নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গলা উঁচু করিও না,শব্দকে শক্তিশালী কর।_মাওলানা রুমি

আবদুর রব শরীফ

‘উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;/ আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।/ উহারা চাহুক সংকীর্ণতা, পায়রার খোপ, ডোবার ক্লেদ,/ আমরা চাহিব উদার আকাশ, নিত্য আলোক, প্রেম অভেদ।_কাজী নজরুল ইসলাম

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বায়তুল মাল বনাম চাঁদা

১৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৩

বায়তুল মাল আর চাঁদা – দুটো শব্দই অর্থ সংগ্রহের সাথে সম্পর্কিত হলেও, উদ্দেশ্য, বৈধতা এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য আছে। নিচে সহজভাবে পার্থক্য তুলে ধরা হলোঃ

১. সংজ্ঞা

বায়তুল মালঃ
ইসলামিক রাষ্ট্রে বা মুসলিম সমাজে জনস্বার্থে (গরিব-মিসকিন, এতিম, শিক্ষা, রাস্তাঘাট, মসজিদ ইত্যাদি) বৈধভাবে সংগৃহীত সরকারি কোষাগারকে বায়তুল মাল বলে।
এটি শরীয়াহ দ্বারা অনুমোদিত এবং রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।

চাঁদা:
সাধারণ অর্থে কারো কাছ থেকে অর্থ তোলা, যা স্বেচ্ছায় হতে পারে বা জোরপূর্বকও হতে পারে।
এটি ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা কখনো অবৈধ উদ্দেশ্যেও তোলা হয়।

২. উৎস

বায়তুল মাল:
জাকাত, খুমস, ফিতরা, বৈধ কর, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ, ওয়াকফ সম্পদ ইত্যাদি শরীয়াহ-স্বীকৃত উৎস থেকে সংগৃহীত হয়।

চাঁদা:
যেকোনো ব্যক্তি, দল বা সংগঠন যে-কোনো উৎস থেকে তুলতে পারে—বৈধ কিংবা অবৈধ উপায়ে।

৩. বৈধতা ও শরীয়াহ অনুযায়ী অবস্থান

বায়তুল মাল:
সম্পূর্ণ বৈধ এবং ইসলামে এর সুস্পষ্ট অনুমোদন রয়েছে।

চাঁদা:
যদি বৈধ কাজের জন্য স্বেচ্ছায় কেউ চাঁদা দেয়, তাহলে তা জায়েজ। কিন্তু জোরপূর্বক, অন্যায় বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য চাঁদা নেওয়া হারাম এবং গোনাহ।

৪. ব্যবহার

বায়তুল মাল:
জনকল্যাণমূলক কাজে এবং দরিদ্র-অসহায়দের জন্য ব্যয় হয়।
ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা শরীয়াহ মতে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

চাঁদা:
বৈধ কাজেও ব্যবহার হতে পারে (যেমন স্কুল মেরামত, মসজিদ নির্মাণ)।
আবার রাজনৈতিক স্বার্থ, চাঁদাবাজি, ব্যক্তিগত বিলাসিতা ইত্যাদিতেও ব্যবহৃত হয়।

৫. নিয়ন্ত্রণ

বায়তুল মাল:
সাধারণত রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে বা ইসলামী সমাজের দায়িত্বশীল আমানতদারদের তত্ত্বাবধানে থাকে।

চাঁদা:
যে কেউ তুলতে পারে, সাধারণত এর উপর কোনো রাষ্ট্রীয় বা ধর্মীয় নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশ কি ইসলামিক রাষ্ট্র ? জামাত কি এই টাকা দিয়ে মানুষের সেবা করে, নাকি নিজ দলের লোকদের সেবা করে? যাদের জন্য টাকা তোলা হয়, তারা কি সবাই দুস্থ নাকি নিপীড়িত? জামাত এই টাকা তোলে শুধু তাদের লোকদের ভরণপোষণের জন্য। এখানে ইসলামের কোনো ব্যাপার নেই, ধর্মের নামে এটাই রাজনীতি। ক্যাডার পালে বাইতুল মাল দিয়ে জামাত, শুধু সংগঠন করলেই এই টাকা পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের আমলে জামাতের যেসব নেতা-নেত্রী জেলে গেছে, তাদের সংগঠন থেকে সাহায্য করেছে। কিন্তু যারা সংগঠন করে নাই , তাদের কতজনকে সাহায্য করেছে জামাত ? যারা নিপীড়িত হয়েছে।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



নতুন কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।

কিছু প্রশ্ন করতে পারি কি, প্লিজ?

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:১৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম, ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.