![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে উগ্র জাতীয়তাবাদী বলতে পছন্দ করি।
একজন বিবেকবান মানুষ হিসাবে কেউ কখনও কোন হত্যাকান্ডকে সামর্থন করতে পারে না। আমিও করি না। রাজিব হত্যাকান্ডের আমি তীব্র নিন্দা জানাই। তবে জিনিসটা কেমন যেন কাকতালীয় হয়ে যাচ্ছে না। সব কিছু কেন যেন মনে হচ্ছে আগে থেকেই প্ল্যান করা ছিল। যেন সময় সময়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ভাই এখানে আমি কাউকে ঞ্জান দিতে আসি নাই। বা কাইকে গালি দিতেও আসি নাই। আমি এখানে এসেছি শুধুমাত্র নিজের মতকে প্রকাশ করতে। গত শুক্রবার রাতে ব্লগার রাজিব হায়দার ওরফে থাবা বাবাকে হত্যা করা হয়। এবং এই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের উপর ব্যাপক হারে দোষ চাপানো হচ্ছে। আসলেই কি ব্যাপারটা তাই। রাজিব হত্যাকান্ডের পিছনে জামায়াত শিবিরের হাত কতটুকু। আমি কোন প্রমান নিয়ে কথা বলতে আসি নি। আমি শুধু কো ইনসিডেন্স গুলো বর্ণনা করতে এসেছি।
গত ৫ ফেব্রুয়ারী কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে ব্লগারদের একটি ফোরাম শাহবাগে জমায়াত হয়ে এই রায়ের প্রতিবাদ জানায়। একটি অরাজনৈতিক প্রগ্রাম হিসাবে শাহবাগ চত্বরকে প্রজন্ম চত্বর ঘোষনা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেয়া হয়। এবং বর্তমান টেলিভিশন মারফত জানা ব্লগার রাজিব এই উদ্যোগের প্রথম সারীর একজন নেতা ছিল। ভাল, ঘাতকদের বিচারের দাবিতে সারাদেশ থেকে তরুন প্রজন্মের তারুন্য আছড়ে পরে শাহবাগে। অরাজনৈতিক আন্দোলন হলেও ধীরে ধীরে জাতির কুখ্যাত সন্তার ছাত্রলীগ নেতারা দখল করতে থাকে শাহবাগের মঞ্চ। এরপর গত শুক্রবারের মহাসমাবেশ থেকে এই আন্দোলন পরিনত হয় বাম মোর্চার ছাত্রদের আন্দোলনে। ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী নামক বাম ছাত্র সংগঠন গুলো দখল করে নেয় এই জনতার আন্দোলন। বলা যায় ছিনতাই করে নেয় এই আন্দোলন।
সেই আন্দোলন থেকে দাবি তোলা হয় জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করবার। বর্জনের ঘোষনা দেয়া হয় জামায়াতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোর। আন্দোলন শেষ হওয়া মাত্রই খুন হলো ব্লগার রাজিব। জামায়াত কি এতই বোকা হয়েছে এই সময় তাকে হত্যা করে আন্দোলন আরো সামনে নিয়ে আসবে।
না এটা জামায়াত বা শিবিরের করার সম্ভাবনা খুবই কম। কারন তারা এখন খাদের কিনারায় দাড়িয়ে আছে। এই মুহূর্তে তাদের এরকম ভূল করার কোন সম্ভাবনা নাই।
সেই মঞ্চ থেকে জামায়াত শিবিরকে প্রতিরোধ করার ঘোষনা দেয়া হয়েছিল। আর কাইকে প্রতিরোধ করার জন্য তো একটা কারন লাগবে। কারন কি রাজীব হত্যার মাধ্যমে একটা পেয়ে গেল না সরকার।
শেখ হাসিনা রাজিবের বাসায় যেয়ে ঘোষনা দিল, রাজিব এই আন্দোলনের প্রথম শহিদ। তার মানে কি শহিদ কি আরো কয়েক জন হবে। হলে আর কত হবে।
©somewhere in net ltd.