো পূজি করে ওনাদের দাবি, ঠিক সেখানেই আঘাত লেগেছে। কত গুলো বিষয় কোরানে নেই কিন্তু সেই বিষয় গুলো প্রতি নিয়ত চর্চা করা হয়েছে, সেই কোরান বহির্ভুত বিষয় গুলো প্রমাণিত সত্য। তিনি যে বিষয় গুলো নিয়ে যুক্তি এবং দাবি প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা কোরছেন, ঐ সব বিষয় গুলো প্রতিদিনের চর্চার বিষয় এবং এই চর্চা বা পালন করার পদ্ধতি ৩০০ বৎসর পরে লিপিবদ্ধ হয় নি।
ধন্যবাদ

৬| ১৯ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো ও অন্যান্য মন্তব্যকারীরা- আমি ওনাকে বহু আগে ব্লক করেছি অন্য কয়েকটা কারণে এই পোস্টের কারণে না। আমি কাকে ব্লক করবো সেই ব্যাপারে অন্যের পরামর্শ আমার প্রয়োজন নাই। যেহেতু আমি ওনাকে অনেক আগেই ব্লক করেছি তাই ওনার পোস্টে আলোচনা করতে ইচ্ছুক না। যারা আলোচনা করতে চান আমার পোস্টে আসতে পারেন।

১৯ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:১৬

এ আর ১৫ বলেছেন: আমি যেহেতু আপনাকে ব্লক করিনি, তাই আপনাকে উত্তর দিতে আহবান করছি। ধন্যবাদ

৭| ১৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:২০

নতুন বলেছেন: মানুষ ঘাপলা দেখতে চায় না তাই পায় না।

সবচেয়ে বেশি হাদিস বর্ণনা করেছেন আবু হুরাইয়া রা: তিনি ২ বছর ৩ মাস রাসুল সা: এর সাথে ছিলেন।

আবু বকর রা: রাসুল সা: এর কাছের মানুষ এবং খলিফা কয়টা হাদিস বর্ণনা করেছেন বুখারী/মুসলিম হাদিস সংকলনে?

৮| ১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি 'বলেছেন যে সমস্ত কোরআন বহির্ভূত বিষয়ে কোরআনের মত ১০০% গ্যারানটেড সে সব গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।' এটা আপনার ব্যক্তিগত মত। পারলে এটার পক্ষে কোন দলিল দেখাবেন। কোরআনে কোথাও কি বলা আছে যে শুধু কোরআন মানবা আর হাদিস মানবা না।

১ম খলিফার যুগ থেকেই খলিফা ও সাহাবীরা যে কোন দীনি বিষয়ের ফয়সালার জন্য, হয় কোরআন বা হাদিসের শরণাপন্ন হতেন। বুখারির আগেই হাদিস লেখা শুরু হয়েছে। উনি শুধু সহিগুলি একত্র করেছেন। আর লেখার আগে হাদিসের চর্চা হতো মুখে মুখে। সাহাবীরা মুখস্ত হাদিস থেকেই মতবিরোধ হলে সঠিক পদ্ধতি জেনে নিতেন। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত শুধু পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে দেখে দেখে শিখলে হবে না। তাই যদি হত তাহলে সবাই ভুলভাবে আমল করতো আর বলতো যে এটা এভাবেই আমরা শিখেছি। মৌলিক বিষয়গুলি ঠিক আছে কি না সেটা কোরআন ও হাদিস থেকে মিলিয়ে নিতে হবে। নতুবা বিভিন্ন ভুল নিয়ম মানুষের মধ্যে চলে আসবে। কিছু এসেছেও। তখনই কোরআন ও হাদিস দিয়ে বিচার করে বাতিল কে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সব যুগেই এভাবে বাতিলকে সংশোধন করা হবে। ইসলামে দলিল ছাড়া কিছু করা যায় না। মানুষ যেন পূর্বপুরুষের দোহাই দিয়ে যেভাবে খুশি সেভাবে এবাদত না করতে পারে সেই কারনেই হাদিস প্রয়োজন। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, ফেতরা অথবা যে কোন ইসলামী কাজই শুধু পূর্বপুরুষের দোহাই দিয়ে করা যাবে না। কাজটা যে সঠিকভাবে হচ্ছে তা প্রমাণের জন্য দলিল লাগবে। ইসলামে আকিদা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে মতভেদ অনুমোদিত। অনেক সময় রসুল (সা) একই কাজে একাধিক ধরণের আমল অনুমোদন দিয়েছেন। মাজহাব ভিত্তিক ভাগ কোন দলাদলি না। এক মাজহাব আরেক মাজহাবকে হেয় করে না।

২০ শে মে, ২০২১ রাত ১২:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
আপনি বাধ্যতামূলক কিনা তার প্রমাণ চাচ্ছেন --
যেমন নামাজ পড়ার আগে অজু করা বাধ্যতা মুলক, প্রসিডুউর অনুযায়ি অজু করা বাধ্যতা মুলক, নামাজে নিয়ত, সানা পড়া, হাত বাধার পর সুরা ফাতেহা পড়া বাধ্যতা মুলক, তারপর অন্য সুরা বা সুরা অংশ পড়ে আল্লাহু আকবর বলে রুকুতে যাওয়া বাধ্যতামূলক ,,, ইত্যাদি। এই বিষয় গুলোর নিয়ম মেনে চলা বাধ্যতা মুলক। যেহেতু এই বিষয় গুলো প্রতিদিনের চর্চার বিষয়, সুতরাং এই হাদিস গুলো ১০০% সঠিক।
ধন্যবাদ

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাড়ে চুয়াত্তর কি ব্লগার? উহা কি লিখছে, সেটা নিয়ে আপনি চিন্তিত কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.