নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বসে আছি অন্ধকারে, \nআমাকে বুঝতে দাও \nমানুষ কেন আলোর \nপ্রত্যাশা করে!

আসোয়াদ লোদি

জীবন ও যন্ত্রণার মরুচরে আমি প্রপাতের ধারা ।

আসোয়াদ লোদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নায়া (Naia)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২৬


১৩ হাজার বছর আগে এক কিশোরী বালিকা জল খুজতে গিয়ে একটি গুহাতে হারিয়ে গিয়েছিল। ডুবুরীরা মেক্সিকোর ইউকেটান উপদ্বীপের একটি ডুবো গুহার তলদেশ থেকে মেয়েটির ফসিল আবিস্কার করেছেন। ফসিলটি ৪.১০ ফিট লম্বা। ডুবুরীরা তার নাম দেন নায়া (Naia)। নায়া গ্রীক শব্দ। যার অর্থ জলপরী। শব্দটি বায়ু, সমুদ্র, কাঠ ও জলের দেবী নিম্ফের সাথে সম্পর্কযুক্ত। শব্দটির হাওয়াইন ব্যুৎপত্তি হল ডলফিন। মেক্সিকোর হোয়ো নেগ্রো (ব্ল্যাকহোল) নামে পরিচিত ১৫০ ফুট গভীর জলে পূর্ণ গুহাতে পড়ে গিয়ে নায়ার মৃত্যু হয়েছিল। তার উজ্জ্বল জেনেটিক ঐতিহ্যর কারণে গবেষকরা ধারণা করছেন, সে ছিল আমেরিকার প্রথম দিককার মানুষ।

আমেরিকায় এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মানব ফসিলের মধ্যে নায়ার ফসিলটি সবচেয়ে পুরানো। সে আমেরিকার এক প্রাচীন গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে দাবী করা হয়, যাকে নৃবিজ্ঞানীরা প্যালিওমেরিকান বলে অভিহিত করেছেন। জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে বর্তমান নেটিভ আমেরিকানদের সাথে নায়ার সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে যারা নেটিভ আমেরিকান, সত্যিকার অর্থে তারা আমেরিকায় প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল কিনা, তা মীমাংসার জন্য এই আবিস্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র বলে মনে করছেন গবেষকরা।

নায়ার কঙ্কাল নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের গবেষক জেমস চ্যাটার এর অভিমত,প্যালিওমেরিকানদের সাথে নায়ার শারীরিক বৈশিষ্টের সাদৃশ্য রয়েছে। তার খুলির গঠনও কেনেইউনিক ম্যানের মতো। নেটিভ আমেরিকান ও প্যালিওমেরিকানরা যৌথভাবে এই অঞ্চলে বসবাস করত। তাদের এই মাতৃভূমিকে তখন বলা হত বেরিংগিয়া অথবা বেরিং ল্যান্ডব্রীজ । এটি ছিল বর্তমান আলাস্কা এবং সাইবেরিয়া জুড়ে বিস্তৃত অঞ্চল (এশিয়া ও উত্তর আমেরিকা সংযোগকারী ল্যান্ডমাস)। বর্তমান নেটিভ আমেরিকান ও প্রাচীন কঙ্কালের জেনেটিক পরীক্ষা থেকে জানা যায়, ঐসব মানুষগুলো সাইবেরিয়াতে (পূর্ব বেরিংগিয়া) এসেছিল ২৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার বছর পূর্বে। গবেষকরা মনে করছেন এরও ১৭ হাজার বছর পরে তারা দক্ষিণ দিকে সরে গিয়েছিল।

নায়ার জেনেটিক বংশ মাইটোকোনড্রিয়াল DNA এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয় । এই জেনেটিক উপাদান শিশুরা মায়ের দেহ থেকে লাভ করে। এই উপাদান মাইটোকোনড্রিয়া তে সংরক্ষিত থাকে এবং সেলের একটি অংশ হিসেবে শক্তি উৎপাদেনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ; এমন কি এটি মাঝে মাঝে শক্তির উৎসেও পরিণত হয়। বিজ্ঞানীরা মাইটোকোনড্রিয়াল DNA পরীক্ষার মাধ্যমে জেনেটিক বংশগতি চিহ্নিত করতে সমর্থ হন। একজন ব্যক্তির জেনেটিক তথ্যগুলো নিউক্লিয়াস সেলে সংরক্ষিত থাকে, যা পিতামাতা থেকে সন্তান ধারণ করে। গবেষকরা নায়ার নিউক্লিয়াস DNA থেকে জানতে পারেন এই কঙ্কাল টি ১২ থেকে ১৩ হাজার বছরের পুরানো ১৫ থেকে ১৬ বছরের এক বালিকার যেটার গ্রুপ হেপলোগ্রুপ D1 এবং সেই সময়ে আমেরিকাতে এই গ্রুপের অস্থিত্ব ছিল যেটার মূলধারাটি এসেছিল এশিয়া থেকে। বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকার কিছু লোকের মধ্যে এই গ্রুপটি আছে । চিলি ও আর্জেন্টিনার স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে আছে ২৯% এবং নেটিভ আমেরিকানদের মধ্যে ১১% এই গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত । নাইয়ার মাতৃবংশের সাথে বর্তমান নেটিভ আমেরিকানদের পূর্ব পুরুষদের সম্বন্ধ ছিল বলে গবেষকরা মত ব্যক্ত করেছেন ।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


