নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিন্তার কারখানা ৯ - বিজেপি প্রধান, শ্রী নরেন্দ্র মোদীজীর প্রতি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি যে কারণে কৃতজ্ঞ

২৮ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩১



ছবি - ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজী (দা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বরাতে)

আমাদের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বর্ষে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের দুই টার্ম ধরে নির্বাচিত রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা, এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আসেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে বাংলাদেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মাঝে। রহস্যময় কারণে ফেসবুক ডাউন গত দু'দিন যাবত বলে এ সংক্রান্ত গুজব বা সুজব কোনটাই স্পষ্ট করে শুনতে, জানতে পারছি না। বাংলাদেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্যে যা করা হয়, তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। 'বাংলাদেশের সার্বিক মঙ্গল' কি জিনিস, আর 'এর দায় কার' - এ সংক্রান্ত ইস্যুতে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন। তা তুলুক। আমার সংক্ষিপ্ত বুঝে, যেকোনো ইস্যুতে জাতীয় ক্ষয়ক্ষতি, হতাহত হবার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা কমিয়ে আনার জন্যে নেয়া যেকোনো পদক্ষেপই বাংলাদেশের মঙ্গল, বা হিত কামনা।

৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের কোটিখানেক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে, খাইয়ে, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের যথাসম্ভব সামরিক ট্রেনিং দিয়ে, এবং সবশেষে সরাসরি সম্মুখ সমরে তাদের সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছে আমাদের যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র, সেই ভারতের জনগণের বর্তমান নির্বাচিত প্রতিনিধি, এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আসবেন, এতে যৌক্তিকভাবে আমি আপত্তির কোন জায়গা দেখি না। যারা আপত্তি তুলেছেন, যারা রাস্তায় আন্দোলন করেছেন, তাদের আপত্তিটাও খুব সম্ভবত যুক্তির জায়গা থেকে নয়। তারা সেন্টিমেন্টাল ছিলেন। শ্রী নরেন্দ্র মোদী'র পূর্বকালীন রাজনৈতিক জীবনে, তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ঘটিত সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনার (যার অভিযোগ থেকে আবার ভারতের গুজরাতের স্থানীয় কোর্ট তাকে নিষ্কলুষ বলে ঘোষণা করেছে) কারণে তাকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে অপছন্দ করেন। রাজনীতি সেন্টিমেন্ট দেখানোর জায়গা নয়, এটা বুঝলে হয়তো তারা রাজনীতিতে আকৃষ্ট হতেন, সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করে - যেটা আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলির কোন কোন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক নেতারা করেন। ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করে রাজনীতি এখনো করার চেষ্টা হয়, তবে মনে হয় না বাংলাদেশের জনসাধারণের কাছে তা আর জনপ্রিয়। যে কয়টা ইসলামী দল আছে বাংলাদেশে, তাদের মধ্যে আমার জানামতে সবচে ক্লিন স্লেট যাদের, সেই চরমোনাই পীরসাহেব তার নিজের এলাকাতেই এমপি ইলেকশনে জিততে পারেন নি ২০১৮ সালে।

ম্যাস পিপল, বা জনগণের রেসপন্সের ব্যাপারে আমার সবসময়কার একটা কষ্টের জায়গা - তাদের প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতাবিহীন আবেগি আচরন। যেকোনো একটা বড়সড় পলিটিক্যাল ফেনোমেনা সংঘটিত হলে, আমার অভ্যাস হচ্ছে, তা থেকে নিজেকে একটু দূরে দাঁড় করিয়ে ঘটনা প্রবাহ পরিলক্ষন। সেই সূত্রেই বাংলাদেশের জনগণের আবেগি আচরণ যে দীর্ঘদিন যাবত আমাদের রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর (যদি থেকে থাকে) কোন স্থিতিশীল সমাধান এনে দিতে পারছে না - এটা আমার একটা এম্পেরিকাল ফাইন্ডিং, বা অভিজ্ঞতালব্ধ, পর্যবেক্ষণজাত সত্য। যদিও, মনে হয় না পৃথিবীর কোন দেশের আপামর জনতা তুখোড় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ধারণ করে। আমি দায়ভার একা আমার ও আমার দেশের জনসাধারণের কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছি না। কিন্তু আফসোস তো লাগবেই, কারন ভরসা করার জন্যে আমি তো আমি নিজে, আর আমার জনগোষ্ঠী ছাড়া আর কাউকে পাচ্ছি - পাবো না।

