নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বসে আছি অন্ধকারে, \nআমাকে বুঝতে দাও \nমানুষ কেন আলোর \nপ্রত্যাশা করে!

আসোয়াদ লোদি

জীবন ও যন্ত্রণার মরুচরে আমি প্রপাতের ধারা ।

আসোয়াদ লোদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবরুদ্ধ আকাশ ।। পর্ব-১৬

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৩


১৫ পর্বের লিঙ্ক- Click This Link

পিংক কালারের টি-শার্টের সাথে মণিকা পরেছে স্কিনটাইট ব্লু জিন্স ট্রাউজার। টি-শার্টে আঁকা প্রজাপতির দিকে তাকালে মনে হবে, ইহা যেন মণিকার স্তনের উপর বসে আছে। নাভির নিচ থেকে শুরু হয়ে ট্রাউজার হাঁটুর সামান্য নিচে এসে দৈর্ঘ্য হারিয়েছে। হাঁটুর নিচ থেকে মণিকার নগ্ন পা জাপানি পুতুলের পায়ের মতই মসৃণ। কালো সানগ্লাস বসে আছে নাকের উপর। দূরবীণ গলায় ঝোলানো। সকালের কাঁচা রোঁদে ডুবে যাওয়া বালিতে মণিকা পা ডুবিয়ে হাঁটছে। তার নিতম্বের ছন্দে ছন্দে ভেঙ্গে পড়ছে বঙ্গোপসাগরের নীল ঢেউ।
মণিকার বিপরীত দিকে সজল। কিছুটা দূরে। হাতে ক্যামেরা। মাঝে মাঝে ক্লিক ক্লিক শব্দে সাটার পড়ছে। সজলের গাঁয়ে সাদা টি-শার্ট। বুকে-পিঠের ইংরেজি লেখাগুলো দূর থেকে পড়া যায়না। সানগ্লাস মাথায় তোলা। বাদামী রঙের থ্রী কোয়ার্টার প্যান্টে অনেকগুলো পকেট। সজল দূর থেকে চেঁচিয়ে বলল, মণিকা স্মাইল।

বিশাল দরিয়ার নীলে ঘাড় বাঁকিয়ে হাসতেই হঠাৎ এক ঝলক বাতাস উড়িয়ে নিতে চাইল মণিকার শ্যাম্পু করা চুল। সকালের বেলাভূমিতে লোকজন এখনও কম। হয়ত আরও কিছুটা সময় পরে মানুষের স্রোত এসে বেলাভূমি ভরিয়ে দেবে। সজলরা একটু আগেভাগে চলে এসেছে। যাতে নির্জনতা যেন একটু বেশি করে পায়। সজল মণিকার কাঁধে হাত রেখে হাঁটছে। মণিকা এক হাতে পেঁচিয়ে রেখেছে সজলের কোমর। অনেক দূর হাটার পর তারা মুখোমুখি দাঁড়াল। সজলের হাতের মুঠোয় মণিকার হাত। আশেপাশে কেউ নেই। ঢেউ ভাঙ্গার শব্দে কেবল ভেঙ্গে পড়ছিল প্রকৃতির স্তবদ্ধতা। তখন হিমছড়ির পাহাড় পেরিয়ে ডানা মেলা একঝাক হাঁস এগিয়ে আসছিল সমুদ্রের স্বাদ নিতে। যখন হাঁসেরা নেমে এল নীল জলের বুকে, তখন সজল ও মণিকার ঠোঁট এক হল। পায়ের তালু থেকে স্তনবৃন্ত পর্যন্ত মণিকার শিরায় শিরায় বয়ে গেল উষ্ণ স্রোত। মণিকা বলল, চল পানিতে নামি। শীতল হই।

সজল ও মণিকার জলক্রীড়া যেন আর শেষ হয়না। সজল যেন শিব, মণিকা পার্বতি। জলের উপর মণিকা পদক্ষেপন করে। সজল দুই হাতে জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে দেয় তাকে। ভেজা চুল মুখে জড়িয়ে যায়। চুলের ফাঁকে তার কলকল হাসি সমুদ্রের বিপুল গর্জনে ঢাকা পড়ে যায়। একগলা জলে মণিকা সজলকে জড়িয়ে ধরে। বিশাল ঢেউ ভেঙ্গে পড়ে তাদের গায়ের উপর। তবুও তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়না। সজল মণিকাকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে জল থেকে উঠে আসে। তারা বালিতে শুয়ে রোঁদচশমা পরে নেয়। মণিকার ভেজা টি-শার্ট ভেদ করে জলচাপের মত ভেসে উঠে অন্তর্বাস। স্তন দুটো টেনিস বলের মত গোল হয়ে আছে। নীল আকাশে হাল্কা হাল্কা সাদা মেঘ ভেসে আসে। মণিকা আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবে, কোথায় সেই কালোমেঘ, কোথায় মেঘের আগ্রাসনে অবরুদ্ধ আকাশ। তবে কী তার আকাশ থেকে মেঘের অবরোধ উঠে গেছে ? তবুও কেন তার মনের এক কোণে ভার ভার অনুভব হয় সে বুঝতে পারেনা। নিজেকে সে প্রশ্ন করে-এ কীসের চাপ ?

