নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের খোঁজে

There is but one moment when the Goddess of Fortune wafts by, and if you don’t grab her by the hem, you won’t get a second chance.

আছিফুর রহমান

নিজেকে উগ্র জাতীয়তাবাদী বলতে পছন্দ করি।

আছিফুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্যান গগের ১০টি চিত্রকর্ম

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯



বলা হয়ে থাকে চিত্রশিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে হতভাগ্য চিত্রশিল্পী হলেন ভিনসেন্ট ভ্যান গগ। তিনি তার জীবন কালে তার আঁকা একটি ছবিও বিক্রি করে যেতে পারেন নি। তিনি যখন তীব্র অর্থ কষ্টে পড়েছিলেন তখন এক জমিদার কন্যা তার কানের প্রশংসা করেছিলেন। মানসিক ভাবেও তিনি সে সময় ভেঙ্গে পড়েছিলেন। তিনি তার কান কেটে সেই জমিদার কন্যাকে উপহার হিসাবে পাঠিয়েছিলেন। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দামি চিত্রকর্ম গুলোর মাঝে ভিনসেন্ট ভ্যান গগের কাজ গুলোকে বিবেচনা করা হয়। রুক্ষ সৌন্দর্যের এবং আবেগময় সততার প্রকাশ, সপ্রতিভ রং এর ব্যবহারের কারণে তাঁর কাজ বিখ্যাত ছিল যা বিংশ শতাব্দীর শিল্পকলায় সুদূরপ্রসারি প্রভাব রেখেছিলো। তিনি পেইন্টিংএ প্রথম জল রংয়ের সার্থক ব্যবহার করেন। তার সব শিল্পকর্ম জল রংএ করা। দীর্ঘ বিষন্নতা ও মানসিক অসুস্থতার ফলে তিনি মাত্র ৩৭ বছর বয়সে আত্নহত্যা করেন।





০১. হোয়াইট হাউস ইন নাইট

হোয়াইট হাউস ইন নাইট ভিনসেন্ট ভ্যান গগ তার মৃত্যুর ছয় সপ্তাহ আগে আকেঁন। তৈল চিত্রটি তিনি ১৮৯০ সালের ১৬ জুন আকেঁন। তৈলচিত্রটি আকাঁর নিখুত সময় বের করেছিলেন টেক্সাস ইউনিভার্সিটির জ্যার্তিবিঞ্জানী ডোনাল্ড ওলসন আর রাসেল ডাউসার। তার তৈলচিত্রের তারকার অবস্থান দেখে নিশ্চিত হয়েছিলেন আকাশটি ১৮৯০ জুন মাসের ১৬ তারিখের আকাশ।

তৈলচিত্রটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মস্কো থেকে চুরি হয়।





০২ ওয়াইন্ড বিটেন দ্য ট্রি

ভিনসেন্ট ভ্যান গগের অন্যতম সৃষ্ঠি হলো এই পেইন্টিংটি। ওয়াটার কালারে আকাঁ এই ছবিতে একটা নিসঙ্গ গাছের বাতাসের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে দেখা যাচ্ছে। পেইন্টিংটার মাঝে নিজেকে তুলে এনেছেন ভ্যান গগ। গাছটা হচ্ছেন তিনি নিজে। পারির্পাশ্বিক পরিস্থিতির সাথে তিনি এই পেইন্টিংএর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। পেইন্টিংটা ভ্যান গগ ১৮৮৩ সালে আকেঁন। তখন তিনি ছিলেন মানসিক ভাবে খুবই বিধ্বস্ত। পেইন্টিং টি খুবই উচ্চ মূল্যে এক ধনকুবের কিনে নেন। কিন্তু পরবর্তীতে পেইন্টিংটি সেই ধনকুবের প্রাইভেট কালেকশন থেকে চুরি হয়।





০৩. দ্য এজ অব উড

ভিনসেন্ট ভ্যান গগের আরেকটি অসাধারন চিত্র কর্ম হলো দ্য এজ অব দ্য উড। ওয়াটার কালারে আকাঁ এই পেইন্টিংটি তিনি ১৮৮২ সালে আকেঁন। ছবিটার মাঝে একটা বিসন্নতার ছোয়া আছে। যা ছবিটাকে আরো বাস্তব করে তুলেছে।

পেইন্টিংটি বর্তমানে নেদারল্যান্ডস এর ওটেরলো শহরের করলার-মুলার মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।





