নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

খোয়াবনামা এবং আনন্দমঠ - তুল্যমূল্য পাঠ

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০

খোয়াবনামা পড়া শেষ হল। এত বৃহৎ পটভূমিতে সৃষ্ট এ আখ্যানের ব্যাপারে হুট করে একটা- দু'টো কথা বলা মুশকিল। তবে যেহেতু বইটা পড়ে শেষ করলাম মাত্রই, বইটি থেকে আমার কিছু understandings share করাটা এই মুহূর্তে প্রয়োজন বোধ করছি।
.
খোয়াবনামা উপন্যাসের যে দিকটির ব্যাপারে আমাকে আমার পড়ুয়া কমরেডরা আগে থেকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তা হল - আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের এই বইটি ১৯৪৭ এবং তার পূর্ব পরের ইতিহাস - তথা সিপাহি বিপ্লব - ফকির-সন্ন্যাসীদের লড়াই ইত্যাদির "বঙ্গদেশীয়" ন্যারেটিভ। "বঙ্গদেশীয়" - এই sense এ যে, ফকির বিদ্রোহের একটা বর্ণনা আমরা বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসে পাই। আবার দেশভাগের ইস্যুতে এপিক উপন্যাস পূর্ব-পশ্চিম লেখা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। বঙ্কিম এবং সুনীল - দু'জনেই পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক। ফলে তাদের সাহিত্যকর্মের একটা রাজনৈতিক অবস্থান আগে থেকেই নির্দিষ্ট থাকে। যখন একটা বিষয় সম্পর্কে আপনাকে একটি নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়ার মত অবস্থানে আসতে হয়, তখন আপনার দুপক্ষেরই বয়ান শুনতে হবে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের খোয়াবনামা আপনাকে বাংলাদেশি বাঙ্গালীদের, '৪৭ এর আগে যাদের মূল পরিচয় ছিল ন্যাড়া ও ম্লেছের জাত - তাদের বক্তব্যটি শোনার ব্যাবস্থা করে দেয়।
.
সরাসরি উপন্যাসে যদি যাই, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বঙ্কিমের আনন্দমঠে বর্ণিত ফকির- সন্ন্যাসী এবং ম্লেছ- মুসলিমদের সাংঘর্ষিক অবস্থানের বয়ানের প্রতিবাদ করেন খোয়াবনামার ৩৭ নং চ্যাপ্টারে। এক জমিদারের কাছারিঘরে আলাপরত নায়েববাবু ও তার এক হিন্দু প্রজার সংলাপ পড়ে দেখা যাক। নায়েববাবু বলছেন -
.
"-'কিন্তু সন্ন্যাসীরা তো ছিল মুসলমানের শত্রু, সে খবর রাখো?'
-'না বাবু।'
- 'তুমি বেশী জানো?' সতীশ মুক্তার কেষ্ট পাল (প্রজা) কে ধমক দেয়, ' সন্ন্যাসীরা ম্লেছদের ঘরবাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছিল, তা জানো? আনন্দমঠ পড়েছো?'
-'না বাবু। বলে কেষ্ট পাল তার আনন্দমঠ না পড়ার তথ্য এবং সতীশ মুক্তারের কোথায় অবিশ্বাস প্রকাশ করে এক সঙ্গে, ' হামাগরে ভবানী সন্ন্যাসীর সেনাপতি আছিলো এক পাঠান... ফকির মজনু শাহ আছিল ফকির রাজা, আর সন্ন্যাসির দলের রাজা আছিল ভবানী সন্ন্যাসী।'
-'কোথাকার রাজা হে? নাটক নভেল না পড়লে কি হয়, ইতিহাস বেশ মেলা পড়েছ।"
.
অর্থাৎ আনন্দমঠে যেখানে স্বাধীনতাকামী সন্ন্যাসীরা মুসলিমদের অপছন্দ করতো এবং সুযোগ পেলেই খড়গহস্ত হত বলে যে বক্তব্য বঙ্কিমচন্দ্র রেখেছেন , ওটাকে "নাটক- নভেল" - তথা মনগড়া কাহিনী উল্লেখ করে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে ফকির- সন্ন্যাসী, নিম্নবর্ণের হিন্দু এবং মুসলিমরা একত্রেই জোট বেঁধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী এক নায়েবের মুখ দিয়ে স্বীকারও করিয়ে নিচ্ছেন যে, এটাই ইতিহাস।
.
একই অধ্যায়ে নায়েববাবু আর টাউনের আরেক উচ্চবর্ণের সনাতন ধর্মাবলম্বী অনিল স্যান্যালের কথোপকথনের একটা অংশ উদ্ধৃত করি। নায়েব বাবু বলছেন -
.
"রিলিজিয়ন যে খুব বড় ফ্যাক্টর তা নয়। কিন্তু দে বিলং টু এ ডিফারেন্ট কালচারাল লেভেল। উই ক্যানট লিভ টুগেদার। ইম্পসিবল।"
.
লেখক-পাঠক হিসেবে আমার মনে হয়েছে, উপন্যাসের সবচে' গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটা। একদিকে সদ্য ক্ষমতার স্বাদ পাওয়া সমাজের নিচু তোলার মুসলিমরা "লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান" - এর নাড়া তুলছে, আর সমাজের উঁচু জাতের ক্ষমতাশীল, শিক্ষিত সনাতন ধর্মাবলম্বী নায়েব বলছেন - ধর্মীয় নয় বরং সংস্কৃতিগত পার্থক্যের কারনে হিন্দু- মুসলিম এক সাথে বসবাস সম্ভব নয়।
.
এই জায়গাটি নিয়ে একটা বড় পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা আমার আছে। নিদেন পক্ষে একটা উপন্যাস এ নিয়ে লেখাই যায় যে সংস্কৃতিগত পার্থক্য অবিভক্ত ভারতের হিন্দু ও মুসলিম সমাজের মধ্যে বিদ্যমান থাকার কারণে শত শত বছরের একত্রে এক ঠাই এ থাকার পাঠ চুকল আমাদের, সেটা ২০১৬ সালের প্রেক্ষিতে আসলে কতটুকু বিদ্যমান, ভারতে এবং বাংলাদেশে।


