![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে উগ্র জাতীয়তাবাদী বলতে পছন্দ করি।
জ্যাকুয়েস লুইস ডেভিড একজন বিখ্যাত ফ্রাঞ্চ পেইন্টার। যিনি সম্রাট নেপোলিয়ানের ব্যক্তিগত চিত্রকর ছিলেন। তিনি ১৭৪৮ সালের ৩০ আগষ্ট জন্মগ্রহন করেন। তিনি ফরাসি বিপ্লবের সামনের সারির নেতা ছিলেন। তিনি ফরাসি সৈরশাষক ম্যাক্সিমিলান রোবাসপেরির বন্ধু ছিলেন এবং রোবাসপরির মৃত্যুর পর তিনি কিছু দিন জেলেও ছিলেন। নেপোলিয়ান ক্ষমতায় আসার পর তিনি জেল থেকে মুক্তি পান।
০১. ডেথ অব সক্রেটিস
অমর গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিস অমর হয়ে আছেন তার দর্শনের কারনে। আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে মারা গেলেও তার দর্শনের কথা এখনো মানুষ মনে রেখেছে। সক্রেটিস তার মৃত্যুর সময় তার শিষ্যরা তার পাশে ছিল। তাদের শত অনুরোধ না রেখে তিনি হ্যামলকের বিষ পান করেন। তিনি তার সময়কার শাষকদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে ছিলেন তাদের ভুল গুলো।
সক্রেটিসের এই মৃত্যু দৃশ্যের তৈল চিত্রটি একেছেন ফ্রাঞ্চ চিত্রশিল্পী জ্যাকুয়াস লুইস ডেভিড। তৈল চিত্রটি আকাঁ হয়েছে ১৭৮৭ সালে। তৈলচিত্রটি বর্তমানে নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টে সংরক্ষিত আছে।
০২. নেপোলিয়ান ক্রসিং দ্য আলপস
নেপোলিয়ানকে বলা হয় ফরাসী বিপ্লবের সন্তান। নেপোলিয়ান ছিলেন ফ্রান্সের সম্রাট। ইতিহাসের একটি কথা না বললেই নয়, নেপোলিয়ান পুরো ইউরোপে ত্রাসের রাজ্বত্ব কায়েক করে রাশিয়ায় গনহত্যা সংগঠিত করে আজ ইউরোপের কাছে নায়ক, বিশ্বের নায়ক। সে যুদ্ধ করেছিল বিনা কারনে। কিন্তু তার দেড়শত বছর পর জার্মানীর উপর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের কারনে যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংগঠিত হয় তার কারনে হিটলার আজ ভিলেন। রাজনৈতিক কথা থাক।
নেপোলিয়ন দ্য বোনাপার্ট ১৭৬৯ সালের ১৫ আগস্ট ফ্রান্সের করসিকার এজাক্সিউ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মের মাত্র একবছর আগে দ্বীপটি জেনোয়া প্রজাতন্ত্র কর্তৃক ফ্রান্সকে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি নেপোলিয়ন বোনাপার্ট নামেই অধিক পরিচিতি লাভ করেন। বোনাপার্ট পরিবার মূলত লুনিজিয়ানায় বসতি স্থাপনকারী লোম্বার্ড বংশোদ্ভূত তুস্কান গোত্রের অন্তর্ভূক্ত, যারা ইতালির একটি অভিজাত সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচিত হতেন। পরিবারটি ফ্লোরেন্সে গমন করে এবং দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে অধিক গ্রহনযোগ্য, বোনাপার্ট-সারজানা, ফ্রান্স ত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং ১৬শ শতাব্দীতে তৎকালীন জেনোয়া প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত দ্বীপ করসিকাতে আগমন করেন।
১৭৮৫ সালে ডিগ্রী লাভ করে নেপোলিয়ন সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট পদে তার সেনাজীবন শুরু করেন। তিনি ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রথম কনসল ( First Consul ) ছিলেন। তিনি নেপোলিয়ন ১ নামে ১১ নভেম্বর, ১৭৯৯ থেকে ৬ এপ্রিল ১৮১৪ পর্যন্ত ফ্রান্সের সম্রাট ছিলেন এবং পুনরায় ১৮১৫ সালের ২০ মার্চ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য ফ্রান্সের সম্রাট ছিলেন। তিনি ইতালির রাজাও ছিলেন। এছাড়া তিনি সুইস কনফেডারেশনের মধ্যস্থাকারী এবং কনফেডারেশন অফ রাইনের রক্ষকও ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে ফরাসি সেনাবাহিনী এক দশকের বেশী সময় ধরে সকল ইউরোপীয় শক্তির সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় এবং তিনি ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চল তাঁর