![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নিকট জীবনটা হলো সাইকেল চালানোর মতো। এতে ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিনিয়তই আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে হয়।
প্রতিবছর কোরবানির ঈদে দূরদূরান্ত থেকে হাটগুলোতে গরু আসে। গরুগুলো আসে ট্রাকভর্তি হয়ে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। গরুগুলোকে দাঁড় করিয়ে আনার কারণ, এতে করে ট্রাকে অনেকখানি স্পেস ফ্রি করা যায়। সেই ফ্রি স্পেসে আরো গরু গাদাগাদি করে দাঁড় করানো যায়। ফলে ফলে ট্রান্সপোর্ট ফির অনেকখানি সেভিংস করা সম্ভব হয়। গরুকে বসিয়ে আনলে এই সেভিংস করা সম্ভব হয় না। এই সেভিংস করতে গিয়ে আমরা অবলা প্রাণিগুলোকে এইভাবে কষ্ট দেই। ওদের কষ্ট হলে হোক, নিজের পকেটের দুটো পয়সা তো বেঁচে গেলো - এই যুক্তি দিয়ে আমরা আত্মতৃপ্ত হই।
হাটে আসার পরের ঘটনাও মোটামুটি সেইম। গরুগুলোকে জায়গামতো লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এখানে দাঁড় করিয়ে রাখার কারণ, গরু বসে থাকলে তার সাইজ ঠিকমতো বোঝা যায় না। সঠিক সাইজ বুঝার জন্য গরুকে দাঁড় করিয়ে রাখা অনিবার্য। এজন্য ক্লান্ত হয়ে গরু বসে পড়লে তার লেজ মুচরিয়ে, লাঠি দিয়ে বাড়ি মেরে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়। এই প্রাণিগুলো যে এতোদূর থেকে এসেছে, ওদের উপর দিয়ে যে এতো ধকল গেছে, ওদেরও যে একটু বিশ্রামের প্রয়োজন আছে - এই বিষয়গুলো আমাদের মাথাতেই থাকে না। আমরা এসেছি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে। এতোকিছু মাথায় রাখার সময় কই আমাদের?
কোরবানি আমাদের সবাইকে আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয়। কিন্তু আমরা যদি একটু ভালো করে লক্ষ্য করি, তাহলে আমরা কোরবানির মাধ্যমে এই অবলা প্রাণিগুলোর আত্মত্যাগের বিষয়টাও বুঝতে পারবো। তাদের এই আত্মত্যাগের ফলে কিছুটা সম্মান তাদেরও প্রাপ্য। আমরাও অতি মহৎপ্রাণ ইন্ডিভিজ্যুয়াল। আমরা এই প্রাণিগুলোকে তাদের প্রাপ্য সম্মানটা প্রদান করি। অকারণে গরুর লেজ ধরে টানি। অকারণে গরুর "পাছায়" থাপ্পড় মেরে পৈশাচিক আনন্দ লাভ করি। আদর্শগত দিক থেকে আমরা যে শ্রেষ্ট, সেটা আবারও প্রমাণিত হয়।
এই কোরবানির ঈদে নিজেদের ভেতরকার পশুত্বকে ত্যাগ করতে শিখি এবং প্রতিটি প্রাণকে সম্মান দিতে শিখি। আল্লাহর সৃষ্টি প্রতিটি প্রাণই মহামূল্যবান। এই প্রাণগুলোকে সম্মান দিলে আমরা নিজেরা কি খুব অসম্মানিত হয়ে যাবো?
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
০১ লা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৪
আবীর মুহাম্মাদ শাকিব বলেছেন: পশুভাব সবার মধ্যেই সমভাবে বিরাজমান। পশুত্ব ইউরোপিয়ানদের মধ্যেও ছিলো। হয়তো তারা তাদের ভেতরকার পশু কোরবানি করেছে কলোনাইজেশনের মাধ্যমে।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ... লেখক আপনার অনেক বুদ্ধি।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাইজান।
০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৪
আবীর মুহাম্মাদ শাকিব বলেছেন: ঈদ মোবারক, ভাই। সুস্থ থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন। ❤️
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:৫৭
কানিজ রিনা বলেছেন: কে বলেছে ইউরোপিয়ানদের ভিতরে পশুত্ব নাই?
ইউরোপে তিন দশক আগেও 14 পার্সেন্ট পিতৃ
পরিচয় হীন শিশু জন্ম গ্রহণ করত কিন্তু এখন
40 পার্সেন্ট পিতৃহীন শিশু জন্ম নেয়,
চাঁদগাজী কে বলছি পশুত্ব কাহাকে বলে পশুত্বর
প্রথম ধাপ হচ্ছে চরিত্র, চরিত্র ঠিক না থাকলে
পিতৃহীন কুত্তার মত বাচ্চা জন্ম দেওয়া প্রথম ধাপের
পশুত্ব।
গরু ব্যবসায়ীরা এভাবে গরু আনাও এক ধরনের
পশুত্ব। ওরা জানেনা যাদের কাছ থেকে গরুগুলোকে কিনে
তারা কত আদর করে গরু গুলা পালে। সুন্দর পোস্ট।
০১ লা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২১
আবীর মুহাম্মাদ শাকিব বলেছেন: আপু, আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা বিভিন্ন প্রাণির গায়ে পশুর ট্যাগ লাগিয়ে দেই। কিন্তু নিজেরা যে পশুর মতো কাজকর্ম করি, এটা স্বীকার করতে আমাদের আত্মসম্মানবোধ আহত হয়। আমরাই বলি যে, প্রতিটি প্রাণের মূল্য আছে। তো এই মূল্যবান প্রাণগুলোকে সম্মান দিতে আমাদের সমস্যা কোথায়?
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসলমানদের আত্মার মাঝে প্রতি বছর পশু ঢুকে যায়, সেজন্য পশু কোরবানী করে, নিজের ভেতরের পশু হত্যা করে; ইুরোপিয়ানদের শরীরে পশু ঢোকে না, ইুরোপিয়ানদের থেকে সিক্রেট জানতে হবে