মণিকা উত্তর খুঁজে বেড়ায়। একসাথে অনেকগুলো উত্তর ভীড় করে তার মস্তিস্কে। সে উত্তরগুলো বাছাই করে একটার পর একটা ভাঁজ করতে থাকে। সে বুঝতে পারে, সজলের মত সেও দেশের কথা ভাবে; ভাবে মানুষ ফিরে পাক তার অধিকার, সেও শুনতে পায় বিপন্ন মানুষের আর্তনাদ। হাঁ তার আকাশ থেকে সম্পূর্ণ অবরোধ উঠে যায়নি। মেঘ বারবার ফিরে আসে। পথ অনেক দীর্ঘ।

ইয়াহিয়া কোমর পানিতে দাঁড়িয়ে বিলকিসকে ডাকলেন। নেমে এসো।
বিলকিস মাথা নাড়লেন। ভয় করে।
আরে ভয় কীসের ? আমি আছি না।

বিলকিস পানিতে নেমে দুই হাতে ইয়াহিয়ার বাহু চেপে ধরে বললেন, সজলদের দেখছি না যে ?

হাঁটতে হাঁটতে তো ওদিকে গেল। ঘোরতে যখন আসছে ঘোরতে দাও। ওরা তো আর শিশু নয়।

ওমা কত বড় ঢেউ। বিলকিস ইয়াহিয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। বিলকিসের মনে হল শাড়ি যেন পায়ের সাথে প্যাচিয়ে আছে। তিনি পা নাড়াতে পারছেন না। আসলে শাড়ি পড়ে কী আর সমুদ্রস্নান হয়। কিন্তু বঙ্গনারী কী আর করবে।
মনে পড়ে বিলকিস, ত্রিশ বছর আগে আমরা যখন এসেছিলাম। কত বদলে গেছে কক্সবাজার !
হাঁ, এই ঝাউবাগান তখন ছিল না। লোকজন অনেক কম ছিল। চারদিক মনে হত কেমন ফাঁকা ফাঁকা।
এদিকে তো লাবণী ছাড়া অন্যকোন হোটেলও ছিলনা। তাই না বিলকিস?

হাঁ, সবকিছু বদলে গেছে। বদলে গেছে অনুভূতি। ত্রিশ বছর আগের সেই অনুভূতি তো আজ আর পাচ্ছিনা। কেবল বদলাতে পারেনি সমুদ্র তার ঢেউগুলো।

এখন তো আমরা বুড়োবুড়ি। সেই রোমান্টিকতা কী আর আছে ? ত্রিশ বছর আগে তোমাকে কোলে নিয়েই তো আমি জলে নেমেছিলাম। আজ আবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করব নাকি ?

ধ্যাৎ! বিলকিস ইয়াহিয়ার পেটে খোঁচা দিল। পাবলিক হাততালি দিয়ে বলবে, বুড়োবুড়ির কান্ড দেখ।

কী ভাবছ মণি ? সজল দুই হাত ভাঁজ করে মাথার নিচে দিয়ে একটি উড়ন্ত হাঁসের দিকে তাকিয়ে আছে। মণিকার ভেজা চুলে বালি লেগে চিকচিক করছিল। ভাবছি হঠাৎ করে আমি কত সুখি হয়ে গেলাম।এত সুখ কী আমি ধরে রাখতে পারব ?

আমি ভাবছি আমাদের বিয়ে নিয়ে।

কী রকম ?

আমাদের বিয়ে তো রেজিস্ট্রি হল না। তুমি আমাকে অন্যরকম ভাবছনা তো ?

দেখ সজল, তুমি আর কোনদিন এই প্রসঙ্গে আমার সাথে কথা বলবে না। আমি খুব কষ্ট পাব। রেজিস্ট্রেশন আমার হৃদয়ে করা আছে। কাজী অফিসের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে আমি কী করব ?

