নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের খোঁজে

There is but one moment when the Goddess of Fortune wafts by, and if you don’t grab her by the hem, you won’t get a second chance.

আছিফুর রহমান

নিজেকে উগ্র জাতীয়তাবাদী বলতে পছন্দ করি।

আছিফুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি দেশের আত্ম কাহিনী(বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই)(১ম পর্ব)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। স্বপ্নের পৃথিবীতে এশিয়া মহাদেশ নামক এক মহাদেশের দক্ষিন এশিয়া নামক এলাকায় ১৯৭১ সালে এক দেশের জন্ম হয়েছিল। সেই দেশের নাম ছিল বাংলাদেশ। পাকিস্থানী শুয়োরদের হাত থেকে এই দেশটাকে জন্ম দেয়ার জন্য ৩০ লক্ষ মা-বোন জীবন দিয়েছিল।

সেই দেশের মানুষ ছিল খুবই অতিথিপ্রীয়। সবাইকে সহজেই আপন করে নিতে পারতো। কিন্তু নিজে দূর্বল স্বাস্থের অধিকারী হবার জন্য দেশটি নানা কারনে শোষিত হতো।

তো সেই দেশটির জন্মদাতা স্বাধীনতার পর হঠাৎ একদিন দেশে ফিরত আসলো। মানুষ তাকে ভুলে নাই। কিন্তু দেখা গেল সেই নেতা মানুষদের ভূলে গেছে। সে এসে ৩০ লক্ষ লোকের কোন খবর নিলো না। খবর নিলো না ৩ লক্ষ মা-বোনের। নতুন উদ্যোমে সে দেশ গড়ার ঘোষনা দিলো।

চারদিকে নতুন উদ্যোমে দেশ গড়ার জন্য সাধারন মানুষ নেমে পড়লো। কিন্তু সেই নেতার সাঙ্গোপাঙ্গদের কথা ছিল ভিন্ন। বিদেশ থেকে শীতের হাত থেকে সেই দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য সাত কোটি কম্বল আসলো। সেই সময় সেই দেশে সাত কোটি জনগনের বাস ছিল। হঠাৎ এক দিন সেই দেশের সেই নেতা আবিস্কার করলো তার দেশের মানুষের জন্য আশা বিদেশী কম্বল তার দলের নেতা-কর্মীরা খেয়ে ফেলেছে।

সে তখন রাগে দুঃখে ঘোষনা দিল, সাড়ে সাত কোটি কম্বল আসলো, আমার কম্বল কই?

সারা দেশে হৈ-চৈ পড়ে গেল। কিন্তু তার দলের নেতা-কর্মীরা পাল্টালো না। তারা আগের মতোই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে লাগলো।

দেশে ১৯৭৪ সালে দূভিক্ষ দেখা দিলো। সেই দেশের জাতির পিতা মানে নেতা তখন ক্ষমতায়। সে তার সন্তানদের মরে যাওয়া দেখতে লাগলো। কিন্তু বলার মতো কিছুই করলো না। এর মাঝে ১৯৭২ সালে যখন বাংলাদেশ সরকারের সামগ্রীক ব্যয় ২০০০ কোটি টাকা। সেই সময় এই দেশে সাহায্য আসলো ৫০০০ কোটি টাকা। কিন্তু কোন উন্নয়নই ঘটলো না। বলার মতো কিছুই হলো না। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে নাম পেল তলাবিহীন ঝূড়ির দেশ।

এর মাঝে সেই জাতির পিতার সরকার সৃষ্টি করলো রক্ষী বাহিনী। যেই বাহিনী সারা দেশের মানুষের মাঝে মানে পিতার সন্তানদের উপর যত রকম অত্যাচার আছে তার সব করলো। খুন,হত্যা, ধষর্নে অচিরেই সুনাম কামালো রক্ষী বাহিনী। বলা যায় পাকিস্থানী শূয়োরদের ইতিহাস তারা আবার ফেরত আনলো তারা।