.

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আরেকটু বিস্তৃত হলে ভাল হত।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যে। লেখাটি সংক্ষিপ্ত হয়েছে শুধুমাত্র বঙ্কিমের সাথে ইলিয়াসের বয়ানের সরাসরি তফাতের জায়গাটুকু নির্দিষ্ট করার জন্যে। চেষ্টা করবো খোয়াবনামা নিয়ে বিস্তৃত একটি লেখা লিখতে, বা আর একটি খোয়াবনামা লিখতে। শুভকামনার প্রত্যাশী।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।। ধন্যবাদ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: পঠনে এবং মন্তব্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

এহসান সাবির বলেছেন: খোয়াবনামা নামা পড়ি ৯০ দশকের শেষের দিকে, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কে যে তখন চিনতাম না, এমন কি 'চিলেকোঠার সেপাই' তখনও পড়ি নাই, যারা চিলেকোঠার সেপাই পড়েছিল তারা খোয়াবনামা পড়তে বলেছিল। মুগ্ধ হয়ে ছিলাম।

প্রায় এগারো বারো বছর পর লন্ডনের Watney Market Library (Idea store/Tower Hamlets council এর Library) যেয়ে দেখি খোয়াবনামা। আমার ২য় বার পড়া তখনই। আর সেই সময় আমি আবিষ্কার করলাম ১২ বছর আগে পড়ে যা বুঝেছি তার থেকে শত গুন ভালো বুঝতে পেরেছি এখন। অনেক কিছুই একদম নতুনের মত লেগেছিল।

যেমন তমিজের বাপ মারা যাবার পর তমিজের সাথে তার সৎ মায়ের (কুলসুম) এক রাতের সম্পর্ক টা একেবারেই বুঝতে পারিনি সেই ছোট বেলাতে... যা বুঝছি ১১/১২ বছর পরে এসে।

আমার তো মনে হয় বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাসের একটি হল এই খোয়াবনামা

ইস! আপনারা কত পরে এসে এই সব বই পড়ছেন.... ;) তাও ভালো পড়ছেন আজকাল তো কেউ বই ছুঁয়েও দেখে না....

শুভ কামনা সব সময়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সাবির ভাই! বহুদিন পর!

হ্যাঁ, পঁচিশ বছর বয়সে এসে ইলিয়াস পাঠ সম্পূর্ণ করলাম, এ নিয়ে খানিকটা আফসোস আছে, আবার নেই। খোয়াবনামা বের হয় ৯৬ 'র ফেব্রুয়ারিতে। সে বয়সে পড়ার দৌড় ছিল ছোটদের গদ্য- কবিতা এসব। কেজি ১ -২ এর বাচ্চার পক্ষে এর থেকে ভারি কিছু পড়ে বোঝা মুশকিল।
দ্বিতীয়বার পড়বো কিনা, উপন্যাসটি থেকে আরও গভীর কিছু তথ্য বের করার জন্যে? নিজের কাছে এই প্রশ্ন করলে মনে হয়, না, দ্বিতীয়বার হয়তো এই মুখো আর হওয়া হবে না। ইলিয়াস সাহেবের কাছ থেকে যা নেবার, আমি নিয়ে নিয়েছি। আরও বহু দরকার বই পড়া বাকি আছে, এবং বাকি থেকে যাবে মৃত্যুর সময়ও। সেগুলোর দিকে হাত বাড়ানোর সময় এসেছে। ফিলসফির একটা বই পড়ছি। এটা শেষ হলে মারকেজের লাভ ইন দা টাইম অফ কলেরা এবং তার পরে লিটেরারি থিওরির একটি বই। ফেব্রুয়ারির এই শিডিউল।

