নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের খোঁজে

There is but one moment when the Goddess of Fortune wafts by, and if you don’t grab her by the hem, you won’t get a second chance.

আছিফুর রহমান

নিজেকে উগ্র জাতীয়তাবাদী বলতে পছন্দ করি।

আছিফুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

২য় বিশ্বযুদ্ধের না বলা এক জেনারেলের কথা

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৫





দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আরভিন রোমেলের পর কোন জেনারেল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিল জার্মান সেনাবাহিনীতে। উত্তর আসবে জেনারেল হ্যান্স গুদেরিয়ান। জার্মান আর্মির সবচেয়ে ভাল ট্যাঙ্ক বিশারদ শুধু মাত্র ফিল্ড মার্শাল উপাধী পান নি হিটলারের বাজে সৈন্য পরিচালনার সাথে একমত হতে না পারার কারনে। আরভিন রোমেলের মত এই জেনারেলও ছিলেন জাত সৈনিক। কিংবদন্তি ফিল্ড মার্শাল আরভিন রোমেলের মত তার নামেও কোন যুদ্ধপরাধের অভিযোগ আনতে পারে নি মিত্র বাহিনী। যুদ্ধ পরবর্তী পশ্চিম জার্মানির সেনাবাহিনী গঠনে মুখ্য ভূমিকা রাখেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই পোড় খাওয়া সৈনিক।





ফিল্ড মার্শাল মডেল ও গুদেরিয়ান



হ্যান্স উইলহেম গুদেরিয়ান ১৮৮৮ সালে পশ্চিম প্রুসিয়া(বর্তমান পোল্যান্ডের কলোম) কল্‌ম শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা ফ্রেডরিখ গুদেরিয়ান ছিলেন জার্মান সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল। ইতিহাস বিখ্যাত এই ট্যাঙ্ক কমান্ডার তৎকালিন জার্মান অভিজাত পরিবারের অন্য সন্তানদের মত ১৯০১ সালে মিলিটারি স্কুলে ভর্তি হন। ১৯০৭ মাল পর্যন্ত তিনি জার্মানির বিখ্যাত সব মিলিটারি স্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনি জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন ১৯০৭ সালে। তার পিতার কমান্ডে থাকা ১০ম হ্যানোভার ব্যাটিলিয়ানে যোগদান করেন। আর্মি প্রশিক্ষন শেষে ১৯০৮ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট পদে অভিসিক্ত হয়ে তার সেনাজীবন শুরু করেন। ১৯১১ সালে প্রুশিয়ান আর্মির সিগনাল কোরে ৩য় টেলিগ্রাফ ব্যাটিলিয়ানে তিনি যোগদান করেন। ১৯১৩ সালে তিনি তার বিবাহিত জীবন শুরু করেন। তিনি ১ অক্টোবর মার্গারেট জর্জেনকে বিবাহ করেন। তার দুই সন্তানও তার মত সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তার বড় ছেলে হ্যান্স গুন্টার পশ্চিম জার্মানী আর্মির একজন জেনারেল ছিল এবং ছোট ছেলে কুর্ট গুন্টার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন জার্মান অফিসার ছিল।





১৯৩৫ সালে রাশিয়ায় মৈত্র সফরে ব্রিগেডিয়ার গুদেরিয়ান




প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সে সিগনাল অফিসার এবং পরবর্তীতে জেনারেল স্টাফ অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এর ফলে তিনি যুদ্ধ ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিচরন করতে পেরেছেন। যা পরবর্তীতে তার ট্যাঙ্ক কমান্ডার হিসাবে বিখ্যাত হতে সাহায্য করেছে। তার সাথে প্রায় উর্ধতন কর্মকর্তার মতের মিল হতো না এবং এর ফলে তাকে আর্মি ইন্টিলিজেন্সে বদলী করা হয়। যেখানে তিনি যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধক্ষেত্রের এই অভিঞ্জতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি পরবর্তীতে তার ট্যাঙ্ক যুদ্ধে স্ট্র্যাটিজি করতে সহায়তা করেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তার দ্বিতীয় দায়িত্ব ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের স্ট্র্যাটিজি উন্নয়ন করা। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জার্মান পরাজয়কে কখনও মেনে নিতে পারেন নি। তিনি বিশ্বাস করতেন মিত্র বাহিনীর জার্মানিকে পরাজিত করার মত শক্তি ছিল না।