এর মাঝে উস্থান হলো কিছু বাম রাজনৈতিক দল। যাদের মাঝে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল জাসদ নামক একটি দল। এই দলটার উপর স্টিম রোলার যতভাবে চালানো দরকার জাতির পিতা চালালেন। সেই সময়ের একজন আলোচিত কমিউনিষ্ট নেতা সিরাজ শিকদার। সীমান্তবর্তি এলাকায় তিনি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। কিন্তু একাধারে সাধারন মানুষের কাছে জনপ্রিয়ও ছিলেন। এই দলের ই এক নেতার নাম হাসানুল হত ইনু। ইনাকে মনে রাখেন। তাহলে ব্যাপক বিনোদন পাবেন।

তো সেই দলের সাথে জাতির পিতার দলের সব সময় কাজিয়া লেগেই থাকতো। জাসদ চাইতো একটা সমাজতান্ত্রীক রাষ্ট্র। জাতির জনত ও তাই চাইতো। তবে সে নিজের একক ক্ষমতা চাইতো।

হঠাৎ একদিন খবর আসলো সিরাজ শিকদার রক্ষী বাহিনীর কাছে মারা গেছে। বা রক্ষী বাহিনী কতৃক তাকে হত্যা করা হয়েছে।

সেই সময় সেই দেশের জাতির জনক পার্লামেন্ট হাউস বা সংসদে দাড়িয়ে বললো কোথায় আজ সিরাজ শিকদার। তাকে এনে দেখাও।

দিন যায় রাত আসে। এই ভাবে বেশ কয়েকবার সংবিধান সংশোধন করা হয়। কিন্তু তারপর ও জাতির জনক খুসি হয়না। তার আরো ক্ষমতা দরকার।

এই সময় ১৫ জানুয়ারী দেশের সকল মিডিয়ার গলা চেপে ধরে তাদের বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল চালু করলেন। দেশে এই একটি রাজনৈতিক দল বাদে আর কোন রাজনৈতিক দল থাকবে না। সেই হবে এই দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি বা সম্রাট। জাতির পিতার মাথা যে খারাপ হয়ে গিয়েছিল তা বুঝতে পেরে জাতির পিতার সবচেয়ে ঘনিষ্ট চার নেতা তার কাছ থেকে সরে গেলেন। তাদের দল থেকে বহিস্কার করে একলা চলো নিতে দেশকে এগিয়ে নিতে চাইলেন জাতির পিতা। এর মাঝে জাতির পিতার বড় ছেলে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন। তার চরিত্র নাকি বিশেষ ভাল ছিল না। তিনি নাকি এক অনুষ্ঠানে এক আর্মি মেজর। মেজর ডালিমের স্ত্রীকে অপহরন করেন। ডালিম তার প্রতিশোধ নেন পরবর্তীতে।

তো জাতির পিতা সেনাবাহিনীকে বিশ্বাষ করতে না। তিনি সবসময় মনে করতেন সেনাবাহিনী তাকে হত্যা করবে। তিনি সেজন্য সেনাবাহিনীর সমান্তরালে রক্ষি বাহিনী গঠন করেন। যার কথা আমি আগেই বলেছি। সেনাবাহিনীর সুযোগ-সুবিধা তিনি কমিয়ে রক্ষী বাহিনীর সুযোগ সুবিধা বাড়াতে থাকেন। সেনাবাহিনীর প্রতি এই আচরনে তার উপর সেনাবাহিনীর যথেষ্ট ক্ষোভ রয়ে যায়।

এই ক্ষোভের চুড়ান্ত বহিপ্রকাশ ঘটে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট। তিনি সপরিবারে নিহন হন। মেডর ডালিম নেন নির্মম প্রতিশোথ। কিন্তু আশ্চার্যের বিষয় জাতি সেদিন পিতা হারা হলেও পিতার মৃত্যুর শোকে তার একটি সন্তানের চোখেও পানি বের হয়নি সেদিন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

শিপন মোল্লা বলেছেন: এর মাঝে ১৯৭২ সালে যখন বাংলাদেশ সরকারের সামগ্রীক ব্যয় ২০০০ কোটি টাকা। সেই সময় এই দেশে সাহায্য আসলো ৫০০০ কোটি টাকা। কিন্তু কোন উন্নয়নই ঘটলো না। বলার মতো কিছুই হলো না। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে নাম পেল তলাবিহীন ঝূড়ির দেশ। চমৎকার উদাহারন এভাবে অদের মুখোশ খুলে দিতে হবে ।

