নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়া আল্লাহ ! শুকরিয়া !

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৮

আমি যে রুমে থাকি সে রুমের দরজার নিচে চার আঙ্গুল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা, এই শীতে সেখান দিয়ে ঠান্ডা শীতল হাওয়া আসে গরম হাওয়া চলে যায় তার সাথে একটি বিড়ালও আসা যাওয়া করতো
.
শুনতাম বিড়ালের হাড় নেই, আসলে তাই, এত বড় বিড়াল কেমনে যে দুই পা লেইট্টা দিয়ে পারাপার হয় তা বিস্ময়কর !
.
ইদানিং সে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে, ম্যাও ম্যাও করে ! বেপারটা হলো তার পেটে বাচ্চা ! সে কোন রিক্স নিয়ে ফাঁকা জায়গা দিয়ে পারাপার হবে না !
.
বেপারটা বুজতে পেরে যে বিড়ালকে আগে চোখের সামনে পড়লে খেদিয়ে দিতাম এখন তার খেদমত করে দরজা খুলে দিই !
.
বিড়ালটি ও সুন্দর করে বের হয়ে যায় ৷ যাই হোক বিড়ালদের মধ্যে নাম রাখার প্রচলন থাকলে সে হয়তো তার সন্তানের নাম কৃতজ্ঞতা দেখিয়ে 'শরীফ' রাখবে ৷
.
ইদানিং আরো একটা বেপার লক্ষ্য করলাম সে মাছের কাটাকুটা এমনকি হাড্ডিও খায় না হয়তো ভাবে এগুলো তার অনাগত সন্তানের ক্ষতি করবে ! ঘ্রাণ শুকে বেছে বেছে খাওয়া দাওয়া করে ৷
.
সে আগের মত দুষ্টও নেই ! খুব সাবধানে শান্ত শিষ্টভাবে হাটা চলা করে, তাইতো বলি বাবা মা'রা এতো ভদ্র ভালো কেনু ? মাঝে মাঝে মুখ ফসকে বলেই ফেলে 'ছোট্ট বেলায় আমরা এত্তগুলো দুষ্ট ছিলাম, তোরা আর কি দুষ্টমি করিস?'
.
ওদের তো কোন প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই তবুও তারা এতকিছু বুজে কিভাবে ?
.
আমরা এতো প্লান পোগ্রাম বাজেট কত কিছু করি দুই বেলা দু মুঠো অন্নের জন্য পৃথিবীতে হাজারো প্রজাতি কোন প্লান শিক্ষা ছাড়াই জীবন ধারণ করে বছরের পর বছর বেঁচে থাকে
.
তবে মেধা খাটায় বলে আমরা অনেক সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারি, কিন্তু ওরা ও আল্লাহর কৃপায় বেঁচে থাকে বেঁচে আছে বেঁচে থাকবে ৷
.
এখান থেকে এটা বিষয় শিখার আছে, সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আল্লাহ আমাদের অনেক বেশী বুদ্ধি দিয়েছে, চোখের সামনে অন্য প্রাণীদের সাথে নিজেদের তুলনা করলেই বুজতে পারি, আমরা যে আসলেই 'আশরাফুল মাখলুকাত' সেটা বুজতে বেশী দূর যেতে হয় না ৷
.
তবুও আমরা শুকরিয়া করি না ! বড়ই অকৃতজ্ঞ !

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:





মনে হয়, আপনি আওয়াজ করে পড়েন রুমে।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

আজমান আন্দালিব বলেছেন: সৃষ্টি জগতে তাকিয়ে অনেক দার্শনিক ভাবনা মনে আসতে পারে। সেই সাথে সৃষ্টি কর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতাও।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৫৬

টরপিড বলেছেন: দু'দিন আগে আমি আর আমার বেগম মিলে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলাম লেক এর পাড়ে বেঞ্ছে বসে। বেশ কয়েক জাতের পাখি ডুবোডুবি করছিল। খেতে খেতে তাই দেখে বেগম বলল, দেখছ, পাখিদের কত আরাম, এই গরমে তারা কী সুন্দর পানিতে খেলতেছে, আর আমরা গরমে অস্থির। আমি হেসে বললাম, তারা গরমে পানিতে খেলে, শীতে পানিতে কুকড়ে থাকে, যখন পানি যেমন থাকে তারা তেমনটাই পায়। কিন্তু আমরা গরমেও বরফ ঠান্ডা এসিতে থাকতে পারি, আবার চাইলে তুষার পড়া শীতেও হীটার চালিয়ে উষ্ণ
থাকতে পারি। তাহলে কে বেশি সুবিধা পেল?
বেগম হেসে বলে, আসলেই তো!

সৃষ্টিকর্তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৪

আলাপচারী বলেছেন: স্বাভাবিক চিন্তা, অস্বাভাবিক উপসংহার।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: সুন্দর ভাবনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.