![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশে প্রচলিত আইনগুলোর মধ্যে পেনোলজিকাল ল হিসাবে দন্ডবিধি ও প্রসিডিউরাল ল হিসাবে ফৌজদারী ও দেওয়ানী কা্যবিধি সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ও প্রায় সব জায়গায় আলোচিত হয়ে থাকে । কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত হওয়া সত্তেও আইন সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় এই তিনটি বিষয় বুঝতে উঠতে কঠিন হয়ে যায় । আসুন, একটু দেখে নিই এই তিনটি আইনে আসলে কি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ।
দন্ডবিধিঃ
দন্ডবিধি থেকে অপরাধ এবং অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে জানা যায়। মোট ৫১১টি ধারা আছে দন্ডবিধিতে, এসব ধারাগুলোর অনেকগুলোর আবার উপধারা আছে। ধারাগুলোর কোনটিতে অপরাধের বর্ণনা বা সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে আবার কোনটিতে অপরাধের শাস্তির পরিমাণ বর্ণিত হয়েছে। ১৮৬০ সালে প্রথম ভারতীয় দন্ডবিধি প্রবর্তিত হয়। দন্ডবিধিকে একটি দেশের মৌলিক আইন বলা হয়ে থাকে।
ফৌজদারী কার্যবিধিঃ
কিভাবে অপরাধের তদন্ত করতে হবে, গ্রেফতার-জমিনের বিধান এবং বিচারকার্য কিভাবে পরিচালনা করা হবে সেটা ফৌজদারী কার্যবিধি থেকে জানা যায়। ফৌজদারী কার্যবিধিতে মোট ৫৬৫টি ধারা আছে, এসব ধারাগুলোর অনেকগুলোর আবার উপধারা আছে। ১৮৬২ সালের ১লা জানুয়ারী হতে ফৌজদারী কার্যবিধি বলবৎ হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংশোধনী আনা হয়, আবার কিছু ধারা আবার বিভিন্ন সময়ে বাতিলও করা হয়।ফৌজদারী কার্যবিধিতে আরো কিছু বিষয় আছে, অপরাধ যাতে না ঘটতে পারে তার জন্য কিছু ব্যবস্থা ফৌজদারী আইনে পাওয়া যায়। ফৌজদারী কার্যবিধির চতুর্থ ভাগ অপরাধের প্রতিরোধ বিষয়ে নিবেদিত।
দন্ডবিধি ও ফৌজদারী কার্যবিধি কোনটা কি?
যেমন: কেউ কোন হত্যাকান্ডে অংশ নিলে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। দন্ডবিধির ২৯৯ এবং ৩০০ ধারা থেকে জানা যায় কোনটি খুন বা হত্যাকান্ড এবং দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় শাস্তির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
কিন্তু কিভাবে এই মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে, কিভাবে তদন্তকার্য পরিচালনা করা হবে, কোন আদালতে মামলাটি দায়ের করতে হবে তথা বিষয়টি কোন আদালতের আওতাধীন, ইত্যাদি ফৌজদারী কার্যবিধি হতে জানা যায়।
দেওয়ানী কার্যবিধিঃ
অন্যদিকে দেওয়ানী কার্যক্রমে পুলিশের সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। যেগুলো ফৌজদারী অপরাধ নয় সহজ ভাষায় সেগুলোই দেওয়ানী আদালতের আওতায় নেয়া হয়। বাড়ি-ঘর, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ, ব্যবসায়িক বিষয়াবলী, আর্থিক দেনদেন সংক্রান্ত প্রসঙ্গ ইত্যাদি দেওয়ানী আদালাতের আওতাভুক্ত। দেওয়ানী আদালত কিভাবে তার বিচারকার্য পরিচালনা করবে দেওয়ানী কার্যবিধিতে তার উল্লেখ আছে। দেওয়ানী কার্যবিধিকে মোটাদাগে দুইভাগে ভাগ করা যায়: কার্যবিধি ও অর্ডার। প্রতিটি অর্ডারের আবার একাধিক রুল আছে। অর্থাৎ দন্ডের মেয়াদ ও দন্ডের সঙ্গা সম্পর্কে দন্ডবিধিতে আলোচনা করা হয়েছে, আর কিভাবে এই দন্ড দেওয়া হবে অর্থৎ বিচার অনুষ্ঠান কোন পদধতিতে হবে তা ফৌজদারী কার্যবিধিতে। আর দেওয়ানী কার্যবধিতে কোন ব্যক্তি কতৃক হারানো অধিকার কিভাবে সে ফিরে পাবে, এবং আদালত কিভাবে বিচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তা নিষ্পত্তি করবেন সে সম্পর্কে বলা হয়েছে ।
(এ ইউ জেড প্রিন্স)
©somewhere in net ltd.