+++

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

আছিফুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। জাতির পিতার লেটেণ্ট সংস্করন এডভোকেট আব্দুল মান্নান খান। তিনি দোহারে ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: পিতা হিসাবে দুষ্টু ছেলেদের শাসন করেছে ! আপ্নে বলছেন রক্ষি বাহিনি খারাপ ? এই যে দেশের সকল ফটকাবাজরা শেয়ার বেবসা করে করে অলস হয়ে যাচ্ছিলো , তাদের শাসন করতে মার্কেট ফল করানো হইছে , এইটা খারাপ কিছু ? এখন সবাই ফকির হয়ে রাস্তায় ঘুরতাছে কতো সুন্দর দৃশ্য ! নদী মাতৃক দেশ হিসাবে পরিচিত দেশকে পদ্মা সেতুর বদনাম দিচ্ছেন ? দক্ষিনাঞ্চলের সবাই সাতার জানে সেতুর দরকার কি ? তাছাড়া ভাংগা রাস্তায় যানবাহনে উঠলে খাওয়া ভালো হজম হয় ! (ঝাক্কিতে) সেইটাকে সবাই কেন খারাপ বলছে বুঝতে পারছিনা ! দেশ প্রেমিক এর সংগায় নুতন এক মাত্রা যোগ হয়েছে সেটাকেও সবাই খারাপ বলছে কেন বুঝিনা !

বেড়াল কি শুদু কালোই হয় ? কেন শুদু শুদু সকলে থলের বেড়াল কালো বেড়াল বলে ?

যতো সব রাবিস এবং বোগাস !

ধুর যাইগা ।

ভুলে পেলাচ দিছি , আনপ্লাস করতে পারতাছি না ,
জয় ধীর গতীর জলযানের জয় ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

আছিফুর রহমান বলেছেন: ভাই। সব রাবিস আর ভোগাস। সো এইটা নিয়া কথা বলার কোন দরকার নাই। তাছাড়া এইটা স্বপ্নের দেশের কাহিনী। বাংলাদেশের না।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

শিপন মোল্লা বলেছেন: ঘুড্ডির পাইলট আপনে দেখি পিতার পিতাদের মতো আদর্শবান গাছেরটা খাবেন আবার এখন তলারটাও কুড়ান। পিলাচ দিছেন আবার ফিরায় লয়তে চান কলিকাতা বাবুদের মতো কিপটামিও করেন। অথচ বিচরন করেন আফনে সীমাহীন আকাশের মাঝে। নেমে আসেন ধীর গতীর জলযানের পাইলট হন আপনি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

আছিফুর রহমান বলেছেন: পরবর্তী পর্ব আসছে অতি শিঘ্রই

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
সব কিছুর দাম বৃদ্ধি কইরা আফনাদের আরও বেশি পরিশ্রমি বানাইতে চেষ্টা করছি ! আফনারা না বুইঝা রাগ করলেন ! চায়ছেলাম জাপান চীনের মানুষরা আফনাদের কাছে পরিশ্রমের সংগা শিখতে আইসপো তা আফনাদের ভালু লাগলু না !

কয়লাম একটু কম কম খাওয়া দাওয়া করেন ! শুনলেন না উল্টা আমার নাম দিয়া দিলেন কম খান

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

আছিফুর রহমান বলেছেন: সরকার এই জায়গায় র্দনূইতী করে। সরকার চায় না দেশের মানুষ বড়লোক হোক। কারন পরিশ্রম করলে তো ডায়বেটিকস হইবো না। আর ডায়বেটকস তো বড়লোকের রোগ। তাই সরকার এই জায়গায় ষড়যন্ত্র করছে দেশের জনগনের উপর

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

আছিফুর রহমান বলেছেন: পরবর্তী পর্ব আসছে অতি শিঘ্রই

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

রি হোসাইন বলেছেন: চমৎকার বলেছেন

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

আছিফুর রহমান বলেছেন: ভাই। চিন্তায় আছি কবে কোথায় ধরা খাই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

আছিফুর রহমান বলেছেন: পরবর্তী পর্ব আসছে অতি শিঘ্রই B-) B-) B-) B-) B-) B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.