প্রতিযোগিতা কোন পথে??? ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে যান........দেখুন কি হয়.........

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১২

.

১.
বাবা খেয়ে নাও.......
খেয়ে নাও বাবা.........
আমি খাইয়ে দিচ্ছি.....হা করো সোনা্।
বাবা ইংরেজী twinkle twinkle ছড়াটা
বলো তো।
একদম ভুলবেনা সোনা।পরীক্ষায় ঠিক ঠিক লিখবা কিন্তু।
এই পলি বাবুর গোসলের পানি গরম হয়েছে?
তাড়াতাড়ি কর।
কদম গাড়িটা বের কর।
সোনাকে নিয়ে পরীক্ষা হলে যাবো।
আমার বাবুর পরীক্ষা।
আরে করছেন কি এসব?
ছাড়েন না তাকে।খেতে দিন নিজের মত করে।ও যা পড়েছে
ভালোই লিখবে।নিজের গোসলটা নিজে করতে দিন।
পরীক্ষার হলে কোন জামাটা পরলে সে ভাল অনুভব করবে
তাকেই ভাবতে দিন।
পায়ে হেটে যাক না স্কুলে অন্তত পরীক্ষার হলের কাঠিন্যতা
সম্পকে বাস্তব অভিজ্ঞতা পাবে।

২.
শোন সোমা,
রবিনের সবসময় কাছে থাকো।
ওকে এবার ক্লাসে ফাস্ট হতেই হবে।
সবসময় পড়াশোনা করাবে।বাড়িতে কাজের মেয়ে আছে
সে সব করবে।তুমি শুধু রবিন কে পড়াও।
স্বামী হিসেবে তোমার কাছে আর কিছু চাই না।
আরে আ. জলিল মিয়ার ছেলে ফাস্ট হয় গরিবের ঘরের সন্তান হয়েও।
অার আমি এলাকার কোটিপতি সম্মানী ব্যক্তি......
আমার ছেলেটা ফাস্ট না হলে সম্মান থাকে?
বাড়িতে ছয় ছয়টা টিউশন টিচার...........
শুধু চাওয়া আমার ছেলে ফাস্ট হোক।
আরে বাদ দেন না এসব।
সবাই ফাস্ট হতে পারে না কিন্তু সবার ভাল মানুষ হওয়ার
চান্স থাকে।
সেটা হতে দিন।
এ্যারিস্টটল,সক্রেটিস,মার্ক টোয়েন,আ্‌ইনস্টাইন,বিল গেটস,জাকির নায়েক,
নজরুল,রবীন্দ্র রা ক্লাসে ফাস্ট হওয়ার প্রতিযোগিতা করেন নি।
সবর্দাই নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
নিজের যোগ্যতার সীমা পেরোনোর কথা ভাবুন।
নির্লজ্জের মতো খালি পৃথিবী থেকে হাত পেতে চাইবেন কেন,
দুহাত ভরিয়ে দিন তাকে।

৩.
আর মাত্র চব্বিশ ঘন্টা বাকি।
টাকার বস্তা নিয়ে ছড়িয়ে যা।
যত টাকা লাগে দিবো।ভোট আমার চাই।
কি হতে চান?
জনপ্রতিনিধি!!!!!!!!!!
মানে বুঝেন????
জনগন তাদের অভিভাবক হিসেবে যাকে চাই।আপনাকে চাইনি তাই
বিবেকের দরজা টাকা দিয়ে বন্ধ করে দিতে চান।
আচ্ছা এত গাধা কেন আপনারা??
যে টাকায় বিবেক কে তালা বদ্ধ করছেন
সে টাকার জনকল্যানমূলক কাজ করুন জনগন আপনার জন্য ভোটকেন্দ্র
পাহারা দিবে।
পাবলিক সাইকোলজি বুঝবেন কবে?

৪.
টেবিলে ১০ লাখ টাকার চেক জমা না পরলে কোটি টাকার
ফাইল সাইন করেন না, তাইতো?
কি লাভ এসব করে?এত টাকা কি করবেন?
দানবীর সাজবেন।লোকে বাহবা দিবে?
ঐ লোকগুলোর মালিক যিনি তিনি দিবেন তো?
লাখ টাকার চেক নিয়ে ঘুমাতে যাবেন।
দাবিদারের ফোন।কোথা থেকে এলো,ভাবছেন তো?
ঐ যে আপনার ছেলেকে কিডন্যাপ করেছে......টাকা চাই।
রাতের ঘুম টাও নস্ট, সাথে চোখের পানি আর টাকাটা গেল।
বাদ দিন না এসব।
টাকা না নিয়ে ফাইল সাইন শুরু করেন
আপনাদের ছেলেরা আর অপহরন হবে না।
কারন যোগ্যতা থাকার পরেও আপনাদের অসাধুতাই টিকতে
না পারা ছেলে গুলো আর খারাপ পথে পা বাড়াবে না।

আর কত দিন একই পচা বৃত্তে পা রেখে ঘুরবেন?
বের হয়ে আসেন,
দেখবেন অফিসের ঐ টেবিল মুছা লোকটাই সোনার স্বদেশ
গড়ার কারিগর...................

০ টি +০/-০