গতকাল, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটা অনলাইন টকশোতে অংশ নিলাম। আমার সঙ্গে সহ আলোচক ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী তনিমা হামিদ আপা। আমাকে করা প্রশ্নগুলোর একটি ছিল - যদি আজকে হঠাৎ '৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মতো একটা সিচুয়েশন তৈরি হয়, তবে আমাদের নেতৃত্ব দেয়ার মতো নেতারা পাইপলাইনে প্রস্তুত আছেন কি না। আমি ঘুরিয়ে রেসপন্স করলাম এই বলে যে - একবিংশ শতাব্দীতে দেশ দখলের রীতি আর আগের মতো অস্ত্রশস্ত্র সহ সৈন্য কারো দেশের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া নয়, কলোনিয়াল আমলে ব্যাপারটা যেমন ছিল। আধুনিক ওয়ারফেয়ার , এবং রাজ্যজয়, এই সাম্রাজ্যবাদ / এম্পেরিয়ালিস্টিক যুগে মূলত বাণিজ্যের উপর ভিত্তি করে, বাণিজ্যের প্রভাববলয় সৃষ্টি করে, নিজের মালামাল অন্যের দেশে ঢুকিয়ে দিয়ে। সে বিবেচনা করলে বাংলাদেশ এখন যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই আছে। বাংলাদেশের যতগুলো সুপারশপ আছে, তাতে একবার ঢুঁ মারলেই দেখা যায় বিদেশী পণ্যে বাজার একদম বোঝাই। আমাদের দেশের তারুণ্যকে বরং এখন এই জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, তারা জাতীয় পণ্য উৎপাদনের যতগুলি সেক্ট আছে, তাকে আন্তর্জাতিক মানে না হোক, অন্তত দেশী মানুষদের বিশ্বাস জয় করবার মতো, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করবার মতো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবে কি না।

আমার এই রেসপন্সের একটা কারন আছে। আমদের প্রায়ই বাস্তবতা বর্জিত হাইপোথেটিক্যাল কন্ডিশন তৈরি করে বর্তমান সময়ের দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা আছে। এটা আমার অপছন্দের।

আমার অধীত বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসমস্ত জুনিয়র, বা আমার অধীনস্থ যেসমস্ত ছাত্রদেরকে দেখলাম গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহে হতাহতদের ব্যাপারে বদলা নেবার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে অনলাইন স্ফেয়ার গরম করে ফেলছে, এরা প্রত্যেকেই নিজের পড়াশোনায় সেন্ট পারসেন্ট ফাঁকিবাজ। তাদের উপর তাদের সামান্য পারিবারিক লেভেলে যে দায়দায়িত্বগুলো আছে, তারা অতটুকুও ঠিকভাবে পালন করতে পারছে না। কিন্তু তারা ধর্মকেন্দ্রিক প্রতিশোধ স্পৃহায় উদ্বেল। যারা জীবনের সব সেক্টে ব্যারথ হয়ে, নিজের ওপর অর্পিত সমস্ত দায়দায়িত্ব পালনে ব্যারথ হয়ে শেষমেশ ধর্মকে আঁকড়ে ধরে, এরা নিজের জন্যে, নিজের পরিবারের জন্যে, এমনকি যে ধর্মের ঝাণ্ডা বুলন্দ করবার স্বপ্ন তারা দেখে, সেই ধর্ম, এবং ধর্মের সাধারণ অনুসারীদেরও বিপদগ্রস্থ করে তোলে।

বাংলাদেশকে ভৌগলিকভাবে সম্ভাব্য সবদিক থেকে ঘিরে রাখা ভারত, একদিকে প্রতাপশালী মায়ানমার দ্বারা পরিবেষ্টিত বাংলাদেশের জনগণের ভেতরে যদি দেশ প্রেম থাকে, তবে তার বহিঃপ্রকাশের সবচে ভালো উপায় ছিল নিজের উপর দেশ থেকে অর্পিত দায়িত্বগুলি সঠিকভাবে পালন করা। ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, মিডিয়াকর্মী, আইনজীবী, শিক্ষক, গবেষক হ যত পেশাজীবী আছেন, তাদের সবার বিশ্বমানের আউটপুট দেয়ার জন্যে নিজেদের প্রস্তুত করাটাই উচিৎ ছিল আমাদের প্রতিবাদের ধরন হওয়া।