১ম বিশ্বযুদ্ধে তিনি পূর্ব সীমান্তের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন। এই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পরিচালনার দায়িত্বে ছিল সেনাবাহিনী থেকে স্বাধীন ফ্রাকর্পস ইউনিট। এই বিশেষ বাহিনী সেই সময় জার্মানীকে পোল্যান্ড ও রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিরোধে সেখানে দায়িত্ব পারন করতো। ১৯১৯ সালের জুন মাসে গুদেরিয়ান জার্মান আর্মির আয়রন ব্রিগেড(পরবর্তীতে ডিভিশন) এ সেকেন্ড জেনারেল স্টাফ অফিসার পদে যোগ দেন। নিয়মীত জার্মান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে আয়রন ব্রিগেডে পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ পরবর্তী বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে আয়রন ব্রিগেডে যেন কোন বিদ্রোহ দেখা না দেয়। এবং জার্মানদের যুদ্ধজয়ের আশাবাদ যেহেতু শেষ হয়ে গেছে তাই হতাশা থেকে আয়রন ডিভিশন যাতে কোন আত্মঘাতী কাজ করতে না পারে। ব্যক্তিগত দর্শনে সমাজতন্ত্রকে ব্যাপক ভাবে ঘৃনা করা এই জার্মান অফিসার পোলিশ সীমান্তে যাতে সোভিয়েত বাহিনী কোন জার্মান বিরোধী কর্মকান্ড চালাতে না পারে সেজন্য তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। যেহেতু জার্মানদের কাছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়া পরাজিত হয়েছিল সেজন্য সোভিয়েতরা কোন আগ্রাসন মূলক ব্যাবস্থা নিলে জার্মান যাতে তা প্রতিরোধ করতে পারে সে জন্য আয়রন ব্রিগেডকে লিথুনিয়া এবং লাটভিয়া অভিযানে পাঠানো হয়। এই সময় লিথুনিয়া ও লাটভিয়া জার্মানরা দখল করে। এই ব্রিগেড যখন রিগা দখলের জন্য অভিযান পরিকল্পনা করে তখন ঘোষনা আসে জার্মানদের পরাজয়ের। এই অবিযানটা ছিল জার্মান সীমান্ত থেকে কমিউনিজমকে দুরে ঠেলে দেওয়া। এবং সমাজতন্ত্রের যত আদর্শ আছে তা সমূলে উৎপাটন করা। এই অভিযানকে গুদেরিয়ানতার আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন পরিষ্কার তেকে পরিষ্কারতর করার প্রক্রিয়া হিসাবে।





তরুন গুদেরিয়ান



যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জার্মান সেনাবাহিনীকে ছেটে অনেক ছোট করে এক লক্ষ সৈন্যের একটা সেনাবাহিনী দ্বার করায় মিত্র বাহিনী। যা তখনকার সময় অনুযায়ী ছিল নামে মাত্র সেনাবাহিনী। এই সেনাবাহিনীতে জায়গা পান ক্যাপ্টেন গুদেরিয়ান। এসময় তিনি কোম্পানী কমান্ডার হিসাবে ১০ম জেগার ব্যাটিলিয়ানে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি ট্রুপ অফিসার হিসাবে আসলে যা ছিল সহকারী জেনারেল স্টাফ অফিসার পদ মর্যাদার(ভার্সাই ট্রেইটি দ্বারা সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ অফিসার পদ বিলুপ্ত করা হয়)। ১৯২৭ সালে গুদেরিয়ান মেজর হিসাবে পদন্বতি পান এবং সেনাবাহিনীর ট্রান্সপোর্ট অফিসার হিসাবে বার্লিনো যোগ দেন। বার্লিনে তার এই বদলীর কারনে তিনি নিজের চোখে জার্মান আর্মির পুনরায় শক্তিশালী করার কার্যক্রম তিনি নিজ চোখে দেখতে পান। গুদেরিয়ান ইংরেজি ও ফ্র্যাঞ্চ ভাষায় দক্ষ ছিলেন। এর ফলে তিনি ব্রিটিশ যুদ্ধ বিশেষঞ্জ জে.এফ.সি ফুলার ও বি.এইচ লেডলি হার্টের যুদ্ধ সম্পর্কিত বইগুলো পরতে পেড়েছিলেন। এবং পরবর্তীতে তিনি এগুলো জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন।