বাংলা সাহিত্যের সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাসের একটি খোয়াবনামা। সহমত।

বইমেলায় আমার নূতন বই এসেছে ভাই। আয়াজ আলীর ডানা নামে। শুভকামনা জানলাম। আরও শুভকামনা প্রত্যাশী। শুভকামনা আপনার জন্যেও। :)

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: অল্প পরিসরে ভালো লিখেছেন। পড়েছিলাম বেশ আগে। কঠিন এবং দারুন...

একটা বিশেষ সময়ের প্রেক্ষাপট ফুটিয়ে তোলা এবং সেগুলোকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। এখানে মুদ্রার অপর পিঠ উঠে এসেছে যেটাও আমাদের উপলব্ধি করা দরকার...

শুভকামনা রইলো...

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার চিন্তাশীল মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ব্লগার। আপনার জন্যেও শুভকামনা।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

এনামুল রেজা বলেছেন: আলাপটা শুরু হয়েছিল সুন্দর।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আলাপের সুন্দর একটি পরিসমাপ্তি হতে পারতো আপনার একটি পরিপূরক মন্তব্য।

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

সুমন কর বলেছেন: সংগ্রহ করবো করবো করে, করা হচ্ছে না !!!

শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: করে ফেলেন সুমন দা। মাওলা ব্রাদার্সে পাবেন। শুভকামনা।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

রোমেনা বলেছেন: খোয়ানামা'কে হিন্দুমুসলিম বিভাজনে বিচার করাটা আদৌ উচিত হবে কি? নিঃসন্দেহে আপননার মতামত গুরুত্বপূর্ণ, ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। প্রথমেই বলে নিই, আমি খোয়াবনামাকে বিচার করছি না। আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছি মাত্র। দ্বিতীয়ত, ফকির সন্ন্যাসীর বিদ্রোহের যে ন্যারেটিভ বঙ্কিমচন্দ্রের লেখায় পাওয়া যায়, ইলিয়াস খুব সচেতনভাবে তার বিরোধী ছিলেন। খোয়াবনামার পরতে পরতে ৪৭ এর দেশভাগ নিয়ে তৎকালীন দুটি ভিন্নধর্মের মানুষের যে বিপরীতমুখী অবস্থান ছড়িয়ে আছে। ছড়িয়ে আছে ঘটনার বর্ণনায় এবং সংলাপে। সচেতনভাবে উপন্যাসটি আরেকবার পাঠ করলে আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হবে। শুভেচ্ছা।

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
আরো কতশত পড়ার বাকি ৷সাথে যদি দেবেশ রায়ের তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত রাখতে পারেন ৷আর- নিম্নবর্গের ইতিহাস: সম্পাদনা: গৌতম ভদ্র এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। লিরিক: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সংখ্যা।

ছোট করে একজনের কাথায় বলি, উপন্যাসটির রাজনৈতিকতা সম্পর্কে বলা যায় এটি প্রলেতারিয়েত শ্রেণীর প্রতি সহানুভূতিলগ্ন একটি নিম্নবর্গের মানুষের রাজনৈতিক-সামাজিক ইতিহাস।

ছাপার অক্ষরের প্রতি শুভকামনা ৷ রক্তিম অক্ষর মহাকালে ছাপ রেখে যাক ৷ ;)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: জাহাঙ্গীর ভাই, কত কিছু শিখে চলেছি নিরন্তর আপনার মন্তব্যের থ্রুতে! বইগুলো লিস্টি করে রাখলাম। সম্প্রতি শহীদুল জহির সাহেবের জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা নভেলাটি পড়ে শেষ করলাম। এ নিয়ে একটি লেখা তৈরি করছি। খোয়াবনামা সম্পর্কে আপনার একলাইনে কৃত মন্তব্যটিই সবচেয়ে যথার্থ মনে হল।
শুভকামনায় যেন থাকি সবসময় এই আকাঙ্খা।

( সময়ে সময়ে কত কিছু বদলায়। আপনি এখন ইমোটিকন ও ব্যাবহার করেন ! :) )

৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: স্বল্পপরিসরে চমৎকার লেখা।ভালো লাগল

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: পাঠে ধন্যবাদ ।

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইন্টারেস্টিং ব্যাপার ধরেছেন। এই নিয়ে আমার পড়াশোনা কম। অনেক কম। আগ্রহ নিয়ে চোখ রাখলাম।