০৪. দ্য ইয়োলো হাউস

ভিনসেন্ট ভ্যান গগ এই তৈলচিত্রটি আকেঁন ১ মে ১৮৮৮। তিনি সেই সময় ফ্রান্সে ছিলেন। তিনি ফ্রান্সের আরলেস শহরের এই বাড়িটি ভাড়া নেন। এই বাড়িটি চার রুমের ছিল। এর মাঝে একটি বেড রুম। একটি ডায়নিং ও একটি কিচেন ছিল। বাড়িটার পাশে একটি হোটেল ছিল যার কথাও তিনি পেইন্টিংএ তুলে এনেছেন।

পেইন্টিংটি বর্তমানে নেদারল্যান্ডসএর রাজধানী আমর্স্টাডেমএর ভ্যান গগ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।





০৫. ফার্ম হাউস এমঙ্ ট্রি

এই পেইন্টিংটি ভিনসেন্ট ভ্যান গগ আকেঁন ১৮৮৩ সালের গ্রীষ্মে। জল রং এ আকাঁ এই পেইন্টিংটি পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ মিউজিয়াম অব আর্টে সংরক্ষিত আছে।





০৬ দ্য স্টেট লটারি

সারা জীবন দরিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত ভিনসেন্ট ভ্যান গগ সব সময় প্রচুর অর্থের আশা করতেন। তিনি ভাবতেন তার চিত্রকর্ম গুলো তিনি প্রচুর দামে বিক্রি করে ভাগ্য ফিরাবেন। কিন্তু তার এই স্বপ্ন কখনোই সত্য হয়নি।





০৭. ইরিস

ভিনসেন্ট ভ্যান গগের সারা জীবন কেটেছে দরিদ্রের কষাঘাতে। সারা জীবন তিনি স্বপ্ন দেখেছেন তার আঁকা তৈল চিত্রগুলো খুবই উচ্চ মূল্যে তিনি বিক্রি করবেন। তিনি তার মৃত্যুর আগে কোন তৈলচিত্র তিনি বিক্রি করে যেতে পারেন নি। এই পর্যন্ত তার যতগুলো তৈলচিত্র উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। তার মৃত্যুর এক বছর আগে ১৮৯০ সালে ফ্রান্সে তিনি এই তৈলচিত্রটি আঁকেন। এর ঠিক ৯৭ বছর পর ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর এই চিত্রকর্মটি ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় বর্তমানে ৮৭৮ কোটি টাকা বিক্রি হয়। বর্তমানে এটি লস এঞ্জলস জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।





০৮. দ্য পপি ফ্লাওয়ার

মাদক জগৎ এর রাজা বলতে আমরা হিরোইনকেই বুঝি। কিন্তু ১৮০০ সালের দিকে এটি মাদক হিসাবে ব্যবহার হতো না। ব্যবহার হতো ঔষূধ হিসাবে। আজকে ব্যথানাশক হিসাবে অনেকে মারফিন ব্যবহার করে থাকেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে। এই মারফিন কিন্তু এই পপি ফুল থেকেই আসে। ১৮৮৬ সালে আকা এই চিত্রকর্মটি ভ্যান গগের অন্যতম সেরা একটি সৃষ্টি। চিত্রকর্মটি কায়রোর মাহমুদ খলিল মিউজিয়াম থেকে ২০১০ সালের আগষ্ট মাসে চুরি হয়। মিশরিও কতৃপক্ষ বিশ্বাষ করে চিত্রকর্মটি দুই ইতালীয় পর্যটক চুরি করে। এবং কায়রো বিমানবন্দর দিয়ে তারা ইতালির রোমে নিয়ে যায়। এই চিত্র কর্মটি ১৯৭৭ সালেও চুরি হয়েছিল। দশ বছর পর এটি কুয়েত থেকে উদ্ধার করা হয়। এই চিত্রকর্মপি উদ্ধার করার পুরস্কার হিসাবে মিউজিয়ামটি ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষনা করেছে। চিত্রকর্মটির আনুমানিক মূল্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।





০৯. কনগ্রেসন অব দ্য রেমফোর্ড চার্চ

ভিনসেন্ট ভ্যান গগ এই অসাধারন কাজটি করছেন ১৮৮৪ সালে। এই তৈল চিত্রটি বর্তমানে আমাস্টার্ডামে ভ্যান গগ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।





১০. দ্য পটেটো প্লান্টার

পৃথিবীর সকল দেশেই তার প্রধান খাদ্য শষ্যকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয়। সমুদ্র কন্যা হল্যান্ডও এর বাইরে নয়। তাই সর্বকালের শেষ্ঠ ডাচ চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যান গগও তার তুলির আচড় থেকে আলু চাষকে বাদ দেন নি। ১৮৮৪ সালে আকা এই তৈলচিত্রটি বতর্মানে জার্মানীর ফন ডার হাইড মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

