নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;/ আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।/ উহারা চাহুক সংকীর্ণতা, পায়রার খোপ, ডোবার ক্লেদ,/ আমরা চাহিব উদার আকাশ, নিত্য আলোক, প্রেম অভেদ।_কাজী নজরুল ইসলাম
অতীতে গরুর মাংসে হাড় বেশি হওয়ার জের ধরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে দেখেছি,
.
ও ভাই মুজে মারো মুজে মারো নেহি মাজাক হ রাহে
.
ঢাল-সড়কি,টেঁটা-বল্লম, গুলতি, লাঠিসোটা, ইট পাটকেল নিয়ে তারা দলে দলে বের হয়!
.
মজার বেপার হলো ঘরের নারীরা সঙ্গে নিয়ে বের হন মরিচের গুঁড়া সেটা কৌশলে বাতাসের অনুকূলে উড়িয়ে দেন এবং তা উড়তে উড়তে গিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে,
.
পৃথিবীর ইতিহাসে তাদের এমন টেকনিকগুলো মারাত্মক!
.
সেদিন দেখলাম একজনের পা কেটে নিয়ে যাচ্ছে তা দেখে হয়তো আরেকজন ভাবছে হাড় মাংসগুলো ফেলে দিলে ভালো জুতো হবে,
.
করোনাকালে মাস্ক পরে নিরাপদ দূরত্বে থেকে তারা মারামারি করছে বলে দেশবাসীকেও আশ্বস্ত করেছে!
.
ওরা কতটুকু সংস্কৃতমনা হলে সিডি ক্যাসেট বাকী না দেওয়ার জের ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে তা আমাদের ধারণারও বাহিরে,
.
কিছুদিন আগে খবর এসেছিলো লুডু খেলায় চুরি করেছেন একজন এমন সামান্য ইস্যুতে জেলার বৈশ্যর গ্রামের দুই গ্রপের মারামারিতে টোটা বল্লম নিয়ে মুখোমুখি গ্রামের শতশত মানুষ!
.
কিউটনেসেরও একটা সীমা আছে, তালিয়া হবে ৷
.
শাস্তিগুলো আরো আদুরে, মারামারির অভিযোগে দুই যুবককে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান!
.
কোন একদিন ঝড়বৃষ্টি ঘরের চালায় নারকেল গাছ ভেঙ্গে পড়াকে কেন্দ্র করে তর্কের জেরে উত্তেজিত হয়ে এক বৃদ্ধ মৃত্যু বরণ করেছেন,
.
সেদিন অটো রিকশাওয়ালা আরেকজন যাত্রী না পাওয়ায়, দুই সিটের জন্য ৫০ টাকা ভাড়া দাবি করে তা থেকে বাক-বিতণ্ডা, মারামারি এবং দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত!
.
কতকাল ধরে এভাবে চলতে থাকলে মারামারিও যে এভাবে শিল্প হতে পারে তা তাদের না দেখলে বুঝা যায়না,
.
যারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া লিখতে না পেরে সংক্ষেপে বি-বাড়িয়া বলে তাদেরকেও দেখে নিবে মর্মে একটি প্রজ্ঞাপনও দেখলাম।
.
তাই কবিগুরু লিখতে চেয়েছিলেন 'দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া, একটি আজব জায়গা ব্রাহ্মণবাড়িয়া' কিন্তু পা হারানোর ভয়ে তা আর লিখেননি!
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভারতের সাথে যুদ্ধ হলে পুরোদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে যাবে। তাদের প্রতি এদেশের জনগণের অনেক ক্ষোভ জমে আছে।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: মূলত সমস্যা অনলাইনে। বাস্তবে সব ঠিক আছে।
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার লেখার মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ দলগত আনুগত্যে বিশ্বাসী। যেকোনো সমস্যায় তারা নিজেদের লোকের পক্ষ নেয় এবং যেকোনো ধরনের বিপদের মুখোমুখি হতে পিছপা হয় না।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭
ঊণকৌটী বলেছেন: অসাধারন, তার মানে আপনিও একজন ওই ধরণের লোক যা আপনের পছন্দের, তাইতো বলি আজকের পরিস্থিতি, জানেন যুদ্ধ কাকে বলে! তিন দিকে ইন্ডিয়া, একদিকে সমুদ্র সেই খানেও ইন্ডিয়ান nevi তো ফালতু ফালতু কথা না বলে নিজে দেশের দিকে সময় দিন, তাতে দেশের লাভ হবে, স্বপ্ন কম দেখুন, কর্ম করেন |
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭
ঊণকৌটী বলেছেন: অসাধারন, তার মানে আপনিও একজন ওই ধরণের লোক যা আপনের পছন্দের, তাইতো বলি আজকের পরিস্থিতি, জানেন যুদ্ধ কাকে বলে! তিন দিকে ইন্ডিয়া, একদিকে সমুদ্র সেই খানেও ইন্ডিয়ান nevi তো ফালতু ফালতু কথা না বলে নিজে দেশের দিকে সময় দিন, তাতে দেশের লাভ হবে, স্বপ্ন কম দেখুন, কর্ম করেন |
৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:০৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সরাইলের হাঁসলী মোরগ এর উচ্চতা, ক্ষিপ্রতা, দৈহিক শক্তি ও কস্ট সহিষ্ণুতার জন্য বিখ্যাত । মোঘল আমল থেকে এ অঞ্চলে মোরগ লড়াই চালু হয় বলে জানা যায় । বিশেষ করে সরাইলের দেওয়ানদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মোরগ লড়াই এ অঞ্চলে বিশেষ তাৎপর্য লাভ করে । দুটি মোরগের মধ্যে অনুষ্ঠিত লড়াইয়ে মোরগের নখগুলোকে চোখা তীক্ষ্ণ করা হয় । যতক্ষণ না একটি মোরগ পরাজিত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চলতে থাকে । সরাইলের দেওয়ান মনোয়ার আলী সুদূর ইরান থেকে মতান্তরে রায়বেরেলি থেকে একপ্রকার যুদ্ধবাজ মোরগ দেশে আনয়ন করেন । এ ধরনের মোরগকে হাঁসলি মোরগ বা আসলি মোরগ নামে সবাই চেনে। অত্যন্ত দুধর্ষ ও কষ্ট সহিষ্ণু হিসেবে এদের সুনাম আছে । এ মোরগ গুলো যুদ্ধের সময় যে কায়দায় পরষ্পরকে মার দেয় এগুলোর আলাদা নাম আছে । যেমন - নিম, কারি, বাড়ি, ফাঁক, ছুট ও কর্ণার। হাঁসলি মোরগ বিশেষ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত । হাঁসলী মোরগের যে গুলোর গলায় পালক থাকে না সে গুলো অত্যন্ত জেদী যোদ্ধা হয়ে থাকে । এগুলো পরাজয় বরণে পিছু হটেনা । শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে থাকে । যোদ্ধা একজোড়া ভাল মোরগের দাম ২৫,০০০/- টাকা থেকে ৩০,০০০/-টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৩৫
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
ভারতের বিরুদ্ধে ঘোষণা করা হোক।
আমরা রেডি আছি।
দেশপ্রেমিক সোনাবাহিনী রেডি আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
ঢাল, তলোয়ার, রগ-কাটার যন্ত্র নিয়ে নামলে, ভারতীয় বাহিনী ভারত মহাসাগরে ঝাপ দিবে।