মোদীজী যদি এবার নাও আসতেন, আমাদের বাজার ভর্তি যে ভারতীয় পণ্যে, আমাদের মাথা যে ইন্ডিয়ার মিডিয়া দ্বারা পুরোপুরি ওয়াশড, এবং দ্বিপাক্ষিক বিবিধ চুক্তিতে বাংলাদেশ যে এখনও ভারতের সঙ্গে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই - এ পরিস্থিতিগুলোর তো বদল হতো না।

আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গাটা আরও অনেক বড়, এবং দীর্ঘ সময়ব্যাপী কাজ করে সে দায়বদ্ধতা পূরণ করা প্রয়োজন, সেটা আমরা সাধারণ মানুষরা প্রায়ই বুঝি না। ঝোঁকের মাথায় কাজ করি। আর এই দায়পূরণ করার ব্যাপারটা যে অলীক স্বপ্ন, রূপকথা, তাও নয়। ফিদেল ক্যাস্ট্রোর অধীনে কিউবা যে অ্যামেরিকার নাকের ডগায় বসে অ্যামেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনাকে দীর্ঘ দীর্ঘ দিন যাবত সর্বাত্মক প্রতিরোধ করে এসেছে, সেটাই তো এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের সম্মুখে। অবশ্য আমাদের ক্যাস্ট্রো হবে কে - এই প্রশ্ন কেউ কেউ তুলতে পারে।

২।
এতক্ষণ বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি গত কয়েকদিনের ঘটনার ঘনঘটা নিয়ে আত্মসমালোচনা করলাম। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, আমার মনে হয়, এটাই বাঞ্ছনীয়। আঙ্গুল আগে নিজের দিকে তোলা। অন্যকে বদলাতে পারি আর না পারি, অন্তত নিজেকে বদলানোর সক্ষমতা তো আমার হাতে আছে।

এবার বলি, একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, এবং বিজেপি প্রধান শ্রী নরেন্দ্র মোদীজীকে আমার কেন ভালো লেগেছে, এবং কেন আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

আমি প্রকৃত অর্থে কোন রাজা মহারাজা দেখি নি। গতকাল শ্রী নরেন্দ্র মোদীজীর লাইভ ভিডিও টেলিভিশনে দেখে অতীতে প্রতাপশালী রাজারা কেমন হতেন, এ নিয়ে সংশয় মিটেছে। শ্রী নরেন্দ্র মোদীজীর চেহারা, বেশভূষা, আচারাচরন, গাম্ভীর্য, প্রভাব, প্রতিপত্তি, নিজের লক্ষ্যভেদ করবার দুর্দান্ত প্রত্যয় এবং সাহস - এ সব কিছু দেখে, বিশেষ করে তিনি বড় দাঁড়ি আর বাবরি চুল রাখার পর থেকে, আমার ওনার প্রতি এক ধরনের শ্রদ্ধা তৈরি হয়েছে।

আর, মোদীজীর প্রতি কৃতজ্ঞতার কারন হল, শ্রী নরেন্দ্র মোদী আমাদের বাংলাদেশের জনগণকে এক ঐতিহাসিক দায়মুক্তি দিয়েছেন।

যদি '৪৭ এর দেশভাগের কথা আমাদের মনে থাকে, আমাদের এটাও মনে থাকার কথা, ভারতের মুখপাত্র ইতিহাসবিদ, ও রাজনীতিকদের কথা ছিল - পাকিস্তান আলাদা হয়েছে একটা ধর্মভিত্তিক, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে। আর ভারত দেশভাগের পর রয়ে গেছে এই পাক - ভারত উপমহাদেশের একমাত্র সেকুলার রাষ্ট্র হিসেবে।

একটু সময় লাগলেও, ভারতের 'সেকুলার' জনগণের মধ্যে এক বিশাল অংশ যে আদতে উগ্র সাম্প্রদায়িক, এটা প্রমাণ করেছেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী, এবং তার সরকার। সেকুলারিজমের মুখোশ খুলে গেরুয়া পতাকার নীচে আশ্রয় নিতে তার উদাত্য আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন অনেকেই।