রি হোসাইন বলেছেন: ভ্যান গগের জীবনী চোখে জল এনে দেয়। আসংখ্য ধন্যবাদ ছবি গুলো শেয়ার করার জন্যে।

০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

আছিফুর রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। নিজের ছবিগুলো কোন উপকারে আসতে পারে নি শিল্পীর। এর থেকে বড় ট্রেজেডি আর কি হতে পারে।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৩

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর।

১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

আছিফুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভ্যান গগ আমার আগ্রহের অন্যতম বিষয়বস্তু

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

সোহাগ সকাল বলেছেন: চিত্রশিল্প নিয়ে আপনার আগ্রহ আছে আমি জানি। এই প্রচেষ্টা নিয়মিত চলতে থাকুক আসিফ ভাই।
পোস্টে ভালোলাগা।

১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

আছিফুর রহমান বলেছেন: হ্যা। আগ্রহ আছে। আমার এইগুলো দেখতে ভাল লাগে। আবার নেশাও লাগে।
ধন্যবাদ সোহাগ ভাই।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ইরিস... এই চিত্রটার এত মুল্যের কারণ কি... খালি চোখে তো কিছুই বুঝলাম না...


গগ এর ছবিগুলা এম্নিতেই কেমন যেন আলাদা করে চোখে পড়ে তার উপর সারা জীবন দরিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত ভিনসেন্ট ভ্যান গগ সব সময় প্রচুর অর্থের আশা করতেন। তিনি ভাবতেন তার চিত্রকর্ম গুলো তিনি প্রচুর দামে বিক্রি করে ভাগ্য ফিরাবেন। কিন্তু তার এই স্বপ্ন কখনোই সত্য হয়নি। এবং তার উপর আবার দীর্ঘ বিষন্নতা ও মানসিক অসুস্থতা তাকে করে তুলেছে সাধারণ দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে। কোন সন্দেহ নাই, আমারও অন্যতম প্রিয় শিল্পী, এই পাগলা যাদুকর।



আরেকটা কথা এই ১০ টা কি আপনার পছন্দের লিস্ট নাকি র‍্যান্ডম ! বেশ কয়েকটা জনপ্রিয় চিত্র দেখা যাচ্ছে না, এ জন্যই জিজ্ঞেস করা। সুন্দর গুছানো পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

আছিফুর রহমান বলেছেন: র‍্যান্ডম। হ্যা অনেক বিখ্যাত তৈলচিত্র এখানে আসে নাই। ভ্যান গগ সব সময় আমার আগ্রহের কেন্দ্র ভুক্ত। আসবে পরবর্তীতে।
ভ্যান গগ আসলেই পাগলা জাদুকর।

৫| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

সোহাগ সকাল বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম।

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

আছিফুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট।৮,১০ খুব সুন্দর লাগলো ||

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আছিফুর রহমান বলেছেন: আমার কাছে ৯ নাম্বারটা কিন্তু বেশি ভাল লাগে।

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: সুন্দর লাগলো। ছবির সাথে থাকা ছোট ছোট বর্ণনাগুলো পোস্টটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

আছিফুর রহমান বলেছেন: চেষ্টা করেছি আরো ভাল লেখার। আরও চেষ্টা করে যাব। ধন্যবাদ। আমার ব্লগ বাড়ি বেড়িয়ে যাবার জন্য।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ভ্যান গগ অসামান্য শিল্পী ছিলেন, যাকে বলা যায় ক্ষণজন্মা প্রবাদ পুরুষ। ভ্যানগগের বিশ্বাস ছিল তার ছবি গুলো অনেক দামে বিকোবে কিন্তু দুর্ভাগ্য মানুষটির, জীবদ্দশায় মাত্র ২ টি ছবি তিনি বিক্রি করতে পেরেছিলেন। অর্থকষ্টের কারনে ছবি আঁকার প্রয়োজনীয় মান সম্মত উপকরন কিনতে পারতেন না। কিন্তু তার মৃত্যুর পর সেই সব ছবি কোটি কোটি টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। ভাবতে খারাপ লাগে।

শুভেচ্ছা আছিফুর রহমান। সুন্দর পোস্ট করেছেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

আছিফুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম উদ দৌলা ভাই। আপনাদের মতো পাঠক পেলে আরো লেখতে মন চায়

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

শ্যামল জাহির বলেছেন: চিত্রকর্ম গুলি অনেক সুন্দর! তবে, ৮,১০ বেশী ভাল লেগেছ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

আছিফুর রহমান বলেছেন: কনগ্রেসন অব দ্য রেমফোর্ড চাচ
র্দ্য ইয়োলো হাউস
আমার কাছে এই দুটো বেশি প্রিয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.