নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে জীবন ব্যক্তিগত

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

ছোট্ট একটা খাঁচার মতো রুমে যেখানে একজন মানুষও দাঁড়ানো যায়না সেখানে বন্ধুর অসুস্থ বাবাকে দেখলাম প্রায় বছর ছয়েক শুয়ে আছে /
.
অনেক বছর ধরে আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড অথচ কখনো তাকে দেখে কল্পনাও করতে পারিনি তার ব্যক্তিগত জীবন সংগ্রাম মুখর!
.
কখনো সখনও মুখ থেকে বেনসন সিগারেট কেড়ে নিয়ে সে ও সুখ টান দিতে দিতে আঙ্গুলের ইশারায় আমাকে দেখাতে অভ্যস্ত 'দোস্ত মাল যায়! একদম ঠাসা!'
.
আমি তাকে কখনো দেখেছি জলপ্রপাতে ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধুদের টেনে নিয়ে পানিতে ফেলে উল্লাস করতে,
.
কখনোবা ভল্লাগেনা বলে 'কোন কনসার্টে উদ্দাম নৃত্যে' পাগলপ্রায়!
.
তাকে দেখেছি অসংখ্যবার গানের সুরের টানে গলার রগ বেরিয়ে যাওয়া বালক হিসেবে ।
.
আমার সম্মুখে সে যখন তার বাবার সামনে দাঁড়িয়ে ইশারায় বুঝিয়ে দিচ্ছিলো আমি তার বন্ধু তখন তার বাবা হালকা নড়তে গিয়ে পস্রাবের স্যালাইনের নল খুলে গিয়েছিলো মে বি,
.
সে নল লাগাতে আমার দিকে আসলে আমি একটু সরে পাশ ফিরতে যাওয়ায় ঘরের ছাদের টিনে মাথায় আঘাত খেলাম ।
.
আমি তার দিকে তাকিয়ে হা করে ভাবছিলাম সে কিভাবে পালা বদলের নাস্তা কিংবা ট্রিটের টাকা আমাদের দিতো?
.
একদিন তাকে আমি গালি দিয়ে বলেছিলাম 'শ্লা তোর পকেট থেকে টাকা বের করা কতটা কষ্ট' এতো ছ্যাঁচড়া তুই, সেদিন সে ভিলেনের মতো হাসছিলো! আমি আজ তার হাসির রহস্য টের পেলাম ।
ওর ফোকলা দাতের হাসির পর ওকে আর কিছু বলা মানে আনন্দ মাটি হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা,
.
যেদিন বন্ধু নতুন প্রেমে পড়েছিলো সেদিনের অদ্ভুত চুলের স্পাইক দেখে অনেক হাসছিলাম!
.
তবুও দিনশেষে ও না আসলে আড্ডা ট্যুর টিজিং কিংবা মেলা যায়রে সবি পানসে ম্লান মনে হতো! এতোটা জমিয়ে রাখতো সবাইকে/
.
আমি তার আম্মুর সাথে কথা বলতে গেলাম, নিজের ছেলে বানিয়ে দিলো আমাকে, তখন মাথায় ঘুরছে একটি ছেলে স্রেপ টিউশনি করে এই সংসারটা চালাচ্ছে!
.
সদ্য অনার্সে তার বি প্লাস রেজাল্ট হঠাৎ আমার কাছে গোল্ডেন এ প্লাস মনে হতে লাগলো,
.
তাকে অন্যরকম একটা ছেলে মনে হতে লাগলো, মনে হলো কেউ তার সাথে আমাকে চিকন পিনের চার্জার লাগিয়ে দিয়েছে, আমি মোটিবেটেড্ হচ্ছি!
.
লোকে কি না আমাকে বলে আমি নাকি মোটিবেশন দিই! ওদিকে সুখনদা কলার উঁচিয়ে 'আই এম মোটিবেশনাল স্পিকার' বলে চিল্লাচিল্লি লাগিয়ে দিয়েছে!
.
আমি বুক ফুলিয়ে যখন বলতে যাবো 'দোস্ত বিশ্বাস কর ভাই, তুই আমার সত্যিকারের অনুপ্রেরণা' তখন সে আমার দিকে মাথা নত করে বিড়বিড় করে বলতেছিলো 'দোস্ত মাইন্ড করিস না, পরিবারের অবস্থা ভালো না...একটু ভালো করে আপ্যায়ন আর আনন্দ দিতে পারলাম না!'
.
আমি স্তব্দ হয়ে গেলাম । মুখ দিয়ে কথা বেরোচ্ছে না! সে আমার দিকে তাকিয়ে ভাবছে, তার বন্ধুর কাটানো সময় হয়তো সুখকর হলোনা ।
.
মনে মনে বললাম 'দোস্ত তুই সেরা! সত্যি সেরা' কথাটা কন্ঠ পর্যন্ত এসে থেমে গেলো! কতটুকু শক্তি লাগবে জানিনা সে কথাটা তার কানে পৌঁছাতে...! লেখাটি যদি কখনো তার চোখে পড়ে সে বুঝবেও না, কিছু ঘটনা কাল্পনিক ঢুকিয়ে দিয়েছি!
.
তাকে নিয়ে হয়তো মহাকাব্য লিখা যাবে...ছোটখাট গল্প না!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ লিখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.