নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পে গল্পে শিক্ষা, বিষয়-\'তথ্যপ্রযুক্তির আবির্ভাবের ইতিহাস ! \'

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

তথ্যপ্রযুক্তির আগের যুগে আমার প্রিয় কবি নজরুল তার সংকল্প কবিতায় লিখেছিলেন “থাকবো না’ক বদ্ধ ঘরে, দেখবো এবার জগৎটাকে,- কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে”, সেটি ছিল ১৮৯৯ থেকে ১৯৭৬ সালের বাস্তবতা, কিন্তু এরপর কি হলো প্রিয় কবি তা দেখে যেতে পারেন নি!
.
এই তথ্যপ্রযুক্তি দূরকে এনেছে চোখের সামনে, পরকে করেছে আপন আর অসাধ্য কে করেছে সাধন, সামলোচকদের মতে, দিয়েছে বেগ কেরে নিয়েছে আবেগ, আপনকে করেছে পর/পর কখনো আপন হয় না আমার মতে তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ ছোট বেলার সর্বাধিক পাঠ্য, কচ্ছপ-খরগোশের গল্প, খরগোশ এত দ্রুত দোড়াত তবুও উদ্যমতার কারণে জয়টা কচ্ছপের হয়েছে,
.
এমন যদি হতো, খরগোশ যদি না থেমে দৌড়াতে থাকত! তখন কি হতো বলোনা? যদিও গল্পটি অনুপ্রেরণাদায়ক সেহেতু বিতর্ক না করে একটি আশার বাণী শুনাতে চায়, কেউ কেউ অলস কিন্তু প্রতিভাবান!
.
কেমন করে এলো আলাউদ্দীনের আশ্চর্য প্রদীপ, এই ইন্টারনেট! ১৯৬৯ সালে আমেরিকার প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ হাইড্রোজেন বোমার ভয়ে কুপোকাত, দ্রুত তথ্য আদান প্রধানের জন্য তাদের যে করেই হোক একটি ব্যবস্থা দরকার, কথায় আছে প্রয়োজন উদ্ভাবনের জনক, তেমনি এক প্রয়োজন নিয়ে আমি ও তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে নেমেছি তারপর হলো কি, এমনি এক ভয়ের মোকাবেলা করতে গিয়ে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য টেলিফোনের একটি বিকল্প সংযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলেন,
.
কখনো প্রথম রুটি বানানোর অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন? কোন রকমেই গোল হয় না, রুটি বেলতে বলতে যেমন গোল হয় তেমনি গবেষণা করতে করতে বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে তারের যোগাযোগ ঘটিয়ে বড় করে তোলা হয় নেটওয়ার্ক, একটি সহজ বুদ্ধি দিবো? শরীফ মেলামাইন বাটি উপর করে চাপ দিয়ে রুটি গোল করতে পারবেন,
.
বই পড়ার টেবিলের অর্ধেক জায়গা যখন ডেস্কটপ দখল করে নিলে তখনি বিজ্ঞানীরা চিন্তায় পড়ল, ঐ অর্ধেক জায়গার ক্ষতিপূরণ শিক্ষার্থীদের কিভাবে পূরণ হবে ভেবে ভেবে তৈরী হলো আর টেলিফোন নয় এবার কম্পিউটার টু কম্পিউটার সংযোগ,
.
সেই ১৯৬৯ সাল থেকে শুরু পদ পরিক্রমার সুফল হিসেবে ১৯৮৪ সালে 'ডাইরেক্ট ব্রড কাস্টিং স্যাটেলাইট সিস্টেম' চালু হয় ৷
.
অনেক কথা তো বললাম, একটু টক শো না হলে কি জমে, কথায় আছে, 'কথার নাম লতা, লতায় আছে পাতা, পাতার উল্টো পিঠে আবার কথা, নিজে নিজে বললে হবেন, পাগল যা তা! পেটের ভাত হজম করতে দরকার যেমন টক দই তেমনি মনের খোরাকের হজমি টকশো, সুতরাং এটিকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে তৈরী হলো কনফ্রভিশন অর্থাৎ ডিজিটেল টিভি, মাইক্রোচিপস, কম্পিউটার লিংকস ইত্যাদি ৷
.
ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্বে পড়েছিলাম, খাদ্য উৎপাদন বাড়ে গাণিতিক হারে যেমন এক, দুই, তিন করে করে আর জনসংখ্যা বাড়ে ডেসটিনি সিস্টেমে, দুইহাত, চারহাত, ষোল হাত তরপর মাথায় আর যখন গুনতে পারছি না সুতরাং সহজ কথা জ্যামেতিক হারে কিন্তু কম্পিউটার টু কম্পিউটার সংযোগের ইতিহাস কি?
.
আমেরিকার প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের কাছে 'ডার্পানেট' নামক চারটি কম্পিউটারের মিলন হয় প্রথমে, তিন বছর পর ১৯৮৪ সালে গাণিতিক হারে বেড়ে ছত্রিশটি, ১৯৯০ এর পর জ্যামেতিক হারে বাড়তে থাকে এবং ২০০০ সালের পর গাণিতিক/জ্যামেতিক সব হারকে ছাড়ি বিস্ময়তিক পর্যায়ে মিলন হতে থাকে কম্পিউটার টু কম্পিউটারের!
.
আর এখন তার একটির সামনে বসে বসে ভাবছি, কেউ কথা রাখে না, শুধু কথা রাখে কম্পিউটার!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.