আয়ত্বে নিয়ে আসেন। ১৮১২ সালে সংগঠিত বিপর্যয়কারী রাশিয়া আগ্রাসন একটি যুগঃসন্ধিক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। রাশিয়া আগ্রাসন এবং ১৮১৩ সালে লিপজিগে পরাজয়ের পর ষষ্ঠ কোয়ালিশন ফ্রান্সে আগ্রাসন চালায় এবং এর ফলস্বরূপ নেপোলিয়ন ১৮১৪ এর এপ্রিলে পশ্চাৎপসারণ করতে বাধ্য হন। কিছুদিন পরেই নেপোলিয়ন একটি অভিযান চালান যা হান্ড্রেড ডেস নামে পরিচিত। কিন্তু নেপোলিয়ন ১৮১৫ সালের ১৮ জুন ওয়াটারলুতে পরাজিত হন। নেপোলিয়ন তাঁর জীবনের বাকী ছয় বছর ব্রিটিশদের তত্ত্বাবধানে আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ সেন্ট হেলেনাতে কাটান।
নেপোলিয়ানের ব্যক্তিগত চিত্রকর ছিলেন জ্যাকুয়াস লুইস ডেভিড। নেপোলিয়ানের এই তৈলচিত্রটিও তিনি একেছিলেন। রাশিয়া অভিযানের সময় আলপস পর্বত মালা অতিক্রম করার দৃশ্যপটে তিনি তৈলচিত্রটি একেছিলেন। ১৮০০ সালে তিনি তৈলচিত্রটি একেছিলেন। ৯৩২ মিলিয়স মার্কিন ডলার মূল্যমানের এই চিত্রকর্মটি বর্তমানে ফ্রান্সে সংরক্ষিত আছে।
০৩. দ্য ইন্টারভেশন অব সাবাইন ওম্যান
ফ্রান্সের সবচেয়ে সম্মানিত শিল্পী ছিলেন জ্যাকুয়াস লুইস ডেভিড। ফ্র্যান্সের সম্রাট নেপোলিয়ানের ব্যক্তিগত এই চিত্রকর ছিলেন প্রচন্ড রকমের ক্ষমতাকাঙ্খী। তিনি ফ্র্যাঞ্চ বিপ্লবের কট্টর সমর্থকও ছিলেন। ফ্র্যাঞ্চ বিপ্লবের প্রথম সারির সামর্থক ছিলেন এই চিত্রশিল্পী। ১৭৯৪ সালে তার বন্ধু ম্যাক্সিমিলান রবিস্পোরির পতন হলে তিনি ফ্র্যাঞ্চের কারাগারে আটক হন। সেখানে তিনি ৪ বছর কাটান। সেই সময় তিনি এই ইন্টারভেশন অব সাবাইন ওম্যান তৈলচিত্রটি আকেঁন। সেটা ১৭৯৯ সালের কথা। কারাগারের ভিতরেই তিনি তৈলচিত্রটি আকেঁন। এখানে তার উদ্দিপক হিসাবে কাজ করে আরেক বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চ চিত্রকর নিকোলাস পোসিনের দ্য রেপ অব স্যাবাইন ওম্যান। বর্তমানে লুভর মিউজিয়ামে দ্য ইন্টারভেশন অব স্যাবাইন ওম্যান সংরক্ষিত আছে।
০৪. করডিয়েশন অব নেপোলিয়ান বোনাপার্ট
জ্যাকুয়াস লুইস ডেভিড এর আঁকা এই তৈলচিতটিকে একটি চলমান ইতিহাস বলা হয়। এই তৈলচিত্রটি ফ্রান্সের ইতিহাসের অন্যতম রথি মহারথিদের উপস্থিতি আছে। এই তৈলচিত্রটির পরের তৈলচিত্রে তাদের নাম ও অবস্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ১৮০৫ থেকে ১৮০৭ সালের মাঝে আঁকা এই তৈলচিত্রটি বর্তমানে লুভর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।
০৫. করডিয়েশন অব নেপোলিয়ান বোনাপার্ট
করডিয়েশন অব নেপোলিয়ান বোনাপার্ট এই তৈলচিত্রে উপস্থিত চরিত্র সমূহ
০১. সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট
০২. জোসেফিন(নেপোলিয়ানের স্ত্রী)
০৩. মারিয়া রোমালিন(নেপোলিয়ানের মা)
০৪. লুইস বোনাপার্ট(হল্যান্ডের রাজা)
০৫. জোসেফ বোনাপার্ট(নেপোলিয়ানের ভাই)
০৬. নেপোলিয়ান চার্লস বোনাপার্ট(নেপোলিয়ানের পুত্র)
০৭. নেপোলিয়ানের বোন(অঞ্জাত)
০৮. চার্লস লুবরান(রাষ্ট্রদূত)
০৯. জেন জ্যাকুয়েস(বিচারপতি)
১০. লুইস বার্থার(সেনাপতি)
১১. টেলারেন্ড(অঞ্জাত)
১২. জোয়াচিম মোরাত(নেপোলিয়ানের শ্যালক)
১৩. পোপ পিয়াস VII
১৪. জ্যাকুয়েস লুইস ডেভিড(চিত্রশিল্পী স্বয়ং)
১৫. হালট ইফান্দ(ওটোমান সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রদূত)
রাজা রবি ভার্মার কিছু চিত্রকর্ম(তৈলচিত্র ব্লগ)
Click This Link
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
আছিফুর রহমান বলেছেন: সবার নিচে একটা লিংক আছে। তাছাড়া সব ছবিই তো আমি দেখতে পারতেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
এরিস বলেছেন: ভাই, শেষের ছবিটা দেখা যাচ্ছেনা। আপনার আগ্রহের বিষয়টি শৈল্পিক। খুব সুন্দর ছবিগুলো। ডেথ অফ সক্রেটিস আগে দেখেছিলাম। বাকীগুলো সম্পূর্ণ নতুন।
ভালোলাগা জানবেন।