নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের গল্প

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯

সন্দ্বীপে রিয়াদ নামে একটা ছেলের সাথে পরিচয় হয়েছে যে ইন্টারে পড়ালেখার পাশাপাশি শীতের সিজনে প্রতিটি পাঁচশ টাকা ধরে একশ খেজুর গাছ লিজ্ নিয়ে প্রতিদিন রস্ সংগ্রহ করে সেগুলো পুরো সন্দ্বীপ সাইকেল চালিয়ে অর্ডার অনুযায়ী সাপ্লাই করে পরিবার চালাচ্ছে ।
.
রাত দশটায় তাকে দশ কেজি খেজুর রসের অর্ডার দিলাম সে সকাল সাতটায় সেগুলো নিয়ে ঘরের সামনে হাজির!
.
আমার বাড়ির পাশে এমন একটি সোনার ছেলে আছে আগে জানতাম না ।
বাবা সারাজীবনে কুঁড়ে ঘরে ছিলো । কৃষিকাজ করতো! এমন একটি ছেলের খবর আমি জানি যে অনার্সে পড়া লেখার পাশাপাশি রাত দিন টিউশনি করে করে কিছু টাকা জমিয়ে বুড়ো বাবা মা থাকার জন্য আধ পাকা ঘর তুলে দিয়েছে ।
.
এগুলো ভাই চক্ষে দেখা গল্প ।
.
এসব গল্পের খোঁজ পেতে সাত সাগর তের নদী পেরিয়ে কোন এক সভ্য দেশে যেতে হয় না । ঘর থেকে দুই তিন চার ক্রোশ পা দিলেই গল্পের খোঁজ মিলে ।
.
দূর শালার! আমার তো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কয়েক ডজন বন্ধু ছিলো যারা বাড়ি থেকে টাকা আনা দূরের কথা নিজের পড়ালেখার খরচ যোগান দিয়ে পাশাপাশি বাড়িতে টাকা পাঠিয়ে ফাস্ট ক্লাশ রেজাল্টও করেছে ।
.
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলছি, এক ছেলে ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হওয়ার আগে নিজের টাকায় দুই বোনের বিয়ে দিয়েছিলো!
.
আমার অর্থনীতির ক্লোজ বন্ধুকে দেখতাম ছুটিতে বন্ধুরা বাড়িতে গেলে সে চুপিসারে তার ছোট ভাইকে শত মাইল দূর থেকে কিছু দিনের জন্য আলাওল হলে নিয়ে এসে পড়াতো ।
.
গল্পগুলো কিউট না?
.
কোন দিন কাউকে না বলার অনুরোধে এক ছেলে একটা কঠিন গল্প বলেছিলো, সে তার বাবাকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে নিজে পড়িয়ে এসএসসি পাশ করিয়েছে ।
.
আর একটা গল্প শুনবেন?
.
যে ছেলে শীতের সিজনে মুখে মাফলার বেঁধে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দশ মাইল দূরে গিয়ে ভাড়া মারতো জীবনের স্বাদ নেওয়ার জন্য ।
.
দূর শালার! আইন বিভাগের এক বড় ভাইয়ের উদ্যোগে চার পাঁচ ছাত্র মিলে ভর্তি পরীক্ষার সময় স্বল্পমূল্যের টি-শার্ট বাঁশের হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে বিক্রী করে দেড় হাজার টাকা করে প্রপিট করতে দেখেছি,
.
মাঝে মাঝে ভাবি এগুলো হাতে বেসলেট পড়নে জিন্স টি শার্ট পায়ে স্নেকার্স চুলে জেল গলায় পেঁচানো রুমাল গায়ে বডি স্প্রে মনে প্রেম নিয়ে ঘুরাঘুরি করা স্মার্ট ছেলেদের গল্প ।
.
ওরা মাটিতে মিশে যেতে পারে আবার ফাইভ স্টার হোটেলে জীবন মানিয়ে নিয়ে বিন্দাস ঘুরে ফিরে ।
.
ঐ ছেলেগুলো অতীতে দেশ স্বাধীন করার জন্য লুঙ্গী গিট্টু মেরে রাইফেল হাতে খালে নেমে বন জঙ্গল পেরিয়ে আন্দোলনের সূচনা করেছে ।
.
ওরা অদ্ভুত এক প্রজাতির ছাত্র সমাজ! ওরা আছে বলেই এখনো বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে! কাল দেখি রক্ত সংগ্রহ করছে পরশু বৃক্ষ রোপন তো তরশু সুবিধা বঞ্চিত কোন মানুষের পাশে...... এভাবে চলছে! বড্ড ভবঘুরে!
.
সত্যি বলতে কি ওরা আব্বা আম্মার ছেলে মাম্মি ড্যাডির না । ওদের পোল্ট্রি ফার্মে জন্ম হয় না বরং ওরা দেশী মুরগি ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার!
হ্যাঁ, এরা আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখে!!

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:




এইবার সন্দ্বীপের কাহিনী বলেছেন।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.