সজল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল মণিকার দিকে। সে যেন এক নতুন মণিকাকে আবিষ্কার করল।

বিলকিস ভেজা কাপড়ে বালির উপর বসে আছে। ইয়াহিয়া এখনও পানিতে। গোসল শেষ হয়নি। সজল ও মণিকা এসে বসল বিলকিসের পাশে। সজল বলে, বাবা দেখছি খুব এনজয় করতেছে।

মা তুমি বসে আছ ? চল আমরাও নামি। মণিকা বিলকিসের হাত ধরে পানিতে নেমে গেল। সজল ক্লিক ক্লিক ছবি তুলছিল। পরে ছবি তোলার জন্য একজন ক্যামেরাম্যান ঠিক করে সেও পানিতে নেমে গেল ।

হোটেলে ফিরে তারা একসাথে দুপুরের খাবার খেতে খেতে সজল বলল, নেক্সট প্রোগ্রাম কী মণি ?
লাঞ্চের পর বিশ্রাম। বিকেলে দরিয়ানগর পাহাড়ের উপর থেকে সূর্যাস্ত উপভোগ।

পাহাড় কী খুব উচু মণিকা ? বিলকিস জানতে চাইলেন।

না মা। বড় জোর দুই তিনশ ফিট হতে পারে।

সাপ-টাপ নেই তো ? ইয়াহিয়া উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাইলেন।

বাবা সাপ হচ্ছে ভীতু প্রাণী। একটু নড়াচড়া কিংবা শব্দ পেলে দেখবে সুড়সুড় করে চলে যাবে। সজল বলল।
টুরিস্টরা তো সবসময় পাহাড়ে উঠানামা করছে। কোন রিক্স আছে বলে মনে হয়না। মণিকার কথায় আশ্বস্ত হন ইয়াহিয়া।
বিলকিসের মন্তব্য, না থাকলেই ভাল।

খাওয়া শেষ করে রুমে ফিরে এসে সজল বলে, আমি এক ঘণ্টা ঘুমাব মণি।
ঘুমাও। মণিকা টুরিস্ট গাইড হাতে নিল। আমি বেলকুনিতে গিয়ে বসলাম। চুল শুকাতে হবে। চুল ভেজা থাকলে গন্ধ হয়ে যায়।
মণিকা বেলকনিতে এসে একটা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে। পা দুইটি আর একটি চেয়ারের উপর তুলে লম্বা করে টেনে রাখল। চুল থেকে প্যাঁচানো টাওয়েল নিয়ে ফেলে চুল পিঠের উপর ছড়িয়ে দিল। পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়া সূর্যের রোঁদ নেমে এসেছে বেলকুনিতে। বাতাস খুব বেশি ঠান্ডা না হলেও রোদের তেজ কম। মণিকা টুরিস্ট গাইডের পাতা উল্টাল।

লোকটি হোটেলের লন থেকে মুখ উঁচিয়ে তাকিয়ে আছে মণিকার দিকে। অনেকক্ষণ ধরে তাকে দেখছে। ব্যাপারটি এতক্ষণ মণিকা খেয়াল করেনি। হঠাৎ তার দৃষ্টি লোকটির দিকে চলে গেলে সে বিষয়টি আঁচ করতে পারে। দৃষ্টি ফিরিয়ে সে আবার বইয়ের উপর মনোযোগ দিল। কিন্তু বইয়ের সাথে তার আর মনঃসংযোগ হয় না। সে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে লোকটি তার দিকে তাকিয়ে আছে কেন। একবার ভাবল উঠে ভেতরে চলে যাবে। কিন্তু মণিকা উঠল না। সে মত পাল্টাল এ কারণে যে, উঠে গেলে হয়ত লোকটি ভাববে তাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
মণিকার মতে মানুষ মানুষের দিকে তাকাবে এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু একটানা কেউ কারো দিকে তাকিয়ে থাকা বিব্রতকর। এটা নিম্ন রুচির পরিচায়ক। বিকৃত মানসিকতা। এখানেই বাঙালিদের সভ্যতার ঘাটতি। মণিকা আবার এও চিন্তা করল, লোকটি কী তাদের উপর নজর রাখছে। যাকে বলা হয় গোয়েন্দা নজরদারি। লোকটি পকেট থেকে সিগারেট বের করে একটি মুখে দিল। লাইটার টিপে আগুন জ্বালিয়ে আবার নিভিয়ে ফেলল। সিগারেটে অগ্নিসংযোগ করল না। এবার দুই আঙুলরে ফাঁকে সিগারেট চেপে ধরল। একবার ডানে আবার বামে তাকাল। সিগারেট আবার ঠোঁটে গুঁজে দিল। তার হাতের আঙুল লাইটারের গায়ে অস্থিরভাবে লাফালাফি করছে। যেন তবলা বাজাচ্ছে। মনে হচ্ছে লোকটি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। মণিকার মাথায় ছোট্ট একটা আইডিয়া আসল। সে লোকটিকে পরীক্ষা করতে চায়, লোকটি আসলে কে?