তা'হলে, স্হানীয় আমেরিকানরা এশিয়া থেকে কমপক্ষে ২০/২৫ হাজার বছর আগে আলাস্কা হয়ে ( বেরিং প্রণালী এলাকা) আমেরিকায় প্রবেশ করেছে

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: বিজ্ঞানীদের গবেষণা তাই বলছে।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ওল্ড টেষ্টামেন্টের জেনেসিস ২ আদি পুস্তক তথা 'তাউরাত' মাফিক হজরত আদম আঃ এসেছিলেন মাত্র ৬০০০ বছর আগে।

অতচ ঊঃ এশিয়া থেকে ২০/২৫ হাজার বছর আগে উত্তরমেরু বেরিং প্রণালী ভেলা বানিয়ে বা কুকুর টানা স্লেজগাড়ী বা বরফের উপর দিয়ে শিকারের পিছু ধাওয়া করতে করতে আমেরিকায় প্রবেশ করে। রেড ইন্ডিয়ান, মায়া, ইংকা সভ্যতা গড়ে তুলে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৩

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ধর্ম দিয়ে ইতিহাস-বিজ্ঞান বিচার করা চলেনা। ইসলাম বলে আদমের পরে পৃথিবীতে ১ লাখ ২৪ হাজার মতান্তরে ২ লাখ ২৪ হাজার পয়গম্বর পৃথিবীতে এসেছে। তাদের গড় বয়স যদি ৫০ বছর (যদিও পয়গম্বররা আরও দীর্ঘজীবী হন) ধরি, তবে তাদের জীবিতকাল দাঁড়ায় ৬২ লাখ বছর। কিন্তু আদম পৃথিবীতে এসেছে ৬ হাজার বছর পূর্বে। এই হচ্ছে ধর্ম-ইতিহাস ও ধর্ম-বিজ্ঞান।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১২

শের শায়রী বলেছেন: আপনি আমেরিকার আদিবাসীদের চেহারা দেখলে কিন্তু দেখবেন তাদের চেহারায় এশিয়ান মঙ্গোলয়েড চিহ্ন এখনো বর্তমান। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভালো একটা ইনফোর জন্য।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: মানব ইতিহাসের অনেক কিছুই এখনও অজানা রয়ে গেছে।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

আশরাফ আনন্দ বলেছেন: মাথা ঘামানোর মতো একটা বিষয় বটে। আজকালতো ধর্মের কিছু যুক্তির সাথে বিজ্ঞানের মতের মিল পাওয়া যাচ্ছে। একটু খোঁড়াখুঁড়ি করলে হয়তো সামঞ্জ্যস্যপূর্ণ কোনো যুক্তি বেরিয়ে আসতেই পারে। ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ওল্ড টেষ্টামেন্টের জেনেসিস ২ আদি পুস্তক তথা 'তাউরাত' মাফিক হজরত আদম আঃ এসেছিলেন মাত্র ৬০০০ বছর আগে। অতচ ঊঃ এশিয়া থেকে ২০/২৫ হাজার বছর আগে উত্তরমেরু বেরিং প্রণালী ভেলা বানিয়ে বা কুকুর টানা স্লেজগাড়ী বা বরফের উপর দিয়ে শিকারের পিছু ধাওয়া করতে করতে আমেরিকায় প্রবেশ করে। রেড ইন্ডিয়ান, মায়া, ইংকা সভ্যতা গড়ে তুলে।

মানবসভ্যতার শুরুর বিষয়ে ইসলাম কি বলে?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০২

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ইসলামও তাওরাতের মত অনুসরণ করেছে। আদম-হাওয়া থেকে এক জোড়া পুত্র সন্তান জন্ম হত, এক জোড়া কন্যা সন্তান জন্ম হত। তারপর ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ে-শাদি হত। এভাবে তাদের বংশবৃদ্ধির কারণে আজকের মানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.