১৯৩১ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেলপদে প্রমোশন লাভ করেন। এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওসউল্ড লুটজের নিয়ন্ত্রনে থাকা মোটারাইজ ট্রুপসের অফিসার হিসাবে যোগ দেন। ১৯৩৩ সালে তিনি কর্নেল হিসাবে প্রমোশন পান।

এই সময়ে তিনি যন্ত্র যুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন গবেষনা করেন। এবং তিনি তার গবেষনার কাগজ জার্মানীর উচ্চ পর্যায়ের অফিসারের হাতে অর্পন করেন। তার গবেষনারমূল বিষয় ছিল সৈন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে যুদ্ধে কিভাবে যন্ত্রের সব্বোর্চ্চ ব্যবহার করা যায়। তার এই যন্ত্র যুদ্ধের মূল কারিগর ছিল ট্যাঙ্ক এবং আর্মাড ভেহিকেলের। ঠিক এই সময়ে ব্রিটেনের জেনারেল হোবার্ট ট্যাঙ্ক নিয়ে গবেষনা করছিলেন। গুদেরিয়ান তার গবেষনা থেকে কিছু জিনিস নিয়েছিলেন।

১৯৩৫ সালের অক্টোবরে গুদেরিয়ান তার গবেষনার ফল স্বরুপ নবগঠিত তিনটি প্যানজার গ্রুপের একটি ২য় প্যানজার ডিভিশনের কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পান। এবং এর ধারাবাহিকতায় ১ আগষ্ট ১৯৩৬ সালে তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে প্রমোশন পান। এবং অতিদ্রুতই ৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৮ সালে মেজর জেনারেল পদে প্রমোশন পান এবং ১৬তম আর্মি কর্পসের কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব পান।

এই সময়ে গুদেরিয়ান তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ তার বই একটিং প্যানজার প্রকাশ করেন। এটি গুদেরিয়ানের ত্তত্বের বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়। এবং কিভাবে সৈন্য এবং ট্যাঙ্ক ও আর্মাড ভেহিকেলের সংমিশ্রনে যুদ্ধ করা যায় তার ধারনা দেন তিনি এই বইয়ে। এবং গুদেরিয়ানের এই বইয়ের উপর ভিত্তি করে জার্মান সেনাবাহিনী ট্যাঙ্ক যুদ্ধের উপর গুরুত্ব দিয়ে আরো বেশি প্যানজার ডিভিশন গড়তে থাকে।

গুদেরিয়ানের ত্তত্ব

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান সেনাবাহিনী অস্ত্র ও যন্ত্রের মাধ্যমে শত্রুর বুহ্য ভেদ করার পরিকল্পনা করে। এবং তারা এই ত্তত্বের সর্ব প্রথম প্রয়োগ করে ১৯১৮ সালের বসন্ত অভিযানে। কিন্তু তাদের এই নতুন পরিকল্পনা কোন সাফল্য নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়। এই ত্তত্ব অনুসারে জার্মান সেনাপতি মন্ডলী তাদের মটোরাইজড ডিভিশন ও পদাতিক ডিভিশনের সম্মন্বয় করতে ব্যর্থ হন যার ফলে এই ত্তত্ব সেই সময় ব্যর্থ হয়।

এই ত্তত্ব অনুসারে মটোরাইজড ডিভিশনকে সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি হিসাবে ধরা হয়। যদিও এটা তখন পর্যন্ত কোন সফল প্রয়োগ হয় নি। সোভিয়েত মার্শাল মিখাইল টুসকেনভস্কি সর্ব প্রথম এই ত্তত্বের সফল প্রয়োগ ঘটান। কিন্তু সোভিয়েত রাশিয়ার তৎকালীন শাসক কমিউনিষ্ট সরকার তাকে রাষ্ট্রদ্রহিতার অভিযোগে ১৯৩৭ সালে তার মৃত্যুদন্ড দিলে সোভিয়েত রাশিয়ায় এই ত্তত্ব নিয়ে গবেষনা শেষ হয়ে যায়।

