নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

টং মামার ডং মার্কা নাড়ানির রং চা যাদের প্রিয় তাদের গল্প ৷ পর্ব তিন :#)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

টং মামার সব চেয়ে বড় ট্রেজেডি চায়ের কাপ ভেঙ্গে যাওয়া, এটা নিয়ে নেটে ভিনদেশী একটা এড দেখছিলাম একদিন,



বস্তির এক ছেলে গাড়ির টায়ারের নষ্ট চাকা হাত দিয়ে চালাতে চালাতে হঠাৎ আবিষ্কার করল, চাকার সাথে একশ টাকার মতন একটি নোট লেগে আছে, বাহ!! চকলেট চিপস লাড্ডু খাওয়ার লোভ কল্পনা করে মুচকি হাসতেছিল ছেলেটি, দৌড়ে গেল টং'য়ের সামনে, সেই মুহূর্তে হঠাৎ একটি ফুটবল এসে চায়ের কাপে পরলে কাপ ভেঙ্গে যায়,যে ছেলেটি বল মেরেছে সে ভয়ে ভয়ে বল নিতে আসলে টং মামা এমন ভান করে, যে তাকে বকা দিবে, কিন্তু বকা না দিয়ে উল্টো মৃদু হেসে বলটি ফেরত দিল, ছেলেটি আনন্দিত হয়ে বলটি নিয়ে চলে গেল, তা দেখে সমবয়সি বস্তির ছেলেটি কিছু না খেয়ে চলে গেল, কিছুক্ষণ পর ঐ একশ পরিমাণ টাকা দিয়ে হাফ ডজন গ্লাস কিনে আনল টং মামার জন্য,





উল্টো ঘটনাটি আরো বেশী ঘটে, মনের ক্ষোভে সোলয়মান নামক এক টং মামা ভাঙ্গা ভাঙ্গা হাতে কবিতা লিখেছে,

"চা,সিগারেট,পান

আগে ট্যাকা -

পরে খান,

মজা লইয়া

ফুইট্যা যান

কষ্টে আছে সোলায়মান"





টং মামারা ভালো লিখতে বলতে না পারলে ও ওনাদের একটি ডিগ্রী ব্যবস্থা করে দিলে মন্দ হয় না, ওনার জ্ঞানীদের সমুদ্রে সব চেয়ে নীরব স্রোতা, ক্লাশের মনযোগী ছাত্র কখনো প্রশ্ন করবে না, শুনে শুনে স্বশিক্ষিত, কিন্তু কোন স্বীকৃতি তাদের কপালে জুটে না, মাঝে মাঝে মনে হয় কিছু অগা মগা'দের টকশো'তে ইনভাইট না করে টং মামাদের একটু তালিম গিয়ে টকশো'তে বসিয়ে দিলে জনগনের মনের কথাগুলো ভালো উপস্থাপন করতে পারবে, যাকগে সেই কথা, টং মামার ঢং মার্কা নাড়ানির রং চা নাড়াতে নাড়াতে ক্লান্ত হয়ে যখন আপনার মামা ডাক শুনে ফিক করে হাসি দিবে, তখন চায়ের সাথে হাসির ফ্লেভার মিশে একাকার,





'অন্তহীন' সিনেমায় এই বিষয়টা খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছে, নায়ক পুলিশ ইন্সপেক্টর, টেনশনে থাকে সব সময়, গাড়িতে প্রতিদিন একটি বিষয় লক্ষ করে, টং মামার দোকানের রং চা খেতে খেতে ইয়া মোটা এক লোক জীবন উপলব্দি করছে, তাকে খুব সুখী মানুষ মনে হয় নায়কের, টং দেখে নাক চিটকানো লোকেরা তা কখনো বুজতে পারে না, পারবে না, জীবন বুজতে হলে সাধারণ মানুষকে বুজতে হবে, তাদের সুখ দুঃখ উপলব্দি করতে হবে...........(চলবে)





পর্ব এক পড়তে এখানে ক্লিক করুন Click This Link





পর্ব দুই Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

শায়মা বলেছেন: বাপরে ভাইয়া!!!

তোমাকে দেখে আর লেখাগুলো পড়ে তোমাকে আমার হরিশংকর জলদাস মনে হচ্ছে।:)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৪

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কেন!?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.