আপনার বই বেরুচ্ছে দেখলাম। প্রথমেই অভিনন্দন। পড়ে বলব ভাল হয়েছে কি না :#)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: প্রিয় প্রফেসর, অনেকদিন পর আপনার সাথে কথোপকথন। ভালো আছেন আশা করি । আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের লেখা আপনার পড়া হয় নাই, এটা আমার কাছে খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য ঠেকছে না। তবে হতেও পারে, কারণ পৃথিবীতে কেউ কারও লেখা পড়বেই এমন ঠ্যাকা নিয়ে তো আর আসে নাই। অবশ্যপাঠ্য বহু বইই আমরা মৃত্যুর আগে পড়ে যেতে পারবো না।

তৃতীয় বই এটা আমার। পড়লে খুশী হব। ভালো থাকবেন, আর নিয়মিত লেখা শেয়ার করবেন আপনার এই কামনায় :)

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

এহসান সাবির বলেছেন: নতুন বইয়ের নাম নোট করে নিসি।


আমি সব সময় বলি কিছু বই অবশ্যই একটু বয়স হলে পড়া উচিত, না হলে বোঝা যায় না অনেক কিছু। পঁচিশ বছর বয়সে এসে ইলিয়াস পাঠ সম্পূর্ণ করা আমার মনে ঠিকই আছে, ২য় বার হয়ত পড়বার প্রয়োজন হবে না।

বই পড়া মানুষদের আমার ভালো লাগে সব সময়।

শুভ কামনা রইল।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাবির ভাই। আমারও ভালো লাগে বই পড়ুয়া মানুষদের সান্নিধ্য। একদিন হুট করে আপনার সাথে বইমেলায় বা আজিজের বইপাড়ায় দেখা হয়ে যাবে, এই আশা রইল।

১২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আনন্দমঠে যেখানে স্বাধীনতাকামী সন্ন্যাসীরা মুসলিমদের অপছন্দ করতো এবং সুযোগ পেলেই খড়গহস্ত হত বলে যে বক্তব্য বঙ্কিমচন্দ্র রেখেছেন , ওটাকে "নাটক- নভেল" - তথা মনগড়া কাহিনী উল্লেখ করে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে ফকির- সন্ন্যাসী, নিম্নবর্ণের হিন্দু এবং মুসলিমরা একত্রেই জোট বেঁধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী এক নায়েবের মুখ দিয়ে স্বীকারও করিয়ে নিচ্ছেন যে, এটাই ইতিহাস।

আনন্দমঠ আর খোয়াবনাম-দুটোই পড়ার ইচ্ছা জাগল আপনার পোস্ট থেকে।

এই জায়গাটি নিয়ে একটা বড় পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা আমার আছে। নিদেন পক্ষে একটা উপন্যাস এ নিয়ে লেখাই যায় যে সংস্কৃতিগত পার্থক্য অবিভক্ত ভারতের হিন্দু ও মুসলিম সমাজের মধ্যে বিদ্যমান থাকার কারণে শত শত বছরের একত্রে এক ঠাই এ থাকার পাঠ চুকল আমাদের, সেটা ২০১৬ সালের প্রেক্ষিতে আসলে কতটুকু বিদ্যমান, ভারতে এবং বাংলাদেশে।

আপনার উপন্যাসের অপেক্ষায় থাকলাম। পোস্টে পঞ্চম ভাল লাগা :)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্যে। ভালো থাকবেন সবসময়। আর অবশ্যই সুযোগ হলে বইদুটো পড়ে নেবেন।
শুভকামনা :)

১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লাগল।
++

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: আমি আপনার গুণ মুগ্ধ ।কামনা করি হুমায়ুন আহমেদের মত একজন পেশাদার লেখক হন। ব্যস্ত মানুষ। তাই বলে ব্লগে এত অনিয়মিত !

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ, হুমায়ুন আহমেদের মত লিটেরারি ক্যারিয়ার পারসু করার বদলে তার মত একটি ব্যাস্ত লেখকের জীবন কামনা করলেন এই জন্যে। সিরিয়াস লেখা ছাড়া এখন ব্লগে লেখা শেয়ার করতে মন চায় না, তাই এদিকে যাত্রা একটু কমে গেছে। সময় করে আসছি আপনার ব্লগে। ভালো থাকবেন ।

১৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: আমি আসলেই কিছু লিখতে পারি না। আমার ব্লগে না গেলেও চলবে। ব্লগে একাউন্ট খোলা শুধু আপনাদের মত প্রিয় ব্লগারদের লেখায় কমেন্ট করার জন্য।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনি অনেক বিনয়ী। আপনার এই গুনের কিছু অংশের ভাগীদার আমিও হই, এই কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.