২০১৯ সালে, ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে শ্রী মোদীজীর শ্লোগানটা এখনও কানে ভাসে - 'ইসবার তিনস' পার' । ভারতের লোকসভার ৫৪৩টি সিটের মধ্যে ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি তিনশোর অধিক সিট জয়ের আশা ব্যক্ত করেন। বিজেপি এবং তার অ্যালায়েন্স পার্টিগুলো মিলে সেবার লোকসভায় দখল করে নেয় সর্বমোট ৩৫৩ সিট। ক্যালকুলেটরের বাটন টিপে দেখা যাবে, তা প্রায় কাঁটায় কাঁটায় ভারতের মোট জনসংখ্যার ৬৫ %। ২০১১ সালের জরিপে ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ৭৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, তার মধ্যেই তো কমবেশি বিজেপির ভোট গিয়েছে। তাহলে যেই সেকুলার ভারতীয় জনগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে, ভারতে হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাদের সংখ্যা কতো?

সামনে পশ্চিম বঙ্গের বিধান সভা নির্বাচন আসছে। শ্রী নরেন্দ্র মোদীর হিংসুকরা কেউ কেউ দাবী করছেন, মোদীজীর এবারের বাংলাদেশ সফর মূলত পশ্চিম বঙ্গের সনাতন ধর্মের বন্ধুদের মন জয়ের প্রচেষ্টাবিশেষ।

আমার মনের একটা অংশ চাইবে, কোলকাতার বিধানসভার আগতপ্রায় নির্বাচনে ধর্ম বড় ফ্যাক্টর না হোক। কোলকাতা, আর ঢাকা একসময় অভিন্ন হৃদয়ের দুটো অঞ্চল ছিল। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে, ঢাকাবাসী হিসেবে, আমি চাই না আমাদের সুহৃদ একটি প্রতিবেশী প্রদেশে একটা সাম্প্রদায়িক সরকার গঠিত হোক। নতুবা সে আগুণের আঁচ আমার দেশেও এসে লাগবে।

আমার মনের আরেকটা অংশ চাইবে কোলকাতার বিধানসভা নির্বাচনে শ্রী মোদীজীর দল জিতুক। সাম্প্রদায়িক জাতিগোষ্ঠীর ভার দীর্ঘদিন যাবত, অন্যায়ভাবে, এপার বাংলার মুসলিম সম্প্রদায় একা বহন করেছে। ওপার বাংলার উগ্র ব্রাহ্মণ্যবাদী উচ্চবর্ণের জনগোষ্ঠী, যারা ভূস্বামী হিসেবে এই গরীব চাষি অধ্যুষিত গ্রাম বাংলাকে একদা চিপে চুষে খেয়েছে, এবং দেশভাগের সময় ভোটাভুটিতে অগ্রগামী হয়ে পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করেছে, তাদের সেই ছুপা সাম্প্রদায়িক মনোভাব একদম দিগম্বররূপে উন্মোচিত হোক, যাতে বাংলাদেশের রায়তশ্রেণীর মানুষের গায়ে লেপে দেয়া ইতিহাসের এক কলঙ্কের দায়মোচন হয়।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ব্যক্তিক ভাললাগা আর তার গ্রহণযোগ্যতা এক নয়। মোদী যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য এসেছেন সেটা ভোটের ফলাফল দেখেই বুঝা যাবে। আজকের বাংলাদেশ ৭১ থেকে অনেক আলাদা তাই হঠাৎ করেই কেউ দেশ দখল করতে পারবেনা।

মোদি যে গেরুয়া ভারতের স্বপ্ন দেখছে সেটা আধুনিক ভারতের সাথে তুমুল সাংর্ঘষিক।

২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ধন্যবাদ, প্রিয় মাইদুল ভাই। মোদীজীকে দেখে আমার ভালো লাগে, আগের যুগের রাজরাজড়াদের কথা মনে হয়, এতে ক্ষতি কি। তবে তার দেশে তার গ্রহণযোগ্যতা আকাশচুম্বি। এটাই আজকের দিনের সত্য। এটাই আজকের ভারতের চেহারা।
সেটা পৌরাণিক হোক, বা আধুনিক হোক - আমার আপনার মতামতে তাদের কিছু যাবে আসবে না। কারন দে দেমসেল্ভ আর সিলেক্টিং দেয়ার ফেইট।

যাই হোক, আমি মোদীজীর প্রতি কৃতজ্ঞ কেন, সে বিষয়টি কি ধরতে পেরেছেন?

২| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

আমি সাজিদ বলেছেন: মোদী ধ্যানী কিন্তু কোমল নয়। তাকে দেখে আমার এই কথাই মাথায় আসে। টক শোতে চমৎকার জবাব দিয়েছেন। কি মনে হয় মমতা জিতবে পশ্চিমবঙ্গে?

২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: হাহাহা। মোদীজী কোমল কীভাবে হয়? মোদীজী হচ্ছেন রাহুল গান্ধীর পাপ্পু ইমেজের ফয়েল ক্যারেক্টার। যাই হোক, বিজেপি পশ্চিম বঙ্গে একটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলে আমাদের, বাংলাদেশী রায়ত শ্রেণীর জনগণের একটা ঐতিহাসিক দায়মুক্তি ঘটে। এটাই আমার মূল আর্গুমেন্ট এ লেখার। মনে হচ্ছে না সবাই ব্যাপারটা ধরতে পারছে।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৪

আমি সাজিদ বলেছেন: মোদী নিজেকে একটু অন্যদের চেয়ে আলাদা প্রমান করতে চায়। তার ভাষনে চলনে সব ক্ষেত্রে। রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের জন্যই বিপদজনক সবাই এমনকি রাহুল নিজে বুঝলেও এই বিপদ থেকে পাশ কাটানোর কোন উপায় নেই। লেখাটা ধরতে পেরেছি।

২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সমঝদারী মুবারকবাদ জানাই।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মোদী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয়দের আসল চেহারা প্রকাশ করে দিয়েছেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, এদেশের সকল মুসলিম জনসাধারণকে যারা গণহারে সাম্প্রদায়িক হিসেবে অভিহিত করে তারা নিজেরাও এর বাইরে না। তথাকথিত স্যেকুলার রাষ্ট্রের জনগণের সাম্প্রদায়িক রূপ কে তিনি বের করে দেখিয়েছেন। হিন্দুত্ববাদকে জাগ্রত করে,আশ্র‍য় করে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন,অথচ বাংলাদেশে কোনো ধর্মভিত্তিক দল এখনো ক্ষমতায় আসতে পারে নি এককভাবে।
আত্মসমালোচনা অংশে আপনি ঠিক বলেছেন। জাতি হিসেবে ওপরে উঠতে গেলে আমাদেরকে নিজেদেরকেই বিশ্বমানে উন্নত হতে হবে সবদিক দিয়ে। নইলে বিদেশি পণ্য,সেবার ওপর নির্ভর করেই থাকতে হবে। আর আমাদের অযৌক্তিক আবেগী আচরণ আমাদেরকে দিনদিন পেছনে নিয়ে যাচ্ছে।

২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এই লেখার প্রেক্ষিতে আপনার আর আমার চিন্তা একই ধারায় অনুরণিত হচ্ছে জেনে ভালো লাগছে, তমাল সাহেব। আসুন, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের কাঁধে ন্যস্ত দায়িত্বটুকু যে যার জায়গা থেকে পালন করি। শুভকামনাসহ।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৯

বংগল কক বলেছেন:
অসমাপ্ত আত্মজীবনী (পৃষ্ঠা -১৪৪) - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান


২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ দেশভাগের পূর্বের ইতিহাসের ব্যাপারে আমাদের চোখ খুলে দেয়।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পশ্চিম বাংলার নির্বাচন সম্পর্কিত ব্যাখ্যা সঠিক।বিজেপি জয়পেলে অনেক মুসলমানকে ঠেলে এপারে পাঠিয়ে দিবে।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৪১

অগ্নিবেশ বলেছেন: বাংলাদেশ যদি ৯৯ পারসেন্ট ঘোষনা দিয়ে আনন্দ পেতে পারে, ভারতে রামরাজ্য হলে অসুবিধা কোথায়?? পাশাপাশি দুদেশের ধার্মিকরা দেশ চালালে অসুবিধা কোথায়?? মোদি যদি নাস্তিক হইত, তাইলে দুখান কথা ছিল।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অসুবিধা হইতেসে, আপনাদের নাগপুর হেডকোয়াটার এখনও আপনাদের ভালোভাবে বাংলা লেখার ট্রেনিং দিয়া সারতে পারে নাই।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:৫৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: লেখক কি একটা নিদৃষ্ট অঞ্চলের বাংলা ছাড়া বোঝেন না?

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: মোদির জন্য ঘৃণা ছাড়া আমার আর কিছুই নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.