২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান সেনাবাহিনীর ব্লিৎজক্রিগ মিত্র বাহিনীকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল তার মূল পরিকল্পনা রচিত হয়েছিল গুদেরিয়ানের বইয়ের ত্তত্ব থেকে। গুদেরিয়ান মোবাইল আর ভারি যানবাহন দ্বারা পরিচালিত আক্রমনের আকটা সারাংশ প্রস্তুত করতে পারেন। এবং এই দুই বাহিনী পরস্পরকে সাপোর্টের কথা গুদেরিয়ান তার বইয়ে উল্লেখ করেছিলেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর তার প্রকাশিত প্যানজার লিডার বইতে তিনি লিখেছিলেন

“১৯২৯ সালের দিকে আমি অনুভব করলাম একটা ট্যাঙ্ক ব্যাটিলিয়ান যেই সাফল্য লাভ করতে পারে তার কয়েক ব্যাটিলিয়ান পদাতিক সৈন্য দিয়ে সম্ভব না। তাছাড়া ইংল্যান্ডে থাকাকালিন যুদ্ধ ইতিহাস বিষয়ক পড়াশোনা এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে আমার অভিঞ্জতা আমাকে বুঝতে শিখিয়েছে যে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ট্যাঙ্কের সব্বোর্চ্চ সফলতা তখনই আসবে যখন ট্যাঙ্কে কোন ব্যাটিলিয়ান সাপোর্ট দিবে। এই সাপোর্ট দেয়ার মাধ্যমে ট্যাঙ্ক তার প্রাইমারি রোল পালন করতে পারবে। কিন্তু যদি পদাতিক ডিভিশনে ট্যাঙ্ককে অর্ন্তভুক্ত করা হয় তবে সেটা হবে সম্পদ আর জীবনের অপচয়।

গুদেরিয়ান বিশ্বাষ করতেন ব্লিৎজক্রিগে প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যাবশ্যকিয়। প্রযুক্তির সহায়তা খুবই দরকার ছিল ব্লিৎজক্রিগে। বিশেষ করে যোদ্ধাদের সাথে আর্মাড ডিভিশনের জেনারেলদের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ভিজুয়াল ইমেজের খুবই প্রয়োজন ছিল এই যুদ্ধ ব্যবস্থায়।

১৯৩৩ সালে গুদেরিয়ান জার্মান সেনাবাহিনীর হাই কমান্ডে প্রবেশ করলে তিনি জার্মান সেনাবাহিনীর প্রতিটি ট্যাঙ্কে রেডিও ও ভিজুয়াল ইকজুয়েপমেন্টের ব্যবস্থা করেন। যা পরবর্তীতে ২য় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধ ক্ষেত্রে দারুন ভাবে কাজে লেগেছে।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

নুমান" বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। পড়ে উনার সম্পর্কে জানা হল। শুভেচ্ছা জানবেন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আছিফুর রহমান বলেছেন: শেষ হয়নায় এখনও । আরেক পর্ব হবে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার ব্লগ বাড়িতে আসার জন্য

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১

শিপু ভাই বলেছেন:
তথ্য বহুল পোস্ট!!!

বাট গুদেরিয়ান কেন গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝলাম না।


কষ্ট করে এত বড় পোস্ট দেয়ায়++++++++++++

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০

আছিফুর রহমান বলেছেন: হ্যানজ গুদেরিয়ান জার্মান ট্যাঙ্ক যুদ্ধের সবচেয়ে মেধাবী জেনারেল ছিলেন। জার্মান ট্যাঙ্ক বহর যে মিত্র বাহিনীকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল। তার মূলে ছিলেন হ্যানজ গুদেরিয়ান। পরবর্তী পোষ্টে আরো আসবে

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

শিপু ভাই বলেছেন:
আপনি এখনো জেনারেল হন নাই!!! :-*


আপনাকে দ্রুত জেনারেল করার দাবী জানাই!!!


