![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে উগ্র জাতীয়তাবাদী বলতে পছন্দ করি।
ঘটনাটা আমার বাবার। সময়কাল ১৯৮৫-৮৬। জীবনে বহু ব্যবসা করা আমার বাবার সে সময় ফরিদপুর জেলা শহরে একটি হোটেল ছিল। হোটেলটা ছিল তখনকার ফরিদপুর কোর্টের সামনে। আমার বাব-মা ও দুই ভাই তখন শহর থেকে একটু দুরে থাকতো। আমি তখনও এই পৃথিবীতে আসি নাই। আমাদের বাসায় হোটেলের বেস কয়েকজন কর্মচারী থাকতো। তাদের জন্য আমরা আলাদা একটা রূম ভাড়া নিয়েছিলাম। তো ঘটনাতে আসি
আমাদের হোটেলে এক মহিলা কাজ করতো। হোটেলের যাবতীয় মসলা সেই বাটতো। তার নাম ছিল সোনাই। এক শুক্রবার আমার বাবার হোটেলে চাপ থাকার কারনে অনেক রাত হয়ে যায়। সেই দিন আমার বাবা জানতো সোনাই অসুস্থ। তাই সে আজ হোটেলে আসে নাই।
তো হোটেল থেকে আমাদের বাসায় যেতে প্রায় ৩০ মিনিট লাগতো। অনেক রাত হয়ে গেছে তাই রিক্সাও নেই। কি আর করা। হেটেই বাসায় রওনা হয় আমার বাবা।
সোনাই এর একটা স্বভাব ছিল। সে কখনও মাথা উচু করে আমার বাবার সাথে কথা বলতো না। তো সেই দিন রাতে বাড়ি ফেরার পথে আমার বাবা দেখে সোনাই ও তার সাথে হেটে চলছে। বাবা সোনাইকে ডাক দিলে সে কাছে আসে। কিন্তু কোন কথা বলে না। আবার মাথা তুলে তাকায়ও না। সোনাই এর স্বভাবের কারনে্ আমার বাবা আর কথা বারান না। উনি হেটে চলতে থাকেন। সারাটা পথ সোনাই বাবার বাম পাশ দিয়ে সমান তালে হেটে চলে। একসময় প্রায় বাসার কাছে চলে আসলে হটাৎ বাবা খেয়াল করেন সোনাই তার পাশে নাই। কোথায় গেল, কোথায় গেল। বাবা মনে করেন তার অগোচরেই হয়তো সোনাই বাসার ভিতরে চলে গেছে।
বাবা বাসায় এসে মাকে ডাকেন। ফ্রেস হতে যেয়ে বাবা কলপাড়ে গেলে দেখেন সোনাই বাথরুমের দিকে যাচ্ছে। বাবা আর কিছু বরেন না। খাওয়া দাওয়া শেষ হলে বাবা মাকে বলেন, সোনাই না আজ অসুস্থ। ওকে কাজে যেতে দিছ কে।
একথা শুনে মাতো আকাশ থেকে পড়েন। মা বলেন সোনাই তো আজ বিছানা থেকেই উঠতেই পারে নাই। ও আবার হোটেলে গেল কথন। বাবা মার উপর রাগ করে বলেন ও হোটেলে গেছে আর তুমি বলছো ও যায় নাই। মা ওর ঘরে যেতে বললে বাবা সেখানে যেয়ে দেখেন সোনাই আসলেই অনেক অসুস্থ। বাবা অবাক হয়ে বলেন, কিরে সোনাই তুই না হোটেল থেকে আমার সাথে আসলি। সোনাই বলে, কি বলেন ভাই। সারাদিন বিছানা ছেড়েই উঠতে পারি না। হোটেলে যাব কিভাবে। বাবা আবার বলে তুই কি রাতে বাথরূমে গেছিলি। সোনাই তখনও না বলে। তাহলে বাবা কার সাথে এসেছিল হোটেল থেকে। কে বাথরূমে গিয়েছিল বাবার সাথে।
©somewhere in net ltd.