সে টুরিস্ট গাইডখানা এমন ভাবে মুখের সামনে তুলে ধরল, যাতে তার চেহারা আড়ালে থাকে। কিছুক্ষণ পর মণিকা গাইডখানা চোখের সামান্য নিচে নামিয়ে দেখল, লোকটি নেই। সে মনে মনে হাসল। সিদ্ধান্ত নিল আজ রাত সে আর সজল অন্য কোথাও কাটাবে।

পাহাড়ে উঠে বিলকিস জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। বোঝতে পারল পাহাড়ে ওঠার পরিশ্রম অনেক। বলল, পাহাড় তো অনেক উঁচু।
সজল বলল, মা, তোমার কি এটাকে হিমালয় মনে হচ্ছে, না কাঞ্চনজংগা।

বিলকিস হাসতে হাসতে বলল, মনে হয় না হিমালয়ও এতো উঁচু হবে।

তারা একটা সমতল জায়গাতে বসে পড়ল। পাহাড়ের ছোট ছোট গাছপালা নেড়ে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বাতাস। দূরবীণের গোল ফ্রেমে মণিকার দৃষ্টি এক অনিন্দ্যসুন্দর অনুভূতি জাগিয়ে তুলছে তার মনে। তার হৃদয়ের এক একটি অনুভূতি বাগানের ফুলের মতই বিকশিত হতে লাগল। মনে হল দিনের আকাশে যেন জ্বলে উঠছে এক একটি তারা।
ইয়াহিয়া বললেন, চমৎকার দৃশ্য ! আকাশ আর সমুদ্র যেন মিশে এক হয়ে গেছে।

বিলকিস নিবিষ্ট হয়ে তাকালেন সমুদ্রের দিকে। অসাধারণ দিকচক্রবাল !

মণিকা দূরবীন থেকে চোখ সরাল। ইয়াহিয়ার হাতে দূরবীন দিয়ে বলে, বাবা দূরবীণ দিয়ে দেখ। অনুভূতিগুলো আরও বেশি ঝলসে উঠবে।

ইয়াহিয়া দূরবিণে চোখ রেখে বলে উঠলেন, বাহবা কী দারুণ !

মা আর আমি বঞ্চিত। দূরবীণেরর সমবন্টন চাই। সজল প্রতিবাদ করে উঠল।

ইয়াহিয়া দূরবীণ থেকে চোখ না তুলে মুখ বাঁকা করল। সমাজতন্ত্র !

দূরবীণ সজলকে দাও। বিলকিস স্বামীর দিকে ফিরলেন।

নে ধর। ইয়াহিয়া সজলের দিকে দূরবীণ বাড়িয়ে বলেন।

সজল মাথা নাড়ল। আগে মাকে দাও। মার পর আমি।

বিলকিস দূরবিণে চোখ রেখে বললেন, ভ্রমণ এবং দূরবীণ, দুটো আইডিয়া মণিকার। মনে হচ্ছে এরকম আনন্দ কখনও পাইনি।
মাঝে মাঝে হাওয়া-পানি বদলের দরকার আছে মা। না হয় জীবনটা একঘেয়ে হয়ে যায়। মণিকা মুখের উপর থেকে চুল সরিয়ে দিল।
হাঁ তা ঠিক। সেজন্য যে বিষয়টা জরুরী তা হচ্ছে উদ্যোগ। সবাই পারেনা। অনেকে করব করব, যাব যাব করতে করতে জীবন পার করে দেয়। তাদের আর কিছুই করা হয়ে উঠেনা। আমি দেখেছি তোমার মধ্যে উদ্যোগ এবং উদ্যম দুটিই সমান।

সূর্য ডুবে যাচ্ছে। মা এবার দূরবীণ ছাড়। সজল অধীর হয়ে পড়ল।

আরে ডুবতে দে। আমি দেখতে চাই সূর্য আসলে ডুবে কিনা ? তোর জন্য না হয় কাল আবার আসব। কী বল মণিকা ?
গোধূলির রঙে রাঙানো আকাশের দিকে তাকিয়ে মণিকা হাসে। তোমার আনন্দই তো আমাদের সুখ মা।
তিনদিন কক্সবাজার বেড়ানোর পর চট্টগ্রামের বাস ধরল তারা। গন্তব্য সুমির ওখানে। চট্টগ্রামে দুইদিন ঘোরার পরিকল্পনা আগে থেকেই করা ছিল। তারপর তারা ফিরে যাবে ঢাকা।

---চলবে--------

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: পাহাড় বা সমুদ্র মানুষের মনকে বদলে দেয়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: এই জন্য হাওয়া-পানি বদলের দরকার।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর ও সাবলীল লেখনী।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.