এরকম করলে সামু আর শেষ হয়ে যাবে!!!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০২

আছিফুর রহমান বলেছেন: কষ্টে আছি। ভাল লাগার পোস্ট গুলায় মন্তব্য করতে পারি না।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: জেনারেল হ্যানয গুদেরিয়ানকে নিয়ে দেয়া পোস্ট ভালো লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে লেখা কিছু পোস্ট পড়তে পারেন ব্লগার উৎকৃষ্টতম বন্ধুর এই লিঙ্কে

শুভ ব্লগিং :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

আছিফুর রহমান বলেছেন: উনার লেখা আমি নিয়মিত পরি, পরের পর্ব লেখা হয়ে গেছে, বাট কেও তো পরে না, বা উৎসাহ দেয় না।

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: জেনারেল হবার আগ পর্যন্ত সময়টা একটু খারাপ যাবে। এটা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই ভাই। লিখতে থাকুন।


শুভ ব্লগিং :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

আছিফুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

দাম বলেছেন: প্রিয়তে

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

আছিফুর রহমান বলেছেন: গর্বিত

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৯

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ট্যাঙ্কের সব্বোর্চ্চ সফলতা তখনই আসবে যখন ট্যাঙ্কে কোন ব্যাটিলিয়ান সাপোর্ট দিবে। এই সাপোর্ট দেয়ার মাধ্যমে ট্যাঙ্ক তার প্রাইমারি রোল পালন করতে পারবে। কিন্তু যদি পদাতিক ডিভিশনে ট্যাঙ্ককে অর্ন্তভুক্ত করা হয় তবে সেটা হবে সম্পদ আর জীবনের অপচয়।

এটা কিন্তু একদম সত্য একটা কথা। রোমেল, তার আফ্রিকা কর্প্স নিয়ে বেশীর ভাগ যুদ্ধ এই এক তত্ত্বের জোড়ে জিতসিলেন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

আছিফুর রহমান বলেছেন: অথচ এই জেনারেলকে আমরা কয়জন চিনি যানি, জার্মান জেনারেল দের মাঝে আমরা ডেজার্ট ফক্স রোমেলকেই বেশি চিনি, বেশি জানি। অথচ রোমেল সফল হয়েছিলেন গুদেরিয়ানের থিউরিতে।

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: তবে আমার মতে জার্মান জেনারেল/ফিল্ড মার্শালদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা ছিল এরিখ ভন মান্সটাইন। হিটলার যদি নিজের সিদ্ধান্তে অটল না থেকে তার কথা ঠিক মত শুনতেন তাহলে আজ মনে হয় আমরা "ন্যুরেম্বার্গ ট্রায়ালের" কথা শুনতাম না, আমরা শুনতাম "দ্য ট্রায়াল অফ ভার্সাই অথবা "দ্য ট্রায়াল অফ লন্ডন" অথবা "দ্য ট্রায়াল অফ মস্কো" এর নামগুলো। ইফ ইউ নো ওয়াট আই মিন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

আছিফুর রহমান বলেছেন: গুদেরিয়ান কুরস্কের যুদ্ধ প্রসঙ্গে বলেছিল, “ আপনি মনে করেন কত জন লোক জানে কুরস্ক কোথায়? কুরস্ক কোথায় এটা এখন গুরুত্বপূর্ন না। গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে আমরা কি কুরস্ক দখলে রাখতে পেরেছি না পারি নাই।
সেরকমই যখন গুদেরিয়ান মস্কোর রেলরোড ধরে প্রায় মস্কো পৌছে গেছে, তখন তাকে বলা হল, কিয়েভে চলে আস। আগে কিয়েভ দখল করি।
সেই সব সিদ্ধান্তের কারনে জার্মানী ব্যর্থ হয়।
তবে এক ব্রিটিশ ফিল্ড মার্শাল(নামটা আমার মনে নাই) বলেছিল, আমরা যুদ্ধ জিতেছি শুধু মাত্র আমাদের সৈন্য সংখ্যার কারনে। কারন একটা জার্মান সোলজার ১০টা মৈত্রী বাহিনীর সোলজারকে নিয়ে মারা গেছে।
এরকম কাছাকাছি একটা উক্তি ছিল।
তবে আমার কাছে গুদেরিয়ানই বেস্ট। সমরবিঞ্জানে এখনও তার ট্যাঙ্ক যুদ্ধের থিউরি অনুসরন করা হয়।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

আছিফুর রহমান বলেছেন: ফ্রেডরিক পাওলাসকে নিয়ে একটি লেখা লিখেছিলাম। সময় পেলে ঘুরে আসবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.